![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার আগে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যাদের গায়ে আমার কথা গুলো কাঁটার মত লাগবে। ব্লগারদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের মধ্যে আন্দোলনের কামনা জাগিয়ে তোলার জন্য। সাথে ধন্যবাদ আম জনতাকে যারা সাহস দেখিয়েছে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নামার। আজকে আমরা সবাই এক, কিন্তু কেন?
রাজাকারদের ফাঁসির জন্য।
আমাদের দেশের একমাত্র রাজাকাররাই অপরাধী। আর কি কেও নেই? দেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৪১ বছর। কিন্তু এই ৪১ বছরে কি আমাদের দেশে কিছু ঘটেনি যা নিয়ে আমরা রাস্তায় নামতে পারি? প্রতিবেশী ভারত আমাদের কোনো ক্ষতি করেনি, আমাদের ভাইয়ের রক্তের কোনো দাম নেই। ফেলানি ছিল একজন অসহায় বাঙ্গালি মাত্র। কি বা করতে পারি আমরা। বিশ্বজিতের খুনিদের কোনো অপরাধ ছিল না? পদ্মা সেতু হোক বা না হোক আমাদের কিছু যায় আসে না। হরতালে যত ক্ষতি হোক আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের ১১০ জন বোন আগুনে পুরে মরলো, তাতে আমাদের কিছু যায় আসেনা। আমরা সাগর-রুনির জন্য কেন যাবো, কারণ কি? এই সব ব্যাপার আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। চুলোয় যাক সব, কিন্তু রাজাকারের ফাঁসি চাই। কাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা এই আন্দোলনে নেমেছি? ছাত্রলীগ নামধারি বিশ্বজিতের খুনিদের। তারপর ও সাধুবাদ জানাই, অন্তত শুরু তো হয়েছে। কিন্তু এটার শেষ কি হবে? যে আন্দোলন শুরু হয়েছিলো গণমানুষের দাবি হিসেবে, সে আন্দোলন এখন শেষ হবে রাজনৈতিক দলের সুবিধা ভোগ এর মাধ্যমে। আন্দোলনে অনেকেই বক্ত্রিতা দিচ্ছেন, যারা কিনা অনেক আগেই কারো না কারো কাছে বিক্রী হয়ে গেছেন। এখন মনে হচ্ছে এটা একটা সাজানো নাটক। আমরা হয়তো পারবো, কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ ফিরিয়ে আনতে, কিন্তু থেমে যাবো সেখানেই। কারণ ৭১ই আমাদের আন্দোলনের শেষ অবস্থান। বর্তমান প্রেক্ষাপট না। কাদের মোল্লা তো একজন উদাহরণ শুধু। কিন্তু ৭১এর পরবর্তিতে যে এই দেশে হাজারো কাদের মোল্লার সৃষ্টি হয়েছে তাদের কি করবেন? হত্যা তখন হত এখন ও হয়। কিন্তু আমরা বর্তমান নিয়ে ভাবি না। আমাদের কি কেও একজন মারা গেলে। ৭১এর শহীদের রক্ত আর তার পরবর্তি রক্তাক্ত মানুষ গুলোর মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে? তাদের রক্তের রঙ কি ভিন্ন? আমরা এই জায়গায় কেন এতদিন চুপ করে আছি। আমাদের বিদ্রোহী মনোভাব কেন এই বেপারে জাগে না। কারন কি আমরা সবাই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক? রাজনৈতিক দলের হাতের পুতুল?
বেষ কিছু ছোট বাচ্ছাকে দেখলাম এখানে কাদের মোল্লার বিচার চাইতে এসেছে, অথচ তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কিছুই সে জানে না। তারপরো তাকে সাধুবাদ দেই কারণ অনেক বড়দেরি এই সাহস এখনো হয়নি। কিন্তু এই ছোট বাচ্ছাটা কেন ফেলানি, বিশ্বজিতের জন্য রাস্তায় আসেনি। অনেক মাকে দেখলাম গর্ভের সাথে বলতে তিনি তার সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। এটা কি লোক দেখানোর জন্য? নাকি নিজেকে একজন সাহসী মা হিসেবে প্রমান করার জন্য? ঘুরে ফিরে একটা প্রশ্নই আসে, ফেলানি, বিশ্বজিতের জন্য কেনো আসেননি? সাহসী মা হিসেবে রাস্তায় নামুন সেই সব অভাগাদের, যাদের জন্য কেও আসেনি। বাংলার মানুষ হিসেবে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিচার আমিও চাই। কিন্তু তা কোনো রাজনৈতিক দলের সুবিধার সুযোগ দিয়ে নয়, আমি কারো হাতের পুতুল হতে চাই না, আমি চাইনা কেও মুচকি হেসে বলুক এটাইতো চাইছিলাম। জনগনের দাবি জনগণের থাকতে দিন। রাজনীতির এই পুতুল খেলায় আমরা কজন খেলার পুতুল মাত্র। কিন্তু কত দিন?
শাহবাগ যাচ্ছি সেই দীর্ঘশ্বাষ নিয়ে, তাদের জন্য কিছু করতে না পারার। রাজনীতির পুতুল খেলার অনিচ্ছাকৃত পুতুল হতে।
ক্ষমা করো ফেলানি,
ক্ষমা করো বিশ্বজিৎ,
আশা করি একদিন তোমরাও দেখবে তোমাদের জন্য এই জন জাগরণ………
আমার মত তোমরাও অপেক্ষা কর……
কি আর করবো বল আমরা তো খেলার পুতুল, কিই না করতে পারি আমরা !!!!
©somewhere in net ltd.