শুধু শুধু মুক্তিযুদ্ধ করার দরকারটা কী ছিল? মুসলিম ভাইয়ে ভাইয়ে কি খারাপ ছিলাম?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৮

কিছু কিছু বেজন্মা আছে যারা জেনে বুঝে খেলা, ধর্ম কিংবা অন্য কোন ইস্যু টেনে পাকিস্তানরে সাপোর্ট দেয়। আর আমরা কিছু কইলেই কয় খেলা আর রাজনীতি এক না। অথচ খেয়াল করলেই দ্যাখা যাইবে পাকিস্তানের লগে খেলার টাইমে খেলা আর রাজনীতি এক না থাকলেও ভারতের লগে খেলার সময় কিন্তু ঠিকই ভারতীয় আগ্রাসন, লাম-ছাম, হাবিজাবি নিয়া খেলা আর রাজনীতি বেমালুম এক বানাইয়া করো ভারত বিরোধিতা! বিভিন্ন ইস্যুকে টিস্যু দিয়া মোড়াইয়া পাকিস্তানের কু কীর্তি ভুইলা গিয়া শুধু ভারত কেই গাইল পারো দিলডা ভইরা! তাদেরকে বলি তোদের জন্মের ঠিক নাই হারামির বাচ্চারা..

ভারত ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে যে কারনেই হোক বাংলাদেশকে যা হেল্প করছে সেটার প্রতিদান দেয়া সম্ভব না। যে কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাদের স্বার্থ দেখবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তাদের স্বার্থের বিনিময়ে ২৩ বছর ধরে পাকিস্তানের কাছে নির্যাতিত হওয়া আমরা ৭১ এ কি পাইছি সেটা বুঝতে হবে। কেউ আপনার জীবন বাচাইলে, আপনার মা বাপ কিংবা দাদা দাদীরে খাওয়া পড়া দিয়ে বাচিয়ে রাখলে কি আপনি তারে কৃতজ্ঞতা জানাইবেন না? নাকি বলবেন আপনারা আমাদের খাওয়া পড়া দিয়ে জীবন বাচাইয়া আমাগো অনেকগুলা পিতলের বদনা নিয়া গেছেন? কেউ হেল্প করলে অবশই কৃতজ্ঞতাবোধ থাকা উচিত। মানুষই যদি বেচে না থাকে তাইলে সম্পদ দিয়া করবেন ডা কি?

তাই বলে ভারতের দাস হয়ে থাকা কিংবা ভারতীয় আগ্রাসনকে যারা সাধুবাদ জানায় তারাও হইল ভন্ড। ভারত যে ধোয়া তুলসি পাতা না সেটা আমি বেশ ভাল করেই জানি। সবার আগে মাতৃভুমি। ভারতের বিপক্ষে কথা বলার অনেক কারন থাকতে পারে। বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী কিছু যদি ভারত করে সেখানে প্রতিবাদ জানানোটা অবশ্যই যৌক্তিক। কিন্তু এমন কিছু ইতর লোকও আছে যারা শুধুমাত্র পাকিস্তান কে উপরে তোলার জন্যই ভারতের বিপক্ষে বলে। ধর্ম, খেলা কিংবা অন্য কোনো কারন দেখিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে যারা পাকিস্তানের পক্ষ নিতে চায় তারা হলো অন্তরে পাকি-প্রেম ধারণ করা বেজন্মা!

পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম গণহত্যা, নির্যাতন, গনধর্ষন পাকিস্তানীরা আমাদের ওপর চালাইছে। তারা আমাদের যে জিনিসটা প্রথমে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল সেটা হচ্ছে আমাদের জাতীয়তাবোধ ও সংস্কৃতি। খেলাধুলা এই দুইয়ের মাঝেই পড়ে। অথচ এই বাংলার কিছু পাকি জারজ আজো তাদের পাকি বাপদের ভুলতে না পাইরা পাকিস্তানের খেলোয়ারগো দিলডা দিয়া মনের দুঃখ কমানোর চেষ্টা করে।

ঝামেলাডা হইলো দেশ স্বাধীন না হইলে অনেকেই তার ফাকিস্তানী গণ-হত্যাকারী বাপ দাদাদের কাছে মাঝে মাঝে নিজের বউ কিংবা মেয়েরে জমা দিয়া হইলেও সুযোগ সুবিধা নিতে পারতো। কিন্তু সেটা এখন পারছে না। আজো তাই এদের কাছে ইন্ডিয়া হইয়া যায় রেন্ডিয়া! আর দাদী, নানী, মা, খালাদের ধর্ষণকারী, বাংলার মেয়েদের যোনিতে বেয়নেট ঢুকিয়ে টর্চার আর স্তন দিয়া ফুটবল খেলা গনধর্ষণকারী জাউরা ফাকিস্তান হইয়া যায় পেয়ারে মুসলিম দেশ। এইতো?

৪ টি +০/-০