নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতির রানি পুরুলিয়া

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

অযোধ্যা পাহাড় (পুরুলিয়া)
পৌরানিক কাহিনী অনুসারে অযোধ্যার রাজা রামচন্দ্র বনবাস যাপনকালে স্ত্রী সীতাদেবীকে নিয়ে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে কিছুদিন থেকেছিলেন, সেই থেকে এই পাহাড় অযোধ্যা পাহাড় নামে পরিচিত হয়।পশ্চিম বঙ্গের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান রাঙামাটির দেশ পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় গুচ্ছ। প্রত্যেক বছরের ন্যায় গত ডিসেম্বরে আমাদের শীতকালীন ট্যুরের গন্তব্যস্থল ছিল।
জয়চন্ডি পাহাড়

ভূগোলবিদরা বলবেন, টেটিস সাগর থেকে হিমালয় পর্বত সৃষ্টির সময় আঙ্গায়ানাল্যান্ড ও গন্ডোয়ানাল্যান্ড নামক পাত দুটির সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট হিমালয় পর্বতের একটি অংশ ছিটকে গিয়ে ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চল গড়ে উঠেছে।আর এই ছোটনাগপুর মালভূমির একটি নিম্ন ধাপ হল অযোধ্যা পাহাড় গুচ্ছ। গোর্গাবুরু এই পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। টাটানগর স্টেশনে আমাদের দলের সদস্যরা

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে দীর্ঘদিন এই অঞ্চল পর্যটকদের কাছে অবরুদ্ধ ছিল।মাওবাদী প্রভাবান্বিত এই অঞ্চল এক সময় ট্রেন দূর্ঘটনা,ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণ বা বোমা বিস্ফোরণ,অপহরণ,খুন প্রভৃতির স্বর্গ রাজ্য ছিল।কিন্তু বর্তমানে প্রশাসনিক তৎপরতায় ও সাধারন মানুষের জীবিকার টানে, চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে।এহেন অজানা পুরুলিয়া হল আমাদের এবারের যাত্রা। আপার ড্যামে, পতি পুত্রের সঙ্গে আমার সহকর্মী নীলান্জ্ঞনা

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ট্রেকিং স্কুলগুলির কাছে ট্রেকিং পরীক্ষার প্রধান স্থান পুরুলিয়ার বিভিন্ন পাহাড় হওয়ায় ট্রেনের টিকিটের চাহিদা ছিল আকাশছোয়া।আমাদের আবার একটি/দুটি নয়,একচল্লিশটা টিকিটের প্রয়োজন। একারনে হাওড়া থেকে পুরুলিয়া গামী প্রধান ট্রেন, হাওড়া-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জারে টিকিট না পেয়ে আমরা একটু ঘুরপথে হাওড়া-আমেদাবাদ এক্সপ্রেসের টিকিট কাটলাম।

নির্দিষ্ট দিন,অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়লো।ইতিপূর্বে স্টেশনের ওয়েটিংরুমে আমরা যে যার মত সঙ্গে আনা রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম।কাজেই ট্রেন চলতে শুরু করায়,আমরা যে যার ছিটে ঘুমিয়ে গেলাম।ভোর ৪টা ৩০মিনিটে ট্রেনটি টাটানগর স্টেশনে পৌছালো।ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চলন্ত ট্রেনের প্রবল ঠান্ডায় আমাদের মধ্যে অনেকের প্রবল কাঁপুনি শুরু হল।যদিও গায়ে মোটা সোয়েটার ও ট্রেনে ব্যাবহার উপযোগী হাল্কা কম্বল সব তুচ্ছ বলে মনে হল।অত সকালে সামনে থাকা টী স্টল চা দিতে রাজি হল না।পরে অবশ্য অন্য একটি স্টল থেকে চা- পান করে আমরা শীতোষ্ণ হওয়ার চেস্টা করি। ঘাটকোচার জঙ্গলে দুমাথা বিশিষ্ট খেজুর গাছ

টাটানগর থেকে লোকাল ট্রেনে করে যেতে হবে পরবর্তী স্টেশন বড়াভূম। সকাল ৭টা৩০ মিনিটে আমরা আবার ট্রেনে চাপলাম।সময় লাগবে আনুমানিক আড়াই/ তিন ঘন্টা।দ্বিতীয় বার ট্রেনে উঠে আমরা তখন সবে চিৎকার চেঁচামেচি করছি,লোকাল ট্রেন মৃদুমন্দ গতিতে এগিয়ে চলেছে, চারিদিকে ধুধু মাঠ,ছোট বড় জঙ্গল তাদের মাঝখান দিয়ে ট্রেনটি তিরতির করে এগিয়ে চলেছে, এমন সময় আমার বন্ধু রঘুদা(রঘুনাথ দে) কোথা থেকে একটি মাদল জোগাড় করে, পুরুলিয়ার বিখ্যাত গান," পিন্দারে পলাশের বন,
পালাবো পালাবো মন "শুরু করে দিল।আমরাও জায়গা ছেড়ে গানের আসরে যোগ দিলাম।একএক করে প্রচলিত ফোকগুলি পরিবেশিত হল।সঙ্গে সমানে হাত তালি,ট্রেন বাজানো, ফোনে ভিডিও রেকর্ডিং চলতে লাগলো।কিছুক্ষন পরে দেখলাম কম্পার্টমেন্টে অন্য সহযাত্রীরা আমাদের আসরে যোগ দিলেন।দুজনতো রীতিমত দুটি গানও পরিবেশন করলেন।ইতিমধ্যে আমি মাদল মালিকের সন্ধান পেলাম।কালাচাঁদ মুর্মু নামে ঐ ভদ্রলোক মাদলটি সারাই করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।যাইহোক প্রায় তিন ঘন্টার যাত্রা বুঝতেই পারলাম না।ঠিক সকাল ১০ টা৩০ মিনিটে আমরা বড়াভূম স্টেশনে পৌছালাম।আমাদের ট্যুরের অভিভাবক আমার সহকর্মী পহ্লবদা আগে থেকে স্টেশনে আমাদের জন্য চারটি টাটাসুমো বুক করে রেখেছিলেন।আমরা নামতেই সুমো গাড়িগুলি আমাদের নিয়ে হোটেল 'কংকা ট্যুরিস্ট লজ' এর উদ্দশ্যে রওনা দিল।আধ ঘন্টার রাস্তা আমরা পুরুলিয়ার আঞ্চলিক গান শুনতে শুনতে হোটেলে পৌছালাম। কংকা ট্যুরিস্ট লজ ' আগামী দুদিন আমাদের ঠিকানা।(চলবে) ঘাটকোচা ফলস্ ঘাটকোচার জঙ্গলে দুমাথার খেজুর গাছ। টাটানগর স্টেশনে আমরা স্টেশনে একটু গরম হওয়ার চেস্টা জয়চন্ডি পাহাড় (আগেরটা উল্টো হওয়ায় এটা দিতো হল)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপনাদের ভ্রমন কাহিনী ভাল লেগেছে। আর ট্রেনের আড্ডাটা দারুন ছিল।

#জয়চন্ডি পাহাড়ের ছবিটা উল্টো হয়েছে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ,নিজাম ভাইয়া।আপনার পরামর্শে জয়চন্ডি পাহাড়ের সোজাছবি দিয়েছি। আমি কিন্তু এখনো আসল পুরুলিয়া ভ্রমন লেখা শুরু করিনি।
ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা নেবেন।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: প্রতিদিনই অল্প করে লিখুন, তাহলেই হবে।
শুভ রাত্রি।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ,স্যর।আপনার পরামর্শ আমার দিশারি। ভাল থাকুন। শুভরাত্রি।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার !!!
নাম শুনেছিলাম ,আপনাদের ভ্রমন এ দেখা ও হলো ছবি ।

ধন্যবাদ ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপি, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। তবে আপনি এই পোস্টে যে ছবিটি দেখছেন,উনি আমার সহকর্মী নীলান্জ্ঞনা ও তার পরিবার।আমি ও আমার পুত্রের ছবি আছে পরের পর্বে। আপনি খুব সুন্দর কবিতা লেখেন। আপনার মেয়ে মানে আমাদের ভাগ্নী কেমন আছে? শুনেছি ও তো আপনাকে রেকর্ডিং এর ব্যাপারে খুব সাহায্য করে। ভাল থাকুন। এপার বাংলায় আসার আমন্ত্রণ থাকলো।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জি বুঝতে পেরেছিলাম ছবিতে ক্যাপশন দেয়া ছিলো যে।
আপনার পরের পোষ্ট ও দেখে এলাম ভালোলাগার প্রকাশ সহ; আপনার পুত্রের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা।
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে বাচ্চা'রা।খুব সাহায্য করার সময় নেই ,কেবল আই মুভো তে বলছিলাম ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দিয়ে ভিডিও ফরমেট করে দিতে,দোয়া করবেন ওদের জন্য।

বেশ আফসোসের ব্যাপার হলো হাসবেন্ডের ট্র্যান্সফারের সুবাদে আপনাদের দেশে প্রায় ৭ বছর থাকার পর ও বাংলা দেখা একেবারেই হয় নি।মাঝে দু একবার ট্রানজিট নিয়েছিলাম কেবল। দেখা যাক ভবিষ্যৎ কি বলে ,তবে প্রথম সুযোগেই সেটা নিতে চাই।ভাল থাকুন ,আমাদের জন্য লিখুন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনার মেয়েদের জন্য শুভ কামনা রইল।এদেশে সাতবছর কাটিয়েছেন,অথচ সেই ভাবে ঘুরতে পারেননি , শুনে খারাপ লাগছে।কাজের চাপে হয়ত সময় হয়ে ওঠেনি।তবে আবার আসবেন শুনে আশা করছি, যেন এবার ইচ্ছা পূরণ হয়।আমরাও মাঝে মাঝে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাই।সামনের গ্রীষ্মের ছুটিতে দার্জিলিং এর শৃখলা, লেপচা জগৎ, কালিম্পং প্রভৃতি স্থানে যাওয়ার প্লান করেছি।বাকিটা উপর ওয়ালা সহায়।আপনিও দোয়া করবেন।আর বাবুর জন্য দোয়া করেছেন জেনে, কৃতজ্ঞতা জানাই।
যদি কখনো মনে হয়,এপারে এলে কোনভাবে সাহায্য করতে পারলে কৃতজ্ঞতা বোধ করবো।শুভেচ্ছা নেবেন।

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: চমৎকার পুরুলিয়া ভ্রমণ কাহিনী এবং ছবিগুলো।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তারেক ভাইয়া,অনেকদিন পরে আমার ব্লগে এলেন।সুস্বাগত। আপনার ভাল লাগলো,জেনে পুলকিত হলাম।অনেক শুভেচ্ছা রইল।আর আমাদের ভাইঝির জন্য রইল অন্তরের ভালবাসা।

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

আরাফআহনাফ বলেছেন: এক কথায় বলতে গেলে অসাধারন বর্ণনা দিলেন - সাথে চমৎকার সব ছবি।
৪১জনের দলের সাথে ভ্রমন -বিশাল ব্যাপার। মজা লাগলো ট্রেনে গানের আসরের অংশটুকু।

দারুন ! ! দারুন!!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।আমি পরিবার নিয়ে সিমলা,ডুয়ার্স,দার্জিলিং প্রভৃতি স্থানে গেছি,আবার দলবেঁধে শান্তিনিকেতন, ঘাঁটশিলা,পুরী, দীঘাতেও গেছি।তবে দলবেঁধে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার ভ্রমনের আগ্রহ জেনে চমকিত হলাম।শুভেচ্ছা নিয়েন অনন্ত।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: বর্ণনা আর ছবি - চমৎকার ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরুল ভাই।আপনার মুগ্ধতায় প্রীত হলাম।

আপনাকে অনেক বৈশাখী শুভেচ্ছা।

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ৪১ সদস্যের একটি দল নিয়ে একত্রে ভ্রমণ করাটা একটা বিরাট সাফল্যের ব্যাপার। অনেক কিছুর সাক্ষ্য দেয় এরকম সফল বৃন্দভ্রমণ। যেমনঃ পারস্পরিক ঐক্য ও সম মনোভাব, নিখুঁত পরিকল্পনা, ত্রুটিহীন আর্থিক ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক সমন্বয় সাধন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ইত্যাদি, ইত্যাদি। এতসব কিছু করে এত বড় একটা দল নিয়ে যে সফল সফর সমাপ্ত করেছেন, এজন্য আপনাকেসহ আমি দলের প্রত্যেককে অভিনন্দন জানাই।
শীতকালে ভ্রমণ আনন্দদায়ক, আবার সেই সাথে অসুখে বিসুখে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। দিনশেষে ক্লান্ত দেহে ডেরায় ফিরে এসে গুটিসুটি মেরে সবাই মিলে আড্ডা দেয়ার একটা আলাদা মজা আছে। ট্রেনের ভেতরে আপনাদের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো এখান থেকে উপভোগ করলাম, এটাই পোস্টের সার্থকতা।
"আমাদের ট্যুরের অভিভাবক... (অমুক)" - দলনেতা, ট্যুরনেতা, গ্রুপনেতা, লীডার, ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার না করে সুন্দর "অভিভাবক" শব্দটা ব্যবহার করেছেন, এটা আমার খুব ভাল লেগেছে। শব্দটা দিয়ে নেতাকে যথাযোগ্য সম্মান জানানো হয়েছে।
সবশেষে, পোস্ট ভাল লেগেছে। + +

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সরি স্যার, এতক্ষণ ধরে যে প্রতিমন্তব্যটি লিখেছি জমা করার পরে দেখছি পৃথকভাবে কমেন্ট হয়ে গেছে। পরে সময়মত আবার প্রতিমন্তব্যে লিখে দেব। ক্ষমা প্রার্থী।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

আপনার বিলম্বিত আগমন আমার কাছে এখন সুখানুভূতিতে পরিনত হয়েছে । সেফ হওয়ার আগের পোষ্টে কমেন্ট সাধারনত আমার নোটিফিকেশনে দেখায়না । যে কারনে প্রত্যেকদিন রাতে শুধু আপনার আগমনের প্রত্যাশায় একবার করে পুরাণ পোষ্টে চোখবুলিয়ে নিই। আপনার সুন্দর বাচনভঙ্গি, জুনিয়রদের প্রতি মার্জিত ব্যাবহার,পোষ্টের গঠনগত মন্তব্য - সবই আমার কাছে পরম আকাঙ্খিত।

পোষ্ট প্রসঙ্গে, ৪১ জন সদস্যের ট্যুরের ব্যবস্থা করাটা নেহাত সহজ কাজ নয়। আমরা বেশিরভাগ যখন অন্যের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করি সেখানে আমার সহকর্মী শ্রদ্ধেয় পহ্লব কর্মকার অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে আমাদের ট্যুরের ব্যবস্থা করেন। আমরা ওনার ব্যবস্থাপনায় খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে ট্যুরে আমরা যখন আড্ডা ফটোতোলা খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকি, উনি তখন সকলের খাওয়ানো, গাড়িতে বসানো সহ প্রচুর কাজ করেন। ফলে ওনার স্ত্রী ও পুত্র অনেকটা মিস করেন ওনাকে । যদিও ওনার পরিবার এ ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। আমরা শুধু ওনাকে অভিভাবক সাজিয়ে নিশ্চিন্তে উপভোগ করি। এবারও আমাদের ডিসেম্বরের স্পট ঠিক হয়েছে। বেনারস,মির্জাপুর আমাদের আগামী ডিসেম্বরের ঠিকানা ।

হ্যাৃ, শীতকালের ভ্রমনের মজাই আলাদা। শরীর মাঝে মাঝে অনেকের খারাপ হয় ঠিকই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারও বড় ধরনের কিছু ঘটেনি। আর সারাদিন ঘুরে রাতে দলবেঁধে কোনও একটা রুমে আড্ডা এধরনের ট্যুরের অন্যতম আর একটি আকর্ষণীয় বিষয়। বাচ্চাদের কাছে সন্ধ্যেবেলার আড্ডার মজাটা দারুণ তৃপ্তিদায়ক।

সবশেষে পোষ্ট ভালো লাগায় ও লাইক সঙ্গে ডবল প্লাসে অনেক অনুপ্রপরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই স্যার আপনাকে।


অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা আপনাকে। অফুরান শুভেচ্ছা রইল।


৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপরের কমেন্টটি ৮ নং কমেন্ট দাতা শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান স্যারের প্রতিমন্তব্য। যেটি পৃথকভাবে কমেন্ট হওয়ার জন্য আমার এই পন্থা নেওয়া। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য স্যারের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.