নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
সেদিন বস বলছিল মোটিভেশন এর কথা । তখন থেকে মাথায় ঘুরছে কথাটা । তবে মোটিভেশন এর কথা শুনলেই মাথায় আসে মোটিভেশনাল স্পিকারদের কথা । আমরা একটুতেই যখন হতাশ হয়ে পরি কত কত মোটিভেশন এর জন্য দৌড়াদৌড়ি করি । আমি নিজেও করি । যদি বলি এই লেখা লেখার জন্য আমি প্রায় এক সপ্তাহ সময় নিয়েছি বিশ্বাস হবে না । সত্যি বলতে আমি নিজেও ভাবছি নিজেকে নিয়ে । এখন কেন আগের মত কিবোর্ড এ আঙুল চলছে না । হতাশায় নিজেকে ডুবিয়ে ফেলেছি মনে হচ্ছে ।
তবে নিজের চিন্তা ভাবনা গুলোকে মেলে ধরতে এখন কষ্ট হয় । মনে হয় কি লিখছি বা ভাবছি । মনে হচ্ছে অন্য জগতের বাসিন্দা । মানুষ যেমন সমুদ্রে বা নদী পরে গেলে সাতার কাটে । খড়কুটো যা পায় তাই ধরে বাচতে চায় অনেকটা তেমন অবস্থা । অথচ চোখ বন্ধ করে একটু ভাবতেই মনে পরে গেলো আমার কাছে এত বড় মোটিভেশন আছে আর আমি কিনা সেদিকে খেয়াল করিনি ।
যদি বলি সবার কাছেই আছে এই মোটিভেশন তা হলে বিশ্বাস করবেন না জানি । আচ্ছা তাহলে যারা মোটিভেশন দিয়ে থাকেন তাদের নিয়ে বলি ।
আমাদের দেশে যারা এক একটা সেশন নিয়ে মোটিভেশন নিয়ে নিজেকে সফলতার চুড়ায় নিয়ে যাচ্ছেন দিন শেষে এক বার ভাবুন তো আপনি নিজে কতটা মোটিভেটেড হয়েছেন । যদি মোটিভেটেড হয়ে থাকেন তবে আমার কথা নেই । তবে না হলে ফি দিয়ে সেশন করার মানে হয় না ।
তবে আমাদের মোটিভেটররা আবার এসি রুমে বসে তাদের মোটিভেশন দিয়ে থাকেন । তারা এক একটা সেশন এর জন্য মোটা একটা তোড়া নিয়ে যান । তাহলে এটা তো বিনিময় হলো । টাকা আপনার, সময় আপনার এবং কথা শুনোর জন্য আপনি ই যান । তাহলে এই মোটিভেশন এর কি দরকার ।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মোটিভেটর হচ্ছে আপনার বাবা মা । বিষয়টি আপনি আমি কতটা ভেবেছি । কখনও কি ভেবে দেখেছেন আপনার জন্য তারা তাদের স্বপ্ন গুলো বির্সজন দিচ্ছেন । তারা কিন্তু মোটিভেশন পায় আপনাকে দেখে । তারা কি কোন মোটিভেশন সেশন নিয়েছে । না । তারা শুধু আপনাকে দেখেছে । আপনার মুখের হাসি দেখেছে ।
আমি সেদিন বাবার জুতার জোড়া পায়ে দিয়ে ছিলাম । সত্যি বলতে কেমন জানি একটা অনুভূতি হয়েছিল । মনে হয়েছিল আমি এত হতাশ কেন হই । আমার বাবা মা তো কোন দিন আমাকে নিয়ে হতাশ হননি । তারা সব সময় ই আমার পাশে ছিলেন । আমাকে সাহস দিয়েছেন । এগিয়ে যেতে বলেছেন সামনে ।
আমার মা পুরোপুরি গৃহিনী । তাকে আমি খুব বেশি ঘুরে বেড়াতে দেখিনি । তিনি সব সময় আমাদের পরিবারটাকে আগলে রেখেছেন । কোথাও বেড়াতে যেতেন না । আবার গেলেও এক দুই দিনের বেশি থাকতেন না । তার মানে কি তার কোন ইচ্ছে নেই । অথচ কত সহজে তিনি সব কিছু নিজের মধ্যে পুষে রেখেছন ।
আপনি মোটিভেশন চান, তবে আপনার বাবার জুতার জোড়া দেখুন । তার ঘামে ভেজা শার্টটা দেখুন । তার চোখের চশমাটা দেখুন । আপনার হতাশা এক নিমিষে দূর হবে ।
আত্মহত্যা করতে চাচ্ছেন, জীবন একে বারে ভাল লাগছে না । আপনার মায়ের মুখের দিকে একবার তাকান । তিনি শত কষ্টের মাঝেও আপনার জন্য চিন্তা করছে । সারাদিন বাসায় কখন আসবেন সেটা ভাবছে । কোথায় আছেন কিভাবে আছেন সেটা নিয়ে ভাবছে । কি খেয়েছেন না খেয়েছেন সেটার চিন্তা করছে । আর আপনি ভাবছেন আপনার কিছুই নেই । মায়ের মুখটা একবার দেখুন আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হবে না ।
আমি নিজে যখন প্রচুড় দ্বিধাদ্বন্দে থাকি বা নিজেকে নিয়ে চিন্তা করি তখন আমারও ভাল লাগে না । শুধু ভাবি কি হচ্ছে আর কি হবে । এই সময়টা সত্যি কষ্টকর । তবে এটাও পার করা যায় । নিজেকে একটু একা করে নিন । ভেবে দেখুন কি হচ্ছে কেন হচ্ছে । আর কি কারনে হচ্ছে । উত্তর বের করুন । নিজেকে জানুন । সাজান নতুন ভাবে । বই পড়ুন । গান শুনুন ।
আজ বিশ্ব মা দিবস । তবে আমার কাছে প্রতিটা দিন ই মা দিবস কারন আমার মায়ের সাথে প্রতিদিন দিনটা অন্যরকম । আমার মোটিভেশন এই আমার বাবা মা । তাদের কারনেই বেচে থাকার ইচ্ছেটা প্রবল হয় । মনে হয় আর একটা দিন হয় বেশি বেচে থাকলে ভাল হয় । ভেবে দেখুন তো এই মানুষ দুটি আপনার জন্য বেচে আছে । আপনার দিকে তাকিয়ে বেচে আছে । এর চেয়ে বড় মোটিভেশন কি হতে পারে ।
আর হ্যা । প্রতিটি দিন আশার এক নতুন আলো নিয়ে উদিত হয় । তাই হতাশ না হয় লড়াই করে বাচুন ।
ভাল থাকুন । সুস্থ থাকুন । গাছ লাগান । আপনার চারপাশ পরিস্কার রাখুন ।
সবাইকে বিশ্ব মা দিবসের শুভেচ্ছা ।
১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমাদের সমস্যাটা এখানেই । আমরা মা বাবার গুরুত্ব বুঝতেই পারি না ।
অথচ তাদের গুরুত্ব আমাদের জীবনে সবচেয়ে বেশি থাকার কথা ।
২| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,
একদম খাটি একটি কথা বলেছেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মোটিভেটর হলেন "বাবা-মা"।
বাকী যে সব মোটিভেটর আছেন , যাদের কথা আপনি বলেছেন, তারা নিজেরাও মোটিভেটেড টাকা কামাইয়ে জন্যে। আর সকল মোটিভেশানের মূল মোটিভেশান হলো-"টংকা"। টাকা ফেলুন তো সবাই মোটিভেটেড হয়ে যাবেন যে কাজ তাদের করতে বলা হয়েছে তাতে। প্রবচন তো আছেই - শুধু কথায় চিড়ে ভেজেনা।
ভালো লাগলো। ++
১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
যদিও আমি কোন মোটিভেশন সেশন এ যাইনি । তবে এতটুকু বলতে পারি । নিজ থেকে যে মোটিভেটেড হবে তার মত মোটিভেটেড আর কেউ নেই ।
কারন নিজের সম্পর্কে এক মাত্র নিজেই বলতে পারবেন ভাল । তাই সেলফ মোটিভেটেড হওয়া জরুরী ।
ধন্যবাদ ।
ভাল আছেন ?
৩| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় আমার মনের কথা গুলো লিখেছেন।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৪৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই ।
অনেক দিন পর কি বোর্ডে আঙুল দিলাম ।
ভাল আছেন ?
৪| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২১
ওমেরা বলেছেন: খুব ভালো লাগল লিখাটা, কিন্ত খুব কষ্টও লাগছে আমার যে আম্মু নেই যে ছিল আমার জীবনের মোটিভেশন ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ২:১১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ ।
আর আপনাকে স্বান্তনা দেয়ার মত আমার কাছে ভাষা নেই ।
কারন যার মা নেই সেই এক মাত্র বোঝে মা কি ।
৫| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে পরিবারের সকল কষ্ট গিয়ে পড়ে মায়ের উপর।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ২:১৩
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
শত ভাগ সত্য । তারপরও মায়েরা সেই কষ্ট হাসি মুখে মেনে নেয় ।
৬| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৩
ল বলেছেন: মোটিভেশান স্পিকারদের মোটিভ কি ঠিক আছে?
মা বাবাই শ্রেষ্ঠ জীবন-শিক্ষক।।।। +++
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ২:১৪
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
মোটিভেশনাল স্পিকারদের মোটিভ কি আমি জানি না । তবে নিজে থেকে সব কিছু করা কেই আমি বেশি প্রাধান্য দেই ।
৭| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ওত্যান্ত যুগোপযোগী কথামালা।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ২:১৬
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই ।
৮| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এতদিন কোথায় ছিলেন???
সহমত যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মোটিভেটর বাবা মা।
বিশ্ব মাদারস ডেটে সমস্ত মায়েদের জানাই শ্রদ্ধা।
সালাম জানাই আপনার মাকে।
আমার ওমেরা আপুর মতো যাদের মায়েরা চলে গেছেন না ফেরার দেশে, তাদের জন্য সমবেদনা রইল।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ২:১৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আসলে এখনও ভিপিএন দিয়ে আমাকে আসতে হচ্ছে । তাই অনেক ভিপিএন কাজ করে না । সেটা বদলাতে হয় । নতুন ভিপিএন এড করতে হয় ।
এত কিছু করে ব্লগে আসার সময় হয় না ।
আপনি কেমন আছেন?
৯| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১:২৮
জগতারন বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে পরিবারের সকল কষ্ট গিয়ে পড়ে মায়ের উপর।
প্রিয় ব্লগার অপু দ্যা গ্রেট আপনার আজকের লেখা প্রবন্ধটি পড়লাম এবং খুউব ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম। আমি ও বিশ্বাস করি মা-বাবাই প্রত্যেকটি মানুষের নিঃসার্থ ও নিবেদিত মোটিভেটর বা সঞ্চালন-শক্তি-সম্পন্ন বা জীবন চলার গতি-উৎপাদক-শক্তি বা জীবন-চলিবার-শক্তি যোগান দাতা।
আপনি যেহেতু এই প্রবন্ধটি লিখেছেন তাই বাংলাদেশ সমাজ ব্যাবস্থায়; উপরে হাইলাইট করা জ্বনাব চাঁদগাজী-এর মন্তব্যটির ব্যাখ্যা দিয়ে আরেকটি প্রবন্ধ লিখবেন আশা করি লিখবেন
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ২:২০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ ।
আশা করি চাঁদগাজী স্যারের বক্তব্যের উপর লিখটা লিখে ফেলতে পারব ।
১০| ১৩ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যদিও বিয়ের পর মা-স্ত্রীর দ্বন্দ্বে এই মোটিভেশানের ছন্দ পতন ঘটে। সেটা দুই পক্ষের কারণেই হতে পারে...
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
বিয়ের পরের ব্যাপারটা আমার মনে হয় মনস্তাত্বিক ও বোঝাপরার বিষয় ।
১১| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:০১
নীল আকাশ বলেছেন: অপু,
খুবই চমৎকার লিখেছেন। সহজ সরল ভাষায় অনেক গভীর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।
খুবই সুন্দর লিখেছেন যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মোটিভেটর হলেন নিজের বাবা-মা।
টাকা পয়সা খরচ করে মোটিভেটর দিয়ে মোটিভেট কি দরকার যেখানে চোখের সামনেই বাবা মা আছেন!!
বিশ্ব মা দিবসে সমস্ত মায়েদের জানাই শ্রদ্ধা। সারা বছরই যেন এই পৃথিবীর সমস্ত মা'রা সম্মানিত হউন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৪
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই,
আমি শুধু চেষ্টা করছি চোখে সামনে আমাদের এত বড় মোটিভেটর আছে । তা না দেখে আমরা কোথায় কোথায় ঘুরছি ।
১২| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:২৬
মুক্তা নীল বলেছেন: অপু ভাই ,
আপনার পোস্টটি আমার কাছে গ্রেট হয়ে রইল। আপনার চমৎকার মনোভাব এবং কথাগুলো অনেক দামীয় ও মূল্যবান।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ ।
আমার জন্য দোয়া করবেন ।
১৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭
জুন বলেছেন: বাবা মাকে ভালোবাসুন যাদের এই স্বর্গীয় নেয়ামত এখনো পৃথীবিতে রয়েছে ।
আমার নেই আমি বুঝি কি হারিয়ে গেছে জীবন থেকে ।
গাছ লাগান আর আমার মত পাখীদের ভালোবাসুন অপু দ্যা গ্রেট
১৪ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৬
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
অবশ্যই আপু ।
আমার সুযোগ হলেই আমি প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই । গাছ লাগানোর চেষ্টা করি । পাখিদের তো প্রচন্ড ভালবাসি ।
১৪| ১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর কথামালা
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:২৫
নজসু বলেছেন:
খুবই সুন্দর লিখেছেন প্রিয় ভাই।
মায়ের মমতাময়ী মুখের দিকে তাকালে মৃত্যু পর্যন্ত তুচ্ছ হয়ে যায়।
আসলেই প্রতিটা দিনই মাকে ভালোবাসার দিন হয়ে ওঠা উচিত।
কিছু কিছু কুলাঙ্গার ছেলেমেয়ে আছে যারা বেঁচে থাকতেও তাদের মা বাবাকে
দূর্বিষহ দিন কাটাতে হয়। কষ্ট করে জীবন এগিয়ে চলে তাদের।