![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ ক'দিন হয়ে গেলো মধুর সাথে কথা বন্ধ।
আমাদের ব্রেক আপ হয়নি- তবু ইতি হয়েছে একটা অধ্যায়ের। হয়তো আর কখনো আমাদের কথা হবেনা।
আসরের নামাজ পড়তেছিলাম, মনে হলো মোবাইলে টেক্সট আসছে; নামাজ শেষ করে দেখি কিছুই নাই।
কানের মাঝে সব সময় রিংটোন বাজে- মোবাইল তুলে দেখি "ওহুম,তেমন কিছু ঘটেনি"
অদ্ভূত দুইটা রাত কাটালাম- অদ্ভূত দুটি ঘটনা: জানিনা আজ রাতে কি আরেক কাহিনী হয়ে তুমি আমাকে জড়াবে। আজ সন্ধ্যাবেলাতে, বাসায় একা বসে আছি, মধুর সাথে যদি এখনো যোগাযোগ থাকতো তবে তখন হয়তো ওর সাথে একান্ত আলাপচারিতাই মগ্ন থাকতাম।
আমি শুয়ে শুয়ে সিলিং ফ্যান কিভাবে ঘুড়ছে, দেদেখতেছি; হঠাৎ মাধবীর নাম্বার থেকে ফোন,আমি বেশ স্বাভাবিক ভাবেই ফোন রিসিব করলাম।
-হ্যালু,মনা তুমি কই
আমিতো বাসাতেই- শুইয়া আছি।
- দুপুরে খাইছো?
সকাল দুপুর একসাথে খাইছি, তুমিতো দুপুরে খাওনা।
-আমার বিয়ের ডেইট ফিক্সড হয়ে গেছে
আমিতো বলেইছিলাম, এরকম হবে।
-তুমি কিছু করবানা?
তুমি কিছু না করতে বললে,আমি কি করবো?
ওপাশে কান্নার আওয়াজ
হঠাৎ কানের মধ্যে তীব্র শব্দে রিংটোন বাবাজে..
রিংটোন বেজে কেটেও গেলো, আমি কল হিস্ট্রিতে গিয়ে দেখি রিসিব কলে মধুর নাম্বার নাই। অথচ এই আলাপচারিতাটা এতো বেশিবার আমাদের মধ্যে হয়েছে যে জন্যে আমি অবচেতন মনে কথা বলে যাই,
নাকি কারো দ্বারা হিপনোটাইস হচ্ছি??
পরশু রাত:
আমি ঘুম থেকে ওঠে গেছি মাঝরাতে - কোন কারনে ঘুমের ট্যাবলেট কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো। আরেকটা সেডিল হাতে নিতেই মাধবী এসে আমার হাতে ধরলো।
আমি অবাক হয়ে গেলাম, মধুর হাতে রক্ত :
একি তুমি? হাতে রক্ত কেনো? আর আসলেই বা কি করে??
-খুব বেশি অবাক হচ্ছো? বিশ্বাস হচ্ছেনা?? আরে তুমিতো কখনোই আমাকে বিশ্বাস করতে চাওনি-
আমি চোখটা দুইবার মিটমিট করে দেখলাম, আরে এ যে সত্যিই মাধব!
- তোমার মধু অন্যের হয়ে যাচ্ছে, তুমি সহ্য করছো ক্যাম্নে?
(তাকে হারানোর যন্ত্রণার চেয়ে, তাকে এইভাবে দেখে আমার ভেতর আত্মা শুকিয়ে যাচ্ছিলো।)
আচ্ছা তুমি কিভাবে....
-আমি তোমার সেই দেবী,খোলসটাকে ছেড়ে এসেছি মধ্যরাতে।তুমাকে ঘুম পাড়াতে এসেছি, ঘুমিয়ে গেলে আবার চলে যাবো। আবার আসব..।
আমি স্বপ্নে দেখিনি- আমি মাজরাতে কারো দ্বারা হিপ্নোটাইজ হয়েছি- হয়তো মাধবীর আত্মা এসেছিলো।
সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি ফ্যানটা কি অদ্ভূতভাবে ঘুড়ছে। রাতের কথাটা বিশ্বাস ই করতে পারছিলাম না।
গতরাত-
তখন অপেক্ষা করছিলাম, আগের দিনের মতো করে আজ রাতেও যেন আসে আমার দেবী, যেন আবার জড়ায় মধুমায়াতে।
চোখের পলক নড়ছে না ফ্যানের ঘূর্ণন থেকে,
হঠাৎ বুকের ওপর কিছু একটা অনুভব করলাম।
হুম- এসেছে।
-আচ্ছা বাস্তবে আমরা কোনদিনই কি আর এক হতে পারবোনা দেহমনে।
কেনো পারবোনা?
-কি জানিগো; শ্বাস আমার ভারি হয়ে যাচ্ছে- পৃথিবীতে এতো ধর্ম কেনো?
-এই মা ডাকছে,পড়ে আবার ভাববে মারা গেছি।
আমার উত্তর না শুনেই সেই রাতে চলে গেলো,কখন ঘুমিয়ে গেলাম তারপর, ঘুম থেকে ওঠে দেখি ফ্যান ঘুড়ছে মাথার উপর।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৪১
অতঃপর তন্ময় বলেছেন: লেখনির জন্যে কিছু অনুভূতি লাগে যা আপনা আপনি আসে না।
ধন্যবাদ @জাফরুল মবীন
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মারাত্মক তো
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪
অতঃপর তন্ময় বলেছেন: ঋনাত্মক
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭
শায়মা বলেছেন: হেল্যুসিনেশন লাভ।
অনেক সুন্দর গল্প আর সত্যি হলেও সুন্দর!
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
অতঃপর তন্ময় বলেছেন: মনের ভেতর সে যেনো আছে, ক্রমাগত হিপ্নোটাইস করে চলে আমাকে..
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৬
সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: সুন্দর!
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
অতঃপর তন্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০
কাবিল বলেছেন: ভাল লাগল
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২৩
অতঃপর তন্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২৬
অতঃপর তন্ময় বলেছেন: কেউ লিখে না, কেউ লিখতে বলে
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:১৪
জাফরুল মবীন বলেছেন: তীব্র অনুভূতির মনস্তাত্বিকতা সুন্দরভাবে প্রকাশ পেয়েছে আপনার লেখনিতে।
চমৎকার লিখেছেন।
অভিনন্দন ও ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।