নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতিষ্ঠ বাঙ্গালি

লিখতে চাই তো অনেক কিছু, কিন্তু......

অতিষ্ঠ বাঙ্গালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তখনি হয়ত সোনার বাংলা স্বপ্নীল হয়ে উঠবে

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০

আমাদের অধিকার আছে রাজাকারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার। রাজাকারদের মৃত্যু দাবী করার আন্দোলনে শরীক হওয়া আমরা যারা বাংলাদেশী তাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাদের অপরাধের শাস্তি চাই এমনটাই হওয়া উচিত আমাদের প্রতিবাদ। কিন্তু আমাকে আমার বিবেক বলে যে, আমাদের দেশে ফেলানী হত্যার প্রতিবাদ, বিশ্বজিৎকে জনসম্মুখে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ, সাগর-রুনিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাদের সাজানো সংসার ধ্বংস করার প্রতিবাদ করতে। আমার বিবেক বলে, ৪১ বছর লেগেছে রাজাকারদের বিচার চাওয়া নিয়ে এমন প্রতিবাদ জেগে উঠতে তেমনটি যেন বাকীদের বেলায় না হয়। এখন যখন পতিবাদের আগুন জেলে উঠেছে তখনি কি আমাদের প্রতিবাদের ধারাকে অন্যসকল অন্যায়ের বিরুদ্ধেও কাজে লাগানো উচিত না?



যে গনজাগরনে দেশে আজ প্রতিবাদের ফাগুন এসেছে, প্রতিবাদের মৃতপ্রায় গাছে নুতুন কুড়িঁ এসেছে, সেই গাছে প্রতিবাদের প্রান জীবিত রাখতে হবে। গর্জে উঠতে হবে অপরাধের বিষাক্ত ফনার বিরুদ্ধে। শুধু যদি রাজাকারের ফাসিঁর দাবীতে এই আন্দোলন সীমিত থাকে তবে তা আমাদের এই প্রজন্মের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হিসেবেই আজীবন গণ্য হবে। একদিন হয়ত আমরাই বৃথা আস্ফালন করে বলব যে সুযোগ এসেছিল সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার কিন্তু আমাদের বিবেককে আমরা জাগিয়ে রাখতে পারিনি।



বি. এস. এফ. আমাদেরই প্রতিবেশী দেশের একটি বর্ডার পাহারা দেবার বাহিনি। কিন্তু তাদের লক্ষ্য যেন সর্বদা আমাদের মানুষকে হত্যা করে আমাদের লজ্জা দেয়া। আমাদের মৃত্যুকে বিকৃত করে গোপনে বন্ধুত্বের মূল্যকে উপহাস করা। ফেলানীর তারকাটায় ঝুলে থাকা নিথর দেহ যেন আমার বিবেককে উপহাস করে বলছে, লজ্জা তোমাদের জন্যে। তোমরা পারলেনা আমার জন্য একটি প্রতিবাদের আলো জ্বালাতে, পারলেনা থামাতে বর্ডারে মিথ্যূক বন্ধুর হত্যাকান্ড।



বিশ্বজিৎ এর কি দোষ ছিল তাই জানতে পারলাম না কিন্তু টেলিভিশনে যেন তার হত্যা খুব আগ্রহের সাথেই দেখলাম। কারো মৃত্যুদৃশ্য কত উপভোগ্য (!) হতে পারে তা যেন এর আগে আমাদের জানাই ছিলনা। হাজার লোকের বিবেকবোধ, সাহস কিংবা করূনা সবকিছুই দেখি কিছু পশুর পশুত্বের কাছে হার মানলো একজন অবলা নারীর সম্ভ্রম কেড়ে নেবার মত।সরকার বলে গেল তারা তাদের দলের কেউ না, ব্যাস দায়িত্ব শেষ। আর আমরা আর কি করতে পারি বল আমাদের সম্ভ্রম যে লুটে নিয়ে গেছে গুটি কয়েক নব্য হায়েনার দল। আমরা মানুষ তাই কুকুর কামড়ালে তাকে কামড়ানো আমাদের বিবেক না!!!!!!!!



আমাদের গনজাগরন যেন বৃথা না যায়। আজ আমরা রাজাকারের বিচার নিয়ে যখন একত্র হয়েছি তখন তা যেন সকল অন্যায়ের প্রতিবাদে পরিণত হয়। তখনি হয়ত সকল বিদেহি আত্মার শান্তি আসবে। তখনি হয়ত সোনার বাংলা স্বপ্নীল হয়ে উঠবে। এই জাগ্রত বিবেক যেন প্রতিবাদের শিখা বহ্নিমান।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.