নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজদেওড়ার জঙ্গলে (শেষ-পর্ব)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৯





সেদিন প্রভাতে বেশ কিছুটা ইতস্তত পদব্রজের পর অতিথি নিবাসের পার্শ্ববর্তী কুণ্ডীর পাশে বসলাম। কুন্ডীর প্রসঙ্গে পরে আসছি। দূর থেকে বয়ে আসা হালকা জলরাশি ছোট্ট কুণ্ডীর উপর দিয়ে অবিশ্রান্তভাবে মৃদুমন্দ গতিতে ঝর্ণার ন্যায় প্রবাহিত হয়ে চলেছে। গতকালই জেনেছিলাম ঝর্ণার উৎপত্তি নাকি জঙ্গলের অনেক গভীর থেকে। প্রকৃতি দেবীর অপার মহিমায় সমস্ত বন্যপ্রাণীকুলের জল পানের এমন ব্যবস্থা ভাবলে সত্যিই অবাক হতে হয়। এমনকি শুখা মরসুমেও নাকি এই ঝর্ণায় জলের অভাব হয় না। যে জল এসে পতিত হয় অতিথি নিবাসের পাশে ছোট্ট কুন্ডীতে। অথচ ছোটনাগপুর রেঞ্জের এই অঞ্চলগুলোতে গ্রীষ্মকালে জলশূন্য থাকারই কথা। গতকাল দুপুরে অচেনা অদেখা ছোট্ট কুন্ডীটি দেখে আলাদাভাবে তেমন আকর্ষণ না হলেও এক্ষণে রক্তিমদেবের হালকা কিরণে অবিশ্রান্ত গতিতে বয়ে চলা কুন্ডীটির মোহময়তা এক অনির্বচনীয় অনুভূতি সৃষ্টি করল। অস্বীকার করব না যে জঙ্গলে এসেছিলাম বন্যপ্রাণীদের প্রত্যক্ষ করতে। কিন্তু প্রকৃতিকে যে এভাবে হৃদয়ঙ্গম করার অনুভূতি তৈরি হবে তা কল্পনায়ও আসেনি।

কুন্ডী শব্দটির প্রতি পাঠককুলের আগ্রহ জন্মাতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ঘাটশিলা যাপনকালে শ্রদ্ধেয় কথা সাহিত্যিক বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায় হ্রদের মতো অতটা বড় নয় কিন্তু তুলনায় ছোটোও নয় এমন জলাশয়কে স্থানীয়দের কথ্য ভাষা অনুযায়ী কুন্ডী বলে পরিচয় করিয়েছেন। অঞ্চলটি যেহেতু একই ভৌগোলিক সীমার মধ্যে অবস্থিত কাজেই শ্রদ্ধেয় কথাসাহিত্যিকের সূত্র ধরে জলাশয়টিকে কুন্ডী বলে উল্লেখ করেছি।কুন্ডীর পাশে কতক্ষণ এভাবে বসে ছিলাম ঠিক খেয়াল ছিল না, এমন সময় দেখি বাবাই মায়ের সঙ্গে আমার পাশে চলে এসেছে। সকালের ব্রেকফাস্ট তৈরি হয়ে গেছে। সকলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। এক্ষণে আমার প্রকৃতিপাঠে ইতি ঘটলো। চা-জলখাবারের পর্ব সাঙ্গ করে এবার আমরা সকলে দল বেঁধে আরেকটু জঙ্গলের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করতে লাগলাম।

গতকাল শুনেছিলাম অতিথি নিবাস থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটু উঁচু টিলার উপর থেকে নাকি সামান্য নেট সংযোগ পাওয়া যায়। জঙ্গলের মধ্যে টেলিযোগাযোগ! শুনে অবাক হলাম। আগ্রহবশত উদ্দিষ্ট স্থানের উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করলাম। চারিদিকে শাল-পিয়ালের জঙ্গল, মধ্য দিয়ে শুকনো পাতায় মচমচ শব্দে হাঁটতে হাঁটতে আমরা ক্রমশ এগিয়ে চলি। কিছুটা এগিয়ে যেতেই পিছন থেকে তেমন কোন শব্দ না পেয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি দলের বেশির ভাগ সদস্য অনেকটাই পিছনে পড়ে গেছে। কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়তেই ওনারা পাল্টা হাত ইশারা করে ডাকতেই বুঝলাম যে প্রকৃতি প্রেমীদের আগ্রহ হারিয়ে গেছে।।নাহা এ যাত্রায় আমার আর নেটওয়ার্কের সন্ধানে জঙ্গল সাফারি করার আর সম্ভব হলো না। কিছুটা বিষন্ন বদনে পশ্চাদমুখী হতে বাধ্য হলাম। বেশ কিছুক্ষণ হাঁটার পর অতিথি নিবাসের সামনে গতকাল আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়া সুমো গাড়িটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হৃদয়ে যেন ভায়োলিনের করুন সুরে বিষন্নতায় ভরে গেল।গত কয়েক দিনের সফর শেষ করে এবার আমাদের সত্যিকারের ঘরে ফেরার বাদ্যি বাজলো। আমরা আর সময় ব্যয় না করে তৈরি হতে লাগলাম। আনুমানিক সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রাজদেওড়ার জঙ্গলকে বিদায় জানিয়ে আমরা রওয়ানা দিলাম আমাদের শেষ আকর্ষণীয় স্থান রাঁচির হুড্রু ফলসের উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য সেদিন রাত নয়টার রাঁচি স্টেশন থেকে আমাদের ফেরার ট্রেন।মাঝে দশ/এগারো ঘণ্টার বেশ কিছুটা সময় আমাদের হুড্রু ফলসে কাটাতে হবে।

জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নেট সংযোগ পেতেই গুগল সার্চ করে জানলাম হুড্রু ফলসের দূরত্ব 110 কিমি। চারলেনের হাজারীবাগ-রাঁচি হাইরোডে গাড়ি ছুটতে থাকলো দুর্বার গতিতে। জায়গায় জায়গায় নির্মীয়মানের কারণে নো এন্ট্রি করে দুই লেন হওয়াতেও গাড়ির গতির বিশেষ হেরফের অনুভব করলাম না। মাঝে একবার পাম্প থেকে তেল ভরা ছাড়া গাড়ি ছুটতে থাকে ঝড়ের গতিতে। দুপুর সাড়ে বারোটায় কোন একটি স্থানে হঠাৎ গাড়িটি বেগ কমাতে দেখি একটা পাঞ্জাবি ধাবার সামনে আমরা চলে এসেছি। অবশ্য চালককে আগে থেকে তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কমবেশি ফ্রেশ হয়ে বসতেই কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখি টেবিলে আমাদের পছন্দ মতো নিরামিষ খাবার চলে এসেছে।পরম তৃপ্তিতে মধ্যপ্রদেশ শান্ত করে আবার আমরা গাড়িতে চাপলাম। এবার মিনিট চল্লিশের মধ্যেই আমরা পৌঁছে যায় আমাদের ট্যুরের অন্তিম আকর্ষণীয় স্পট হুড্রু ফলসের সামনে।

ফলসের সামনে গিয়ে বাস্তবে যেন আমি মুখের কথা হারিয়ে ফেললাম। এমন নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে এক অনুপম আনন্দে যেন আত্মহারা হয়ে যাই। কি অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় সুবর্ণরেখার জলরাশি ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের বোল্ডারের গা ঘেঁষে নিম্নদেশে আঁছড়ে পড়ছে।আর তার-ই গুরুগম্ভীর শব্দ যেন ছন্দময় ভাবে কোন এক শিল্পীর নিরবচ্ছিন্ন সুরের মূর্ছনা সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশে এখানে দাঁড়িয়ে বেশিক্ষণ প্রকৃতি নিরীক্ষণ সম্ভব হলো না। গাড়ি পার্কিং ও নির্দিষ্ট প্রবেশমূল্য দিয়ে আমরা ঝাড়খন্ড রাজ্য সরকারের তৈরি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে শুরু করি। শুরুতেই দেখি বড় বড় করে সিঁড়ির সংখ্যা সাড়ে সাতশ উল্লেখ করা আছে। নিচে নামার রাস্তাটা একটু আঁকাবাঁকা প্রকৃতির। স্বভাবতই নিচে নামতে কারো কোনো সমস্যা না হওয়ারই কথা। যেমন সমস্যা আমাদেরও হয়নি। কিন্তু পাশ দিয়ে যারা উপরে উঠছেন তাদের ঘর্মাক্ত ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখে আমরাও বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ি। না জানি আমাদের কপালেই বা কি দুঃখ লেখা আছে। আকারে অনেকটা বড় পাতিলেবুর শরবতের দোকান দেখলাম। একজনকে জিজ্ঞেস করাতে বলল দেহাতি লেবু। দশটাকা গ্লাস প্রতি হিসেবে বড়ো করে লেখাটাও চোখে পড়লো। মূলত যারা ফলস দর্শন করে উপরে উঠছে তারাই জায়গায় জায়গায় ব্রেক করে শরবত খেয়ে কিছুটা বিশ্রাম নিচ্ছে। আমারও ইচ্ছে হলো একগ্লাস দেহাতি লেবুর শরবত খাই। ইচ্ছা প্রকাশ করায় সকলে রাজি হয়ে গেল। ঠান্ডা জলের সুমিষ্ট শরবত খেয়ে ভিতরটা একেবারে শীতল হয়ে গেল। আমরা দ্রুত নিচের দিকে পা বাড়ালাম। কোন এক সময় আমরা ফলসের নিচে নামতে সমর্থ হই।

সিঁড়ির শেষ প্রান্তে একটি পরিচিত উগ্র গন্ধে গা গুলিয়ে উঠলো। গন্ধটির উৎস খুঁজতে আশপাশে তাকিয়ে দেখি পাশাপাশি তিনটি ঘুমটি ঘর অবস্থিত। তাদের মধ্যে একটির সামনে পাঁচ/সাতজন প্রান্তিক লোকের কেমন সন্দেহভাজন চাহনি। আরও একটু চোখ উঁচু করতেই দেখি ভিতরে ইঁটের উপর বসে এক মহিলা হাঁড়িয়া বিক্রি করছে। দ্বিতীয়বার আর ওদিকে না দেখে একটু টেনে পা চালালাম। এবার আমরা একেবারে ফলসের প্রান্ত দেশে চলে আসি। আগে যাকে উপর থেকে দেখছিলাম এখন বাস্তবে ফলসের সেই গর্ভাস্থানে পৌঁছে মনের সাময়িক বিষন্নতা কেটে গেল। উপর থেকে সুতীব্র গতিতে জলরাশি আঁছড়ে পড়ছে নিচে। তা থেকে সৃষ্ট অসংখ্য জলবিন্দু মেঘের ন্যায় ভেসে বেড়াচ্ছে চতুর্দিকের বাতাসে। স্থানটির তাপমাত্রাও যে কারণে উপর থেকে দুই-এক ডিগ্রি কম বলে মনে হলো। পাশাপাশি উচ্চ গতিতে জলরাশি আঁছড়ে পড়ায় সৃষ্ট হওয়া ফেনিল জলরাশি বহুদূর পর্যন্ত প্রভাবিত জলভাগকে রুপোলি পর্দায় যেন মুড়ে রেখেছে। ছোট-বড় উপস্থিত সকলেই যেন বয়সের ব্যবধান ভুলে এক অনুপম সৌন্দর্য উপভোগে মেতে উঠেছে। এমন স্থানের ফটো না তুলে থাকি কি করে? পাশাপাশি এমন জনাকীর্ণ স্থানে আমার মধ্যযুগীয় ক্যামেরাটি সাধারণত: বার করি না। কিন্তু লোভ সংবরণ করতে না পেরে ফটাফট কিছু ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে মেতে উঠলাম। একসময় নিজেই লজ্জা পেয়ে ক্যামেরাটি বাক্সবন্দি করে হাতের স্মার্টফোন নিয়ে বাকি কাজ সমাধা করি। এভাবেই কয়েকঘন্টার যে কিভাবে কেটে গেল তার আর খেয়াল ছিল না। সম্বিৎ ফেরে যখন ততক্ষনে দেখি ঘড়ির কাঁটা সাড়ে চারটার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

আর সময় দেওয়া সমীচীন হবে না ভেবে তাড়াতাড়ি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে পড়ি।কারণ রাঁচি স্টেশনে আমাদেরকে সাড়ে ছটা থেকে সাতটা নাগাদ পৌঁছানোর পরিকল্পনা ছিল। মাঝে উপরে উঠতে প্রতিকূলতার সঙ্গে সাড়ে সাতশ সিঁড়ি পেরোতে হবে।উপরে উঠতে গিয়ে তিনটি স্থানে আমরা আর দশ মিনিট করে বিশ্রাম নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে আমরা উপরে উঠে আসি।পথিমধ্যে আরো একবার দেহাতি লেবুর শরবত খেয়ে শেষবারের মতো আরও একবার অপার তৃপ্তি অনুভব করি।

উপরে উঠে ফলসের জলরাশি যে স্থান থেকে নিচে পড়ছে সেই স্থানের উদ্দেশে পা বাড়ালাম। এই স্থানটি দেখার প্রতি আমার তেমন আগ্রহ ছিল না। সকলের চাপাচাপিতে একসময় মত বদলাতে বাধ্য হই।ছোট-বড় বোল্ডারের উপরে অতি সন্তর্পনে পা ফেলে কোনোক্রমে শরীরের ভারসাম্য বজায় রেখে এগোতে থাকি।শুরুতে একটু অসুবিধা হলেও পরের দিকে অবশ্য কিছুটা স্বাভাবিকত্ব ফিরে পাই। কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছে আমরা অবাক হই।ভালোলাগার এক আশ্চর্য মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে আমরা নিজেরা নিজেদেরকে ধন্যবাদ দিতে থাকি। সুবর্ণরেখার জল তিন দিক থেকে তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে ক্ষিপ্র গতিতে ধাবমান হয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে মিলিত হয়েছে। আর যে স্থানটিতে আছড়ে পড়ছে সেই স্থানটিকে তো আমরা একটু আগে প্রত্যক্ষ করেই এলাম। তখন আমরা আর এক প্রস্থ ফটোশুটে ব্যস্ত, এমন সময় একটা হুলুস্থুল শুনি, কিছু লোক আমাদেরকে ইশারা করে ওখান থেকে দ্রুত চলে যেতে বলছে। পাহাড়ে হড়কা বানের আগমন ঘটতে পারে শুনে অন্যান্য পর্যটকদের মতই আমরাও পড়িমড়ি করে ছুট লাগালাম।বাচ্চা সঙ্গে থাকায় ঠিকমতো স্টেপিং করতে না পারায় দু দুবার পড়ে যেতে যেতে অল্পের জন্য রক্ষা পেলাম। অবশেষে নিরাপদ দূরত্বে পৌঁছে হাঁপাতে হাঁপাতে পিছন ফিরে দেখি স্থানীয় লোকগুলি সকলে মিলে হাসিতে মেতে উঠেছে। এদিকে আমাদের বরাদ্দ সময় ততক্ষনে এক ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। আর কালবিলম্ব না করে সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে চেপে বসলাম। সাড়ে সাতটার মধ্যে আমরা রাঁচি স্টেশনে পৌঁছে যাই।

হুডু ফলসের কিছু ছবি:-










আপার ফলসের কয়েকটি মুহূর্ত:-








ক্লান্ত পথিকবর:-





রাজদেওড়ার জঙ্গলে (পর্ব-৬)

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩০

নিভৃতা বলেছেন: কুণ্ডি পড়ে মাধবকুণ্ডের কথা মনে পড়ে গেলো। আমাদেরও ছোটখাটো কুণ্ডি আছে। :)

অসাধারণ বর্ণনায় মনটা মোহিত হয়ে গেলো। যেন ভ্রমণকাহিনী পড়ছি না, নিজেই ভ্রমণ করছি। যদিও আগের পর্বগুলো পড়ে উঠতে পারিনি। পড়ে নেবো সময় করে।

ছবি গুলোও মনহরিণী।

অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটা অসাধারণ ভ্রমণকাহিনী লিখে, ভ্রমন না করেও ভ্রমণের স্বাদ আস্বাদনেের সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

অফুরান শুভ কামনা আপনার জন্য।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আলাদা ভালোলাগা। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। হ্যাঁ ঠিকই বলেছ মাধবকুন্ডের কথা আমরাও পড়েছি। বর্ণনা ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম; আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। যদি সম্ভব হয় তাহলে পূর্ববর্তী পর্বগুলি পড়ার অনুরোধ রইলো।
ছবি ও কাহিনী চেষ্টা করেছি কিছুটা তুলে ধরার তাই বলে যে অসাধারণ হয়েছে শুনে লজ্জিত হলাম।

আপনার শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বাসন্তিক শুভেচ্ছা আপনাকেও।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা, পোষ্ট করতে বড্ড দেরী করে ফেললেন।
ধারাবাহিক পোষ্ট দিতে হয় পর-পর।
দেরীতে দিলে পাঠকের দিতে হয়। বিশেষ করে আমার মতো দুর্বল পাঠকের।

কিছু কিছু ঝর্না আছে সারা বছরই সমানতালে ঝরছে।
কুন্ডী শব্দটার ইতিহাস জেনে ভালো লাগলো। চুন্ডী শব্দটার মানে নিশ্চয়ই জানেন দাদা। চুন্ডী শাড়ি তো দুই বাংলায় বেশ বিখ্যাত।
ট্রেনের কিটিট আগেই কেটে রাখা ভালো। সমস্ত ভারতে ট্রেনেই লোকজন চলাচল বেশী করে। ট্রেনের চলাচল নিরাপদ।
রাজদেওড়া আর হুন্ডু ফলস এর ছবি গুলো একই রকম লাগলো।
দাদা কৌতূহল থেকে একটা প্রশ্ন করি- রাচি স্টেশন বড় না হাওড়া স্টেশন?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব লজ্জা পেলাম প্রিয় ছোট ভাইয়ের এমন অন্তরিক মন্তব্যে।আসলে সাম্প্রতিক কালের সময় গুলো এমন ভাবে পার হয়ে যাচ্ছে যে ব্লগিং করার সময় একেবারেই হয়ে উঠছে না। বহুগুণী ব্লগারের পোস্টে যে কারণে ঠিকমতো কমেন্ট করে উঠতে পারিনি। যদিও পোস্ট দেরি করা নিয়ে কোন অজুহাতই সমীচীন নয়।
মন্তব্যে ভাইয়ের বিনয়ের ছবিটি পেয়ে পুলকিত হলাম। স্যার আইজাক নিউটনও বলেছিলেন আমি জ্ঞানের সমুদ্রে নুড়ি কুড়িয়ে বেড়াচ্ছি। হেহেহেহে....
ঝর্ণা ও কুণ্ডীর ইতিহাস জেনে ভাই আনন্দ পেয়েছে শুনে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ ভাইকে।

হ্যাঁ আমরা সাধারণত কোথাও ঘুরতে গেলে চার মাস আগেই টিকিট কেটে রাখি। ট্রেনই আমাদের মত নিম্নবিত্তদের পক্ষে ঘোরাঘুরির আদর্শ মাধ্যম।
ভায়ের মনের প্রশ্ন নিরসন করতে জানাই, হাওড়া স্টেশন গোটা ভারতের বৃহৎ রেলওয়ে স্টেশন। দীর্ঘতম রেলওয়ে স্টেশন খড়্গপুর। সবচেয়ে ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন শিয়ালদা।

বাসন্তিক শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।



৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পুলকিত হলো মন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার ব্লগে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু-স্বাগতম আপনাকে। তবে কোন বিশেষ কারণে আপনি পুলকিত হলেন জানলে আমিও পুলকিত হতাম।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: ৭৫০ x ২ = ১৫০০ সিড়ি, ভালো বেশ ভালো।
পাহাড়ে হারকা বানের আগমন বুঝতে পারি নি? হাতি নাকি?
লেবুর শরবত খুব মজার এবং একই সাথে এনার্জী দেয় শরীরে।
জলপ্রপাতের ছবিগুলি খুব সুন্দর লাগছে।
ধন্যবাদ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি অংকে একেবারেই কাঁচা। যে কারণে আপনার সরল অংকের হিসাব ঠিক বুঝলাম না।
আর হরকাবান হচ্ছে পাহাড়ে হঠাৎ করে কোন স্থানে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে সেই বৃষ্টির অতিরিক্ত জল কয়েক ফুট উঁচু হয়ে প্রবল গতিতে প্রবাহ পথে কোন স্থানে আছড়ে পরে। উল্লেখ্য এই উঁচু দল স্তম্ভের পথে যদি কেউ পড়ে তাহলে তার মৃত্যু অবধারিত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,কয়েক বছর আগে পুরুলিয়ায় ঘুরতে গিয়ে অযোধ্যা পাহাড় এর নিকটবর্তী ডাওরী ফলসে গেছিলাম। এখানেই কয়েক বছর আগে কলকাতা আর্ট কলেজের কয়েকজন স্টুডেন্ট সেদিন তারা নিজেদের আর্টিস্টিক কাজে ফলসের নির্জন স্থানে ব্যস্ত। এমন সময় প্রবল গতিতে ধাবমান হরকাবান ছেলেগুলো নিরুদ্দেশ হয়। পরে প্রত্যেকের মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে সন্ধান মেলে।
হ্যাঁ ক্যালোরি কঞ্জুম করতে গেলে লেবুর শরবত খুবই উপাদেয়।
বইমেলায় এত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপ্লুত হলাম।

শুভেচ্ছা নিয়েন।




৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

মা.হাসান বলেছেন: একটি বাদে বাকি পর্ব গুলো পড়া হলেও লগ ইন করার সমস্যা থাকায় মন্তব্য করা হয়ে ওঠে নি, খুব দুঃখিত।

ছবি গুলো ভালো এসেছে, তবে কাত করা অবস্থায় না থাকায় আপনার তোলা কি না সে সন্দেহ রয়ে গেল।
সাড়ে সাতশো সিড়ির ধাপ মানে প্রায় ৩০-৪০ তলা উচু বিল্ডিঙেরর মতো, সবার ওঠার মতো ফিটনেস থাকবে না।

হুট করে শেষ হয়ে গেলো মনে হলো। বাড়িতে এসে এক গ্লাস জল গড়িয়ে খাবার আগ পর্যন্ত কিন্তু আমার যেন মনেই হয় না ভ্রমন শেষ হয়েছে।

বর্ননা খুব ভালো হয়েছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,

কোন এক অদৃশ্য কারণে গতকাল থেকে আমি প্রতিমন্তব্য করতে পারছিনা। প্রতিমন্তব্যের সবুজ বাটন গতকাল রাতে একবারই এসেছিল। নীল আকাশ ভাইকে যে কারণে প্রতি উত্তর দিতে পেরেছিলাম। ব্যস্ততা থাকতেই পারে কিন্তু সেজন্য লগইন না করার কারণে দুঃখিত হলে আমিও যে ততটাই বিষণ্নতায় ভুগি।

হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন আমি ব্যাকা মানুষ আমার দৃষ্টিশক্তিও ব্যাকা। আমার ছবিতে আপনারা তারই প্রমান পান। তবে মেঘের কাত হওয়া ছবিটি যতদূর মনে পড়ছে আমার তোলা নয় হাহাহা।

আর জলপ্রপাতের নিচে নামা টা সহজ কিন্তু উপরে ওঠা টা ততোধিক কঠিন। বেশ কয়েক জন বয়স্ক পুরুষ মানুষকে দেখলাম রীতিমত জামা কাপড় খুলে সিঁড়ির উপরে আধশোয়া অবস্থাতে। এমনকি যদি শ্বাসকষ্ট হয় তাদের পক্ষেও দেখলাম উপরে ওঠাটা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের।
আমার ভ্রমণ কাহিনী শেষ মনে না হলেও বাকি অংশটা আপনি শুরু করেন। আপনার সুন্দর ভ্রমণকাহিনী অপেক্ষায় রইলাম।

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।




৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: দাদা, কেমন মজা করলেন? জোঁকে দৌড়িয়েছিল?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে। ভয় বা উৎকন্ঠা, মজার সব মিলিয়ে দারুণ রোমাঞ্চকর ভ্রমণ সম্পন্ন করলাম। তবে জোকের দেখা পাইনি।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা!
জল প্রপাতের ছবি দেখেই ফিদা!
বাস্তবে গেলে বোধকরি দিনমান কাটাতে মন চাইবে! সাথে একটু স্নানের আরজি কি খুব বেশী চাওয়া হবে!
অমন শীতল স্বচ্ছ জলে গা না ডোবালে যে পাপ হয় ;) হা হা হা

মাধব কুন্ডে গিয়ে ঘন্টা দেড়েক জলকেলি করেছিলাম। তখনতো মজাই মজা!
সাজাটা বুঝেছিলাম ওঠার পরে! উরি গরম। গায়ে জামা রাখতেই পারছিলাম না।
পরে যেখানে ফলসের কারণে বাতাসের বেগ বেশী সেখানটায় আধ ঘন্টাখানেক শরীর জুড়িয়ে তবেই ফেরা!

দারুন মানে দারুন এক প্রকৃতি দর্শনে আমাদের ভার্চুয়াল সংগী করায় ধন্যবাদ।
বিনা কষ্টে বিনা ক্লেশে কি সুন্দর আমরাও ঘুরে এলাম, দেখলাম, অনুভব করলাম সব :)
ক্লান্ত পথিক প্রবরকে শুভেচ্ছা। অল্প বয়সে দারুন বাস্তবতার প্রয়োগিক জ্ঞান আহরিত হলো।
বড্ড বেশী প্রয়োজন এ জ্ঞানের।

অনেক অনেক ধন্যবাদ পদাতিদ দা'
শুভেচ্ছা অন্তহীন

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

প্রথমে ক্ষমা চাইছি প্রতিমন্তব্য দেওয়ার সুযোগ না থাকাতে বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য। গতকাল থেকে আমার পোস্টে প্রতিমন্তব্য কালার সবুজ বাটন ছিলনা। বেশ কয়েকবার লগইন-লগআউট করেও অবস্থার হেরফের হয়নি। আজকে লগইন করে সবকিছু স্বাভাবিক দেখছি।

হুড্রু ফলস ভারতের অন্যতম বৃহৎ জলপ্রপাত।ইতিপূর্বে আমার দেখা সমস্ত জলপপাত গুলোর মধ্যে হুড্রু ফলস সবচেয়ে প্রাণবন্ত এবং বৃহৎ বটে। ছোট বেলায় পড়া , কোনো এক লেখকের ডুডুমার জলপ্রপাত সম্পর্কে লেখা মেঘ গর্জনের ভাষায় ডুডুমা আমাকে ডাকছে। বাস্তবে হুড্রু ফলসের আকাশ ভেদি শব্দ বহুদূর থেকে আমরা অনুভব করেছিলাম। আমি যেন খুঁজে পেয়েছিলাম শৈশবে পড়া সেই লাইনটির সঙ্গে, মেঘ গর্জনের ভাষায় হুড্রু ফলস আমাকে ডাকছে।'
আর অমন প্রাকৃতিক দৃশ্য মনের সমস্ত বিষণ্নতা, হতাশাকে দূর করতে বাধ্য।
তবে জল বরফের মত ঠান্ডা। আমি একটা বোল্ডারের উপরে বসে সামান্য পা ডুবিয়েছিলাম। তাতেই মনে হয়েছিল পায়ে যেন কোন সাড় নেই। এর মধ্যে একটু দূরে কয়েকজনকে পুণ্য স্নান করতে দেখেছিলাম। তাদের স্নান করে উঠে খালি গায়ে ঠকঠক করে কাঁপুনিটি ঠিক স্বাভাবিক বলে মনে হয়নি। এ প্রসঙ্গে আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতার পরিচয় পেয়ে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপনাদের বিনা পয়সায় এভাবে ঘোরাতে পেয়ে আমিও যেতে মত আনন্দিত। বালা যেতে পারে এক ধরনের নেশা পেয়ে বসেছে।আপনাদের পিছনে পয়সা খরচ না করেও ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার এমন সুযোগ হাতছাড়া করি কি করে? হাহা হা....
ক্লান্ত পথিক প্রবরের শুভেচ্ছার জন্য আবারো ধন্যবাদ। আপনার শুভেচ্ছা বাবা হিসেবে আমি গ্রহণ করলাম।

আপনার জন্যও আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা রইলো।

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

নিভৃতা বলেছেন: মাধবকুণ্ড দেখেন নি জেনে কষ্ট পাইলাম। শীঘ্রই আগের পর্বগুলো পড়ে ফেলবো।

আমার কাছে আসলেই ছবিগুলো অসাধারণ লেগেছে।

ভালো থাকবেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু মাধবকুণ্ড দেখিনি কিন্তু সমগোত্রীয় কুন্ডু দেখেছি এই আর কি। আবার মন্তব্যে আসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন আগের পর্বে পড়বেন। আমি ইতিমধ্যে এই সিরিজের প্রথম পর্বে আপনার মন্তব্য পড়েছি। কিন্তু গতকাল আমার কোনো প্রশ্নের প্রতিমন্তব্য করার সবুজ বাটন না থাকায় কোনো প্রতিমন্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরকম সমস্যায় অবশ্য আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার পড়েছি। কাজেই অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

ছবিগুলো ভালো লাগাতে চমৎকৃত হলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।

৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা, আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ।

রেলস্টেশনের বিষয় গুলো জেনে ভালো লাগলো।
বাড়ির কাজ কতদূর?
ট্রেনের টিকিট চার মাস আগে কাটতে হবে কেন? পরে যদি সিডীউলে গন্ডগোল হয়?
আমাদের এখানে ঈদের ১৫/২০ দিন আগে টিকিট কাটলেই হয়। অবশ্য আমাদের দেশটা ছোট। ভারত তো বিশাল।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাইয়ের আবার কমেন্টে আসাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ রইলো। দোতলার ছাদ ঢালাই হয়ে গেছে। বাকি কাজ এই মুহূর্তে থেমে আছে। এখন বোর্ড পরীক্ষা চলছে। প্রচন্ড কড়াকড়ি। তবে আশা করছি পরের সপ্তাহ থেকে আবার কাজ শুরু করতে পারবো।
ভারতের ট্রেনের টিকিটের প্রচন্ড চাহিদা। চার মাস আগে যেদিন থেকে টিকিট চালু হয় সেদিন থেকেই বহু পর্যটক টিকিট কেটে রাখে। কয়েক দিন পিছিয়ে গেলে আর.এ.সি হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ওয়েটিং এ থাকা মানে টিকিট নাও মিলতে পারে। এজন্য এখানে যারা ঘুরতে পছন্দ করেন, ছুটি দেখে সেই মতো চার মাস আগেই টিকিট কেটে রাখেন। কোন কারণে ট্যুর বাতিল হলে টেকিট রিটার্ন পাওয়া যায় তবে অনেক টাকা রেল কেটে নেয়। আমার নিজেরই একাধিকবার এমন ঘটনা গেছে।

১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

শের শায়রী বলেছেন: বিভুতিভুষন, বুদ্ধদেব গুহ বা যারাই আপনার প্রকৃতি নিয়ে লিখছে প্রায় সবার লেখায়ই এই লাইন টি চলে এসেছে, "পাক কুন্ডির দন্ডি বেয়ে উঠে আসা" হয়ত ভিন্ন ভাবে কিন্তু আসছে। আর পাহাড়ি জীবনের সাথে হাড়িয়া মহুয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত। :)

প্রিয় ভাই আপনার ঝরঝরে লেখার প্রতিটা পর্ব অত্যন্ত আনন্দ সহকারে পড়ছি। ভাতিজারে ভালোবাসা দেবেন। ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শায়রী ভাই,

হ্যাঁ ওই পরিবেশে না গেলে কুন্ডীকে ঠিক অনুভব করা যাবে না। ছোটনাগপুর জঙ্গলে বিস্তার এক বিস্তীর্ণ এলাকা ব্যাপী। যারাই প্রকৃতির প্রেমে পা দিয়েছেন তারা তাদের মত করে কুন্ডিতে পাক খাবেন বা জড়াবেন এটা খুব স্বাভাবিক। সাথে আদিবাসী জনজাতির যেহেতু জঙ্গল মহলেই বাস। তাদের সমস্ত হতাশা বঞ্চনা যেন দূরীভূত হয় হাড়িয়া পানের মধ্য দিয়ে।
ওদের বিবাহের মত সমস্ত শুভ কাজে বনদেবতাকে তুষ্ট করতে হারিয়ার নৈবেদ্য দেওয়ার রীতি আছে। এমনকি বিবাহ অনুষ্ঠানেও দেদারসে হাড়িয়া খাওয়ার প্রচলন আছে। আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে আমার সামান্য একটু পরিচয় আছে। সরলতায় পরিপূর্ণ ওদের জীবনরীতি ভারি চমৎকার।
লেখা ভালো লাগাতে প্রীত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে। ভাতিজার ভালোবাসা সানন্দে গ্রহণ করলাম আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
পোস্টে লাইক করার প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকেও।



১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপরের সকল মন্তব্যকারীকে ধন্যবাদ, পোস্টটি পাঠ করে আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য রেখে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি দুর্ভাগ্যের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমার এই মুহূর্তে ব্লগে প্রতি মন্তব্য করার অপশনটি আসছে না। জানিনা কখন আসবে...
আপনার জন্য তো বটেই এমনকি পরবর্তী মন্তব্যকারী সকলকেও অগ্রিম ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গতকয়েকদিন ধরে এই সমস্যায় আমি খুব ভুগছি যে প্রতিমন্তব্য দেওয়ার সবুজ বাটনটি আসছে না। ফলে বিরক্ত হয়ে অন্য কোনো পোস্টে কমেন্ট করতেও ভালো লাগে না।

১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা! কিন্তু আমার মাথায় শুধু ৭৫০ সিড়ির ধাপ!!
(৭৫০*৪) ইন্চি=৩০০০ ইন্চি= (৩০০০/১২) ফিট = ২৫০ ফিট!!!

ক্লান্ত পথিকবরের জন্য শুভেচ্ছা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনার বিষয় অংক আমাদের চটাপট হিসেব করে নিলেন। অথচ আমরা যে অতটা হেঁটে নিচে নেমে আবার উপরে উঠে এলাম অথচ আমাদের মধ্যে এই নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। আপনার হিসাব থেকে বুঝলাম তাহলে সেদিন আমরা আড়াইশো ফিট আপডাউন করেছি। বিষয়টা বেশ অ্যামাজিং লাগছে। সুন্দর হিসাব-হনিকাশের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

বাবা হয়ে ক্লান্ত পথিক বরের শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

এমজেডএফ বলেছেন: সব ধরনের ভয়-ভীতি, বাঁধা-বিপত্তি ও আপদ-বিপদকে জয় করে রোমাঞ্চকর ভ্রমণটি সহি সালামতে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারায় আপনি এবং আপনার ভ্রমণসঙ্গীদের সবাইকে অভিনন্দন! আপনাদের এই ভ্রমণটি ছিল অন্য সাধারণ ভ্রমণের চেয়ে সবদিক দিয়ে ব্যতিক্রম। তাই কখনো একগেঁয়েমী লাগে নি, বরংচ প্রতিটি পর্ব পড়ে সব সময় আনন্দ পেয়েছি।

প্রকৃতি রাজদেওড়ার জঙ্গলে তার রূপ-সৌন্দর্য্য ভ্রমণপিপাসুদের জন্য উদার হৃদয়ে বিলিয়ে রেখেছে। আর আমরা মানুষেরাই সেখানে সৃষ্টি করছি যত বাঁধা-বিপত্তি, বিশৃঙ্খলা, আইনের নামে হয়রানি এবং পরিবেশ বিনষ্টকারী কার্যকলাপ। আমরা আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতার পাশাপাশি রাজদেওড়ার জঙ্গল সম্পর্কেও অনেক অজানা তথ্য জানলাম। দীর্ঘ সময় ও অনেক পরিশ্রম করে রাজদেওড়ার জঙ্গলের বিপদসংকুল ভ্রমণ কাহিনী আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় এমজেডএফভাই,

ভীষণ সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ ট্যুর মোটামুটি গড়িয়ে গড়িয়ে এক প্রকার শেষ হলো বৈকি। আপনার এমন অকৃত্রিম ধন্যবাদ জ্ঞাপনে পুলকিত হলাম; সানন্দে গৃহীত হলো আপনার ধন্যবাদ বার্তা। ভ্রমণ একঘেয়েমি লাগেনি জেনে খুশি হলাম। ‌
মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশে আপনার চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ পেয়ে উৎফুল্ল হলাম। চমৎকারভাবে বর্তমান পারিপার্শ্বিকতাকে অল্প কথায় তুলে ধরেছেন। আপনারা এত সময় দিয়ে আমার মতো বিষয় হীন বিষয়ের বকবকানিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, এটাই আমার শ্রেষ্ঠ পাওনা। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

সবশেষে আপনার শুভাশিসে প্রীত হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা প্রিয় এমজেডএফ ভাইকে ।

১৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: একটা চমৎকার ভ্রমণ শেষ করে কেমন যেন ক্লান্তি চলে এসেছে। তবে ছবিগুলো দেখে আবার সব ক্লান্তি ধুয়ে মুছে যায়।
সফলভাবে সিরিজ শেষ করায় অভিনন্দন।
ভালো কথা, হাঁড়িয়ার স্বাদ কেমন ছিল?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রকি ভাই,

প্রথমেই জানতে ইচ্ছে করছে আপনার বইয়ের বাজার কেমন চলছে সে বিষয়ে। ভ্রমণ সিরিজটি আপনার কাছে চমৎকৃত মনে হওয়াতে পুলকিত হলাম; অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। ছবিগুলো ভালো লাগাতে আবারো ধন্যবাদ।
নাহা ভাই, হাড়িয়ার স্বাদ নেওয়ার ইচ্ছে আপাতত নেই বা ইতিপূর্বে কখনো ঘটেনি।
বাসন্তিক শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ভালো লাগা রইলো

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
রাজদেওড়ার জঙ্গলে ভ্রমন সিরিজ প্রথম থেকে শেষ অব্দি পর্যন্ত পড়তে পারায় ভীষণ ভালো লাগছে । কত ঘটনা-রটনা,
বন্যপ্রাণীর ,প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বন বনান্তর ও ঝর্ণার স্নিগ্ধ জলরাশি সবমিলিয়ে আপনার লেখার সার্থকতা ও আমাদের ভালোলাগা। আজকের জলপ্রপাতের ছবিগুলো সুন্দর।
মেঘ বাবার প্রতি দোয়া রইলো ।
অনেক শুভকামনা ও শুভরাত্রি।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ছোট বোন,

রাজদেওড়ার জঙ্গল সিরিজ ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ রইলো। আমার পোস্টে কি উল্লিখিত বিষয়গুলো ছিল? আহা এমন কমেন্ট যেকোনো আনাড়ি লেখককে লেখার উৎসাহ দিতে বাধ্য। ঠিক যেভাবে আমি নিজে উৎসাহবোধ করছি। বরাবরের মতো প্রিয় বোনের সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম।
মেঘবাবার শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। বাবার পক্ষ থেকে সৌজন্য ধন্যবাদ প্রিয় ছোট বোনকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

জুন বলেছেন: রাজদেওড়ার বনে আপনাদের সাথে ঘুরে ফিরে দেখে নিলাম অচেনা এক মায়াময় জংগলকে। এসব জায়গা থেকে বিদায় নিয়ে আসার সময় মনটা কেমন যেন হয়ে যায় পদাতিক। মনে হয় জীবন থেকে কি যেন হারিয়ে গেলো চিরদিনের মত।
সুন্দর সাবলীল লেখনী। অনেক ভালো লাগা রইলো। হুড্রু ফলসের নামটা আমি মনে হয় প্রথম পর্বেই ছবি দেখে বলেছিলাম নাকি! মনে করতে পারছি না। আবার আপনার কোন এক নতুন যাত্রার সংগী হবার অপেক্ষায়।
+

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু। গতকাল রাতে কমেন্টটি ডিলিট হয়ে গেছিল। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। তখন মাথায় ছিল না যে কমেন্ট আবার ফিরিয়ে আনা যায়। এখন খোঁজাখুঁজি করে আপনার কমেন্টটি ফিরে পেতে মনে যে কি আরাম পেলাম আপু ঠিক বোঝাতে পারবো না। কিছু কমেন্ট পোস্টের উজ্জ্বলতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আপনার কমেন্টটি তেমনি একটি। আপনার ভ্রমণ পিপাসু মনের ছাপ কমেন্টে স্পষ্ট।
মোটের উপর কাহিনী ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।

১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৭

সোহানী বলেছেন: লিখাগুলো আগে পড়লেও মন্তব্য করা হয়নি।

আপনার এ সিরিজটি আমাকে সত্যিকারের জঙ্গলে যেতে তাড়া দেয় প্রতি নিয়ত। আমরা হুটহাট করে চলে যাই সত্য কিন্তু এরকমভাবে নয়। যাতে দিনেই ফিরে আসা যায় সে সব জায়গায় যাই। রাতে থাকা বা কেম্পিং করার অনেক ফরেস্ট আছে কিন্তু আমার কেন যেন ভয় লাগে। বিশেষ করে বাথরুম সংক্রান্ত ঝামেলা মনে পড়লে :P । কারন ওসব ফরেস্টে মোবাইল টয়লেট যা খুবই বিরক্তকর।

তবে পুরো কানাডায় প্রতি মোড়ে মোড়ে এতো বেশী ফরেস্ট যে বেশীদূর যেতে হয় না। এমন কি আমার বাসার পাশে যে ফরেস্ট আছে সেখানে ঘুরে বেড়াতেও একদিন প্রায় লেগে যাবে। এবং হরিন সহ অনেক প্রাণীই থাকে। সামারে প্রায় প্রতিদিন বাচ্চাদের সহ সেখানে ছুটোছুটি করতে যাই। আমার হাতে বই আর ওদের থাকে বল.........

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু। ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় হয়েই থাকে, সময়ে মন্তব্য করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে। ফরেস্ট ভ্রমণ নিঃসন্দেহে অ্যামাজিং। কিন্তু যদি রাত কাটাতে ভয় লেগে থাকে তা সে ক্ষেত্রে কখনোই সেটা করবেন না। বাস্তবে আমাদেরো সে সময়টা খুব সুখকর বলে মনে হয়নি। অথচ দিনের বেলা সেই আশঙ্কা তেমন থাকে না বললেই চলে। বাথরুম সমস্যার কথা প্রাসঙ্গিকভাবে এসেই যায়। আর মোবাইল টয়লেটগুলি আরো বিরক্তিকর। ভ্রাম্যমান টয়লেটের অব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার সঙ্গে আমি শতভাগ সহমত।

আপনার বলার ধরনে মনে হলো যেন আপনার বাসার পাশে ফরেস্টের লেবাস কলকাতায় বসে দেখতে পাচ্ছি। পারলে এমনি একদিনের অভিজ্ঞতার কথা আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

আপনার বই প্রেম ও কচিকাঁচার বল খেলাধুলা নিয়ে সুখানুভূতি বয়ে চলুক।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।

১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৬

আরোগ্য বলেছেন: যাক ভালোই ভালো তোমাদের ভ্রমণ শেষ হয়েছে। আমারও মনে চায় কোন একটা নীল দিগন্তে হারিয়ে যেতে। আহা যদি পারতাম।
আশা করি সবাই ভালো আছো। অনেক কথা বলার আছে কিন্তু মেইল করার জন্য স্থিরচিত্ত হচ্ছে না।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

ভাবছিলাম তুমি হয়তো পড়াশোনার চাপে থাকায় ব্লগে আসতে পারছোনা। ভালোকরে পড়াশোনা চালিয়ে যাও। হ্যাঁ ভ্রমণ একপ্রকার শেষ করলাম। দুঃখ করোনা । একদিন তুমিও ঠিক প্রিয় মানুষটির সাথে ঘুরে বেড়াবে দিগন্ত থেকে দিগন্তের ওপারে- একথা হলফ করে বলতে পারি।হেহেহে...
হ্যাঁ আমরা সকলে ভালো আছি। আশাকরি তোমরাও সকলে কুশলে আছো। যদি সম্ভব হয় তাহলে তোমার কথা জানাবে।
বাসায় বড়দের উদ্দেশ্যে সালাম ও ছোটদের ভালোবাসা পৌঁছে দিও।‌
শুভেচ্ছা অফুরান।

২০| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার একটি ভ্রমণ গল্পের সাথে থাকার আনন্দ ই আলাদা !
ধন্যবাদ আমাদের সাথে নেয়ার জন্য।

শুভ কামনা আপনাদের সবার জন্য।

০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি আপু,

দিল্লির ঘটনায় মানসিক ভাবে অসুস্থ; মর্মাহত বৈকি। জানিনা কবে ব্লগে স্বাভাবিক হতে পারবো..

২১| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০১

ইসিয়াক বলেছেন: দেরীতে হলেও এলাম শেষ পর্যন্ত । বরাবরের মতো ভালো লাগা। কুন্ডির পাশে বসে না হয় একটা কবিতা লিখতেন। যে কাব্যিক বর্ণ
না :P
শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা রইলো।
মেঘবাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে... আপনি আসবেন না মানে! আপনি না এলে যে আমি পরের পর্ব দিতাম না। হেহেহে.

কুণ্ডীর ধারে বসে কবিতা লিখবেন তো আপনারা। আমরা বরং নির্মল আনন্দে সময় ব্যয় করবো। পারলে দু-চারটা গদ্য লিখে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। তার-ই এক ক্ষুদ্রপ্রয়াস আলোচ্য পর্বটি।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

২২| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

রাজদেওড়ার জঙ্গলে ঘুরে এলাম
আহ ! কি অপূর্ব আর নিখুত বর্ণনা!!
অন্তরে গেথে রইবে অনেক দিন।

২৭ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আমার কোন পোস্টে এলেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত বোধ করছি; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

পেশাগত কাজে আপনাকে প্রচন্ড পাবলিক ডিলিংস করতে হয়। খুব সাবধানে থাকবেন। ভালো থাকবেন সবসময়।

২৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪২

আমি রানা বলেছেন: অসাধারন

৩১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট। সুস্বাগতম আপনাকে।
মন্তব্য সম্পর্কে জানাই একটি পোস্টে অনেকগুলো বিষয় থাকে। এই পোস্ট কোন বিশেষ কারণে আপনার কাছে অসাধারণ লাগলো বিষয়টি উল্লেখ করলে খুশি হতাম।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: রাজদেওড়ার জঙ্গলে[/sbর শেষ-পর্বটিও যথারীতি ভাল হয়েছে। হুডু ফলস এর ছবিগুলো সুন্দর।
দেহাতি লেবু কী ধরণের লেবু? আমি আগে নামটি শুনিনি বলে জিজ্ঞেস করলাম।
পোস্টে ভাল লাগা + +।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রাজদেওড়ার জঙ্গলের ভ্রমণ অভিজ্ঞতার শেষ পর্বটিও যথারীতি ভালো লাগাতে প্রীত হলাম অশেষ ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। হুড্রু ফলসের দৃশ্যটি দেখা স্মরণাতীত কালোর মধ্যে অন্যতম প্রধান মোহনীয় স্থান। ক্ষিপ্র গতিতে সশব্দে নেমে আসা বিরাট জলরাশির নিচে পতিত হওয়ার সেই দৃশ্যটি এখনো যেন চোখের সামনে দেখতে পাই।
সেদিন জলপ্রপাত নামার সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় পাতিলেবুর মতো কিন্তু আকারে যথেষ্ট বড় একরকম লেবু দেখতে পাই। দোকানিকে জিজ্ঞেস করতেই জানালো যে স্থানীয়রা ওকে দেহাতি লেবু বলে। সাধারণত আমাদের এখানে বড় কিছুকে হয় বোম্বাই না হয় বিলিতি বা ভাগোলপুরি বলার চল আছে।যেমন- আমের ক্ষেত্রে বোম্বাই আম;আমড়ার ক্ষেত্রে বিলিতি আমড়া বা বিলিতি কুল; গরুর ক্ষেত্রে ভাগোলপুরি গাই- এরকম কথা প্রচলিত আছে। সেদিন ওখানে লেবুর মতোই আকারে অনেকটাই লম্বা ও সরু একরকম মোরগ ও মুরগি ঘুরতে দেখে জেনেছিলাম। ওগুলোও দেহাতি মোরগ মুরগি নামে পরিচিত।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

২৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমজেডএফ আপনার এ সিরিজের প্রতিটি পর্বেই মনে হয় চমৎকার মন্তব্য রেখে গেছেন।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ স্যার আপনার সঙ্গে একশো ভাগ সহমত। এমজেডএফ ভাইয়ের প্রত্যেকটা কমেন্টটি চমৎকার। কিন্তু বহুদিন ওনাকে আর কমেন্টে না পেয়ে আমি ভীষণই হতাশ। প্রচন্ড মিস করছি ওনাকে। দ্বিতীয় বার কমেন্টে এসে সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.