নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোমবার বড় মামা মারা গেলেন। মিডফোর্ড হাসপাতালে ছিলেন ১৭ দিন। এক পর্যায়ে ডাক্তাররা বললেন যে তাদের আর কিছুই করার নেই। শেষ সময়ে আমরা যেন তাকে আপন মানুষের কাছে নিয়ে যাই। মামাতো বোন থাকে মগবাজারে। আরও কিছু আত্মীয়স্বজন আছে এদিক ওদিক। ঠিক হলো বাসাতেই নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনটার দিকে এম্বুলেন্সে করে রওয়ানা দিলেন বাসার উদ্দেশ্যে। তবে বাসায় আর জীবিত পৌঁছাতে পারলেন না। আমার বড় মামার এক ছেলে, এক মেয়ে। মামাতো বোনটা মগবাজারে থাকে। আর মামাতো ভাই অনেক দিন ধরেই মালেশিয়াতে। মামা যখন মারা যান তখন এম্বুলেন্সের ভেতরে মামী ছিলেন। মামার দুজন আত্মীয়ও ছিলেন সাথে।
দূরের কেউ মারা গেলে আমার কিছু মনে হয় না, কিন্তু যখন কাছের পরিচিত কেউ মারা যায় তখন মনের ভিতরে এক অদ্ভুত বিষণ্নতা এসে ভর করে। এতদিনের পরিচিত একজন মানুষ, আর তার সাথে কথা হবে না। মৃত্যুর মতো সত্য ব্যাপার আর কিছু নেই, তারপরেও এই ব্যাপারটা আমার এখনও কেন জানি বড় অস্বাভাবিক মনে হয়। একবার মারা গেলেই সব শেষ!
মৃত্যু থেকে আমি সব সময় দূরে থাকি। কোথাও কারো মৃত্যু হলেই আমি সেই জায়গার ধারে কাছে যাই না। কিন্তু আমি জানি, কোনো না কোনো দিন এই মৃত্যু ঠিকই আমার সামনে হাজির হবে। ‘আর কত পালাবে! আমি চলে এসেছি।’ যতই বয়স বাড়ছে, নিজের মৃত্যুর থেকে পরিবারের মানুষের মৃত্যুর ভয় আমার ভেতরে জেগে বসছে। নিজে মরে গেলে তো গেলামই। ঝামেলা শেষ হলো, কিন্তু যখন কাছের মানুষ মারা যাবে তখন?
আমার মামাতো ভাইটার মনের অবস্থা কেমন এখন আমি জানি না। যখন সে জানতে পারল যে তার বাবা আর বেঁচে নেই তখন প্রথম কোন কথাটা মনে হয়েছিল! এতদিন ধরে সে দেশের বাইরে। এই বছর শীতে তার দেশে আসার কথা ছিল। তার বিয়ের জন্য পাত্রী দেখা হচ্ছে। হয়তো চলেও আসবে। সব কিছু আগের মতোই হবে কিন্তু কিছু একটা পার্থক্য ঠিকই রয়ে যাবে! আগের মতো থাকলেও আর কিছুই যেন আগের মতো থাকবে না।
আমার ছোট মামা ঠিক তার আগের দিনই ভারতে গেলেন। সারা জীবন দুই ভাই থেকে এসেছেন পাশাপাশি। অথচ এই মৃত্যুর শেষ সময়ে দুইজন দুই দিকে। সে জানেও না তার ভাই মারা গেছে। যখন দেশে আসবে, তখন যখন জানতে পারবে যে তার বড় ভাই আর নেই, তখন তার মনের অবস্থা কেমন হবে? এই অনুভূতিগুলো আমাদের কারোরই বোঝার কোনো উপায় নেই, কোনো ক্ষমতা নেই। এটা কেবলমাত্র যখন আমরা নিজ থেকে অনুভব করি তখনই কেবল বুঝতে পারি।
এখন এমন একটা বয়সে এসে পৌঁছিয়েছি যে এই মৃত্যুর খবর প্রায়ই শুনতে পাই। পরিচিত মানুষগুলো সবাই আস্তে ধীরে চিরদিনের মতো চলে যাচ্ছে। বয়স এমন একটা নিয়ন্ত্রনহীন ঘড়ি যা চলছেই কেবল। কোনো কিছু দিয়েই তাকে আর থামিয়ে রাখা যায় না। সবাই বলে মৃত্যু আছে বলেই জীবন এত মূল্যবান। যদি মৃত্যু না আসত তাহলে জীবন এত সুন্দর, এত মূল্যবান মনে হত না। এই কথাগুলো হয়তো কাব্যিক ভাষায় পড়তে কিংবা বলতে ভাল শোনায়। এমনকি নিজের বেলাতেও হয়তো সত্য মনে হতে পারে, কিন্তু যখন কাছের মানুষ মারা যায় তখন এই কাব্যিক সত্যকে আর সুন্দর মনে হয় না। যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তখন মনে হয় যে সে বেঁচে থাকুক। আর কটা দিন নিঃশ্বাস নিক।
Image by Aberrant Realities from Pixabay
১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: কাছের আত্মীয়ের ভেতরে ২০১৪ সালে দাদী মারা গিয়েছিলেন শেষ। এরপর পরিচিত অনেকেই মারা গিয়েছে তবে তারা এতো কাছের আত্মীয় নয় । এই ২৪এ এসে বড় মারা গেলেন !
প্রতিটি মূত্যু আমাকে কেমন জানি অনুভূতি শূন্য করে দেয় । এই মানুষটার সাথে এতোদিন কথা হয়েছে দেখা হয়েছে, আর কোন ভাবে দেখা হবে না ! কোন কথা হবে না ! কী অদ্ভুত একটা অনুভূতি ! এটা কোন ভাবেই ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না ।
লাইক নিয়ে কোন সমস্যা নেই । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !
২| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮
নয়া পাঠক বলেছেন: নিশ্চই মৃত্যুই আমাদের শেষ গন্তব্য, নাকি যাত্রার শুরু? এসেছি এই ভবে, যেতেই হবে যেতেই হবে।
বিধাতার নিকট একটাই প্রার্থনা আপনি ও আপনার পরিবার যেন এই শোকে ধৈর্য্য ধারণ করতে পারেন। মামার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: সেটা হয়তো নতুন জীবনের যাত্রা তবে সেটা তো আলাদা জীবন ! এই জীবনে যে গেল হারিয়ে আমরা জীবিতরা তো তাকে আর কখনও পাবো না !
ধন্যবাদ আপনাকে !
৩| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
মৃত্যু একটি ভয়াবহ ব্যাপার।
সেটা নিজের হোক কিংবা অন্যের ......
১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: মৃত্যু সব সময়ই ভয়াবহ ব্যাপার ! সত্যি বলেছেন তবে আমার কাছে নিজের থেকে কাছের মানুষের মৃত্যুই কেন জানি বেশি ভয়াবহ মনে হয় ! নিজে মরে গেলাম তো গেলামই ! ঝামেলা শেষ হল !
৪| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি কাল একটা পোস্ট দিয়েছি এই মৃত্যু নিয়েই। কাছে মৃত্যু দেখা ভয়াবহ ব্যাপার
আল্লাহ আপনার মামাকে গুনাহ মাফ করে জান্নাতে ঠাই দিন
১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২২
অপু তানভীর বলেছেন: আমিন !
৫| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার 'শেষযাত্রা' কেমন হবে অথবা 'শেষযাত্রা'র পর আমার গন্তব্য কোথায় হবে, তা নিয়ে আমি বিচলিত নই। কিন্তু যাদেরকে রেখে যাচ্ছি, তাদের অনেকের কথা ভেবে মায়া হয়, মায়ায় বুকটা ভারাক্রান্ত হয়। কত কথাই তো কতজনকে বলতে চেয়েছিলাম, সব তো বলা হলো না, আর হবেও না। আমার মৃত্যু যেন তাদের কারও কোন কষ্টের কারণ না হয়!
আপনার মামার মাগফিরাত কামনা করছি।
আরইউ এর মত আমারও "লাইক"টা একই কারণে দেয়া।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: আমার কাছেও এই ব্যাপারটা এখন বড় একটা ব্যাপার। বিশেষ করে একভার ভেবে দেখুন যখন আমরা চলে যাই আমাদের উপর নির্ভর করে থাকা মানুষ গুলো নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ থাকে না । মরেও যেন শান্তি পাই না আমরা ! মৃত্যুর পরে কী আছে সেটা নিয়ে আমারও চিন্তা নেই কিন্তু এই যে কাছের মানুষদের থেকে দুরে চলে যাচ্ছি এটা নিয়ে চিন্তা সব থেকে বেশি !
৬| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রিয় কারও মৃত্যুর কথা ভাবলেই মনটা বিষাদে ভরে ওঠে।মনে হয় সবার আগে আমিই যেন মরে যায় তাহলে প্রিয়জনের মৃত্যু কষ্ট আর পেতে হবে না।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১১
অপু তানভীর বলেছেন: আমার উপরওয়ালার কাছে আমার এই দোয়া সব সময় থাকে যেন আমি সবার আগে মরে যাই । তাহলে আমার আর কষ্ট পেতে হবে না !
৭| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩
শাওন আহমাদ বলেছেন: পরিচিত মানুষগুলো সবাই আস্তে ধীরে চিরদিনের মতো চলে যাচ্ছে। বয়স এমন একটা নিয়ন্ত্রনহীন ঘড়ি যা চলছেই কেবল। কোনো কিছু দিয়েই তাকে আর থামিয়ে রাখা যায় না। সবাই বলে মৃত্যু আছে বলেই জীবন এত মূল্যবান। যদি মৃত্যু না আসত তাহলে জীবন এত সুন্দর, এত মূল্যবান মনে হত না। এই কথাগুলো হয়তো কাব্যিক ভাষায় পড়তে কিংবা বলতে ভাল শোনায়। এমনকি নিজের বেলাতেও হয়তো সত্য মনে হতে পারে, কিন্তু যখন কাছের মানুষ মারা যায় তখন এই কাব্যিক সত্যকে আর সুন্দর মনে হয় না। যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তখন মনে হয় যে সে বেঁচে থাকুক। আর কটা দিন নিঃশ্বাস নিক
কাছের মানুষ হারালে সত্যিই আর কিছুই মাথায় থাকে না। সৃষ্টিকর্তার উপরেও ভীষণ অভিমান হয়শ তখন।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: ২০১৯ সালে আমার কাছের একজন ছাত্র মারা গিয়েছিল ক্যান্সারে ! সত্যি বলতে আমার জীবনে দেখা সব থেকে নিষ্পাপ ছেলে ছিল । তখন উপরওয়ালার প্রতি কী তীব্র অভিমান আমার জন্মেছিল তা এখনও চলে যায় নি ।
৮| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:০১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
- ঠিক এক বছর আগে আমার ভাগিনা মারা গেছে। বয়স হবে ৩৫-৩৬। ওছিলো আমার বন্ধু, আমার সন্তান। আমার বাবা-মা মারা গেছেন কম-বেশি ৭ বছর হয়ে গেছে। (রাব্বির হাম-হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছাগিরা) আমি প্রতি ওয়াক্ত নামাজ (যখন পড়ি) শেষে প্রথমে বাবা-মার জন্য দোয়া করি। তারপর ভাগিনার জন্য। কিছু দান করি দরিদ্রদের। এইটুকু করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই আমাদের।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: এই সময়ের আগে চলে যাওয়া মানুষদের মৃত্যু আমরা সহজে মেনে নিতে পারি না । আমাদের মনের ভেতরে তারা ছাপ ফেলে রাখে সব সময় !
৯| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:১১
পবন সরকার বলেছেন: মৃত্যু ভয় বড় ভয়, বাঁচার উপায় নাই।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: মৃত্যু হতে রক্ষার কোন উপায় নেই।
১০| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: প্রতিটা মৃত্যু মনকে বিষাদের চাদরে ঢেকে দেয়। সময়ের সাথে সাথে সেই বিষাদ কমে আসলেও কখনো একেবারে মুছে যায় না।
আল্লাহ যেন উনার সব দোষ ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতবাসী করেন।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: প্রতিটি মৃত্যু মনকে বিষাদময় করে দেয় !
১১| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১
শায়মা বলেছেন: মৃত্যু মানে বিষন্নতা। মৃত্যু মানে শূন্যতা। এই বিষন্নতা শূন্যতা বেঁচে থাকা মানুষগুলোকেই ভোগায়। যে চলে যায় সে চলে যায় সকল কিছুর উর্ধে।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: মৃত্যু মানেই বিষন্নতা । এ এমন এক শূন্যতা যা কোন দিন পূরণ হয় না !
১২| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জন্ম-মৃত্যুর এই খেলা আমার কাছে খামাখা মনে হয়। সৃষ্টিকর্তার খেয়ালের শিকার আমরা। জন্ম নেয়া বা মরে যাওয়া..........দু'টাতেই আমাদের কোন চয়েস নাই, আমাদের মতামতও নেওয়া হয় নাই। সেই সুযোগ থাকলে আমি জন্ম নেয়ার সুযোগটাই নিতাম না হয়তো।
আগে মৃত্যু নিয়ে খুব ভয় পেতাম। কিন্তু প্রিয়জনদের মৃত্যু দেখতে দেখতে কেন জানি আমার মৃত্যুভয় এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। ''যা হওয়ার হবে'' এমন একটা ডেসপারেট ভাব চলে এসেছে।
আপনার মামাসহ আপনার, আমার, সবার প্রিয়জনেরা ওপারে শান্তিতে থাকুক, এই দোয়াই করি।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আমাদের কোন চয়েজ নেই । আমাদের হাতে কিছুই নেই । আমাদের মতামত নেওয়ার কোন সুযোগও নেই।
এখনও আমার প্রিয় মানুষের হারানোর ভয় তীব্র । হয়তো এক সময়ে তা কমে আসবে ! কবে আসবে কে জানে !
১৩| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যে কোন মৃত্যুই সমস্ত জীবনের জন্য হারিয়ে যাওয়া। আল্লাহ আপনার মামা সহ আমাদের সবার কাছের যারা চলে গেছেন ওপাড়ে তাদের সবাই কে ক্ষমা করে জান্নাতবাসী করেন।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: এই হারিয়ে যাওয়ার কষ্ট হয়তো কোন দিন লাঘব হবার নয় !
১৪| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:০৭
জটিল ভাই বলেছেন:
মৃত্যু সে এক অপ্রিয় সত্য!!!
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: যা বন্ধ করার কোন উপায় নেই । এই সত্য মেনে নিতেই হবে।
১৫| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:০১
শ্রাবণধারা বলেছেন: একটা বয়স পর্যন্ত সংসারের দুঃখকষ্ট এবং মৃত্যুর ঘটনাগুলো আমাদের মনে খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। তারপর একটা সময় আসে যখন আমরা মৃত্যুকে অনুভব করতে শুরু করি।
তখন এই মৃত্যুর অনুভুতি এত তীব্র হয় যে কোনো কবিতা, গান, গল্প বা উপন্যাস আমাদের কোন ধরনের সান্ত্বনা দিতে পারে না। তখন যেটা আমাদের প্রবোধ দিতে পারে, সেই ভাব বা বস্তুকে সম্ভবত জীবনভর অন্বেষণ করলেই কেবল পাওয়া যায়।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: এই বয়সটাতেই সম্ভবত আমি চলে এসেছি । এখন এই মৃত্যুকে অনুভব করতে শুরু করেছি । এই মৃত্যুর সান্ত্বনা কোন দিয়েই দেওয়া সম্ভব না ! জানি না সামনে কী হবে !
১৬| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যার চলে যায় সেই বুঝে হারানোর কী যন্ত্রণা।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই তাই ।
১৭| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মামার জন্য দোয়া। আল্লাহ ওনাকে বেহেশত নসিব করুন। বাবা এবং মায়ের মৃত্যুর পরে অন্য মৃত্যুগুলির কষ্ট সহ্য করা সহজ হয়ে যায়।
১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: এই ভয়টা এখন সব থেকে বেশি কাজ করে আমার ভেতরে ! অসময়ে বাসা থেকে ফোন আসলেই সবার আগে মনে হয় যে খারাপ কিছু হল না তো !
১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩
নাজনীন১ বলেছেন: আমার কাছে আজকাল মৃত্যুটা প্রতিদিনকার মুড়ি মুড়কি অথবা লোডেশেডিং এর মতো হয়ে গেছে!
আশপাশে এতো মৃত্যু দেখেছি! এতো মৃত্যুর আঘাত পেয়েছি, এতো হুমকি পেয়েছি, প্রতি মুহূর্তে একরকম মরার প্রস্তুতি নিয়েই থাকি!
তাই আজকাল মৃত্যটা আমার কাছে একরকমের মুক্তিই বলা চলে। যদিও এটা কিশোরী বালিকার অভিমানী আত্মহনন নয়, এটা ক্রসফায়ারও নয়!
কিন্তু এটা কাঙ্ক্ষিত মৃত্যু! এই ধরুন, হঠাত শাহবাগে বা কোন রাজনীতির মিছিলে পুলিশের গুলি শুরু হয়ে গেল! নারায়ণগঞ্জের একজন শাওনের মৃত্যুর মতো! বা টোকাই-র মৃত্যুর মতো। অথবা আসাদ, সেই গণতন্ত্র মুক্তি পাক!
আমি যদিও রাজপথের যোদ্ধা নই, কিন্তু মৃত্যুদূত নিত্য দিন এবং রাতের সাথী! ভোরের গাঢ় ঘুমের লুসিড ড্রিমে দেখা পাওয়া ,মুখোশধারী স্বপ্নপুরুষের মতো!হাত বাড়ায়, ধরা যায় না, গান শোনায়! শিল্পীকে দেখা যায় না!
এরকম আর কি!
আপনার মামার পরকালের দিনগুলো ভাল কাটুক! এই দোয়া করি।
২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: আমি যত মৃত্যুই দেখি না কেন আমার কাছে এই মৃত্যুর ব্যাপারটা কোন দিন স্বাভাবিক হবে না । হয়তো যাদের আমরা চিনি না তাদের মৃত্যুর ব্যাপারটা আমাদের বেশি সময় মনে থাকে না কিন্ত যাদের চিনি, তাদের মৃত্যু কি সহজে মেনে নেওয়া যায় ! ভাবা যায় যে এতোদিন যাদের সাথে এতো কথা বলেছি এতো ঘুরে বেড়িয়েছি আর তাদের সাথে কোন কথা হবে না ! আমি এটা মেনেই নিতে পারি না কেন জানি !
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬
আরইউ বলেছেন:
অপু,
আই অ্যাম স্যরি ফর ইউর লস। আপনার, আপনার আর আপনার মামার পরিবারের সবার জন্য শুভকামনা থাকলো।
ভালো থাকুন।
নোটঃ পোস্টে "লাইক" দিতে গিয়ে একটু দ্বিধান্বিত বোধ করছি। লাইকটি আপনার ভাবনার প্রতি সন্মান জানিয়ে দেয়া।