নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজদেওড়ার জঙ্গলে (পর্ব-৬)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৮



রাজধানীর জঙ্গলে ( শেষ-পর্ব)

আনুমানিক ত্রিশ মিনিট নৌকাবিহার করে আমরা জলাশয় থেকে উপরে উঠে আসি। উল্লেখ্য বাচ্চাদের সঙ্গে নৌকাবিহার করলেও মনের মধ্যে অহরহ নিত্য করতে থাকে কেয়ারটেকারের দেওয়া আসন্ন বৈকালিক পদভ্রমণের অ্যাডভেঞ্চারের কথা । সেই মতো আমরা উপরে উঠতেই দেখি উনিও ততক্ষনে আমাদের জন্য অপেক্ষমান। পরিখা ছাড়িয়ে একটু এগিয়ে আসতেই আশপাশে অন্য কোন টুরিস্ট পার্টিকে না দেখে মনে মনে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লাম। কৌতূহলী দৃষ্টিতে বিভিন্ন গাছ গাছালির মধ্য দিয়ে ইতিউতি খোঁজাখুঁজি করলেও সকালের সেই মোটর গাড়িগুলোর একটিও দৃশ্যপটে পরিলক্ষিত হলো না। অর্থাৎ আমাদের বোটিং করা কালীন সময়েই বহিরাগত সকলেই জঙ্গলের বাইরে চলে গেছেন। এরকম একটা শুনশান পরিবেশে জঙ্গলের পথে আমরা দুটো পরিবার কেয়ারটেকারকে নীরবে অনুসরণ করতে লাগলাম। জঙ্গলের এদিকে বাঘ ভাল্লুক কিম্বা হাতি সাধারণত আসেনা বলে উনি ইতিপূর্বে আমাদেরকে আশ্বস্ত করলেও দলের দুটি বাচ্চার প্রশ্নের পর প্রশ্নের জবাবে কিছুটা বিরক্ত হয়ে, মাঝে মাঝে ভাল্লুক আসার কথা বলতেই আমরা ভয়ে শিউরে উঠলাম। আমরা বড়রা ওনার কথায় উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করতেই ভদ্রলোক মুখে একগাল হাসি এনে জানালেন, বাচ্চাদের সাথে মজা করতেই বলেছিলাম। যাইহোক কথাটা যে একেবারে মজার নয়, সে বিষয়ে মনে কিছুটা সংশয় রেখে আমরা ক্রমশ এগিয়ে চললাম।

জঙ্গলের একটা দিক উঁচু করে লোহার নেটের চাদরে মোড়া আছে। নেটের উচ্চতা ফুট পনেরো/ষোলো হবে বলে মনে হলো। পিঁপড়ের সারির মতো আমরা নেটের কোলঘেঁষে জঙ্গলের দিকে চোখ রেখে এগিয়ে চললাম। অন্তত দেড় কিলোমিটার পথ এভাবে পরিভ্রমণ করার পর আমার শ্রীমান 'আর হাঁটতে পারছি না পাপা, বলে জঙ্গলের মধ্যে বসে পড়তেই আমি বিপদের আঁচ করি। কাজেই ওর পালসরেট বুঝে আর না এগোনোর কথা ঘোষণা করতেই আমার শ্রীমতি ভয়ঙ্করও ততক্ষণ আমার পাশে দাঁড়িয়ে গেল।বাচ্চা হাঁটতে না করার বাহানায় একটু হম্বিতম্বি করলেও আমি আর উচ্চবাচ্য না করে বরং নিরব থেকে শ্রীমানকে আগলে রাখলাম। জঙ্গলের পথে নীলাঞ্জনারা ততক্ষণে কেয়ারটেকারের পিছু পিছু বেশ কিছুটা এগিয়ে গেছে। আমি আবার জোরে চিৎকার করলাম। এবার ওরা ঘুরে দাঁড়ালো। ক্রমশ এগিয়ে এলো আমাদের দিকে। এখন আমার শ্রীমানকে এতটা রাস্তায় হাঁটিয়ে কি করে রুমে নিয়ে যাবো, সে ভাবনায় আমার চিন্তার রাজ্যে আঁধার ঘনিয়ে এলো। যাইহোক উপায়ান্তর করতে, সঙ্গে আনা প্রাচীনকালের ক্যামেরা ও মধ্যযুগীয় মোবাইল ফোনটি মিসেসকে হস্তান্তর করে পুত্রকে সঙ্গ দিতে লাগলাম। কিছুটা খেলাচ্ছলে, আড্ডা দিতে দিতে যাতে সদ্য তৈরি হওয়া পায়ের ব্যথাটা ও বুঝতে না পারে-এভাবে হাঁটতে থাকি।হঠাৎ পথের পাশে একটি সাপের খোলস দেখে গা গুলিয়ে উঠলো। সকালে অফিস কক্ষ সহ আমাদের রুমের আশপাশে কার্বলিক অ্যাসিডের ঝাঁঝালো গন্ধ থেকে বুঝেছিলাম এলাকার শ্বাপদ সম্ভাবনা থাকতে পারে। এক্ষণে কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞেস করতেই উত্তরে ধরা পড়লো বিভিন্ন জাতের বিষধর সাপের উজ্জ্বল উপস্থিতির কথা। যদিও গোটা পদভ্রমণ কালে বিশালাকার কিছু বন্য কেন্নো ও কিছু মৃত পশুর দেহাবশেষ ছাড়া তেমন কিছুই দৃষ্টিগোচর হল না। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি। চলমান বন্য কেন্নোগুলো এতটাই গতিশীল ছিল যে বিভিন্ন ভাবে দেওয়া পোজগুলি হেজি হওয়ায় ব্লগে শেয়ার করা গেল না।

পদভ্রমণ শেষ করে সেদিন সন্ধ্যাবেলায় ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে নিজেদের অতিথি নিবাসে না গিয়ে আমরা দুটি পরিবার সরাসরি অফিসকক্ষের ডাইনিং রুমের সোলার আলোতে সন্ধ্যাকালীন আড্ডায় মেতে উঠি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নেটওয়ার্ক পরিকাঠামো না থাকায় নিকটজনদের সঙ্গে ফোনালাপ বন্ধ হলেও ছবি তোলার জন্যও ফোনের চার্জ দরকার। মূলত এই উদ্দেশ্যে ফোন গুলোকে অফিস কক্ষের সোলার প্লাগ পয়েন্টে চার্জে বসানোও আমাদের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য ছিল। পাশাপাশি অনেকদিন পর আমাদের মতো অতিথিদের আপ্যায়নের সুযোগ পেয়ে বনকর্মীরা খুব উৎফুল্ল হয়েছিল।ওদের চোখ-মুখের ভাষাতে আমরা তার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করেছিলাম। সেদিন উপস্থিত বনকর্মীদের আন্তরিক ব্যবহারে আমরা সাময়িক ভাবে ভুলে যাই যে আমরা জঙ্গলে রাত কাটাতে এসেছি। সন্ধ্যার আসরে দু-দুবার জম্পেশ করে চা ও মুড়ি মাখিয়ে পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে সেদিন ওরা নিজেদের সুহৃদের পরিচয় তুলে ধরেছিল।

যাইহোক এরকম সন্ধ্যাকালীন আড্ডায় সময় কাটানোর উত্তম মাধ্যম হলো আমাদের কাছে, গানের লড়াই। দলের খুদে সদস্যরা ভীষণ উপভোগ করে সান্ধ্যকালীন এমন আড্ডায় মেতে উঠতে। কথায় ও আড্ডায় কখন যে রাত ন'টা বেজে গেছিল সেদিকে আমাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিল না। হঠাৎ ওনাদের একজনের খাবারের কথা স্মরণ করাতে উপলব্ধি করি যে মধ্যপ্রদেশে বেশ চিন চিন করছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ততক্ষণে রাত নটা বেজে গেছে। তড়িঘড়ি করে খাবার পর্বটি সমাধা করে আনুমানিক রাত সাড়ে নটা নাগাদ কেয়ারটেকারের বড় একটা টর্চের সৌজন্যে আমরা পা বাড়াই নিশি যাপনের জন্য নিজেদের অতিথি নিবাসের উদ্দেশ্যে। তার আগে উনি টর্চটা চতুর্দিকে মেরে দেখে নিলেন। বেশ কয়েকবার এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে দেখে নেওয়ার পর এবার আমাদেরকে পা বাড়ানোর অনুমতি দিলেন। কিছুটা অগ্রসর হতেই কেয়ারটেকারের হাতের টর্চের আলো আঁধারের মধ্য দিয়ে এক ঝাঁক আলোর বিচ্ছুরণে আমরা সকলেই থমকে দাঁড়ালাম। নিস্তব্ধ নিশুতি রাত্রে ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের গাছের ঘন অন্ধকারের ছাতা যেন আমাদের মাথার উপর মেলে ধরেছে।তারই মধ্যে উনি এবার সরাসরি ঐদিকে চর্ট তাক করতেই পাথরের মূর্তির মতো চোখগুলো যেন স্থির হয়ে থাকলো। অন্যদের কেমন হয়েছিল জানি না, কিন্তু জঙ্গলে এমন বিচ্ছুরিত আলো পরোখ করে নিজের সমস্ত শরীর যেন বরফ-শীতল ঠান্ডা হয়ে গেল। কাল বিলম্ব না করে পুত্রকে দু'হাঁটুর মধ্যে আগলে ধরলাম। বাকীদেরকেও দেখলাম সবাই গুটিসুটি মেরে একটা জায়গায় চলে এসেছে।কেয়ারটেকার হাতের টর্চ জ্বালিয়ে রেখে মুখে সমানে আমাদেরকে ভয় না পেতে আশ্বস্ত করে গেলেন। কয়েক মুহুর্ত পরে প্রাণীগুলি উল্টোপথে যাত্রা করায়, দেখলাম ওগুলো জংলি গরু ছিল। প্রাণীগুলো গরু ছিল নিশ্চিত হওয়াতে মনে মনে বেশ স্বস্তি পেলাম। সাথে ওদের ফিরে যাওয়া দেখে মনে সম্বিতও ফিরে পেলাম। আমি ডুয়ার্সের জঙ্গলে বাইসান দেখেছি কিন্তু এগুলো একেবারেই সে রূপ নয়। নেহাত গরু বলেই মনে হলো, অথচ চেহারার চাকচিক্যে এমন দোদুল্যমান চতুষ্পদীকে ইতিপূর্বে কখনোই যে দেখিনি-একথা অস্বীকার করব না। যাইহোক আমরা আরও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে টর্চের আলোয় ওদের প্রত্যাগমন প্রত্যক্ষ করতে লাগলাম। একেএকে সবগুলি অদৃশ্য হতেই আমরা আবার লক্ষ্যে পা বাড়াই। রুমে ঢুকে মনে মনে ভাবতে থাকি,এমন বন্য প্রকৃতিতে সামান্য গরু দেখে মনের মধ্যে যে ধুকপুকানি শুরু হয়েছিল তা অমন বিশেষ পরিবেশে না পরলে অনুভূত হওয়া সম্ভব নয়।

জঙ্গলে সাপের উপদ্রবের কথা আগেই বলেছি। সেই আশঙ্কায় সেদিন রাতে ঘরে না ঢুকে দরজার মুখে দাঁড়িয়ে টর্চের আলোতে ঘরের প্রতিটি স্থান ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে তবেই ঘরে প্রবেশ করি। রাতে আলোর ব্যবস্থা বলতে রিসেপশন থেকে আমাদেরকে দেওয়া একটি মাত্র মোমবাতি।তারই আলোয় সঙ্গে নেওয়া খবরের কাগজ গুলোর মধ্যে কয়েকটি মন্ড পাকিয়ে ঘরের যতটা সম্ভব ফাঁক ফোকর গুলো বন্ধ করতে চেষ্টা করি। অস্বীকার করব না যে পরিবারের সামনে বাচ্চার কথা ভেবে এভাবে লক্ষিন্দারের বাসর ঘরের মতো নিশ্ছিদ্র করি ঠিকই কিন্তু ওই মুহূর্তে পৃথিবীর ভীতুতম মানুষটি যে আমি, সে কথা নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে।বাইরে হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হলেও এভাবে দরজা জানালা বন্ধ করায় ঘরের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। জানালাগুলো ভীষণ শক্তপোক্ত লোহার তৈরি। যে কোন প্রাণীর আক্রমণ থেকে একেবারে নিরাপদ বলে মনে হলো। যাইহোক এরকম দম বন্ধ পরিস্থিতিতেও মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখে, মশারিটা কোনক্রমে গুঁজে দিয়ে আমরা এক সময় চলে যাই স্বপ্নের জগতে। মাঝরাতে নিদ্রাদেবী হঠাৎ বিরূপ হলেন। চোখ মেলে দেখি মোমবাতির আলো ততক্ষণে অদৃশ্য হয়ে গেছে। ঘন অন্ধকারে গলার নিচে হাত দিয়ে বুঝতে পারি যে ঘেমে অনেকটা ভিজে গেছি। পাশে নিদ্রামগ্ন বাবার এর গলায় হাত দিতেই দেখি পরিহিত পোশাক অর্ধভেজা। একটু দূরে মেঝেতে চর্ট ফেলতেই দেখি মোমবাতি একেবারে মেঝেতে মিশে গেছে। অগত্যা চর্টের আলোয় বাবাই এর পোষাক বদল করে একটু জল পান করে আবার শুয়ে পড়ি। ভোর বেলা যখন ঘুম ভাঙলো হাজারো পাখির কলকাকলিতে জায়গাটিকে এক অপার্থিব সৌন্দর্যে ভরিয়ে তুলল।

হাজার কলকাকলির মধুরিমায় দুজনকে ঘরে রেখে সঙ্গের মোবাইলটা নিয়ে বের হলাম প্রাতঃকালীন পদ ভ্রমণে। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে আশপাশের উঁচু উঁচু গাছগুলির কোথা থেকে সুরেলা কণ্ঠগুলির উৎপত্তি তা ঠাহর করতে পারলাম না। ইতিউতি উঁকি মারতেই স্নিগ্ধ প্রভাতে হঠাৎ ছন্দপতন হলো। চোখে পড়লো একদল বিভিন্ন আকারের বাঁদরকুল সকালে গাছে চড়তে ব্যস্ত। যেন বাবা-মা তাদেরকে হাতে করে দোল খাওয়া শেখাচ্ছে। পাশাপাশি আরও মনে হলো তিন জেনারেশনের পরিবার নিয়ে তারা মহানন্দে প্রাতঃকাল উপভোগে মেতেছে। গাছের এক ডাল থেকে আরেক ডালে অনবরত দোল খেয়ে চলেছে। একটি মা আবার তারই মধ্যে পরম যত্নে সন্তানকে স্তন দিতে ব্যস্ত। তবে এই জঙ্গলের বাঁদর যথেষ্ট ভদ্র। সেদিন ওদের আচরণের মধ্যে কোন বাদরামির নমুনা চোখে পড়েনি।

এবার কিছু ছবি দেখা যাক পরবর্তী গন্তব্যস্থল হুড্রু ফলসের....








গভীর মনোযোগে মেঘ:-


আবার হুড্রু ফলস:-




বিশেষ দ্রষ্টব্য:-আগামী পর্বে সিরিজটি শেষ হবে।


রাজনগরের জঙ্গলে (পর্ব-৫)



মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১১

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
পোস্টে প্রথম মন্তব্য করতে পারায় আমি আনন্দিত ।

জলপ্রপাতের মনোমুগ্ধকর ছবি দেখে মনটা জুড়িয়ে গেলো । আপনারা কি নেমেছিলেন সেই ঝরনার মাঝে ?
নিশুতি রাতে সাপের বর্ণনায় আমিও কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম অবশেষে ভয়টা কেটে গেল । জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর সাবলীল বর্ণনা আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে । মেঘ বাবা দেখি খুবই চিন্তিত ওকে আমার দোয়া দিবেন । অনেক ভালোলাগা ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম দাদাকে ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,

অনেকদিন পর প্রিয় বোনের প্রথমেই মন্তব্য পেয়ে দাদাও সমান উৎফুল্ল। ধন্যবাদ বোনকে। না, আমরা কখনো কোথাও গিয়ে ঝরনায় নামি না। হুড্রু ফলসের ঝরনার জল প্রচন্ড ঠান্ডা। পাথরের উপরে বসে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ভিজিয়ে বুঝেছিলাম, এত ঠান্ডা যে পা যেন অবশ হয়ে যাচ্ছিল। যদিও তার মধ্যে কিছু ধর্মভীরু মানুষ অনেকটা দূরে গিয়ে স্নান করতে দেখেছিলাম।

নিশুতি রাতে সাপের বর্ণনা বোনের ভালো লেগেছে জেনে দাদা খুশি। তবে এটা গল্প হলে একরকম হতো বৈকি। কিন্তু বাস্তবে সেদিন আমাদের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন হয়ে গেছিল। সে বর্ণনা ঠিক ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। হাহাহা....
হ্যাঁ মেঘ বাবা তখন একটা খেলনা তৈরিতে মগ্ন ছিল। আন্টিমণির শুভাশিষ মেঘ বাবা অন্তর থেকে গ্রহণ করেছে। বাবার পক্ষ থেকে আন্টিমণির জন্য রইলো আবারো ধন্যবাদ।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানাই।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।


২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৮

করুণাধারা বলেছেন: ছবিগুলো অতি চমৎকার- পোস্ট না পড়ে লাইক!

অনেক রাত হয়ে গেছে- তাই পোস্ট পড়া আপাতত মুলতবি।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনি আমাকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন। ব্যস্ততার কারণে আপনার পোস্টে এখনো কমেন্ট করতে পারিনি। আজ প্রতিমন্তব্য দিতেও যেমন সারাদিন সময় করতে পারিনি। আপনিও প্রচন্ড ব্যস্ত মানুষ। সময় পেলে আবার আসবেন অপেক্ষায় রইলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই এই জংলি গরুগুলোর কি আলাদা কোন বৈশিষ্ট্য আছে? আমে আমি বুজাতে চাচ্ছি যেমন বাইসন বা নীল গাইয়ের আছে। লেখায় ভালো লাগা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাই,

টর্চের আলোতে যা দেখলাম, গরুগুলো প্রচন্ড স্বাস্থবান ও খুব শক্তিশালী বলে মনে হলো। টর্চের আলো পেয়ে যেমন ওরা পাথরের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে গেল, আবার ঠিক কয়েক মুহূর্তে পরে যখন আলোর হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে উল্টোপথে ছুটে গেলো তা দেখে আর যাইহোক আমাদের এলাকার গোবেচারা মার্কা গরু বলে মনে হলো না। একইসঙ্গে সিং জাতীয় এরকম কিছু আলাদা ভাবে দেখার সুযোগ হয়ে ওঠেনি।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় শায়রী ভাইকে।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২১

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



প্রবাদে আছে, গুনীরা যেখানে পা দেয়, সেই জায়গা স্বর্ণের চাদরে মুড়িয়ে যায়।

উপন্যাস দিয়ে ব্লগ মাতিয়ে এখন ভ্রমণ সিরিজ দিয়ে পাঠকদের হৃদয় কেড়ে নেওয়া চট্টিখানা কথা নয়, শুধুমাত্র মেধাবী লেখকদের পক্ষে এহা অর্জন করা সম্ভব।

দাদা আপনার লেখক জীবনের ভবিষ্যত উজ্জল নক্ষত্রের মত উজ্জল হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

লেখায়, +++
লিখতে থাকুন, সাথে আছি
শুভ কামনা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শাহিন ভাই,

আশা করি ভাল আছেন। আপনার চমৎকার অনুপ্রেরণাধর্মী মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ জানবেন।‌
প্রবাদটি খুবই সুন্দর। কিন্তু নিজেকে একজন হাতুড়ে লেখক হিসেবেই জানি বা বুঝি। ব্লগে আরো অনেক গুণীজন আছেন। প্রবাদটি নাহয় ওনাদের জন্যই তোলা রইলো। হেহেহে....
মন্তব্যের শেষ অংশের জন্য আবারো মুগ্ধতা। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। এমন করে আগামীতেও যদি এভাবেই পাশে থাকেন তাহলে মনে বাড়টি বল পাবো।
পোস্টে লাইক ও ট্রিপল প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।


৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: সে শুধু আপনাদের কেয়ারটেকার নয় গাইডও বটে।
রাজদেওড়ার জঙ্গলে প্রচুর সাপ আছে। তাই কার্বলিক এসিড দেওয়া হয়। তীব্র গন্ধ তাই সাপ আসে না।
পুরো ভারত জুড়েই প্রচুর সাপ আছে। এসব সাপের বেশির ভাগই বিষাক্ত নয়। মাটর ৩০% সাপ বিষাক্ত। অথচ ভুল বুঝে মানুষ সাপ মেরে ফেলে।
ঝরনা গুলো অতি মনোরম। ঝর্নার পানিতে গোছল করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন, শুধু কেয়ারটেকার নন, তিনি একজন গাইডও বটে।
সাপের প্রসঙ্গে ঠিক এভাবে শুনিনি তবে কথা বলে মনে হয়েছে ওখানে বিষধর সাপের ভয় আছে। শহরে ফাঁকা জায়গা না থাকায় সাপের উপদ্রব বেশ কম। সে তুলনায় গ্রামের দিকে সাপের উপদ্রব অত্যন্ত বেশি। প্রতিবছর ভারতের গ্রামের বহু মানুষের সর্পাঘাতে মৃত্যু হয়।আর এখান থেকেই আসে সাপের প্রতি আমাদের বিদ্বেষ।

ঝরনার জল অত্যন্ত ঠান্ডা। তার মধ্যেও দেখলাম কিছু ধর্মভীরু মানুষ প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ঝর্ণার জলে স্নান করছে।
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসামান্য ভাবনায় নান্দনিক লেখনী ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ছোট্ট নান্দনিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু- স্বাগতম আপনাকে। আশা করি এখন থেকে আপনাকে নিয়মিত পাবো।

শুভকামনা জানবেন।

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভারতে এই বন্য গরু কি খাওয়া যায়, নাকি এদেরকেও পুজা করে!! B-)

আপনি পরিবার নিয়ে জঙ্গলে যেভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন, সেটা আপাতঃদৃষ্টিতে এডভেন্চার মনে হলেও সুবিবেচনাপ্রসূত ছিল না। আল্লাহর রহমতে বিপদ হয়নি ঠিকই, তবে বিপদ যে কোনও সময়েই হতে পারতো। আমি তো আপনার বর্ণনাতে পদে পদে সম্ভাব্য বিপদের গণ্ধ পেলাম!

হুড্রু ফলসের একই রকমের অনেকগুলো ছবি দেখে ভালো লাগলো.....ভাবছি, পরের পোষ্টে ভিন্ন ভিন্ন ছবি দেখে যথেষ্ট পরিমানে মজা পাবো কিনা!! :P

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মফিজ ভাই,

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আপনার সুন্দর সতর্কতামূলক মন্তব্যের জন্য। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন আনন্দের আতিশয্যে হোক বা অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় বুঁদ হয়ে হোক পরিবার নিয়ে বোধহয় একটি বড় বেশী ঝুঁকি হয়ে গেছিল। আসলে এরকম অরণ্য পরিবেশে বউ বাদ দিয়ে ভ্রমণ করাটাই বোধ হয় বেশি নিরাপদ।
ছবি প্রসঙ্গে জানাই, সিরিজটি একেবারে শেষের দিকে হাওয়ায় মোটামুটি সংগৃহীত ছবি প্রায় সব শেয়ার করা হয়ে গেছে। আগামী পর্বে আমরা রাজদেওড়ার জঙ্গল থেকে হুড্রু ফলসে প্রবেশ করব। সেক্ষেত্রে ছবিতে বৈচিত্র আনতে পুরানো ছবিগুলিই আবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা প্রিয় মফিজ ভাইকে।




৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

হাবিব বলেছেন: দারুণ ফলসগুলো ...... দেখে দেখে খুব যেতে ইচ্ছে করছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ সত্যিই অসাধারণ লাগলো খালি চোখে ফলসটি প্রত্যক্ষ করে।
তবে দুঃখের কারণ দেখিনা।একটু সময় নিয়ে আসুন, ফলসস দেখানোর দায়িত্ব আমার।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।


শুভকামনা প্রিয় হাবিব ভাইকে।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নীল আকাশ বলেছেন: পোস্ট দারুন। ছবিগুলি খুব সুন্দর লেগেছে।
ধন্যবাদ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ছোট্ট কমপ্লিমেন্টে ভীষণ আনন্দ পেলাম। ছবিগুলো ও পোস্ট ভালো লেগেছে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ! চমৎকার !!
আপনাদের জঙ্গল জীবন, আড্ডা পর্ব হিমহিম গাঁ ছমছম পরিবেশ ! সব মিলিয়ে দারুণ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ পোস্ট রানিং অবস্থায় আপনাকে পেয়ে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। একটা মন্তব্যের মধ্যে যেন গোটা ভ্রমণ সিরিজটি ঢুকে গেছে। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা জানবেন।

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা মন্তব্যের উত্তর কখন দিবেন??
বাড়ির কাজ কত দূর??

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে... ভাইয়ের কমেন্ট সহ সব কমেন্টের উত্তর ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছি। বাড়ির কাছেই সব সময়টা চলে যাচ্ছে। কিন্তু কি আর করব। পরের সপ্তাহে দোতলার ছাঁদ ঢালাইয়ের কাজ হবে বলে মোটামুটি ঠিক করা হয়েছে।

শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।

১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরিব্বাস! কাচ্চা বাচ্চা নিয়ে এরকম দু:সাহসিক এডভেঞ্চার!!!!
মাইরি, সাহস আছে বৈকি! :)

দারুন বর্ণনায় পুংখানুপংখ অনুভব করতে পারছি।
ফলসের মন মুগ্ধকরা ছবিতে মুগ্ধতা
তবে এটা ঠিক মেঘের হৃদয়ে যে সাহস আর ভ্রমনের বীজ বুনে দিয়েছেন তা অনন্য।
বাকী জীবনের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

++++

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

আপনার না দেখা পেয়ে ভাবছিলাম বোধহয় বইমেলা নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত আছেন। কিন্তু শত ব্যস্ততার মধ্যেও যে সময় নিয়ে পোস্টটি পড়েছেন এতে ভীষণ খুশি হলাম। হ্যাঁ একটু দুঃসাহসিক হয়ে গেছিলে বৈকি। তবে সে সময় আর পিছিয়ে আসার রাস্তা ছিল না।
বর্ণনা ও ছবি দারুণ মনে হওয়াতে মুগ্ধ হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
আর পড়াশোনা না করে সারাবছর ঘুরে বেড়াতে পারলে মেঘ বিন্দাস থাকে। আপনার এমন অনুপ্রেরণা সূচক কথা শুনলে ওকে আর পায় কে। হাহাহাহা..
পোস্টে লাইক ও ত্রিপল প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা শ্রদ্ধেয় কবি ভাইকে।


১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

ইসিয়াক বলেছেন: সাপে কিন্তু আমার দারুণ ভয় । আপনার সাহস আছে বলতে হয় , তবে এতোটা রিস্ক নেয়াটা ঠিক নয়।
মন্তব্য লিখতে গিয়ে দেখছি কবিতা হয়ে যাচ্ছে।
যা হোক ছবিগুলো সুন্দর। ভ্রমণকাহিনী ভালো লাগছে।
শুভকামনা রইলো।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহা আমার সাহসিকতার পরিচয় পেয়ে আপনি যে আমাকে বীরপুরুষের তকমা দিয়েছেন, এতে পুলকিত বোধ করছি। ধন্যবাদ প্রিয় ইশিয়াক ভাই আপনাকে। মন্তব্য লিখতে গিয়ে যদি কবিতা হয়ে থাকে তাহলে সেটা দিলেন না কেন? আমি কিন্তু মাইন্ড করেছি হাহাহাহা।
কাহিনী ও ছবি ভালো লাগাতে প্রীত হলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অপরের শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩০

এমজেডএফ বলেছেন: কিছুদিন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় ব্লগে খুব একটা আসতে পারি নাই। এর মধ্যে আপনার রাজদেওড়ার জঙ্গলে আরো দুই পর্ব এসে গেছে! আমাদের দেশে সরকারি ব্যবস্থাপনা মানে জীর্ণ, আবর্জনা ও দুর্নীতির আঁখড়া। সবকিছু মিলে যা বুঝলাম জঙ্গলের এমন অব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে পরিবার নিয়ে আসাাটা ঠিক হয়নি। আশাপাশের এ রকম জঙ্গল পরিবেশে দীর্ঘদিন খালি থাকা বাংলোগুলোতে সাপ থাকাটা স্বাভাবিক। সাপের ব্যাপারে আমার তো রীতিমত ফবিয়া! তারপরেও আপনাদের কোনো দূর্ঘটনায় পড়তে হয়নি জেনে আশ্বস্থ হলাম। শেষ পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, "শেষ ভালো যার, সব ভালো তার।"

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় এমজেডএফ ভাই,

ঠিকই বলেছেন দৈনন্দিন জীবনে মাঝে মাঝে এমন ব্যস্ততা আসে যে সামান্যতম ফুরসৎ পাওয়া যায় না সেখানে ব্লগিং করা তো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে। ব্যস্ততা কাটিয়ে ব্লগে এসে মন্তব্য করেছেন দেখে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার দেশের যে অভিজ্ঞতার কথা বললেন তা যেকোনো গনতান্ত্রিক দেশের পক্ষে অশনি সংকেত। শাসকগোষ্ঠী বিভিন্নভাবে যুক্তি খাড়া করতেই পারেন। কিন্তু তা মানব সমাজের পক্ষে এক প্রকার অভিশাপ বৈকি।
ভারতেও মোদীজি হিন্দুত্বের জিগির তুলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে উৎখাত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। মহামানবের তীর্থস্থান আজ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। কিছু বললেই দেশদ্রোহীর তকমা লাগিয়ে এক চূড়ান্ত নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। জানিনা এর শেষ কোথায়....

পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই দেওয়ার ইচ্ছা আছে। আশাকরি বরাবরের মতো আপনাকে পাশে পাবো।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।





১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৬

আনমোনা বলেছেন: গা ছমছম করছে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্ট পড়ে আপনার গা ছমছম করলেও ভয়ের কোন কারণ নেই। কিন্তু আপু সেসময় আমরা বেশ চিন্তিত ছিলাম তা অস্বীকার করতে পারিনা।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

নজসু বলেছেন:


কেমন আছেন প্রিয় ভাই আমার?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপরওয়ালার ইচ্ছায় খুব ভালো আছি। অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে পেয়ে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি আপনিও কুশলে আছেন।

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৮

আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি,
কেমন আছো?
দুপুরে পড়েছি পোস্ট কিন্তু মন্তব্য করার সময় পাইনি কারণ ক্লাস ছিলো৷ গানের কলি খেলার পর্বটি বেশ ভালো লাগলো , এটা আমার অন্যতম প্রিয় খেলা, ভাঙা বেসুরো গলায় ভালো চ্যাচানো যায়।
ভাগ্যিশ গরু ছিল, আমি তো প্রেতাত্মা ভেবেছিলাম। তোমাদের রাতের বেলা বিদঘুটে অন্ধকারের কাহিনি শুনে আমার অবস্থা মনে পড়ে গেল। এহেন পরিস্থিতিতে আমি চুপচাপ চোখ বন্ধ করে রাখাই শ্রেয় মনে করি, কে জানে অন্ধকারে কি চোখে পড়ে। তবে ভোরবেলার কলকাকলী খুব মিস করছি।
আচ্ছা আমার কথায় আসি। চার তারিখে একটা পরীক্ষা হয়েছে, খুুব ভালো হয়েছে। শেষবার ২০১৬ তে পরীক্ষা দিয়েছিলাম, অনেকদিন পরে মুহূর্তটা বেশ উপভোগ করেছি। রেজাল্ট দিলে জানাবো।
পরের পর্বের জন্য শুভকামনা রইল।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

তোমার বিলম্বিত আগমনেও আনন্দ পেলাম। আমি জানতাম তুমি এখন পড়াশোনায় খুব ব্যস্ত আছ। আশানুরূপভাবে তোমাকে পড়াশোনায় ব্যস্ত দেখে ভীষণ খুশি হয়েছি। পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে জেনে আনন্দ পেয়েছি। আশাকরি রেজাল্টও ততটাই ভালো হবে। পড়াশোনা যে এখন উপভোগ করছ এক দারুণ মজার বিষয়। আশা করি তোমার বাকি জীবনটাও এতটাই উপভোগ্য হয়ে উঠুক।
গানের কলি খেলা তোমারও ভাল লাগে জেনে খুশি হলাম। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে একটা রঙিন মন আছে। অবসরে আমরা যে মনের ছবি আঁকি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে। মন নিয়ে এমন কলি খেলা চলতে থাকুক নিরন্তর.....

হাহাহা জঙ্গলে গরুগুলোর কথা শুনে দূর থেকে তোমার পেতাত্মা মনে হতেই পারে। কিন্তু সেদিন প্রথমেই যে আমাদের আত্মারাম খাঁচাছাড়ার উপক্রম-সেকথা স্বীকার করতে পারিনা।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবে।

অফুরান শুভেচ্ছা রইল।



১৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সাপবিচ্ছু ডর লাগে। মনোমুগ্ধকর ভ্রমণকাহিনী।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ভাইজানকে। আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু-স্বাগতম আপনাকে।
সহমত আপনার সঙ্গে সাপের ভয়ে আমিও ভীষণ ডরাই।
কাহিনী ভালো লাগাতে পুলকিত হলাম আবারো ধন্যবাদ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি আরও কয়েকবার আপনার ব্লগে এসেছি, ছবি দেখেছি। সবার ব্লগে ভয়ে মন্তব্য করি না, অনেকে আমাকে সহ্য করতে পারে না। আজ আপনার লেখা আমাকে নির্ভয় দিয়েছে। আপনি সত্যি শৌখিন লেখক এবং ভ্রমণবিলাসী। লেখার কলাকুশল জানেন এবং ষোলাকলা বুঝেন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাইয়ের আবার আগমনে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন সবাই সব রকম কমেন্ট সহ্য করতে পারে না । আমার নিজেরও এরকম কয়েকবার এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। যদিও আমার কাছ থেকে আপনি এমন অসুস্থ পেয়েছেন জেনে আমিও খুশি হয়েছি। আর সৌখিন কিনা সেটা না বুঝলেও ভ্রমণপিপাসু একটু আছি বৈকি। নিজের সংকীর্ণ সামর্থের মধ্যে সময় পেলে আশপাশে কোথাও একটু ঘুরে আসি। তারই কিছু নমুনা ব্লগে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি।
বলতে দ্বিধা নেই আমিও আপনার ব্লগে একাধিকবার গিয়েছি। আপনার শব্দভাণ্ডার অত্যন্ত স্ট্রং। গদ্য লেখার হাত অত্যন্ত শক্তিশালী।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সময় হলে একবার দেখবেন,


আপনি কোন দেশে আছেন?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি পশ্চিমবঙ্গে থাকি ভাইজান। আপনার লিংক ধরে গেছিলাম। আমিতো রীতিমতো প্রথিতযশা সাহিত্যিক। এবার তো আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতেই রীতিমত ভয় পাচ্ছি। আমি সামান্য পাঠক হাতুড়ে লেখক আর আপনি ইতিমধ্যেই 15 টি রচনা সম্ভারের বিরল কৃতিত্বের অধিকারী। কম সময়ে বেশকিছু সাহিত্যকৃতি ডাউনলোড করলাম। আপনার লেখার মান অত্যন্ত উচ্চাঙ্গ মানের। এমন সম্ভারের সন্ধান দেওয়ায় ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি গানও গাইতে পারি :``>>


আপনি কলিকাত্তাই তাই না? ভয় অথবা চিন্তার কারণ নেই, আমি আংরেজদের দেশে বেড়ে বুড়া হচ্ছি, জন্ম দেশে হয়েছিল। আমি শৌখিন লেখক হলেও অন্যমাত্রার সাধক, (মানে এক্কাবারে চমকপ্রদ)। মাত্র ২৫ বছরে একটা শেষ করেছি, ওটা শেষ করার জন্যই আমি অদ্ভুত হয়েছি।

যাক, সত্য প্রেম ব্লগে দিয়েছিলাম, ওটা রিরাটি করছি। কোনো বই সম্পাদিত নয়, আমি মরে যাব ভেবে সব বই আমাজনে প্রকাশ করে নেটে রেখেছি। আমি বেশ অসুস্থ ছিলাম। এসব লেখার কারণ, পরে আপনি প্রশ্ন করবেন, বইয়ে এত বানান ভুল হলো কেমনে? বানানের দিকে আমি তেমন খেয়াল দেই না, এতে আসল কাজে সমস্যা হয়। আপনি হলেন চমৎকারী লেখক এবং আপনার লেখায় চমৎকার আছে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাই,

এইমাত্র আপনার দেওয়া লিংক ধরে দুটি গান শুনে এলাম। প্রথম দুটি গানের মধ্যে আমার যদিও কবিরউল্লাহ গানটি বেশি ভালো লেগেছে। মোটের উপর সুন্দর। তবে গলাটা আরও একটু চড়া হলে বোধহয় আরো ভালো লাগতো। হয়তো সেটের সমস্যা থাকতে পারে। আপনার আগের কমেন্টে প্রতিমন্তব্যে আপনি একজন প্রথিতযশা সাহিত্যিক এটা বলতে চেয়েছিলাম। ওই লাইনটাতে একটু গন্ডগোল হয়ে আছে। গদ্য লেখার পাশাপাশি কবি হিসেবেও আপনার নান্দনিক চিন্তার পরিচয় পেলাম। আর এক্ষণে পেলাম একজন সুধী গায়কের পরিচয়। কবিরুল্লাহ গানে প্রপিকে যে ছবিটা দেখলাম সেটা যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে আপনি একজন ব্যক্তিত্ব শালিনী মানুষ। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এমন একজন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়ে নিজেকে রীতিমতো ধন্য বলে মনে হচ্ছে।

এবার আপনার মন্তব্য সম্পর্কে,
হ্যাঁ আমি বৃহত্তর কলকাতায় থাকি। আপনি ইংরেজদের দেশে আসেন শুনে পুলকিত হলাম। এর আগে কবি রহমান লতিফ ভাইয়ের সঙ্গেও আমাদের খুব সখ্যতা তৈরি হয়েছিল। উনি লন্ডনে থাকতেন। কিন্তু কোন এক অনির্দিষ্ট কারণে দীর্ঘদিন ওনার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। আজ আর এক ব্রিটেনে বসবাসকারী মানুষের পরিচয় পেয়ে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। গতকাল আপনার দেওয়া লিঙ্ক ধরে বিভিন্ন রচনাগুলির ছবি দেখে ও তিনটি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে আপনার সুদীর্ঘ সাহিত্যানুরাগের আভাষ পেয়েছিলাম। এখন কথাতেও বিষয়টি পরিষ্কার হলো। এমন সাধনায় মগ্ন হলে একটু তো অদ্ভুত হতেই হয় বৈকি।

আপনার সত্য প্রেমের সঙ্গেও ইতিপূর্বে আমি পরিচিত হয়েছি। আপনি পাতা আকারে দিতেন। মূলত এখানেই প্রথম আপনার উচ্চাঙ্গ সাহিত্য প্রতিভার পরিচয় পাই। আপনার লেখনীতে উচ্চাঙ্গ শব্দ প্রকরণ, ভাষাশৈলীর নিপুন ব্যবহার প্রভৃতির নিরিখে নিজে হীনমন্যতার কারণে মন্তব্য করার মতো সাহস পাইনি। কিন্তু আপনার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর আপনার নির্মল প্রেমানুভূতির পরিচয় পেয়ে মনের সেই বাঁধা এখন দূরীভূত। যে কারণে এখন সত্যিই অপেক্ষায় থাকি আপনার পোষ্টের...
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।


২২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: বেশ তো রোমাঞ্চকর ঘোরাঘুরি চলছে!
ঝরণার ছবিগুলো চমৎকার, বাস্তবে নিশ্চয়ই আরো বেশি সুন্দর!
সপ্তম পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহা হা.... ঘোরাঘুরি করব না? আমার তো আর আপনার মত বই লেখার ব্যস্ততা নেই। যাক বইমেলায় এত ব্যস্ততার মধ্যেও যে আপনি সময় করে এসেছেন এ আমার পরম প্রাপ্তি। ধন্যবাদ আপনাকে। ঝরনা দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। ঘন্টার পর ঘন্টা কিভাবে সময়গুলো যে পার হয়ে যায় তা ঠিক বলতে পারিনা। এখনো পর্যন্ত দুটি ঝর্ণা আমার হৃদয়ে স্থায়ী দাগ কেটে আছে। সান্দাকফুতে গিয়ে শ্রীখোলা নদীর ঝরনা দেখে অসাধারণ ভালো লাগা অনুভূতি তৈরি হয়েছিল। দুর্গম শ্রীখোলাতে আমরা দুদিন ছিলাম কিন্তু বাস্তবে মনে হয়েছিল আরো কয়েকদিন নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দেওয়া যেতো। তারপরেই এবার হুড্রু ফলসের অনুভূতি যে জীবনে ভোলার নয়।
এবার আপনার বইয়ের ব্যাপারে যদি কিছু বলেন তাহলে বেশি জানতে ইচ্ছে করছে। পরবর্তী পর্ব আগামী দু-একদিনের মধ্যেই দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
শুভকামনা প্রিয় রকি ভাইকে।

২৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমার কবিতা পড়ে একজন হাসাহাসি করেছিল, আমি শব্দকোষ কিনে শব্দ নিয়ে খেলতে শিখেছিলাম। আমার লেখা কবিতাকে আমি গান বলেছিলাম তা শুনে একজন হেসেছিল, সেই গান আমি বেডরুমে বসে গেয়ে কম্পুজিং করেছিলাম।
আমি গাইন বাইন কিচ্ছু নই, রাগ মাথায় উঠলে অসম্ভব সম্ভব করি। এই ব্লগে এক ব্লগার আমাকে বকাবকি করেছিল, পলাশমিঞা নিক বানিয়ে তাদের মাথার মগজ ফেনা করেছিলাম। আপনাদের মত জ্ঞানি-গুণীদের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য ব্লগিং শুরু করেছিলাম। বাস্তবে আমার বন্ধু নেই, আমার লেখা কেউ পড়ে না। ব্লগেই আমার বন্ধুবান্ধব এবং পাঠক।

জিকরুল্লাহ হলো গজল। কয়েকজনকে বলেছিলাম গাওয়ার জন্য ওরা বলেছিল লেখা হয়নি, তাল লয় বোল নাকি ঠিক নেই, তাই নিজে গেয়েছিলাম। আমার সকল কাজ আমি একলা করি বিধায় অসম্ভব সম্ভব হয়েছে নইলে এসব কাল্পনিক কাণ্ড। লণ্ডন একটা গান রেকড করতে প্রায় হাজার পাউণ্ড লাগে। আমি যে মাত্রায় করেছি তা করতে হলে ৪০ টা গানে প্রায় লাখ ৬০/৭০ হাজার পাউণ্ড লাগত। আর বই, তা তো অসম্ভব ছিল। বড় কথা হলো, এসব করার পর আপনাদের কাছে আমি গ্রহণযোগ্য হয়েছি, শুধু লণ্ডনিকে আপনারা গ্রহণ করবেন না।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাই,

লেখালেখি করতে গিয়ে শুরুতেই আশপাশের কিছু পরিচিত পরিজনদের কাছ থেকে এরকম অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই আছে। আপনি শ্রদ্ধাভাজন এ বিষয়ে আপনাকে কোন পরামর্শ দেওয়াটা একপ্রকার অবান্তর। তবুও বলি এগুলো যতটা ইগনোর করা যায় ততই মঙ্গল। ব্লগ সম্পর্কেও আপনার অভিজ্ঞতার কথা শুনে যারপরনাই ব্যথিত হলাম। হ্যাঁ সহমত আপনার সঙ্গে যে ব্লগে সবাই সমমনের নন। গঠনমূলক সমালোচনাকে পরিহার করে কখনও কখনও তা ব্যক্তি আক্রমণে পৌছে যায়।
বন্ধু নেই- এ প্রসঙ্গে আপনার সঙ্গে সহমত হতে পারলাম না। আমরা প্রত্যেকেই বন্ধুবান্ধব নির্ভর।সাময়িক মনের বিষন্নতা থেকে থেকে কখনো কখনো এরকম কথা বললেও সেটি কখনোই মনের স্থায়ী অভিব্যক্তি নয়।

গজলটা খুব সুন্দর। আপনার পোষ্টে এখনই মন্তব্য করে এলাম। আপনার বহুমুখী প্রতিভার ঝলক এভাবেই ব্লগে এনে দিক এক নতুন সূর্য।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।

২৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: বন্ধু নেই- এ প্রসঙ্গে আপনার সঙ্গে সহমত হতে পারলাম না। আমরা প্রত্যেকেই বন্ধুবান্ধব নির্ভর।সাময়িক মনের বিষন্নতা থেকে থেকে কখনো কখনো এরকম কথা বললেও সেটি কখনোই মনের স্থায়ী অভিব্যক্তি নয়।

আপনার ধারণা ঠিক, তবে সত্যি বাস্তবে লোকজন আমাকে এড়িয়ে চলে মানে আমি যখন লেখালেখি সম্বন্ধে কথা বলি তখন ঝামেলা লাগে এবং আরো অনেক কারণ আছে। ঠকা খেয়ে আমি এখন ঠগ বনেছি। দিতে দিতে এক্কেবারে খালি। এসেই বলে দিয়ে দেন ভাই আপনারতো আছে। কন চাই মনে কী কয়? লেখালেখি করে আমি ফতুর। হাজার হাজার পাউণ্ডের কাজ মাগা করিছে এবং করাতে চায় :( এই জন্য বলেছিলাম বন্ধু নেই। আমিও এখন শামুকের মত হয়েছি। আমি বই প্রকাশক, মিউজিক কম্পুজার, ভিডিও এডিটর, এডবির কাজ শিখতে হয়েছিল এসবের জন্য।

আপনি সফল পুরুষ বিধায় সকলকে উৎসাহ দেন। প্রভু আপনার সার্বিক মঙ্গল করবেন। আমিন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহা হা..... অবশেষে আপনার সুন্দর মনের পরিচয় পেয়ে আনন্দিত হলাম। আপনি কলম যেখানে শাণিত তলোয়ার। সেখানে আপনি কলম ধরেছেন সমাজের কোনো একটি অবক্ষয়ের কারণে। অবশ্যই পিছনে আছেন একজনের নিরন্তর সাপোর্টিং। আর এসব না থাকলে আপনার কলম থেমে যেতে বাধ্য। কাজেই আপনার চৌহদ্দির মধ্যে আছেন আপনার বিশ্বস্ত আপনজন। মতান্তর হলেও দেখবেন তাদের সঙ্গে আপনার মনান্তর হয়না। আমরা সকলেই সময়ে অসময়ে মান অভিমানী হই তাইবলে বন্ধ শূন্য বা নিঃসঙ্গ নই।
আপনার দোয়া যেন উপরওয়ালা কবুল করেন। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্যও রইলো অফুরান শুভেচ্ছা।

২৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সম্পদ মানুষকে অনেক দূর সরাতে পারে। যাক, আমার জন্যও দোয়া করবেন। আমি এতটুকু জানি যে অন্যের মঙ্গল করে স্রষ্টা তার মঙ্গল করেন। আপনার মঙ্গল হবে। আমিন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার মন্তব্যে আসাতে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইকে। হ্যাঁ আপনি ও আপনার পরিবারের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
ভালোবাসা সতত।

২৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাপের খোলস দেখা মানেই তো সেখানে নিশ্চিত সাপের বসবাস ছিল। ভয়ের কারণ বটে!
অবশ্য এরকম রোমাঞ্চকর পরিভ্রমণে এক আধটু ভয়ের উপকরণ না থাকলে তা স্মৃতিময় হয় না।
জঙ্গলের বাঁদরগুলো প্রত্যাশিত জংলী আচরণ না করে আপনাদের সাথে নির্দোষ আচরণ করেছিল, এটা ঐ পরিস্থিতিতে নিশ্চয়ই একটা বড় স্বস্তির কারণ ছিল।
পোস্টে ১৯তম ভাল লাগা। +

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা স্যার। হ্যাঁ আমরাও সেদিন এরকম ভেবেছিলাম।যার ফলে এতটা ভয় পেয়েছিলাম। রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে জঙ্গলে নিশিযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম তাতে শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত প্রবাহিত হয়েছিল সে কথা বলা বাহুল্য।
বাদরগুলোর বাদরামি না করার প্রধান কারণ হিসেবে আমার মনে হয়েছিল যেহেতু এলাকাটা ভীষণই রেসটিক্টেড জোন, সারাবছর লোক সমাগম থেকে বঞ্চিত থাকে। কাজেই বাদরামি দেখানোর লোক না পেয়ে তারা বিষয়টি হয়তো ভুলেই গেছে। এরকম শান্তশিষ্ট ভদ্র বাঁদর আমি কোথাও দেখিনি।
পোস্টে ১৯তম লাইক প্রদান করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন স্যার।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।


২৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আড্ডা পর্বে অন্তক্ষরি স্টাইলে গান গাওয়া ছাড়া আপনারা আর কী কী বিষয় নিয়ে আড্ডা দিয়েছিলেন?
কাগজের মন্ড পাকিয়ে ঘরের ফাঁক ফোঁকর বন্ধ করে দেয়াতেই শীতকালেও আপনার 'শ্রীমান' ঘেমে নেয়ে উঠছিলো?
জলপ্রপাতের ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দ্বিতীয়বার আবার কমেন্ট করায় আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
নির্ভেজাল বন্য পরিবেশে যদি একাকিত্ব আসে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা নিজেদের মোবাইল ফোনে কিছু গান ডাউনলোড করে রেখেছিলাম।অন্তাক্ষরি করেও যে সময় হাতে ছিল সে সময় আমরা বসে বসে গান শুনেছি। আপনার এমন একটি অনুসন্ধানী প্রশ্নে খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
ছেলের ঘামটা একটু বেশি হয়। আমি এজন্য ঘুমের মধ্যেও মাঝে মাঝে ওর গলার কাছে হাত দিয়ে দেখি ঘামছে কিনা। অনেক ছোট থেকেই গলায় ঘাম বসে ওর ঠান্ডা লাগতো। সিজারিয়ান বেবি বলেই নাকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বলে বিভিন্ন সূত্রে শুনে আসছি। যাইহোক ডাক্তারবাবুর পরামর্শে ঘাম চেক করার সেই অভ্যাসটা আজও রয়ে গেছে। তবে কাগজের মন্ড পাকিয়ে ঘরের সর্বত্র বন্ধ করার ফলে সেদিন ঘরটা বেশ গরম হয়ে গেছিল।ফলে বাবু সেদিন ঘেমে ভিজে গেছিলো।
জলপ্রপাতের ছবিগুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। সবশেষে পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.