নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতিষ্ঠ বাঙ্গালি

লিখতে চাই তো অনেক কিছু, কিন্তু......

অতিষ্ঠ বাঙ্গালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি দোষ করেছিলাম????

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১

এক সময় ভাবতাম, হয়তো আমরা কোনো দিন আর মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবো না। কারণ আমরা সবাই শুধু কথায়ই পারদর্শী, কাজে না। কিন্তু কিছুটা হলেও মনে হচ্ছে আমরা চাইলেই পারি। যার নমুনা আজ শাহবাগে দেখলাম। কাদের মোল্লার ফাঁসি হবে কিনা আমি জানি না, কিন্তু এত টুকু বুঝতে পারছি এই দেশের ছাত্ররা হারায়নি। আমাদের ইতিহাসের সব আন্দোলনের শুরু হয়েছে এই ছাত্রদের মাধ্যমে। আমরা আজকে সবাই এক জায়গায় কিন্তু এতোদিন কেন পারলাম না। আমাদের মিডিয়ার কল্যানে সব কিছুই এখন আমরা মোটামুটি জানি। কারা কি করছে তাও জানি। তারপর ও আমরা কিছুই বলিনা। কিন্তু কেনো।

এই কারণে যে শাহবাগে আজ যারা উপস্থিত আছেন তারা কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক। আজকে কয়েকজন ব্লগারদের আন্দোলনে আমরা সবাই যাচ্ছি। সাধুবাদ জানাই তাদের, তাদের সাহসীকতার। তাদের আন্দোলন আজ সারা বাংলাদেশে ছরিয়ে পরেছে। আমার পরিবারে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা। যখন শুনলাম কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় হয়নি, অনেক হতাশ ছিলাম। আমরা যারা নিজেদের মত প্রকাশ করতে না পেরে ব্লগ বা ফেইসবুক এর আশ্রয় খুঁজি তাদের কাছে এতোবর আন্দোলন বিশাল কিছু। কিন্তু তারপর ও আমি হতাশ। যখন দেখলাম সুবিধাবাদী কিছু ছোট ছোট রাজনৈতিক দল এর সুবিধা নিচ্ছে, যখন দেখলাম ছাত্রলীগ নামের একদল মটর শোভাযাত্রা সহ সেখানে উপস্থিত। এটা কি আসলেই সাধারণ মানুষের দাবি থাকবে নাকি এই আন্দোলনকে পুঁজি করে রাজনৈতিক দলগুলো এর সুবিধা নিবে। আর কতদিন টিকবে আমাদের এই আন্দোলন, এর শেষ কি আমাদের পাওয়ার মাধ্যমে হবে। মা বাবা তাদের ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে আন্দোলনে এসেছেন। যেটা আগে কখোনো দেখিনি। কিন্তু একটা প্রশ্ন সবার কাছে। আগে কেনো এমন হয়নি। ফেলানি, সাগর-রুনি, বিশ্বজিতের মত হাজার হাজার হতভাগা কি তাদের জন্য এই আন্দোলন আশা করেনি। তাদের মৃত্যুতে কি আমাদের কোনো দায় নেই। এই আন্দোলনের বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী আমার মত নবীণ। যারা যুদ্ধ দেখেনি। যুদ্ধ না দেখেও আমরা রাজাকারদের ফাঁসি চাচ্ছি। কিন্তু যে মৃত্যুগুলো আমাদের চোখের সামনে ঘটেছে তাদের জন্য কি চেয়েছি আমরা। প্রথম কয়েক দিন টিভিতে দেখে, খবরের কাগজ পরে মনে মনে হয়তো বেশি হলে অভিশাপ দিয়েছি হত্যাকারীদের। আমাদের দায়িত্য তাতেই শেষ।কোনো মা তার সন্তানকে নিয়ে বিচার চাইতে রাস্তায় আসেনি কেন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির মাধ্যমে শুধু একটা যুগের অবসান হবে হয়তো। ৭১ এ রাজাকাররা এইদেশের মায়েদের বুক খালি করেছে, বোনদের ধর্ষন করেছে, চায়নি বাংলাদেশ নামে কোনো দেশ আসুক। কিন্তু বর্তমান হত্যাকারী, ধর্ষকরা কি তাদের চেয়ে কম কোনো অংশে। আমরা কেন ৭১এর রাজাকারদের সাথে বর্তমান রাজাকারদের ফাঁসি চাইনা। মুখোষধারী ভারত নামের বন্ধুর বিচার চাইবোনা, যারা ফেলানিকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছিল তাঁরকাটার উপর। আমি বিচার চাইনা ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির নামের ক্যাডার বাহিনীর যারা বিশ্বজিতের মত অসহায় মানুষকে কুপিয়ে মেরেছিলো। আমরা আমাদের সন্তানদের গর্ভের সাথে রাস্তায় আনবোনা। কারণ ৭১য়েই আমাদের সাথে শেষ অন্যায় হয়েছিল।শুধু ৭১ই আমাদের নাড়া দেয় আর কিছু না। আমাদের আর কিছুতে যায় আসে না। আমাদের বিবেক ৭১এ আটকে গেছে।



আমি আবার যাবো শাহবাগে রাজাকারের ফাঁসি চাইতে, কিন্তু সঙ্গে থাকবে ফেলানি, বিশ্বজিতের মত হাজার হাজার আত্মার প্রশ্ন “আমরা কি দোষ করেছিলাম”????



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.