নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ মুজিবের হত্যার পরে কারা ক্ষমতায় বসেছিল?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৯

একটা ইন্টারেস্টিং বই হাতে এসেছে। বইটা বেশ পুরানো। আমার জন্মের আগে প্রকাশিত হয়েছে। বইটা মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা এবং এর পরবর্তি সময়ের ঘটনা নিয়ে লেখা। বইটার একেবারে শুরুতে সাপ্তাহিক হক কথার একটা সম্পাদকীয় আছে। সেটা ১৯৭৮ সালের ২৬ শে মের। সেই সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে বাকশালের উত্তরাধিকার 'গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট' (গজ) শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ তোলেন। সেই ব্যাপার নিয়েই এই কলামটা লেখা হয়েছিল। শেখ মুজিবের হত্যায় আসলে সেই সময়ে কারা সব থেকে বেশি উপকৃত হয়েছিল? কারা সরকারী ক্ষমতায় বসেছিল? সেই লেখার কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি নিচে-

কারা গদিতে এসেছিলেন?
১৫ আগষ্টের রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে কারা ক্ষমতায় এসেছিলেন? কারা শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ সিড়ির ওপরে রেখে ১৫ আগষ্ট গদিতে বসেছিলেন? অশ্রুপাত বা শোক প্রকাশ তো দূরের কথা-লাশ দাফনের কথা পর্যন্ত ভুলে কারা মুজিবের লাশ পায়ে দলে মন্ত্রীত্বের শপথ নিয়েছিলেন? সরকারী রেকর্ড অনুযায়ী তাঁরা হচ্ছেনঃ
(১) খোন্দকার মোশতাক আহমদ (রাষ্ট্রপতি) (২) মহম্মদউল্লাহ (উপ-রাষ্ট্রপতি) (৩) বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী (মন্ত্রী) (৪) অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী (মন্ত্রী) (৫) শ্রী ফনি মজুমদার (মন্ত্রী) (৬) মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন (মন্ত্রী) (৭) আবদুল মন্নান (মন্ত্রী) (৮) শ্রী মনোরঞ্জন ধর (মন্ত্রী) (৯) আবদুল মোমিন (মন্ত্রী) (১০) আসাদুজ্জমান খান (মন্ত্রী) (১১) ডঃ আজিজুর রহমান মল্লিক (মন্ত্রী) (১২) ডঃ মোজাফফর আহমদ চৌধুরী (মন্ত্রী) (১৩) শাহ নোয়াজ্জম হোসেন (উপ-মন্ত্রী) (১৪) দেওয়ান ফরিদ গাজী (উপ-মন্ত্রী) (১৫) তাহের উদ্দিন ঠাকুর (উপ-মন্ত্রী) (১৬) অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী (উপ-মন্ত্রী) (১৭) নূরুল ইসলাম মঞ্জুর (উপ-মন্ত্রী) ও (১৮) কে, এম, ওবায়দুর রহমান (উপ-মন্ত্রী)।
গজ-এর বর্ণনানুযায়ী 'রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা' উপরোক্ত ১৮ ব্যক্তির সাথে ২০ আগষ্ট যোগ দেন আরও ৫ জন রাজনীতিক। এরা উপ-মন্ত্রীর গদি লাভ করেন। এ পাঁচজন হচ্ছেন: (১) মোছলেম উদ্দিন খান (২) ডাঃ ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল (৩) রিয়াজউদ্দিন আহমদ (৪) সৈয়দ আলতাফ হোসেন এবং (৫) মোমিন উদ্দিন আহমদ। জেনারেল (অবঃ) আতাউল গণি ওসমানী 'রক্তাক্ত ঘটনাবলী সৃষ্টিকারীদের' সাথে যোগ দেন ২৪ আগষ্ট প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে।
গণতান্ত্রিক ঐক্যজোটের ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত বিবরণ মতে যেহেতু "রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে যাহারা ক্ষমতায় আসেন” তারাই ১৫ আগষ্টের রক্তাক্ত ঘটনাবলীর জন্য দায়ী, সেহেতু, বলা যায়-উল্লেখিত ২৪ ব্যক্তি, পৃথকভাবে ও সমষ্টিগতভাবে, এ প্রশ্নে তাঁদের দায়-দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না। বলাবাহুল্য, নভেম্বর মাসের শুরুতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৪ জন বাকশাল নেতার হত্যার সময়েও উল্লেখিত ২৪ ব্যক্তিই নিজ নিজ পদ অলংকৃত রেখেছেন।

মালেক উকিলের ভূমিকা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণতান্ত্রিক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল মালেক উকিলও ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসেন তাদের সাথে আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন। 'রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে ক্ষমতার আগমনকারী' সরকারের মনোনীত পার্লামেন্টারী ডেলিগেশনের প্রতিনিধি দলের নেতারূপে তিনি ২ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। আন্তঃপার্লামেন্টারী ইউনিয়নের ৬২-তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগদানের জন্য লন্ডনে পৌঁছে বাংলাদেশে শেখ মুজিবের পতনের ব্যাপারে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন-তা স্মরণ করলে তাঁর বর্তমান 'বংগবন্ধু, প্রীতিতে' শেখ মুজিবও কবরে পাশ ফিরে শুইবেন। জনাব মালেক উকিল আই পি ইউতে 'রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা' বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে হাসিমুখে ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন ১৬ সেপ্টেম্বর (১৯৭৫)।
১। জনাব মালেক উকিল বর্তমানে সংসদে বিরোধীদলের উপনেতা এবং আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়ামের সদস্য।

মহিউদ্দিন আহমদের ভূমিকা
১৫ আগষ্ট রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে জনাব মহিউদ্দিন আহমদ সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট পোদ-গনীর প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বানী বহন করে ১৫ সেপ্টেম্বর মস্কোর পথে ঢাকা ত্যাগ করেন। ২০ সেপ্টেম্বর ইউ এস এস আর সুপ্রিম সোভিয়েটের প্রেসিডিয়ামের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিঃ ক্লিচেভতাঁকে ক্রেমলিনে অভ্যর্থনা জানান। এই বৈঠকে তিনি 'রক্তাক্ত ঘটনা-বলীর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা' প্রেসিডেন্ট মোশতাকের চিঠির বিষয় সোভিয়েট প্রেসিডেন্ট মিঃ নিকোলাই পোদগনীকে অবহিত করেন। "বিশেষ দূত সাহেব সোভিয়েট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মন্ত্রী মিঃ নিকোলাই ফেব্রুবীনের সহিতও ‘পারস্পরিক স্বার্থ' সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মত বিনিময় করেন।"

এম পি সাহেবদের ভূমিকা
'রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে ক্ষমতায় আগমনকারী' প্রেসিডেন্ট খোন্দকার মোশতাক আহমদ ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় উপস্থিত সংসদ সদস্যদের এক সভা ডাকেন বংগভবনে। সে সভায় ডেপুটি স্পীকার বায়তুল্লাহসহ ঢাকায় উপস্থিত সকল সংসদ সদস্যই হাসিমুখে যোগদান করেছিলেন। রমজানের পরে খোন্দকার মোশতাক দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্যদের সভা ডাকেন। এবারেও ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী কয়েকজন ব্যতিক্রম ছাড়া দেশের সকল সংসদ সদস্যই রক্তাক্ত ঘটনাবলী সৃষ্টিকারীদের ডাকে সাড়া দিয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন।

মওলানা তর্কবাগীশের ভূমিকা
বিশিষ্ট আলেম মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ৪ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে 'রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা' সরকারের ও সরকারের পররাষ্ট্র নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। ইংরেজী দৈনিক দি বাংলাদেশ টাইমস-এ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫ তারিখে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদটি ছিল:
১। জনাব মহিউদ্দিন আহমদ বর্তমানে বাকশালের সভাপতি।
২। দি বাংলাদেশ টাইমস, ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫

"প্রখ্যাত আলেম মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ ৪ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে খোন্দকার মোশতাক সরকারের পররাষ্ট্রনীতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন যে, বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে তাঁর নীতি নতুন যুগের সূচনা করেছে।"

তোফায়েল-রাজ্জাক-জিল্লুর রহমানের ভূমিকা
১৫ আগষ্টের রক্তাক্ত ঘটনাবলীর পর বাকশালের জাঁদরেল নেতা সৈয়দ জিল্লুর রহমান, তোফায়েল আহমদ ও আবদুর রাজ্জাক 'বঙ্গবন্ধুর' জন্য অশ্র বিসর্জন দেয়ার কথা ভুলে গিরে নিজ নিজ বাড়ীতে থেকে বঙ্গভবনের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকেন। চূড়ান্ত দরকষা-কষিতে সে 'যেগাযোগ' ব্যর্থ হওয়ার পর ৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। টুংগীপাড়া তো দূরের কথা, শেখ মনির এতিম সন্তানদেরও প্রবোধ দেয়ার জন্য এদের কেউ উদ্যোগী হয়েছেন বলে শোনা যায়নি।

হত্যার বিচার দাবী করছেন কারা?
১৫ আগষ্ট রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে অর্থাৎ শেখ মুজিব ও তাঁর আত্মীয়স্বজনকে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রী-উপমন্ত্রী ২৪ জন এবং তাঁদের সহযোগী প্রতিনিধি দলের নেতা, বিশেষ দূত, আলেম প্রভৃতি ৬ জন, মোট এই ৩০ জনের মধ্য থেকে বর্তমানে মুজিব হত্যার বিচার দাবী করেছেন কে কে?
-এরা হচ্ছেনঃ
(১) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও 'গজ' চেয়ারম্যান জনাব আবদুল মালেক উকিল (২) আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী জনাব আবদুর রাজ্জাক (৩) আওয়ামী লীগ নেতা ও মস্কো গমনকারী বিশেষ দূত জনাব মহিউদ্দিন আহমদ (৪) 'গজ' নেতা মওলানা আবদুর রশীদ তর্ক'-বাগীশ (৫) আওয়ামী লীগের জনাব তোফায়েল আহমদ এবং 'রক্তাক্ত' ঘটনাবলীর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা মন্ত্রী-উপমন্ত্রী (৬) অধ্যাপক ইউসুফ আলী (৭) মোঃ সোহরাব হোসেন (৮) আবদুল মান্নান (৯) শ্রী মনোরঞ্জন ধর (১০) আবদুল মোমিন (১১) আসাদুজ্জামান খান (১২) দেওয়ান ফরিদ গাজী (১৩) অধ্যাপক নূরুল ইসলাম চৌধুরী (১৪) ডাঃ ক্ষিতিশচন্দ্র মন্ডল (১৫) রিয়াজুদ্দিন আহমদ (১৬) সৈয়দ আলতাফ হোসেন (১৭) মোমিনউদ্দিন আহমদ এবং (১৮) সামরিক বাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা মেঃ জেঃ (অবঃ) খলিলুর রহমান।
গণতান্ত্রিক ঐক্যজোটের মঞ্চ থেকে মুজিব হত্যার বিচার দাবী করা হলেও জোটের মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জেনারেল (অবঃ) ওসমানী এ ব্যাপার একমত কিনা সন্দেহ। এ দাবীর বাস্তবায়ন কি রূপ আত্মঘাতী হতে পরে, সম্ভবতঃ সে সম্পর্কে তিনি সচেতন। তবে রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে ক্ষমতার আসার কথা ভুলে গিয়ে তিনিও টুংগীপাড়া গিয়েছিলেন। সে যাওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেই প্রতীয়মান হয়। অবশ্য, রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সরকারের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার পদ গ্রহণের ব্যাপারে তিনি কৌতূহল উদ্দীপক যুক্তির অবতারণা করেছেন। মুজিব হত্যার ব্যাপারে নিজের দায়িত্ব হালকা করার জন্যই হয়ত তিনি বলেছেন: তিনটি শর্তে তিনি ঐ পদ গ্রহণ করেছিলেন। তার একটি শর্ত হচ্ছে বেতন নেবেন না। বলাবাহুল্য, বেতন না নেয়ার শর্তটি অধিকতর আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতারই আলামত। তাছাড়া, ১৯৭৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট পরিদপ্তর, ১২ সেপ্টেম্বর নৌ-বাহিনী সদর দফতর ও বিএনএস হাজী মোহসীন এবং ১৩ সেপ্টেম্বর বিমান বাহিনী সদর দফতর পরিদর্শনে গিয়ে অফিসার ও স্টাফদের উদ্দেশ্যে তিনি যে সব ভাষণ দিয়েছিলেন তাও কি ঐ তিন শর্তেরই পরিপুরক?
সামগ্রিকভাবে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা ও তাদের সহযোগিতা ও সমর্থনদানকারী ৩০ জনের মধ্যে ১৮ জন বর্তমানে প্রত্যক্ষভাবে এবং জেনারেল (অবঃ) ওসমানী পরোক্ষভাবে মুজিব হত্যার বিচার দাবী করছেন। ফলে, ফরিয়াদী-আসামী এমন তালগোল পাকিয়ে গেছে, যা বিচারকদের মাথার চুলও পাকিয়ে ফেলবে। এ বিচার, এমতাবস্থায়, আয়নায় মুখ দেখে ফরিয়াদী-আসামীরা নিজেরা করে ফেললেই কি বিচারক জনতার জন্য সহজ হয় না?


আমাদের যে ইতিহাস শেখানো হয়েছে সেই সব ইতিহাসে এসব কথা লেখা থাকে না, এমন কি এসব উচ্চারণ পর্যন্ত করা হয় না। এখন লেখা কোন ইতিহাসের বইতেই এসব খুজে পাওয়া যাবে না। শেখ মুজিবের হত্যায় তার নিজের দলের মানুষের একটা বড় রকমের হাত ছিল। এবং এই দলের মানুষগুলোই কিন্তু তার হত্যার পরে ক্ষমতায় বসে। উপরের নাম গুলোর দিকে তাকালেই সেটা স্পষ্ট হয়, অথচ এসব কথা একবারের জন্যও উচ্চারিত হয় না।


বইয়ের প্রচ্ছদ


প্রকাশকাল

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আমার কেন যেন মনে হয়, তথাকথিত বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধারা শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো।
তারাই এখন ইনিয়ে - বিনিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে হুক্কাহুয়া ধরেছে।

সামুর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের উদাহরণ থেকে বলছি।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: সামুতে এখন কেবল একজনই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। সেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর শ্রাবণধারাকে দয়াকরে এক কাতারে ফেলবেন না।

ব্লগের শ্রবাণধারা ব্লগে সব সময় আওয়ামী অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি সব সময় রাজাকারদের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। তিনি সম্ভবত ব্লগে একমাত্র ব্যক্তি যাকে আওয়ামীলীগ আর জাশি দুই পক্ষই অপছন্দ করে। আপনি আপনার সম্প্রতিক পোস্ট তার নাম বিকৃতি করে তার বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়েছেন।
সেখানেই আমি মন্তব্যটা করতাম কিন্তু মন্তব্যের অপশন রাখেন নি। তাই এখানেই মন্তব্য করলাম। পোস্টটা আমি রিপোর্টও করেছি।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫১

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আওয়ামীলীগ তাদের কোনো সরকারের আমলে ১৯৭১ এর বিজয়ের পর থেকে মুজিবের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশের অবস্থা কেমন ছিলো সেই সম্পর্কে কিছু বলে না। সব সময় মহান মুক্তিযুদ্ধ, মু্‌ক্তিযুদ্ধের চেতনা আর হঠাৎ করে মুজিব হত্যা। মুজিব আমলের ভয়াবহ দিকগুলো নিয়ে কখনও কিছু বলেনি, তার উপর মিথ্যাচার করে চলেছিলো।

ক্ষমতায় এসে দেশের বাঘা বাঘা রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামীলীগ চুঙ্গায় ঢুকিয়ে রেখেছিলো টানা ১৭ বছর। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলার প্রানের বিনিময়ে দেশটাকে আবার স্বাধীন করা হল ২০২৪ এর ৩৬ অগাষ্ট। কুকুর হাসিনা কুত্তার মত পালালো। কয়েকজন ছাড়া বাকী বাচ্চারা ঘরে ফিরে গেলো। এখন আওয়ামীলীগের রাজনীতিও নিষিদ্ধ। চুঙ্গায় থাকা বাঘা রাজনৈতিক দলগুলো রাজ করছে। এর নাম নিয়তি।

দেখা যাক, ভবিষ্যতে কি হয়।

বি: দ্র:- ওই ভুয়া কুত্তাযোদ্ধার প্রকৃত পরিচয় দিতে বলেন। আমি ফেণীর স্থানীয়, হেতের চৌদ্দগুষ্ঠীর ইতিহাস বাইর কইরা নিয়া আসবো।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: শেখ মুজিব হত্যায় আওয়ামীলিগের নেতারা জড়িত ছিল এবং এড়াই এই হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষ ও প্রথম সুবিধাভোগী।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪

বিজন রয় বলেছেন: সুযোগ পেয়ে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধকে নিজের মতো বানিয়ে ফেলছে।

আওয়মীলীগের নিকট থেকে ট্রেনিং পেয়েছে।

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আফলাতুন @আপনি যখন ফেণীর স্থানীয় তাহলে রাজাকার ইলিয়াস আর ওবায়দুল হক কে চিনেন ? সোনাগাজি কুটির হাটের ? :-B । ওবায়দুল হক রাজাকারের কমানডার ছিলো।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৩

নিমো বলেছেন: মিজানুর রহমান খানের ‘মার্কিন দলিলে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যাকাণ্ড পড়ে একটা পোস্ট দিয়েন। এক বইয়ের পাঠক সব সময়ই বিপজ্জনক। আপনি আশা করি সেই পর্যায়ে নেই।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
বিজয় রয় বলেছেন সুযোগ পেয়ে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধকে নিজের মতো বানিয়ে ফেলছে।আওয়মীলীগের নিকট থেকে ট্রেনিং পেয়েছে। আওয়ামী লীগ শেখ মুজিব কে অন্তঃসারশূন্য করে রেখে দিয়ে গেছে। নিউইয়র্কে জারা তাসনিম মেয়েটাকে "মাগি" "মাগি" বলে গালি দিচ্ছে। তারা ও হয়তো আওয়ামী লীগ, ৭১ এবং শেখ মুজিব এর পক্ষে কথা বলে।

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর আওয়ামী লীগের একটা অংশ ক্ষমতায় বসেছিল সামরিক বাহিনীর সাথে মিলেমিশে।

কোনো কোনো ন*র পোলা দেখবেন, ছুতো পেলেই মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করা শুরু করে। খোঁজ নিলে দেখবেন এদের রক্তে রাজাকারের ধারা বহমান।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড নিয়ে প্রথম বই লিখেছেন, ভারতীয় সাংবাদিক সুখ রঞ্জন দাশ গুপ্ত "মিডনাইট ম্যাসাকার ঢাকা" এই শিরোনামে।
জিয়াউর রহমান তাকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করেন।

তোফায়েল-রাজ্জাক- জিল্লুর রহমান এরা কখনো খুনীদের সাথে দর কষাকষি করার প্রশ্ন আসে না।
ঠাকুর ভাই, মনে করিয়ে দিয়েছেন, এক বইয়ের পাঠক হতে সাবধান।

৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৮

আরইউ বলেছেন:



অপু,

লেখাটা একটু অগোছালো হয়েছে। কয়েক পর্বে আরেকটু বড় করে লিখলে হয়ত ভালো হত। আর লেখায় আমি আপনার নিজের বক্তব্য মিস করছি - অবশ্য বর্তমানে ব্লগের, দেশের যে অবস্থা তাতে এসব নিয়ে যত্ন করে লেখাকে সময়ের অপচয় মনে হলে আপনাকে দোষ দেয়া যাবেনা!

বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান মুক্তিযু্দ্ধের পরে সম্ভবত সবচেয়ে বড় ঘটনা মুজিব হত্যা। মুজিবের মত বড় একটা পলিটিকাল ফিগার যখন সপরিবারে নিহত হয়, সেই ঘটনার ভয়াবহতা তার দলের সহ অন্য অনেককে হতবিহ্বল ও ভীত করে দিয়েছিল তা বলাই যায়। অনেকেই হয়ত তখন নিজের "অ্যাস" কীভাবে সেভ করা যায় তা ভেবেছে -- ডিফেন্সিভ মুডে চলে গিয়েছে। মুজিবের মত একটা "শক্তি"কে যারা এত ব্রুটালি হত্যা করেছে তার কতটুকু শক্তিধর তা মাপা/ বোঝা তখন নিশ্চই সহজ ছিলোনা। তাই ঐ সময়ে যারা মন্ত্রী সভায় গিয়েছেন তাদের ঠিক মুজিবের হত্যাকারী বলা সম্ভবত যৌক্তিক নয়। তবে হ্যা, অনেকেই ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় মুজিব হত্যার বেনিফিসিয়ারি হয়েছিলেন তা সম্ভবত বলার অপেক্ষা রাখেনা।

এবার উপরের দু' একটা মন্তব্য নিয়ে সংক্ষেপে বলিঃ সত্যপথিক আপাদমস্তক সুবিধাবাদী পরগাছা শ্রেনীর একজন মিথ্যাবাদী। একসময় লীগের/ সুমনের পাচাঁটা সত্যপথিক এখন মোটামুটি সবচেয়ে বড় লীগ বিরোধী হয়ে গেছে। সে রাজাকারের সন্তান (তার বাপ-দাদা কেউ রাজাকার ছিল, মানুষ হত্যা ও নারী ধর্ষণ করেছে) তা নিজেই বলেছে ব্লগে। কোন রাজাকারের বাচ্চা মহান মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কী বললো তাতে কিছু যায় আসেনা।

২ নাম্বার মন্তব্যটি ইন্টারেস্টিং। মন্তব্যটির একটি বিষয়ে একমত যে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পূর্ন নয় -- একে দু'টি বড় দল নিজেদের মত করে লিখতে চেয়েছে। এখন জামাতের অমুসলিম শাখার আমীর পিনাকি সহ অনেক আবার নতুন করে লিখছে। যাহোক, এসব ঘটনার বিস্তারিত বর্ননা থাকলে এবং এটা নিয়ে কথা বলা যাবেনা, ওটাকে ধর্মগ্রন্থের মত সত্য বলে ধরে নিতে হবে এমনভাবে সবকিছু মানুষের উপরে চাপিয়ে না দিলে সম্ভবত প্রকৃত ঘটনা জানা বোঝা সহজ হত। পিনাকির মত লোকজনের পক্ষে নতুন ইতিহাসের নামে মিথ্যা প্রচার করা কঠিন হত।

যাহোক, মন্তব্য অনেক বড় হয়ে গেল। ভাল থাকবেন।

ধন্যবাদ!

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১৭

রোবোট বলেছেন: আমি মোটামুটি নিশচিত যে এই বইটা আমি যখন পড়ি তখন আপনার জন্ম হয়নি। অনেক দিন পর গারবেজটার উল্লেখ দেখলাম। আশা করবো শুধু একটা বই পড়ে ইতিহাস জানার চেষ্টা করবেন না। ৭২-৭৫, ৯৬-০১, ০৯-২৪ আওয়ামী লীগের শাসনামল নিয়ে সমালোচনার অনেক সুযোগ আছে। আওয়ামী লীগের বিরোধী দল হিসাবেও অনেক সমালোচনা আছে। মোশতাকের সময় আওয়ামী লীগের যারা মোশতাকের বিরোধিতা করেছিল, তাদের দিন খুব ভালো যায়নি। জেলহত্যার কথা না. হয় নাই বললাম।
মোশতাক মন্ত্রীসভার কথা ইতিহাসে লেখা নেই এটা আপনাকে কে বললো? চোাখ কান অর্ধেক খোলা রাখলেও তো এসব জানার কথা।
হাসিনার পতনের পর হাসিনার প্রেসিডেন্টইতো রয়ে গেলো। তাহলে কি ই্উনুস সরকারকে হাসিনার সরকারের একরকমের এক্সটেনশন বলবেন। এরশাদের ক্যাবিনেটের বেশীর ভাগ সদস্যই তো জিয়ার বিএনপিতে ছিলেন। তাহলে এরশাদ সরকারের বিরুদধে বিএনপির ক্ষোভ অন্যায্য?
আপনার কাছ থেকে আরেকটু ভালো কিছু আশা করেছিলাম।

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১১

ক্লোন রাফা বলেছেন: বই পড়লেন , শেখ মুজিবের হত‍্যাকারি কে ? আর প্রশ্ন রাখলেন শেখ মুজিবের হত্যার পর ক্ষমতায় বসেছিলো কে⁉️
ইন্টারেস্টিং বিষয় - পরোক্ষ ভাবে বুঝাতে চেয়েছেন । অন‍্য কোনো পক্ষের খুন করার কোনো কারন নেই! বেনফিসিয়ারি খুনি হোতেই পারে।
কিন্তু এটা ভাবেন নাই বঙ্গবন্ধু নিহত না হোলে আরও বেশি বেনিফিট পাইতো এদের প্রত‍্যেকে।আপনি প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যবহার করে চতুরতার আশ্রয় নিয়েছেন। এটা একান্তই আমার ধারণা, হয়তোবা আমার ধারণা ভুল।

সব কিছু গল্প উপন্যাসের মতো ‍্না।সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে এমনই হবে।বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়ে একটি বই পড়ে উপসংহার টেনে দেওয়া যায় না।যদি তাই হতো তাহলে আওয়ামী লীগকে ২১ বছর সংগ্রাম করতে হতো না। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী জেনারেল জিয়ার হত‍্যাকান্ডের সবচাইতে বড় বেনিফিট বাইতে খালেদা জিয়া আর তারেক জিয়া। শুধু তাই না জিয়াউর রহমানের হত্যার পর সেই বিএনপিই ক্ষমতায় ছিলো । কোনো পরিবর্তন হয়নি বিন্দুমাত্র। আরো আছে সেই সরকার জিয়া হত্যার বিচারও করতে চায়নি।
সরকারে আওয়ামীলীগের অনেকে থাকলেও পেছনে ছিলো হত‍্যাকারিরাই । এবং জেনারেল জিয়া নিজেই নিজেকে সামরিক প্রশাসক নিয়োগ করেছে । আবার সেই পদে থেকেই প্রেসিডেন্ট হয়েছে। আরো বিস্তারিত কাহিনি বললে আপনার পোষ্টের চেয়ে বড় হবে কমেন্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.