নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"ভুল-ত্রুটি যুক্ত সাধারণ লোক\"

মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ

অতিমানব

মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা নির্যাতনের নামে মিথ্যা ছবি দিয়ে অপপ্রচার! অমানবিক নির্যাতন ও মানুষ হত্যার প্রতিবাদ হোক, তবে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে নয়।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮


পৃথিবীর বুকে ঘটা যে কোনও নির্যাতনের বিপক্ষে একজন বিবেকবান মানুষের দাড়ানো উচিত। মায়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে যে অন্যায় ঘটছে তা খুবই গর্হিত কাজ। তাদের উপর বর্বর নির্যাতন হচ্ছে। এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে এর মানে এই না যে মিথ্যা ছবি দিয়ে অপপ্রচার করে করুনা আদায় করতে হবে। বলে রাখি সব ছবি মিথ্যা নয়। তবে অধিকাংশ ছবিই মিথ্যা।

এই পোস্টের মানে এই না যে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর অমানবিক নির্যাতনের ভয়াবহতা অস্বীকার করছি। সাধারণ মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেজন্য এখানে শুধুমাত্র মিথ্যা ছবিগুলোর প্রতিবাদ করেছি এবং রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা বলে ছড়ানো ভুয়া ছবিগুলোর ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছি।

ধর্ম বা জাতপাত দেখে নয় বরং বরং মানবতার গান গেয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোটাই হবে উত্তম, কারণ তাদের প্রয়োজন গোটা বিশ্ববাসীর সমর্থন। আর আজ যারা ধর্মের কথা বলে রাস্তায় নামতে চায় তারাই যে কাল মন্দিরে আগুন দেবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে বলুন?

মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চলছে সেটা যেমন সত্য তেমনি নির্যাতনের কথা বলে ছড়ানো অধিকাংশ ছবিই ভুয়া এবং ফটোশপ সেটাও সত্য। নোংরা উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য প্রকৃত ছবিগুলোর পাশাপাশি অনেক ভুয়া ছবিও ছড়ানো হচ্ছে। অন্য দেশের ভয়াবহ কিছু ঘটনার ছবিগুলোকেও রোহিঙ্গা নির্যাতনের ছবি বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এই নোংরা কাজটা করছে কিছু মৌলবাদী কিংবা মাথামোটা পাব্লিক। কিছু লোক আছে যারা কোনো বাছবিচার না করেই ছবি আপলোড দেয়।

অমানবিক নির্যাতন ও মানুষ হত্যার প্রতিবাদ হোক, তবে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে নয়।

রোহিঙ্গা নির্যাতন ও হত্যার কথা উল্লেখ করে যেসব ভুয়া ছবি ছড়ানো হচ্ছে কিংবা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সে রকম কিছু ছবি..

প্রথম ছবি : ২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে ১৭৪জন রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে পারি জমালে থাই জলসীমা থেকে তাদের বিতারিত করে থাই পুলিশ। অসহায় অবস্থায় সমুদ্রে ভাসমান থাকলে ইন্দোনেশিয়ার লোকজন এদের উদ্ধার করে। প্রমাণ- http://bit.ly/1czJ6Ch
দ্বিতীয় ছবি: ছবিটি ২০০৪ সালের। থাই আর্মিরা বেশ কিছু থাই মুসলিমকে গ্রেফতার করলে তাদের আত্মীয়স্বজনরা বিক্ষোভ করলে ওদেরও গ্রেফতার করে (প্রায় ৮০ জন) ক্যাভার্ড ভ্যানে গাদাগাদি করে আটকিয়ে রাখায় দমবন্ধ হয়ে এরা মারা যান। প্রমাণ- http://bit.ly/1cbYXke
তৃতীয় ছবি: দালাইলামা ইস্যুতে চীন আর তিব্বতের দীর্ঘদিনের জটিলতার মাঝে চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের ভারত সফরের আগেরদিন (২০১২ সাল) দিল্লীনিবাসী জামপেল ঝেসি নামে তিব্বতীয়ান ২৭ বছরের নাগরিক নিজের গায়ে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1FxrA9a
চতুর্থ ছবি: ২০১০ সালে তিব্বতের জুসু নামক স্থানে ৬.৯ মাত্রার ভুমিকম্পের ফলে সরকারিভাবে ২৭০০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়, নিখোজ অনেক। বেঁচে থাকা ভিক্ষুরা কোনো উদ্ধারকর্মীদের আসার আগেই নিজেরা আহত/নিহতদের উদ্ধার করে। দ্রুত নিহতদের সৎকার করার ব্যাবস্থা নেন । প্রমাণ- http://bit.ly/1AMpEht , http://bit.ly/1vgWj6u

পঞ্চম ছবি: ২০১০ সালে কঙ্গোর সাঙ্গে গ্রামে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে ২৩০ জন পুড়ে ও দমবন্ধ হয়ে মারা যায়। প্রমাণ- http://reut.rs/1Fw721z
ষষ্ঠ ছবি: বাচ্চাদের নিয়ে আরোও কিছু ছবি আছে। যেমন একটা ঘরে কিছু মৃত শিশুকে রাখা হয়েছে। একটা শিশুর বুকের কাছে জামা ধরে একহাতে নিয়ে যাচ্ছে, ইত্যাদি। প্রমাণ- http://bit.ly/1FxE7cI
সপ্তম ছবি: আলোচ্য ছবিটা হাইতির ভুমিকম্পের পর মর্গের ছবি। প্রমাণ- http://ind.pn/1czNtNR
অষ্টম ছবি: একটা শিশুর খেলনা বন্দুক নিয়ে নিছক খেলা করা। প্রমাণ- http://bit.ly/1eRlNFN
নবম ছবি: মহিলা তার স্ট্যাটাসে লিখেছে- bago ko nga plang alagang aso haha...lakas ng tama ng anak ko sunod sunuran namn..#dami kong tawa d2 grabe... এর অর্থ খুঁজতে গিয়ে পেলাম -"Meet my new pet puppy hahaha…my son is crazy obeys whatever I told him to do…just give me a big laugh…" প্রমাণ- http://bit.ly/1cAgUiC
দশম ছবি: তামিল টাইগারদের উৎখাতে শ্রীলঙ্কান সামরিক অভিযানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1cBzt6f
একাদশ ছবি: এলটিটিই এর বিরুদ্ধে শ্রীলংকান সেনাবাহিনীর অভিযানে হত্যাযজ্ঞ ঘটেছিল সেগুলির ছবি- http://bit.ly/1JqeaCZ
দ্বাদশ ছবি: ইসলামী জঙ্গী বোকো হারাম কর্তৃক খৃষ্টান নাইজেরিয়ানদের হত্যার ছবি এটা।- http://bit.ly/1FB1iTv
ত্রয়োদশ ছবি: ২০১২ সালে তিব্বতী ভিক্ষুদের চীনা পুলিশ এরেস্ট করে। প্রমাণ- http://bit.ly/1H6RqX5
চতুর্দশ ছবি: ছবিটা রোহিঙ্গাদের হত্যার নয়, আইএসআইএস (ISIS) দ্বারা খৃষ্টান নাগরিক হত্যা। প্রমাণ- http://bit.ly/1ROtKKf
পঞ্চদশ ছবি: পুলিশ জিম্বাবুয়ের এক শরনার্থীর গায়ের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। দক্ষিন আফ্রিকার স্থায়ী জনগন জিম্বাবুয়ে থেকে আগত উদ্বাস্তুদের আক্রমণ করে, মানুষের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1BNMVul এর ২য় ছবি।
ষষ্ঠদশ ছবি: স্ত্রী প্রতারণা করায় ম্যাচেটি দিয়ে স্বামী বেচারা আক্রমন করেছে স্ত্রীর উপর। প্রমাণ- http://bit.ly/1KejoRq
সপ্তদশ ছবি: তামিল টাইগারদের উৎখাতে শ্রীলঙ্কান সামরিক অভিযানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1IhfKEd
অষ্টদশ ছবি: কাহিনী আসলে সেই চীন-তিব্বত ক্যাচালের। প্রমাণ- http://bit.ly/1IgWOpa, http://bit.ly/1KdXSMW
উনবিংশ ছবি: এটা কম্বোডিয়ার একটা দুর্ঘটনার ছবি। ১৮ চাকার লরীর সাথে দুর্ঘটনায় বাচ্চা মেয়েটার মাথা পৃথক হয়ে গেছে। বাবা মেয়ের মাথা ধরে আছে, আর মা মেয়ের শরীর ধরে নির্বাক হয়ে গেছে। প্রমাণ- http://bit.ly/1QbrUWf, http://cnn.it/1KIG3DC
বিংশ ছবি: ব্যাংককের পথে বে আইনি বাইক চালানোয় ৪২৫ জনকে বাইকসহ আটক করে এভাবেই শুইয়ে রাখা হয়। অথচ এই ছবিই হয়ে ওঠে রোহিঙ্গা অত্যাচারের গল্প grin emoticon প্রমাণ- http://bit.ly/1IhmYbk
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো ছবি সন্দেহ হলে গুগল ইমেজ সার্চের সাহায্য নিন।
কিভাবে গুগল ইমেজ সার্চ ব্যবহার করতে হয়?
গুগল ইমেজ সার্চ খুবই প্রয়োজনীয় সার্চ ইঞ্জিন। এখানে সহজেই প্রয়োজনীয় ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। আবার কোনো ছবির তথ্য সূত্র খোঁজে বের করতেও এর জুড়ি নেই। কীভাবে করবেন?
যে ছবি সম্পর্কে আপনার সন্দেহ আছে বা তথ্যানুসন্ধান করতে চান সেই ছবি ওয়েবসাইট বা ফেইসবুক থেকে ডাউনলোড করে আপনার পিসিতে সেইভ করে নিন।
কম্পিউটার থেকে https://images.google.com/ এ যান। সেখানে ক্যামেরা চিহ্নিত অংশে ক্লিক করে Upload an image এ ক্লিক করুন। ছবি Browse এর অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার ছবিটি আপলোড করা মাত্রই গুগল ছবিটি সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনাকে জানিয়ে দেবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সেই তো। সত্য বিষয় তো এসব ছবির চেয়ে অনেক গুন বেশী ভয়াবহ।

তবে দ্বিতীয় ছবিটি সম্ভবত সঠিক। থাইল্যন্ডে অবৈধ ভাবে যখন রোহিংগারা প্রবেশ করে তখনকার ছবি সম্ভবত।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

কুহুক বলেছেন: এগুলো দেখার কেউ নেই । আমাদের এরা চাই মায়ানমারের সঙ্খালঘুরা ভালো থাকুক আর আমাদের এখানে সংখ্যালঘু মুক্ত হোক । এদের মায়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘুদের জন্য যত কান্না কিন্তু নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কোন টান নেই । এটাই ইসলামের শিক্ষা

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ব্লগে বা ফেবুতে দেখা যাচ্ছে সুধু জাতীয়তাবাদি ও মউদুদিবাদি ছাগুরাই সুধু রহিঙ্গা আমদানি করার দাবী জানাচ্ছে। ছবি না পেয়ে ভুয়া ছবি বানিয়ে কান্নাকাটি করছে।
জাতিসংঘ ও বড়শক্তি গুলো বার্মাকে হামলা বন্ধ করতে না বলে সুধু বাংলাদেশকে বলে গেইট খুলে দিতে
সীমান্ত উম্মুক্ত করে বাংলাদেশকে পাক-আফগানিস্তানের মত মাদক আর অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসের অভয়ারন্য বানাতে চাচ্ছে মৌদুদিবাদি-জাতিয়তাবাদিরা। সীমান্ত খোলা রেখে চট্টগ্রামকে পেশোয়ার বানাতে দেয়া যায় না। এটাও পড়ুন -
view this link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.