![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার আত্মীজীবনীমূলক বই পড়তেই ইচ্ছে করে না। আত্মজীবনী পড়লেই গেলেই মনে হয় যে ডাহা মিথ্যা বলে নিজেকে মহান করে তোলার চেষ্টা করছে। তাই এই বইটা আমি এখনও পড়ি নি। তবে সপ্তাহ খানেক আগে পরিচিত একজনের বাসায় গিয়েছিলাম। একটা দরকারে সে আমাকে ঘরে রেখে বাইরে গেলে, আমার চোখ পড়ে তার বুকসেলফের দিকে। সেখানে অনেক বইয়ের ভেতরে এই বইটা ছিল অসমাপ্ত আত্মজীবনী। শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা। কী জানি কিছুটা কৌতুহল নিয়ে আমি বইটা তুলে নিলাম। পেপাপপ্যাক। একেবারে প্রথম পাতার প্রথম লাইনটা পড়েই আমার কেন জানি কেমন লাগল।
একেবারে প্রথম লাইনটা কী লেখা আছে দেখেন ''চারটি খাতা ২০০৪ সালে আকস্মিক ভাবে তার কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয়।'' এবার একটা কথা একটু চিন্তা করেন। শেখ মুজিব নিহত হয়েছেন ১৯৭৫ সালে। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে দেশে অবস্থান করছেন। আর তার বাবার লেখা চারটা খাতা তার হাতে এল ২০০৪ সালে?
শেখ হাসিনা ভেতরে আবার কী লিখেছেন ‘২০০৪ সালে ২১ আগস্ট হামলার পরে তার ফুফাতো ভাই তাকে এই খাতাগুলি দিয়েছে। এই খাতা আরেক ফুফাতো ভাই শেখ মনির অফিস থেকে পেয়েছিল। শেখ মনিও ১৯৭৫ সালেই নিহত হন।’
এখন এই লেখা পড়ে আমার মনে যে প্রশ্ন জেগেছে তা হচ্ছে শেখ মনিকে শেখ মজিব এই খাতাগুলো টাইপ করতে দিয়েছিল। এটা হতেই পারে। ৭৫এর পরে শেখ মনির অফিস থেকে এই খারা উদ্ধার হয়েছে, সেটাই বুঝতে পারলাম। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ৭৫ থেকে ২০০৪ মানে ২৯ বছর পার হয়েছে। শেখ হাসিনা ৮১ সাল থেকে দেশে। এই ১৯৮১ থেকে ২০০৪ সালের মাঝে শেখ হাসিনার সেই ফুফাতো ভাইয়ের সাথে কি শেখ হাসিনার একদিনো দেখা হয় নি? এই ২৩ বছর পরে ফুফাতো ভাইয়ের মনে পড়ল যে শেখ হাসিনার বাবার লেখা খাতা তার কাছে আছে, সেটা দেওয়া দরকার!
তার দুদিন পরে দেখলাম চ্যানেল টুয়েন্টিফোর ঠিক এই ব্যাপারটা নিয়ে একটা প্রতিবেদন করেছে।
সেখানে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে এই বইটা মূলত লিখেছে সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী এবং তার ১২৩ সদস্যের টিম। তবে সেই প্রতিবেদনে শুধুই অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেখানে এমন কিছু ছিল না যেটা দিয়ে প্রমান হয় যে আসলেই জাবেদ পাটোয়ারিই বইটা লিখেছে। আজকে প্রথমআলোতে দেখলাম যে দুদক নজরদারিতে রেখেছে এই ১২৩ জনকে। এই অভিযোগ যদি সত্য হয় তবে এর থেকে প্যাথেটিক ব্যাপার আর কিছু হতে পারে না!
আমি আসলে এই অভিযোগ বিশ্বাস করতে চাই না। আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে চাই যে এইটা শেখ মুজিবের নিজেরই লেখা। এই সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে যদি সেই চার খাতা সামনে নিয়ে আসা যায়! সেই চারটা খাতা এখন কই? শেখ মুজিবের নিজের হাতে যখন লেখা তখন সেই চারটা খাতা নিশ্চয়ই দেশের জন্য অমুল্য সম্পদ হিসাবে পরিগণিত হওয়ার কথা। অন্তত লীগের আমলে তো এমনটাই হওয়ার কথা! সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে খাতাগুলো সংরক্ষণ করার কথা নিশ্চয়! এছাড়া সেই খাতাগুলো একটা ডিজিটাল কপিও নিশ্চয়ই তৈরি করা হয়েছে! আমি এই পুরো সময়ে এই খাতাগুলোর কথা শুনতে পাই নি। আপনাদের কারো জানা থাকলে দয়া করে আমাকে জানাবেন।
এই ব্যাপারে শেখ হাসিনার লেখাতেই আরেকটা অংশ তুলে দিচ্ছি। তিনি খাতাটার ফটোকপি করেছেন।
সেই খাতাগুলো কোথায়? কোথায় সংরক্ষণ করা আছে বা ছিল? কেউ কি সেই খাতাগুলো দেখেছে? যখন খাতাগুলোর যাচাই বাছাই আর সম্পাদনা হচ্ছিল তখন তো সেই বইয়ের ডিজিটার প্রিন্ট করতেই হয়েছে নয়তো এতো পুরানো খাতা থেকে তো কোন লেখা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। এবং সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে! সেই ফটোকপি এখন কোথায়? এমন কোন ফাইল কি কখনও কারো চোখে পড়েছে? এই খাতাতো শেখ হাসিনার আমলে জাদুঘরে রাখার কথা, নয় কী?
কোথাও সংরক্ষণ করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই তবে আমি জানতে চাই। আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে চাই যে এই বইটা শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা। আমি বিশ্বাস করতে চাই না এটা জাভেদ পাটোয়ারি লেখে নি।
প্রথম দুটো ছবি বই থেকে ছবি তোলা, শেষ ছবিটা স্ক্রিনশট নেওয়া
২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: দক্ষ লেখক হল আসল নকল ধরতে পারাটা মুস্কিল! আর এই কয়েক পেইজের ফটোকপি তৈরি করা কোন ব্যাপার না।
আমার প্রশ্ন আপনার কাছে যৌক্তিক মনে হচ্ছে কিনা? শেখ মুজিবের নিজের হাতে লেখা খাতা, এটা সংরক্ষণের কথা নয় কি? সেটা কই? আন্তত পক্ষে সেই খাতাগুলোর ছবি কি আছে?
২| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সমস্যা হচ্ছে ক্রিমিনালের আত্মজীবনী লিখতে পারি। তবে পুরো লেখা মেইল করে কাল্পনিক ভালোবাসা থেকে পার্মিশান নিতে হবে। কারণ, আমার ধারণা লেখাটি কাল্পনিক ভালোবাসা পড়েই সরিয়ে নিবেন। তাছাড়া গত ১৬ বছরে যা লিখেছি এখন তাও লেখা যাবে না। আমার কথা সময়ে মিলিয়ে নিবেন।
২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩৩
অপু তানভীর বলেছেন: দক্ষতা থাকলে লেখা অসম্ভব কিছু না।
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:২৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
@ঠাকুর মাহমুদ, আপনি শুধু পরে বলবো,সময় নিয়ে বলবো পরে দেখবেন এসব নিয়ে থাকেন কেন? আদৌ কিছু বলেন পরে?
২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩৩
অপু তানভীর বলেছেন: লেখার থেকেও অনেক দরকারি কাজ থাকলে কী আর করা ! পরে কোন একদিন লিখবে!
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:০৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: আত্মজীবনীমূলক বই আসলে খুবই ভালো। যেসব আত্মজীবনী উৎকৃষ্ট, সেগুলোর সঙ্গে ডাহা মিথ্যা বলে নিজেকে মহান করার কোনো সম্পর্ক নেই।
আমার পড়া কয়েকটা সেরা আত্মজীবনীর কথা উল্লেখ করতে পারি। রবীন্দ্রনাথের "জীবনস্মৃতি", মহাত্মা গান্ধীর "My Experiments with Truth: (বাংলা অনুবাদটা পড়েছিলাম; এখনও সাথে আছে), বার্ট্রান্ড রাসেলের Autobiography। আবার ধরুন আন্না ফ্রাঙ্কের ডায়রি, প্রতিভা বসুর "জীবনের জলছবি", সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "অর্ধেক জীবন"।
এই মুহূর্তেও আমি একটি আত্মজীবনী পড়ছি। গুন্টার গ্রাসের "Peeling the Onion"। আপনি গুন্টার গ্রাসকে চেনেন কি না জানি না, তিনি খ্যাতনামা জার্মান লেখক। আশির দশকে ঢাকায় এসেছিলেন এবং রিকশায় করে পুরান ঢাকার রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" পড়েছি। আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে, খুব বেশি ভালো নয়। বইয়ের প্রথম অংশটি বেশ ভালো, যেখানে তিনি বাঙালি সংস্কৃতি ও রাজনীতি নিয়ে তাঁর চিন্তাভাবনা তুলে ধরেছেন। পরের অংশটি, যেটা মূলত রাজনৈতিক, সেটা তেমন ভালো লাগেনি।
২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: আমার আবার উল্টো। বিখ্যাত মানুষের আত্মজীবনী আমি একদমই পছন্দ করি না।
তবে হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতি কথা আমি পড়েছি। এছাড়া আর কারোটা পড়েছি বলে মনে পড়ে না। এমন কি আমি আন্না ফ্রাঙ্কের ডায়রিও পড়ি নি। আমি আত্মজীবনীমূলক মুভিও দেখি না খুব একটা।
গুন্টার গ্রাসের একটা বই আমি পড়েছি। বইটার নাম দি টিম ড্রাম। যদিও সেটা আমি শেষ করি নি এখনও। বইটা আমার প্রাক্তন ছাত্রের বুকসেলফে ছিল। প্রতিদিন ওকে পড়া লিখেতে দিয়ে একটু একটু পরে পড়তাম তবে শেষ হয় নি। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। আপনার মন্তব্য দেখে নামটা মনে পড়ল। বইয়ের নামটা আবারও মনে পড়ল। দেখি বইটা শেষ করতে হবে এবার।
৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪
বিজন রয় বলেছেন: আমি জানিনা।
২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: আমিও জানি না।
৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:১৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: প্রকৃত সত্য টা অবশই ভালো হবে কিন্তু মহান করতে গিয়ে মিথ্যার ছড়াছড়ি।
২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: খাতা চারটা পেলে সব সত্য বের হবে। খাতাটা কোথায়!
৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৩১
ইমরান আশফাক বলেছেন: শেখ হাসিনা তো ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে চরম ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের লিখা কয়েকটি বই প্রকাশ করেছিলেন (ইংরেজীতে সম্ভবত)। যে বইগুলো প্রসংসিত হয়েছিল খুব তৎকালীন গৃহপালিত কিছু সুশীল সমাজের লোকজন দ্বারা। নিজের লিখা এই বইগুলিও একটাও পড়ে দেখার সময় হয়নি শেখ হাসিনার। আর প্রায়ই বিদেশ যেতেন তথাকথিত ডক্টরেট ডিগ্রি আনার জন্য রাষ্ট্রের খরচে। ডক্টরেট ডিগ্রিগুলি কিছু অনুদান দিলেই পাওয়া যায় এইরকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে।
বেশ কিছুদিন আগে হিটলারের অপ্রকাশিত কিছু লিখনি নাকি পাওয়া গিয়েছিল জার্মানীতে, যেগুলির কারনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনেক কাহিনী নাকি নতুন করে লিখতে হবে। জার্মানীর একটা নামকরা এক খবরের কাগজে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হচ্ছিলো(প্রায় ৬০ খন্ডের)। তারপর এই কারিগরীটি ফাস হয়ে গেলো তৎকালীন সময়ে বিশেষ করে হাতের লিখার কারনে।
২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: চারটা খাতা যদি পাওয়া যায় তবে সেটা সত্য হবে, কোন সন্দেহ থাকবে না কিন্তু যদি খাতাগুলো সামনে না আসে তবে সন্দেহ থেকেই যাবে।
৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:১৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: পুরাই বোগাস। শেখ মুজিব মালটা নিজে ছিল একটা বোগাস - তার ভাইগ্না ভাতিজা সব কয়টা হইল ঠগ, আর নিজের মেয়ে তো হইল একটা আস্ত মুনাফিক।
২০০৬ সালের নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের মত বড় দল না গেলে সেই নির্বাচন কেউ মানবে না, আর ২০০৮ সালে ফখরু সরকার যখন হুট করে নির্বাচনের তারিখ দেয়ায় বিএনপি আপত্তি করে, তখন তার জবান হয়ে যায়, বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও কিছু আসে যায়না, নির্বাচন সময়মতই হবে।
৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধুলো মেঘ বলেছেন: পুরাই বোগাস। শেখ মুজিব মালটা নিজে ছিল একটা বোগাস - তার ভাইগ্না ভাতিজা সব কয়টা হইল ঠগ, আর নিজের মেয়ে তো হইল একটা আস্ত মুনাফিক।
২০০৬ সালের নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের মত বড় দল না গেলে সেই নির্বাচন কেউ মানবে না, আর ২০০৮ সালে ফখরু সরকার যখন হুট করে নির্বাচনের তারিখ দেয়ায় বিএনপি আপত্তি করে, তখন তার জবান হয়ে যায়, বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও কিছু আসে যায়না, নির্বাচন সময়মতই হবে।
ধুলো মেঘ, বাক-স্বাধীনতার অপপ্রয়োগ হয়ে গেল না? যা খুশি তাই বলে ফেলা বাক-স্বাধীনতা? বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী? পাক-ভারত যুদ্ধ? কিছু কিছু মানুষের সমস্যা কী জানেন বন গাঁয়ে শেয়াল রাজা টাইপ। শেখের সমালোচনা করা যায় কিন্তু একেবারে বাতিল কারা করে জানেন তো? পাকিস্তান ভাঙায় যাদের মনে বেদনা। এরা গোলাম আজমকে বীর মনে করে, নিজামীকে বীর মনে করে। কিন্তু যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তাদের পক্ষে কি এদের বীর ভাবা সম্ভব?
১০| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই বইটি আমার ঘরে ৫ পিছ আছে।
ইন্টারের বছর আমার কণ্যা বিভিন্ন ইভেন্টে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিল।
২১ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: প্রতি ইভেন্টে এই বই দেওয়া তখন নিয়মের ভেতরে ছিল। ৫টা থাকা অস্বাভাবিক না।
১১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:৩২
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাইয়ের কাছ থেকে একটা কপি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" পড়ে দেখুন।
যতদূর মনে পড়ে, বইটি কীভাবে লেখা হয়েছে, সে নিয়েও বইটিতে কিছু আলোচনা আছে। এর একটি অংশ বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে লেখা। আর বইটির যে অংশটি আমার ভালো লেগেছে, আমার ধারণা, সেই অংশটি অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর লেখা। আসলে সেই অংশটি বঙ্গবন্ধু ছাড়া, কারো পক্ষে লেখা প্রায় অসম্ভব।
আর হ্যাঁ, আপনার কাছে "দ্য টিন ড্রাম" এর কথা শুনে খুব আনন্দ পেলাম। এটাই বোধহয় বাংলায় অনূদিত গুন্টার গ্রাসের একমাত্র বই। বইটিতে গুন্টার গ্রাসের আঁকা ছবি আছে, তাই না?
১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: @ রূপক সাধু, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার কিভাবে করে? এটা তো হয়েছিল। ঐতিহাসিক সত্য। মুক্তিযুদ্ধকে আমি মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধই বলবো। নভেম্বর থেকে এটাকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ছাড়া আর কি বলব? এত এত যুদ্ধবন্দি আর অস্ত্র বারুদ বাংলাদেশিদের হস্তগত হবে - এটা কি ভারত মেনে নেয়? এই কারণে বিপর্যস্ত হানাদারদের উপর দিগদারি করতে তারা নভেম্বরে এসে সৈন্য ঢোকায়।
আমি মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করিনা। কিন্তু এই মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের সামান্য ভূমিকা থাকাকেও আমি অস্বীকার করি। আমার বক্তব্যের সমর্থন পাবেন বঙ্গতাজ কন্যা শারমিন আহমেদের 'নেতা ও পিতা' গ্রন্থে। মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের বিন্দুমাত্র কোন অবদান নেই। তবে হ্যাঁ, মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছিল, তাদের বেশিরভাগই পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিল - এটা সত্য।
১৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৫২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধুলো মেঘ বলেছেন: @ রূপক সাধু, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার কিভাবে করে? এটা তো হয়েছিল। ঐতিহাসিক সত্য। মুক্তিযুদ্ধকে আমি মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধই বলবো। নভেম্বর থেকে এটাকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ছাড়া আর কি বলব? এত এত যুদ্ধবন্দি আর অস্ত্র বারুদ বাংলাদেশিদের হস্তগত হবে - এটা কি ভারত মেনে নেয়? এই কারণে বিপর্যস্ত হানাদারদের উপর দিগদারি করতে তারা নভেম্বরে এসে সৈন্য ঢোকায়।
আমি মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করি না। কিন্তু এই মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের সামান্য ভূমিকা থাকাকেও আমি অস্বীকার করি। আমার বক্তব্যের সমর্থন পাবেন বঙ্গতাজ কন্যা শারমিন আহমেদের 'নেতা ও পিতা' গ্রন্থে। মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের বিন্দুমাত্র কোন অবদান নেই। তবে হ্যাঁ, মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছিল, তাদের বেশিরভাগই পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিল - এটা সত্য।
তার মানে বঙ্গতাজ কন্যা শারমিন আহমেদের 'নেতা ও পিতা' পড়েই আপনি শেখ মুজিবকে আপনি বাতিল করে দিয়েছেন? তো যারা শেখকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান পুরুষ উল্লেখ করে বই লিখেছেন, তাদের কোনো বই পড়েছেন? সব বাদ দিলাম ১৯৭৪ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত এক লেখায় জিয়া নিজে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলে উল্লেখ করে লেখেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণই ছিল তার স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা। বিস্তারিত লেখাটা কি পড়েছেন?
১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: @ ধুলো মেঘ, আমিও বিশ্বাস করি শেখ মুজিব জাতির পিতা: কর্নেল রশীদ বঙ্গবন্ধুর খুনির স্বীকারোক্তি। ইউটিউবে সাক্ষাৎকারটা আছে। তারা কি ভুল বলছে?
১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:১১
ধুলো মেঘ বলেছেন: জাতির পিতা কি জিনিস আমার জানা নেই। তাই শেখ মুজিবের জাতির পিতা হওয়া বা না হওয়া নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। আমার বক্তব্য ক্লিয়ার - স্বাধীনতা যুদ্ধে শেখ মুজিবের বিন্দুমাত্র কোন অবদান নেই। নির্বাচনে জিতেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার দুঃখে ৭ই মার্চ অভিমান থেকে অনেক আবোল তাবোল বলে ফেলেছিল। ২০শে মার্চ ইয়াহিয়া আর ভূট্টো যখন কলা দেখালো - তখন আর ডানে বায়ে না তাকিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় (!) বসে গেল।
আর যখন হানাদার বাহিনী আক্রমণ শানালো, তখন পালানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পাক বাহিনীর হাতে এ্যরেস্ট হল পাকিস্তানে গিয়ে আরামে খাওয়া দাওয়া করার জন্য।
এই গবেটকে যারা জাতির পিতা ভাবে - তাদের জন্য আমার দুঃখ হয়।
১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধুলো মেঘ বলেছেন: জাতির পিতা কি জিনিস আমার জানা নেই। তাই শেখ মুজিবের জাতির পিতা হওয়া বা না হওয়া নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। আমার বক্তব্য ক্লিয়ার - স্বাধীনতা যুদ্ধে শেখ মুজিবের বিন্দুমাত্র কোন অবদান নেই। নির্বাচনে জিতেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার দুঃখে ৭ই মার্চ অভিমান থেকে অনেক আবোল তাবোল বলে ফেলেছিল। ২০শে মার্চ ইয়াহিয়া আর ভূট্টো যখন কলা দেখালো - তখন আর ডানে বায়ে না তাকিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় (!) বসে গেল।
আর যখন হানাদার বাহিনী আক্রমণ শানালো, তখন পালানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পাক বাহিনীর হাতে এ্যরেস্ট হল পাকিস্তানে গিয়ে আরামে খাওয়া দাওয়া করার জন্য।
এই গবেটকে যারা জাতির পিতা ভাবে - তাদের জন্য আমার দুঃখ হয়।
৭ই মার্চে আবোলতাবোল বলেছিল? আপনার মন্তব্যটা পড়ে দেখেন তো কী লিখছেন? শেখ মুজিব জাতির পিতা হওয়া না হওয়া নিয়ে আপনার বক্তব্য নেই। বেশ। তাহলে তো বলতে হবে জাতির পিতা কে। গোলাম আজম নাকি জিন্নাহ? স্বাধীনতা যুদ্ধে শেখ মুজিবের বিন্দুমাত্র কোন অবদান নেই তাহলে কার অবদান সেটাও তো বলতে হবে। তাই না? গোলাম আজম, নাকি নিজামী নাকি অন্য কেউ। আপনি বলছেন, ২০শে মার্চ ইয়াহিয়া আর ভূট্টো যখন কলা দেখালো - তখন আর ডানে বায়ে না তাকিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় (!) বসে গেল। তাহলে কী করা উচিত ছিল? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা নাকি পাকিস্তানের কাছে মাফ চাওয়া এটা বলে যে আমি বিজয়ী হয়েছি তাও পরাজয় বরণ করলাম।
আপনি বলছেন, আর যখন হানাদার বাহিনী আক্রমণ শানালো, তখন পালানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পাক বাহিনীর হাতে এ্যরেস্ট হলো পাকিস্তানে গিয়ে আরামে খাওয়া দাওয়া করার জন্য। পালিয়ে কোথায় যাবে? তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই তো পাকিস্তানিদের সুবিধা হয়েছে তাকে শাস্তি দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন দাবিয়ে রাখা। পালিয়ে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালালে ভালো হতো?
এই গবেটকে যারা জাতির পিতা ভাবে - তাদের জন্য আমার দুঃখ হয়। আর যারা নিজের দেশের জন্ম সম্পর্কে সন্দিহান, যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করে না তাদের জন্য মায়া লাগে? আশা করি লজিক্যাল উত্তর দেবেন।
১৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:২৫
ধুলো মেঘ বলেছেন: ৭ই মার্চে আবোলতাবোল বলেছিল?
অবশ্যই বলেছিল। ইয়াহিয়া ভুট্টোর সাথে কি হয়েছে না হয়েছে, তা জেনে আম জনতার কোন দরকার ছিল? নির্বাচনে যাকে ভোট দিয়েছিল, সে কোন াল ফেলেছে - সেটা জানতে মানুষ গিয়েছিল। কিন্তু পুরো ভাষনে সেটা নিয়ে কোন দিক নির্দেশনা নেই।
তাহলে তো বলতে হবে জাতির পিতা কে। গোলাম আজম নাকি জিন্নাহ?
জাতির পিতার দরকার টাই বা কি? কত জাতির জন্ম তো পিতা ছাড়াই হয়েছে। তারা কি হুমকিতে আছে? আর যদি পিতা বলে কাউকে ডাকতেই হয়, তাহলে সবচেয়ে উপযুক্ত হচ্ছে এ কে ফজলুল হক, যার উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাবের কারণে পূর্ববঙ্গ আলাদা অস্তিত্বে আসে। আর দ্বিতীয়ত ধরলে মাওলানা ভাষানী। আসাম ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ সহযোগে বিশাল বাংলা সালতানাত তার ব্রেইন চাইল্ড।
২০শে মার্চ ইয়াহিয়া আর ভূট্টো যখন কলা দেখালো - তখন আর ডানে বায়ে না তাকিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় (!) বসে গেল। তাহলে কী করা উচিত ছিল?
উচিত ছিল যে লোকক্ষয় হয়েছে (৭ই মার্চের ভাষণে উল্লেখিত), তার উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোন আলোচনায় না যাওয়া।
অথবা আত্মগোপনে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীবনতার রূপরেখা বাস্তবায়ন করা।
৭০ এর নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
এগুলো করলে তিনি প্রকৃত জনমানুষের নেতা হতে পারতেন।
পালিয়ে কোথায় যাবে?
নিজের দেশের মধ্যে পালিয়ে যাবার জায়গার অভাব ছিল? যখন দেশের প্রতিটি মানুষ তাঁকে জীবনের চেয়েও ভালোবাসতো। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সব আওয়ামী লীগ নেতা পালিয়ে যেতে পারলে তার পালাতে কি অসুবিধা ছিল?
তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই তো পাকিস্তানিদের সুবিধা হয়েছে তাকে শাস্তি দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন দাবিয়ে রাখা। পালিয়ে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালালে ভালো হতো?
কি সুবিধা হয়েছে? স্বাধীনতা আন্দোলন দমিয়ে রাখা গেছে? এই আন্দোলন জমাতে কোন মুজিবের দরকার পড়েছে? বরং সে গ্রেফতার না হলে মুক্তিযুদ্ধ আরো সুন্দর ভাবে সংগঠিত হতে পারতো।
আর যারা নিজের দেশের জন্ম সম্পর্কে সন্দিহান, যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করে না তাদের জন্য মায়া লাগে?
এরকম কয়েকজনের কোট দিয়েন তো যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনা - তাদের কোষ্টি বিচার করে তারপর লজিক্যাল উত্তর দেব।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৫৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন:
এই হাতের লেখার ছবিগুলো মূল বইয়ের। পিডিএফ পড়েছিলাম ’১৪ সালের দিকে। আপনি পড়ুয়া মানুষ। বইটা পড়লে আসল নকল বুঝতে পারবেন।