নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
অনেকদিন পরে হোমটাউন ধোপাহাটে ফিরেছি । সেদিন সকালবেলা পাড়ার গোপালদার চায়ের দোকানে বসে সবে চায়ে দুচুমুক দিয়েছি, এমন সময় আমাদের স্কুলজীবনের বন্ধু ভোম্বলকে পেপার দিতে আসতে দেখে কিছুটা চমকে উঠলাম ।
- হ্যাঁরে ভোম্বল, কত্তদিন পরে দেখা । তো কেমন আছিস বল?
- অ্যা, তপু সত্যি কতদিন পরে দেখা হল । আমি ভালো আছি। এবার বল তুই কেমন আছিস?
-আমিও উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি।
- তুই তোর বাবার ব্যবসাতে লেগেগেলি?
- কী আর করবো বল । মাধ্যমিক পাশ করার পর বাবা এমন অসুস্থ হয়ে পড়লো যে তখন এক প্রকার বাধ্য হয়ে বাবার কাজে নেমে পড়লাম। জানিসতো বাবা খুব ড্রিংক করতো । কতকরে ডাক্তার দেখালাম। কোনও কাজে এলো না । বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাবা চলে গেল। তারপরে আর লেখাপড়া টানতে পারলাম না । তা তোর খবর বল তপু ।
-আমি কোলকাতায় থাকি । একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বাংলা পড়াই । এই আরকি!!
- কোলকাতার কোথায়?
- রানিকুঠীর, ৮/ বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে ।ছোট্ট একটি ফ্লাটও নিয়েছি । পারলে একদিন চলে আয় না ।
- নারে তপু, আমি যা কাজ করি তাতে একদিনও ছুটি পাওয়া যায় না । তার উপর... । না আজ আর সময় নেই। পরে কথা হবে ।
- কীরে বল, তার উপর মানে?
আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই ভোম্বল হাত ইশারা করে সাইকেল নিয়ে দিলো একছুঁট ।
এদিকে ভাড়ের চা তখন একদম ঠান্ডা হয়ে গেছে । গোপালদাকে বলতেই আবার এককাপ গরম চা দিয়ে দিলো । আমি তখন চায়ে চুমুক দিতে দিতে ভোম্বলের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলাম, হঠাৎ গোপালদার কথায় যেন সম্বিৎ ফিরে পেলাম ।
-বুঝলি তপু, ভোম্বলের উপরে মানুষ হয়না ।
- হ্যাঁ, তা না হয় বুঝলাম । কিন্তু ভোম্বল কি করেছে, গোপালদা?
- আচ্ছা তপু, তোর ভোরার কথা মনে পড়ে?
- মনে পড়ে মানে। ও আমাদের ক্লাসের ফাস্ট বয় ছিলো। ওর কথা মনে পড়ে মানে, আলবৎ পড়ে । তো কি হয়েছে ভোরার?
-ভোরা তোদের সঙ্গে পড়তো?
- হ্যাঁ । আমি, ভোরা, ভোম্বল সব এক ক্লাসে পড়তাম । আমরা যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন ভোরা আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছিল । তার আগ পর্যন্ত রাকিব ক্লাসে ফাস্ট হত ।
- হ্যা, ও শুধু পড়াশোনায় ভালো । তবে তপু আমরা তোদের মত অত লেখাপড়া শিখিনি ঠিকই। তবে আমার ছেলেকে আমি এখন থেকেই সময় পেলে দোকানে বসায়।পড়াশোনায় বেশি ভালো হলে বিদেশে চলে যাবে । মরার সময় মুখে জল দেবার লোক হবেনা ।
এবার আমি হো হো করে হাসতে লাগলাম ।
- তাহলে গোপালদা তুইতো খুব স্বার্থপর বাবা দেখছি । শুধুমাত্র নিজের সুবিধার জন্য ছেলেকে লেখাপড়া না শিখিয়ে দোকানে বসাবি? তা কার এমন কান্ড দেখে তোর এমন মতি শুনি ।
- তপু ভোম্বলের মা ভোরাদের বাড়িতে কাজ করতো , তোর মনে পড়ে?
- সে তো কোন ছোটো বেলা থেকে ।
উল্লেখ্য ভোম্বলের প্রকৃত নাম সুরোজিৎ দাস । অত্যন্ত সরল মনের ছেলে ভোম্বল । সারাবছর একটা ঢিলা প্যান্ট ও শার্ট পড়ে স্কুলে আসতো । আমরা তখন ক্লাস নাইনে পড়ি , ক্লাসটিচার বাংলার স্যর শ্রীনিবাস বাবু ওর ঢিলঢোলা চেহারার জন্য সেই যে ভোম্বল বললেন। সেদিনেই গোটা স্কুলে রটে গেলো সুরোজিতের নুতন নাম । প্রথমদিকে ও রাগ করলেও পরে আর রাগতো না । ক্রমশ ভোম্বল নামেই ও পরিচিত হয়ে গেলো । প্রায় প্রত্যেকদিন ক্লাস বসার পরে যেন দুরমুশ করতে করতে ক্লাসে আসতো । কিছুপরে শ্রীনিবাস বাবুস্যর অনেকের মত ওকেও পড়া ধরতেন । ও মুখ কাঁচুমাচু করে একবার এজানলার দিকে তো পরক্ষণেই অন্য জানালার দিকে তাকিয়ে থাকতো । স্যর ওর দিকে তাকিয়ে বলতেন,
অমলকান্তি,
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো, পড়া পারতো না ।
শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে ,
এমন অবাক হয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে থাকতো যে,
দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের ।
সেই ভোম্বলকে দেখে, গোপালদার কথানুযায়ী,
-সম্ভবত ওদের বাড়িতে অনেক আগে থেকেই পরিচারিকার কাজ করতো ভোম্বলের মা । তখন এ বাড়িতে ছিলো ভোরার ঠাম্মা ঠাকুরদা। ওর বাবার তখন ময়নাগুড়িতে পোষ্টিং হওয়াই ওরা ওখানে কোয়ার্টারে থাকতো । পরে যখন ওরা পাকাপাকিভাবে এখানে চলে আসে তখন ভোরার মায়ের মধ্যে ভোম্বলের মা খুঁজে পেয়েছিলো, সত্যিকারের এক দিদিবোনের সম্পর্ক । ভোরার মাকে ভোম্বল নুতনমা বলেই ডাকতো । তুইতো জানিস, উচ্চমাধ্যমিকের পর ভোরা চলে যায় দেরাদুনে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনিস্টিটিউটে। ওখান থেকে পাশ করেই একটা বহুজাতিক কোম্পানির হয়ে ব্যাঙ্গালোরে চাকুরীতে জয়েন করে । বাড়িতে তখন একটা উৎসব চলেছিলো । মেশোমশায় গোটা পাড়ার লোকদের মিষ্টি খাইয়েছিলেন । সমস্যা হলো এরপরে , ভোরা ব্যাঙ্গালোরে এক দক্ষিণ ভারতীয় মেয়েকে বিয়ে করে সেটেল্ড হয়ে গেলো । ফলে বাবামা পড়ে থাকলো এখানে সম্পূূর্ণ একা । একটা সময় ও বাড়ি আসা প্রায় বন্ধই করে দিল। ও অবশ্য চেয়েছিল বাবামা ওর ওখানে গিয়ে থাকুক। মাসিমা মেশোমশায় বেশ কয়েকবার গেছিলেন ওখানে । কিন্তু দু তিন সপ্তাহের বেশি থাকতে পারেননি । একদিন শুনলাম মাসিমা মেশোমশায়কে নাকি ভোরা দেহদানের অঙ্গিকার পত্রে সই করার জন্য চাপ দিচ্ছে । আচ্ছা বলতো সারাজীবন যে মানুষদুটা পূজার্চনা করে এসেছে, সেই মানুষটা হঠাৎ করে এমন আধুনিক হতে পারে?
গোপালদা আরোও বলতে লাগলো, কিন্তু এমন সময় দোকানে খরিদ্দারের চাপ অত্যধিক বেড়ে গেল । গোপালদা চাপ সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো । সেই ফাঁকে আমি সেদিনের আমার সেই বন্ধু বা সৌম্যজিৎ মুখার্জীকে আজকের সৌম্যজিতের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করছিলাম। কী অমায়িক ব্যবহার। যেমন হাতের লেখা, তেমনি অসম্ভব ভালো আবৃত্তি ও ছবি আঁকতে পারতো। তেমনি স্টকে ছিল প্রচুর ইডিয়ম। ইংরেজির শিক্ষক অমিতাভ মিত্র স্যর ওর ইডিয়ম মুখস্তকে ভীষণ প্রশংসা করতেন। সেদিনের সেই সৌম্যজিতের পরিবর্তনে নিজেকে খুব বিষন্ন লাগলো । আপনমনে যখন এসব ভাবছিলাম তখন নিরবে পাশে দাঁড়িয়ে গোপালদা কাঁধে হাত রাখতেই চমকে উঠলাম । গোপালদা আবার বলতে লাগলো,
-এদিকে বয়সের ভারে দুজনের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে । নিঃসঙ্গ , বিষন্নতা বা অবসাদ সহ্য করতে না পেরে গতবছর জুলাইতে মেশোমশায় পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তবে সবচয়ে আশ্চর্য মেশোমশায় শেষ নিঃশ্বাসটি ত্যাগ করেছেন ভোম্বলের কোলে মাথা রেখে।
আমরা প্রকৃত পক্ষে এক পাড়ায় থাকলেও ওদের ব্যাপারে অত আগ্রহী ছিলাম না। কিন্তু ভোম্বলের মুখ থেকে শোনা, বৃদ্ধ বয়সে বাবামা ব্যাঙ্গালোরের জলহাওয়া সহ্য করতে না পেরে তার উপর দেহদানের অঙ্গীকারে চাপ দেওয়ায় ধোপাহাটে এসে একপ্রকার থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন । এর পরে সপ্তাহ দুই ভোরা এখানে ছিল। ও চলে যেতেই মাসিমা ভোম্বলকে এখানকার সম্পত্তি উইলকরতে উকিল ডেকেছিলেন । তবে ভোম্বল তা নিতে অস্বীকার করে শুধু আশীর্বাদ চেয়েছিল যাতে নিজের মায়ের সঙ্গে নুতন মাকেও সেবা করতে পারে । মাসিমার আবার সুগার আছে । প্রত্যেকদিন সকাল রাতে ঠিক নটার সময় ইনসুলিন দিতে হয়। ভোম্বল এজন্য হাজার কাজ থাকলেও ঠিক টাইমে বাড়ি চলে আসে । দেখতে দেখতে নয় মাস অতিক্রান্ত হল, ভোরার অবশ্য মাকে নিয়ে কোনও চিন্তা নেই বা খোঁজও নেয়না । অথচ ভোম্বল ও ওর মা সারাক্ষণ মাসিমার সেবাকার্য করে যাচ্ছে । তপু নিজে চোখে না দেখলে বুঝতে পারবিনা যে ভোম্বল ও ওর মা কত বড় মাপের মানুষ । গোটা পাড়ায় ওরা সকলের নয়নের মনি ।
আমি এতক্ষণ গোপালদার মুখের কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। এবার কার্যত স্বীকার করে নিলাম যে সেদিন যারা লেখাপড়ার গন্ডি বেশি টপকাতে পারেনি, কিছুটা বাধ্য হয়ে চায়ের দোকান বা পেপার বিক্রির মত পেশাকে জীবনে বেছে নিয়েছে, মানবিকতায় এর অনেক গুন উৎকর্ষ ।
আজ আমাদের ক্লাস নাইনের ক্লাসটিচার শ্রীনিবাস বাবু স্যর নেই, কিন্তু সেদিন কবির নাম না জানলেও আজ জেনেছি । শ্রদ্ধেয় নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর , অমলকান্তির পরিচয় । হ্যাঁ সেও যে,
" একদিন রোদ্দুর হয়ে যেতে চেয়েছিল । "
বিঃ দ্র- ছবিটি আমার ছাত্র শ্রীমান সুজিত কুমার দাসের আঁকা ।
পোষ্টটি শ্রদ্ধেয় ব্লগার মনিরা সুলতানা আপুকে উৎসর্গ করলাম ।
২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি ভাই , প্রথম কমেন্ট অনেক ভালো লাগা। সঙ্গে ছোট্ট মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে। শুভ রাত্রি।
২| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪০
অচেনা হৃদি বলেছেন: চমৎকার আত্মচরিত !
২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুগ্ধ হলাম আমার ছোট্ট বোনটির চমৎকার কমেন্টে।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: অনেক কিছুই উঠে এসেছে এই ছোট্ট লেখায়। কীভাবে সমাজের প্রাচীন কাঠামো ভেঙে নতুন আঙ্গিকে বিন্যাস্ত হচ্ছে? হয়ত পশ্চিমাদের মতো আমাদের এখানেও একদিন আসবে যখন গ্রামগুলো হবে শুধুই বুড়ো-বুড়িদের চারণভূমি।
গ্রামে গেলে নানা পরিবর্তন চোখে পড়ে। পরিচিত মানুষের নানমুখি পরিবর্তনগুলো দেখে আমি নিজেও কখনও বিস্মিত হই; কখনও আপ্লুত হই।
ভীষণ ভালো লাগল আপনার এই বর্ণনা।
৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ফ্যারও ভাই। অনেকদিন পরে আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে পেয়ে ভীষণই আনন্দিত । আপনার সুন্দর বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্যটি যেন আমার মনের কথা বলে দিলেন। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। আগামীতেও আপনার এহেন জীবন্ত মন্তব্যগুলির অপেক্ষায় থাকবো।
অনেক অনেক ভালো থাকুন, নিরন্তর কামনা করি।
৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ফ্যারাও ভাই,
প্রথম লাইক দেওয়ার জন্য জানাই আলাদা ভালোলাগা ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভ কামনা জানবেন ।
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৩
মাহের ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে।
৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মাহের ভাই, আশাকরি উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছেন। অনেকদিন পরে আপনাকে পেলাম। সঙ্গে মধুর উপলব্ধটি আমাকে অনুপ্রাণিত করলো। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে ।
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এই গল্প থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে! বাস্তবতার আলোকে লেখাটি খুবই যথার্থ!
৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি ভাই,
গল্ল যখন লিখতে বসি তখন ভালো মন্দ দুটি দিককে সামনে রেখে ঘটনাগুলিকে ক্রমানুসারে সাজাই। সেখানে কিছুটা সামাজিক প্রেক্ষাপট থাকলেও শিক্ষনীয় দিকটিকে আলাদাভাবে মাথায় থাকেনা। সেজন্য গল্লে শিক্ষনীয় দিকটি বিচার করবেন, আপনাদের মত বিদগ্ধজনেরা। আর এহেন মূল্যায়ন আমার মত নবাগতদের কাছে মন্ত্রণাশক্তির ন্যায়।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় ভ্রমরের ডানা ভাইকে।
৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ডানা ভাই ,
পোষ্টটিকে লাইক করার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই কৃতজ্ঞতা ।
অমেক শুভ কামনা জানবেন।
৬| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
শামচুল হক বলেছেন: পুরো গল্পটাই একটানে পড়লাম। অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ পদাতিক দা।
৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় শামচুল ভাই। গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত । আপনাদের এমন কমেন্ট আমাদের চালিকাশক্তি স্বরূপ ।
অনেক শুভ কামনা প্রিয় শামচুল ভাইকে।
৭| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছোট্ট একটা লেখায় কতকিছু চলে এসছে,আমাদের সামাজিক কাঠামোতে পরিবর্তনের ছোঁয়া ভালোভাবেই লেগেছে।
সেদিন থেকে গোপালদার সাবধানী চিন্তা অনেকটাই সরল।
চমৎকার এক মানবিক গল্প পড়লাম ,এমন সব গল্প আমাদের আশা জাগায় মনে।
অত সুন্দর থিম নিয়ে লেখা গল্পে আমাকে উৎসর্গ পত্র!! আমি আপ্লূত ,অভিভুত! আনন্দিত!! অনেক অনেক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা সহ।
ব্লগারদের এই চমৎকার আন্তরিক মিথস্ক্রিয়া' সত্যি'ই অনন্য।
সব সময় ই এত আন্তরিক,আর সহজ থাকেন;আর আমাদের দারুন সব মানবিকতার লেখা উপহার দিবেন,সেই শুভ কামনা রইলো।
৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপুমনি। অনেক সময় দেখেছি, যাকে উৎসর্গ করলাম তিনি আদৌ ব্লগ বাড়িতে এলেননা। সেদিক থেকে মনে একটা সন্দেহ ছিল, আপুমনি আজ আসবেন কিনা। কাজেই আপনাকে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। আমার নৈবেদ্য সার্থক। সঙ্গে মনছোয়ানো অভিব্যক্তিতে মুগ্ধ । ব্লগে এই মিথস্ক্রিয়া বয়ে চলুক আবহমান।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপুকে।
৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয়া আপুমনি,
পোষ্টটিকে লাইক করার জন্য আপনাকে জানাই কৃতজ্ঞতা।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৮| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৭
রাকু হাসান বলেছেন: বাহ! চমৎকার লাগলো গল্পটি .....সামাজিক গল্প পড়ে ভাল লাগলো ....পদাতিক চৌধুরি সাহেব
৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার ব্লগে আপনার প্রথম কমেন্ট, কাজেই আলাদা ভালোলাগা। স্বাগতম রাকু ভাই আপনাকে। আপনার অনুপ্রেরণা ধর্মী মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।
অনেক শুভ কামনা রাকু ভাইকে।
৯| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সুন্দর ও মানবিক গল্প...
৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় তালগাছ ভাই। পাঠ ও ছোট্ট সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।
১০| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৩৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: কিভাবে যে কমেন্ট শুরু করবো, বুঝতেছি না ।
ইদানিং উচ্চশিক্ষিত সমাজে মূল্যবোধ আর দায়বদ্ধতার ফিরিস্তি নিয়ে মুখে ফেনা উঠে। এরা সময় সুযোগ পেলে মানুষকে ম্যানার শেখায়; এমন ভাব দেখায় মনে হবে তার চেয়ে বড় বিবেক আর আদর্শ পৃথিবীর কোন মানুষের নেই।
অথচ খবর নিলে দেখবেন, এদের প্রায় সবার মা-বা তাদের সাথে থাকে না। বেশির ভাগ সময় উচ্চশিক্ষিত ছেলে ও তাদের দেমাগী বউদের অনিচ্ছা ও উদাসীনতার জন্য।
দেখা যায় বাবা-মায়েরা অনেক সম্মানে, পরিচর্যায়, শান্তিতে গ্রামের ছোট্ট কুটরীতে থাকা অল্প শিক্ষিত অটো রিক্সা চালক, দিন মজুর, মুদি দোকানদার ও চা বিক্রেতা ছেলের কাছে থাকেন।
গ্রামে থাকা ছেলের বউটিও শ্বশুর শ্বাশুড়িকে অনেক যত্ন করে। এ বিষয়টি প্রমাণিত সত্য। অথচ- দামী স্কুল, দামী ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যাওয়ায় বাবা-মায়েরা ছেলের জন্য কতই গর্ব কীতেন। এরাই লেখা পড়া শেষ করে নিজের আখের গোছাতে এক সময় বিদেশে ফুরুৎ করে উড়ে যায়। কখনো সেখানে বিদেশী ম্যাম বিয়ে করে স্যাটেল্ড হয়। মাসে দুই মাসে একবার ইচ্ছা হলে মোবাইলে হাই-হ্যালো বলে।
আসলে তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই!! সেকেলের এসব বাবা-মা তো ম্যানারই বুঝে না । গল্পে অনেক ভাল লাগা। সাথে লাইক।
আর আপনার ছাত্রের আঁকা ছবিটি কিন্তু চমৎকার হয়েছে। আর গল্পটি প্রিয় মনিরা সুলতানা আপাকে উৎসর্গ করেছেন এজন্য ভাল লাগছে। শুভ কামনা প্রিয় পদাতিক ভাইয়ের জন্য।
৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় কাওসার ভাই,
আশাকরি ভালো আছেন। বর্তমান সমাজের যে দিকটি আপনি তুলে ধরেছেন, তার সঙ্গে আমি একেবারে একশো শতাংশ একমত। বাকপটু বাঙালী নিজে না করলেও ম্যানার শেখানোর একএকজন ওস্তাদ । বেশিরভাগই প্রতিষ্ঠীত হয়ে শহরে সেটেল্ড হয়ে গ্রামের পাঠ চুকুয়ে দেয়। ওদিকে গ্রামেই নুনআনতে পান্তাফুরানো অপরভাই বাবামায়য়ের দেখভাল করে। এরা হয়তো উৎসব অনুষ্ঠানের সময় একটা বা দুটি বস্ত্রদিয়ে কর্তব্যপালন করে। আর একটি উপদেশাবলি রেখে এসে আদর্শ শিক্ষিত সন্তানের ভূমিকা পালন করে ।
তবে আমাদের মত মধ্যবিত্তবাড়ির সন্তানরা কেউ যদি অনেকটা উপরে ওঠে সেক্ষত্রে ঐ হাইল্যান্ডের সোসাইটিতে সে নিজেকে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারলেও পারেনা বৃদ্ধ বাবামায়েরা। তখন একদিকে সোসাইটি অপরদিকে বাবামা, এর মধ্যে পড়ে উচ্চাসনে প্রতিষ্ঠীত সন্তানের ছুঁচো গেলার মত অবস্থা হয়। আর এখান থেকেও একটা ভুলবোঝাবুঝি তৈরী হয়। যা পরে আরও নির্মম আকার ধারন করে।
অনেক অনেক ভালো লাগা ও শুভ কামনা প্রিয় কাওসার ভাইকে।
৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কাওসার ভাই,
পোষ্টটিকে লাইক দেওয়ার জন্য জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা প্রিয় ভাইকে।
১১| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:১১
সিগন্যাস বলেছেন: অসাধারণ গল্প পদাতিক ভাই।এক বসাতে পড়ে ফেলাম।ভোম্বল এর প্রতি মায়া তৈরি হলো।বাস্তব জীবনে কি এমন হয়?
৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সিগন্যাস ভাই আপনার আন্তরিকপূর্ণ মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। পাশাপাশি খুব ভালো একটি প্রশ্ন তুলেধরেছেন। গোরা আমার বন্ধু। বহুদিন বাদে পুনর্মিলনে আমরা মিট করেছিলাম। আমার আরও এক বন্ধু বোম্বে থোকেও আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অফিসের কাজে আসতে পারেনি। গোরা ব্যাঙ্গালোর থেকে মাকেও নিয়ে এসেছে। আমরা জানতে চেয়েছিলাম, মাসিমাকে এখানে একাকি রাখবি?? ওর নির্লিপ্ত উত্তর ছিল, মা ওখানে মানিয়ে নিতে পারছেনা। আমার কিছু করার নেই। সেদিন ওর চোখে মুখে ছিল অসম্ভব এক অসহায়তা এবং বিষন্নতাও। আমরা বন্ধু হিসাবে কী আর করতে পারি দূরদেশেবাসি সন্তানের মায়ের জন্য।
ভোম্বল চরিত্রটি লেখকের সৃষ্টি একজন কাল্পনিক নায়ক,যিনি প্রিয় বন্ধুর এই আসন্ন বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।
৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সিগন্যাস ভাই,
পোষ্টটিকে লাইক করার জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা ।
শুভ কামনা নিরন্তর।
১২| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:১৩
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: গল্পটির মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেলাম। আমারও বাবা মায়ের জন্য কষ্ট হয়, পড়াশুনো শেষ করে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় পড়ে আছি। ওদেকে বাবা মা সম্পূর্ণ রয়েছেন বাড়িতে, বছরে ২-৩ দেখা হয়। যারা আমাকে এত কষ্ট করে মানুষ করেছেন তারা আমার সেবা পাচ্ছেন না। উল্টো বাড়িতে গেলে কি খাওয়াবেন তা নিয়ে কত্ত চিন্তা।
সুন্দর গল্প, লাইক দিলাম।
৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তারেক ভাই, অনেকদিন পরে আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে পেয়ে আনন্দিত। পোষ্টটির মধ্যে নিজেকে পেয়েছেন জেনে খুশি হলান, অন্তত শহরবাসী সন্তানদের বিবেক এখনও একই আছে। হয়তো পরিস্থিতি সর্বদা হয়ে ওঠেনা । আবার জীবন জীবিকার খোঁজে শহরও ছাড়া যায় না । কাজেই এসব নিয়েই মিলেমিশে আমাদের চলতে হবে । আমরা যেখানেই থাকি হাজার প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও যেন আমাদের মূল্যবোধ হারিয়ে না যায়।
তারেক ভাই, আমার এর আগের পোষ্টটি দেখার একান্ত অনুরোধ থাকলো।
অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় তারেক ভাইকে।
৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় তারেক ভাই,
পোষ্টটিকে লাইক দেওয়ার জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা।
অনেক ভালো লাগা আপনাকে।
১৩| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জীবনের গল্প সব সময় এমনি হয় - কি অদ্ভুত আমরা সবাই জীবনভর গল্প নিয়ে বেড়াচ্ছি ।
৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মাহমুদ ভাই,
আশাকরি ভালো আছেন। আপনার ছোট্ট কথার উপলব্ধিটি মন ছুঁয়ে গেল। ঠিকইতো আমরা জীবনভর গল্প নিয়ে বেড়াচ্ছি যে ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৪| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাধারণ মানুষের অসাধারণ গল্প।
৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়,
আজ আমার কী যে আনন্দ হচ্ছে তা বলে বোঝাতে পারবোনা। দেখতে দেখতে চারমাস পার হলো আমার ব্লগিং এর বয়স। আগের পোষ্টগুলিতে আপনার কমেন্ট একটা বিশেষ মাত্রায় গেলেও আজ সবকিছুকে ছাপিয়েগেছে। আপনার ছোট্ট মন্তব্যটির ব্যাপ্তি আমার কাছে অপরিসীম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
১৫| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
সাহিত্য বা গল্প হল সমাজের দপর্ণ। তারই অংশ বিশেষ আপনার এ গল্প। গল্পটি পড়ে মনে হল, এটি একটি সামাজিক গল্প হিসাবে স্বার্থক হয়ে। কারো না কারো জীবনের কথাগুলো ছোট একটি গল্পটি অতুলনীয় ভাবে বাস্তবতায় রুপ দিয়েছেন। তবে শিরোনামহীন গল্প না দিয়ে কোন একটা শিরোনাম দেওয়া যেত পরতো।
এ গল্পটি আমাদের সকলের প্রিয় মনিরা সুলতানা আপুকে উৎসর্গ করেছেন জেনে খুব ভাল লেগেছে।
আপনাদের দুজনের জন্য শুভ কামনা রইলো ভাই।।
৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় কবীর ভাই,
আপনার সুন্দর মূল্যায়ন ধর্মী মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। একেবারে ঠিকই ধরেছেন, কারোও না কারোও জীবনের কথা। আসলে ১১ নং এ প্রিয় সিগন্যাস ভাইকে যে উত্তর দিয়েছি । ব্যাঙ্গালোর প্রবাসী বন্ধু পুনর্মিলনে হোম টাউনে এসেছিল। আমরা সবাই বহুদিন পরে মিট করাই ছিলাম বাঁধন হারা। কিন্তু গোরা নামের বন্ধুটি ছিল অনেকটা নির্লিপ্ত । ওর অস্বাভাবিকত্বের কারন জানতে চাওয়াতে, মায়ের জন্য দুশ্চিন্তার কারনটি জানিয়েছিলো। স্বভাবতই আমাদের আনন্দে ছন্দপতন ঘটলো। আমরাও ওর জন্য চিন্তিত হয়ে উঠলাম। গত জুলাইতে ওর বাবা মারা গেছে। পারলৌকিক নিয়ম অনুযায়ী একবছরর ওদের বাইরে যাওয়া যাবেনা। মায়ের ক্ষেত্রেতো মানাটা খুবই জরুরি । কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে খাওয়াও যাবেনা। অথচ এক সন্তান হওয়াই ব্যাঙ্গালোর ছেড়ে ধর্মীয় আচারবিচার মানতে এখানে থাকাটাও সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় প্রিয় বন্ধুর আসন্ন বিপদ থেকে উদ্ধার কল্পে ভোম্বল নামক চরিত্রের সৃষ্টি।
শিরোনাম প্রসঙ্গে বলি, আমি একটি বিশেষ ভাবনা থেকে যে নামটি ঠিক করেছিলাম, আমার মিসেস সেটিকে আপত্তি করায়, ঐ রকম নামবিহীন রেখেছি। তবে আপনার কাছে একটু আবদার করবো যদি আপনার বিবেচনায় কোনও নাম থাকে। আমি সেটিকে পরিবর্তন করে দেবো।
শ্রদ্ধেয় মনিরাআপু ব্লগে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্লগার। অনেকদিন ধরে লক্ষ্য ছিলো আপুকে একটি পোষ্ট উৎসর্গ করবো। আজ সেটা পূরণ হল। আমার নিজেরও খুব ভালো লাগছে।
অনেক শুভ কামনা প্রিয় কবীর ভাইকে।
৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় কবীর ভাই,
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনাকে, পোষ্টটিকে লাইক করার জন্য।
শুভ কামনা আপনাকে।
১৬| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: গোপালদার চা খেতে ইচ্ছা করছে।
ভোম্বল বেচারা। তার জন্য খুব মায়া হচ্ছে।
৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
আমারই যে প্রবল ইচ্চা ভাইকে নিজের হাতে চা করে খাওয়াবো। ইস গোপালদার জন্য ইর্ষা হচ্ছে। কী আর করা যাবে। ব্যবস্থা আমাকে অবশ্যই করতে হবে, ভায়ের আবদার বলে কথা । আর ভোম্বলরা অনেক সুখি। ওরা বরং আমাদের বেচারি বেচারি ভেবে দয়া করে। আমাদের যতটা ওদের দরকার , তার চেয়ে অনেকবেশি ওদেরকে আমাদের দরকার।
শুভ কামনা নিরন্তর।
১৭| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩২
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ভোম্বলের জন্য শুভকামনা। খুব সুন্দর গল্প।
৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার ব্লগে আপনার প্রথম কমেন্ট । অনেক ভালো লাগা রইল। আপনার সুন্দর ছোট্ট মন্তব্যে আমি অনুপ্রেরণা পেলাম।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
১৮| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
ফেনা বলেছেন: মনটাকে ছুয়েঁ গেল।
৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার পোষ্টে আপনার প্রথম কমেন্ট । আপনার ছোট্ট আবেগময় কমেন্ট আমি মুগ্ধ ।
অনেক শুভ কামনা আপু / বোন আপনাকে।
১৯| ৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,
সময়ের প্রেক্ষাপটে দেখা গেছে সমাজের অপাংতেয়, অচ্ছুৎ, অভাবী আর অশিক্ষিত মানুষগুলোর মাঝেই এখনও বিবেক , সততা, মানবিকতা বিরাজ করে । আধুনিক যুগের হাওয়ায় শিক্ষিতরা, স্বার্থপরতার বিনিময়ে বিবেককে বিকিয়ে দেয় মাত্র। গল্পে তেমনটাই ঊঠে এসেছে ।
ভোম্বলরা এই সমাজের "সম্বল" হয়ে থাকুক চিরকাল ।
৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়,
আপনি যদি আমাকে একটু স্যর বলার অনুমতি দেন, তাহলে এই কমেন্টের প্রতিমন্তব্য আমার সেটাই। অত্যন্ত সুন্দর ভাবে যেন শব্দের বিনুনি করে বর্তমান সমাজকে আপনি তুলে ধরেছেন। সহমত স্যর আপনার সঙ্গে যে ভোম্বলরাই সমাজের সম্বল হয়ে থাকুক চিরকাল ।
অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা আপনাকে।
২০| ৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রতিউত্তরে আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।
লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর মহেশ একটি সামাজিক গল্পের মাধ্যমে সামজে বৈষম্যতার একটি মেসেজ দিয়েছিল। আর আপনার গল্পের ভোম্বল চরিত্রটাও বর্তমানের সমাজের একটি মানবিকতার মেসেজ।
এবার যাত্রায় আমাদের ভবীর কথায় থাক, গল্পটির শিরোনাম পরিবর্তন আনতে হবে না।গল্পের শিরোনাম ততটা জরুরী না।
ভালো থাকুন সবসময়.....
৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় কবীর ভাই,
আপনার সুচিন্তিত মতামতকে আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে সম্মান জানাচ্ছি । আপনার ভাবীর ভয়ে আমি একপ্রকার লুকিয়ে চুকিয়ে ব্লগিং করি। তবে বাড়ির কাজের মধ্যে গল্পের ছলে ওকে শোনালেও ইদানিং আমার ব্লগিং প্রেম বেড়ে গেছে বলে দুকথা শোনায়োবা। আমি ছোটো মুখে হলেও সুনীল জায়া স্বাতী গাঙ্গুলীর কথা শোনালে, ও পাল্টা হেসে লুটিয়ে পড়ে পেয়াজ আর পেয়াজির তুলনা টানে। আমি আর কোথায় যাই বলুন। গৃহযুদ্ধ যে আমার মত দুর্বল পুরুষের কল্পনারও অযোগ্য। কাজেই আমার রচনাগুলি আপনারা ভালো বললেও বাড়িতে এখনোও পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফেল করে আছি। আর একারনেই ভেবেছিলাম হয়তো আপনি গল্পের একটা শিরোনাম খুঁজে দেবেন। যাক আপনার ভাবীজির পোয়াবারো। আমি বরং শিরোনামহীন নিয়েই থাকি। হা হা হা
অনেক অনেক ভালো লাগা ও শুভ কামনা প্রিয় কবীর ভাইকে।
২১| ৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর লিখেছেন। লাইক দিয়ে গেলাম।
৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বহুদিন পরে প্রিয় নকিব ভাইকে পেয়ে আনন্দিত । পাঠ মন্তব্য ও লাইকের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক শুভ কামনা প্রিয় ভাইকে।
২২| ৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: গল্পটি পড়লাম। চিন্তায় ডুবে গেলাম এর সমাধান কোথায় ? দিন দিন এভাবে মানুষের অমানবিক হয়ে যাওয়া, বিচ্ছিন্ন, একাকী, ক্ষুদ্র স্বার্থ চিন্তা, সম্পর্কগুলোর মূল্যবোধ হারিয়ে যাওয়া, দায়িত্ববোধ অগ্রাহ্য করা এইসব কিছুর ইতিবাচক সমাধান কিভাবে আসবে? কিভাবে মানব মন পরিশীলিত হবে ? গল্প ছোট কিন্তু ভাবার জন্য বৃহৎ। গল্প সমাজের দর্পণ ধন্যবাদ ভাই।
৩০ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু / বোন,
আমার কোনও পোষ্টে প্রথম মন্তব্য । আমি আনন্দিত, সুস্বাগতম আপনাকে। আপনি চমৎকার প্রশ্ন উপস্থাপন করেছেন। আমরা দিনকেদিন এক ক্ষয়িষ্ঞু মানবিকতার দিকে এগোচ্ছি। এগোচ্ছি এক অনিশ্চিৎ অন্ধকারের দিকে।তবে আমরা যারা ক্ষুদ্রলেখক বা কবি নিজেদের জীবনেও সামান্য মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলি, নিজ গৃহের পরিবেশ যা কিনা সমাজেরই একটি অংশ পরিবর্তন হবে বলে আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে মনে হয়।
পাশাপাশি ছোট গল্পের ইতিবাচক দিকটি আপনার সুক্ষ্য নজরে ধরা পড়ায় ভালো লাগলো। আগামীদিনেও আপনাকে এভাবে পাশে পাবো, প্রার্থনা করি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৩| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন ।
০১ লা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রভাত আপু,
আপনার গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত। সঙ্গে লাইক দেওয়াই জানাই কৃতজ্ঞতা ।।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।
২৪| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:০২
নীল মনি বলেছেন: ভীষণ ভালো হয়েছে লেখাটি।+++++
০১ লা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু,
গল্পটি আপনার ভালো ভীষণ ভালো লেগেছে জেনে আমি অনুপ্রাণিত ও আপ্লুত আপু । সঙ্গে এত্তগুলি প্লাস চিহ্ন, অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই কৃতজ্ঞতা ।।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে ।
২৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শুভ সকাল, দাদা। আজ প্রথমেই আপনার এই লেখাটি অনেক মন দিয়ে পড়লাম। চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লেখা।
মানুষের যদি মানবিকতা বোধ না থাকে তাহলে আর সব খুব একটা মূল্য পাবার মতো নয়। বিবেক থাকা জরুরি। সততা, ন্যায়পরায়নতা এই সব বড় দরকারী জিনিস।
আপনাকে শুভ কামনা। অনেক অনেক ভালো থাকুন।
০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল সুপ্রিয় সাজ্জাদ ভাই,
ভীষণ খুশি হলাম আপনাকে পেয়ে। চমৎকার মন্তব্যটি হৃদয়গ্রাহী। মানুষের ন্যায়পরতা, সততা, মানবিকতা প্রভৃতি সুকুমার বৃত্তিগুলি দিনকে দিন সমাজ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। পাল্লাদিয়ে বাড়ছে অবক্ষয়তা।
অনেক শুভ কামনা আপনাকে ও পরিবারকে।
২৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২০
শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক আপনার সব লেখা সময়ের অভাবে পড়িনি। তবে যে কয়টা লেখা পড়েছি তার মাঝে এই লেখাটাই সবচেয়ে ভালো লাগলো।
শুভকামনা আর ধন্যবাদ এমন মানিবিক একটা গল্প পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু,
যদিও আপনার ওখানে রাত হয়ে গেছে। কিছুটা অসুবিধা হওয়ায় কাল্পনিক চরত্রের অবতারনা করতে বাধ্য হলাম। আপনার এবারের পোষ্টটি ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। আগামীতেও আপনার সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায় থাকবো।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।
২৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ২০১০ সালে একবার গিয়েছিলাম। ইচ্ছে আছে আবার যাবো কলকাতা ও আরো বেশ কিছু জায়গায়। তখন আপনার সাথে দেখা হবে , দাদা।
০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাজ্জাদ ভাই,
২০১০ সালে এসেছিলেন। আবার আসবেন, উপরওয়ালার কৃপায় আমাদের দেখা হবে। আমি আপনার অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় সাজ্জাদ ভাই ও পরিবারকে
২৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটু দেরীতে হলেও আপনার লেখা পড়লাম।
ভোরার মতো সন্তানদের জন্যই সমাজে বৃদ্ধাশ্রমের দরকার হয়, আর ভোম্বলের মতো মানুষের জন্যই এখনও মানবিকতা টিকে আছে!
বর্তমানের একটা বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন, দারুনভাবে।
০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মফিজ ভাই ,
একেবারে যথার্থই বলেছেন। ভাোরাদের জন্য বৃদ্ধাশ্রম, আর ভোম্বলের মত মানুষদের জন্য মানবিকতা । আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম।
অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় মফিজভাইকে।
২৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৬
ল বলেছেন: চমৎকার লিখনি।
খুব ভালো লাগলো
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ ল' ভাই আপনাকে। পাঠ মন্তব্যের জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা।
শুভ কামনা জানবেন।
৩০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৮
সুমন কর বলেছেন: শেষে এসে দারুণ বলেছেন, গল্পটি পূর্ণতা পেল। সুন্দর হয়েছে।
+।
০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুমনদা,
পাঠ ও মন্তব্যে প্রীত হলাম। আপনার কমেন্টটি আমার বড় প্রাপ্তি
। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শুভেচ্ছা দাদা আপনাকে।
৩১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৬
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: বাস্তবিক ।
১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল সুপ্রিয় ছোটোভাই,
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানাই ।
নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।
৩২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩০
আরোগ্য বলেছেন: ব্লগটি যেন আজ ঝিমিয়ে আছে। আর যখনই মন মতো কিছু পাইনা, ছুটে আসি প্রিয় ভাইটির বাড়িতে।
পদাতিক ভাইয়ের গল্পে হারিয়ে যেতে ভালো লাগে। প্রায়ই দেখা যায় অল্প শিক্ষিতের কাছে মা বাবার কদর উচ্চ শিক্ষিতদের তুলনায় অনেক বেশি। ব্যাপারটি আমাকে পীড়া দেয়। অথচ ইসলাম বলে সৃষ্টিকর্তার পরেই মা বাবার স্হান। অবশ্য যারা মা বাবাকে অবহেলা করে তারা সৃষ্টিকর্তাও তেমন মানে না। এরা অবশ্য নফসের (প্রবৃত্তি) পূজায় মগ্ন।
আবারও আসবো ইনশাআল্লাহ।
আজ আমাদের ক্লাস নাইনের ক্লাসটিচার শ্রীনিবাস
বাবু স্যর নেই, কিন্তু সেদিন কবির নাম না জানলেও
আজ জেনেছি । শ্রদ্ধেয় নীরেন্দ্র নাথ
চক্রবর্তীর , অমলকান্তির পরিচয় । হ্যাঁ সেও যে,
" একদিন রোদ্দুর হয়ে যেতে চেয়েছিল । "
এই লেখাটি বুঝতে পারিনি।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি তোমার কমেন্টের উত্তর দিতে গিয়ে দেখলাম পৃথক মন্তব্য হয়ে গেছে। ৩৩ নং কমেন্টটি তোমারই প্রতিমন্তব্য। আসলে আসা যাওয়া দু বার প্রায় দুঘন্টা অটোতে বসে ব্লগিং করলে যা হয়। যে কারনে দেখবে এই সময়ের কমেন্টে প্রচুর টাইপো রয়ে গেছে।
শুভকামনা ও ভালবাসা প্রিয় ছোট ভাইকে ।
৩৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের আরোগ্য,
সকাল সকাল আমার ছোটোভাইকে পুরানো পোস্টে পেয়ে খুশি হলাম। অত্যন্ত সুন্দর কমেন্ট করেছ। এমন আন্তরিক মন্তব্যে পুলকিত হলাম। মধ্যশিক্ষিতদের সম্পর্কে তোমার অবজারভেশন একেবারে ঠিক। আমরা যারা একটু বেশি লেখাপড়া শিখেছি বলে মনে করি, তারাই বাবা - মাকে বৃদ্ধ বয়সে অন্য ভাই বোনদের উপর চাপিয়ে দিয়ে বড়জোর মাসোহারা দিয়ে কর্তব্য পালন করি। এ এক ভয়ংকর প্রবণতা। বেশি শিক্ষিত সন্তানদের কাছে বাবামা দিনকেদিন ব্রত্যই হয়ে উঠছে।
তোমার কমেন্টের দ্বিতীয় অংশ প্রসঙ্গে বলি, আমার সহপাঠী বরাবর স্কুলে পড়া করতোনা। কিন্তু স্যারেরা পড়া ধরলে ভাবুক প্রকৃতির ছেলেটি একবার এ জানলার দিকে তাকাত, পরক্ষণের আবার অন্য জানালা বা সিলিং এর দিকে তাকিয়ে সাপুড়ে মন্ত্র পড়তো মুখে বিড়বিড় একটা শব্দ করে। যা দেখে স্যারের কমন কথা ছিল।
আসলে কবি ঐ কবিতাটি লিখেছিলেন, এরকম বয়সে বাচ্চাদের প্রত্যেকের চিন্তার আলাদা জগতকে লক্ষ্য করে। বাবা মা বাচ্চাদের উপর জোর করে যে স্ট্রিম চাপিয়ে দেয় তা সর্বদা ভালো হয়না। অথচ তাঁরা যদি নিজ নিজ সন্তানের প্রকৃতি অনুযায়ী ক্যারিয়ার ঠিক করেন সেটি সবার পক্ষে অনেক ফলপ্রসু হয়।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় ভাইকে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভকামনা ও ভালবাসা প্রিয় ছোটভাই আরোগ্যকে।
৩৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আহমেদ জী এস ঠিকই বলেছেনঃ ভোম্বলরাই সমাজের সম্বল! দামী কথা।
চমৎকার একটি মানবিক বিষয়কে গল্পে উপস্থাপন করেছেন সুনিপুণভাবে। গল্পে সপ্তদশতম ভাল লাগা + রেখে গেলাম।
একটি সুলিখিত পোস্ট একজন গুণী ব্লগারের নামে উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ। এতে প্রীত হ'লাম।
১০ নং প্রতিমন্তব্যটি চমৎকার হয়েছে। ওয়েল ডান!
গল্পটা "শিরোনামহীন" থাকা ঠিক নয়। "একজন দীপ্ত করোজ্জ্বল ভোম্বলের কথা" অথবা শুধুই "দীপ্ত করোজ্জ্বল" দেয়া যেতে পারে। তবে লেখকের ইচ্ছেই (অথবা লেখক-গিন্নীর?) সর্বাধিকার প্রাপ্য! সাজেশনটুকু শুধুই একটা সাজেশন মাত্র।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
গতকাল থেকে ব্লগে লগইন করতে প্রবল সমস্যা হচ্ছে। অন্যের পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে বারবার লগ-ইন করতে হয়েছে কিন্তু নিজের পোস্টে একবারও লগইন করতে পারিনি। যে কারণে আপনার মন্তব্যটি দেখেও তৎক্ষণাৎ উত্তর করতে ব্যর্থ হয়েছি। আজ অবশ্য প্রথমেই নিজের পোস্টে লগইন করার সুযোগ পেলাম এবং প্রতিমন্তব্যে আসা ।
পোস্টের সারাংশটুকু শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাইয়ের মন্তব্যে ফুটে উঠেছে। ঠিকই তো ভোম্বল রাই সমাজের সম্বল। অত্যন্ত দামী কথা।আমরা আমাদের পারিপার্শ্বিক জগতের মধ্যে যদি তার সামান্যতমও দেখাতে পারি বা তুলে ধরতে পারি এমন এক মানবিক ভোম্বলের প্রতিচ্ছবিকে তাহলে আশা জাগানিয়া জগৎটা বহু মানুষের কাছে অনেক বেশি ছন্দময় হয়ে উঠবে।
গল্পটির উপস্থাপন আপনার ভালো লাগাতে,ও গল্পে সপ্তদশতম লাইক প্রদান করাতে ও প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই স্যার আপনাকে।
পোস্টটির উৎসর্গেও আপনার ভালো লাগাতে এবং 10 নম্বর প্রতিমন্তব্যটি চমৎকার মনে হওয়াতে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। এ প্রসঙ্গে আপনার সুচিন্তিত মতামতটি সর্বাধিক প্রণিধানযোগ্য। আমি এখনই গল্পর শিরোনামটি আপনার সুচিন্তিত নামেই তুলে ধরছি।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা স্যার আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৬
সনেট কবি বলেছেন: দারুণ গল্প।