![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম ধর্মের একটা কথা বলেই শুরু, হয়তো এটাই জীবনের শেষ শুরু।
" আল্লাহ তাঁর সকল মুমিন বান্দাকে এক সময় জাহান্নাম থেকে বের করে নিয়ে আসবেন, এটা আল্লাহর নির্দেশ"
অন্য সব কবীরা গুনাহ এর মতো,আত্মহত্যাও একটি- শিরকের মতো আত্মহত্যা এমন কোন অপরাধ নয় যাতে তিনি সারাজীবন জা্হান্নামে থাকবেন।
আরেক ইসলামিক চিন্তাবিদ এর একটা লেখাতে পড়েছিলাম, আত্মহত্যাকারী যদি শুদ্ধভাবে তওবা করে এবং আল্লাহ যিনি অসীম দয়াময়; তিনিতো মাফ করে দিতেই পারেন।
একজন মানুষ জান্নাতে যাবেন কিনা জাহানন্নামে যাবেন, তা মানুষেরা নির্ধারন করবেন না- নির্ধারন করবেম মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
অনেকেই আত্মহত্যাকারীর দাফন এবং জানাজা নিয়ে কথা তুলেন।
ইসলামের স্পষ্ট নির্দেশ- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু যারা বলেছেন - মুসলমানদের দায়িত্ব লাশের দাফন করা। মহানবী নিজে আত্মহত্যাকারীদের জানাজা না পড়লেও অন্যদের দ্বারা পড়িয়েছেন কেবল মুমিন বান্দাদেরকে আত্মহত্যা সমন্ধে ভীতি সৃষ্টি করতে।
সুতরাং এই বিষয় স্পষ্ট আত্মহত্যাকারীরা মুমিন বান্দাদের সেই শ্রেণী যারা প্রায়শ্চিত্ত করার পর জান্নাতে যাবে- এবং তাদের জানাজা ও দাফনে কোন আলাদা চোখের নজরের প্রশ্ন তুলা ঈমানী দায়িত্ত্ব নয়।
আত্মহত্যার ইউনিক কোন কারন আমার চোখে আজ অবধি পড়েনি।
যেমন ধরুননা কারো পাতলা পায়খানা হয়েছে, এই কষ্টে কেউ আত্মহত্যা করেনি।
সব সময় দেখা যাবে কিছু কমন ইস্যুতেই সবাই এই প্রসেসে যাচ্ছে-
আল্লাহ সবই জানেন- কখন কিভাবে কার মরণ লিখেছে তা তারই জানার কথা। একটা সময় মানুষ মারা যাবে এটাই সত্য। আমার মতে আজীবন দন্ডের আসামী হতে মৃত্যুদন্ডটাই ভালো। পচা গলা দেহ থেকে অন্যকে কষ্ট দেওয়ার চেয়ে চিরতরে মাটির ঘরে বসত করাই শ্রেয়।
আমি যখনই আত্মহত্যার পথে যাই, তখনই সামনে পারিবারিক মায়া সামনে আসে- আমি চোখ বন্ধ করে রাখি- তখন প্রিয়তমার মুখ ভাসে , মনে হয় এসে সে আমাকে আবার চুমু দিলো। আমার প্রানের বন্ধুরা যারা আমাকে আস্থা,সাহস, পাশে থাকার ওয়াদা দিয়েছে।মনে পড়ে মাধবীলতার ফুল- মাধবীর হাতের আদর- অভিসার এর শিহরিত সময়ের আনন্দ-
মনে আসে ব্রক্ষপুত্রের জল, ফজলি আম, রসগোল্লা, রসমালাই-ইলিশ মাছ এর কথা। এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমের ট্যাবলেটের ক্রিয়া আমার চোখ বন্ধ করে দেয়।
১২/১৩ ঘন্টা পর যখন ঘুম থেকে উঠি - বোজতে পারি আমি মরি নাই।
গতরাতে মাধবীকে স্বপ্নে দেখলাম,
ওর বিয়ের পিড়ি থেকে ও দৌড়িয়ে আমার বুকে এসে মাথা রেখে সেই আগের মতো করে বলছে, "এই বুকে মাথা রাখলে আমি এতো শান্তি পাই কেনো?"-আমাকে নিয়ে চলো।
তারপর হয়তো আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
ধর্মের হিসাবে প্রিয়তমা আমার কাফের,আমি মুমিন।
কাফেরের সাথে মুমিনের মিলন সমাজ মেনে নিলোনা- তবু কোন এক হিসেবে যেনো আমাদের মিলন হয়।
রক্তের বন্ধন না থাকলেও একটা মানুষকে যখন প্রাণের সাথে বন্ড সৃষ্টি করে নেওয়া হয়,- সেই মানুষটাকে এতো আপন করে পেয়েও যখন সামসজিকতা সেই বন্ধনটাকে ভেঙ্গে দেয়;সেখানে একটা নীরব বিস্ফোরণ হয়।
নজরুলের গান দিয়েই বলি,
"আমার যাবার সময় হলো দাও বিদায়.."
নয়তো-
আমি চিরতরে দূরে চলে যাবো,তবু আমারে দিবোনা ভুলিতে.।
১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৯
অতঃপর তন্ময় বলেছেন: ঠিক হবে??
মরে গেলেতো মানুষ লাশ হয়ে যাবে- তবু নিয়মগুলো কভু ঠিক হবে??
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০১
ডেড আকাশ বলেছেন: আহারে কাইন্দেন না। অব ঠিক হয়ে যাবে।