নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কানা গলি

বারবার শুধু ছিটকে পড়ি অশ্লীল কারাগারে

প‌্যাপিলন

Eat, Pray, Love

প‌্যাপিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

[ফিরে দেখা ঢাবি:] ক্যাসিনো মুহসীন অথবা বাপগিরি

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫



রিফাত মামা মহসীন হলের গেস্টরুমে বসিয়ে ৫ মিনিটের জন্য উপরে চলে গেলেও সেখানে বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারিনি। সেখানে আরো যারা বসেছিল তাদেরকে ঠিক ছাত্র মনে হচ্ছিলনা। সিনেমায় ভিলেনদের সাথে হুদাই মার খাওয়া সহযোগীদের মতো ছিল দেখতে একেকটা। গেস্টরুম থেকে বের হয়ে সামনের বাগানের দেয়াল ঘেষে দাড়ালাম। কিছুক্ষণ ফুল ফলের সৌরভ দেখা শেষ হলে উল্টো ঘুরে দেখলাম দেয়ালের একটা অংশে অনেকগুলো লোক জড়ো হয়ে আছে। তেমন উৎসাহজনক কিছু নয়। কিচুক্ষণ পর আবার ঘুরে দেখলাম দেখলাম লোকগুলো এখনও আছে, তবে ভীড় আরো বেড়েছে। এবার মনযোগী হলাম, কিন্তু বিশেষ কিছু দেখতে পেলামনা। একজনকে দেখলাম ভীড় থেকে বের হয়ে আসতেই আরেকজন তার কাছ থেকে কিছু খুচরো পয়সা চেয়ে নিল। সেই লোকটির হাতেও খুচরো পয়সা। শুধু সে নয়, সবার হাতেই খুচরো পয়সা ঝুন ঝুন করে বাজাচ্ছে। কাছে যেতে সাহস হলনা। আর তখন উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র হলেও উচ্চতা খুব একটা আশাব্যঞ্জক না হওয়ায় ঠিক দেখতে পাচ্ছিলামনা কি হচ্ছে। সিনেমায় দেখেছি ক্যাসিনোতে একটা যন্ত্রে এভাবে কয়েন ঢুকিয়ে চাবি ঘুরালে আরো পয়সা বের হয়। তাহলে মুহসীন হলে কি ক্যাসিনো আছে? যে কুখ্যাতি এই হলের তাতে ক্যাসিনো থাকলেও থাকতে পারে! ভীড়টা পাতলা হতেই আমার বেকুব হবার পালা। একটা কয়েন টেলিফোন বক্সকে কেন্দ্র করে এই ভীড়।



এই কয়েন টেলিফোন বক্স একসময় ঢাবির হলের একমাত্র আউটগোয়িং যোগাযোগের ক্ষেত্র ছিল। পচিশ পয়সার চারটি, অথবা পঞ্চাশ পয়সার দুটি কয়েন প্রয়োজন। মাসে একবার টিএন্ডটির স্টাফ এসে কয়েন সংগ্রহ করেন বটে তবে হলের গেট পর্যন্ত নেয়ার সুযোগ হতোনা। খুলিবা মাত্র গ্রাহকরা খুচরা পয়সা কিনিয়া নিতেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই কয়েন বক্স মাসের অর্ধেকদিনই খারাপ থাকতো। পুলাপানের রাগ যখন চরমে উঠত তখন হলের মামা টিএন্ডটি স্টাফদের খবর দিয়ে আনতেন। এই কয়েন বক্স দিয়ে ফোন সেক্সও কম চলতনা। আজকালকার যুগে যারা মোবাইল কোম্পানিগুলোকে সারারাত ডিজুস তরুনদের ফোনে কথা বলার সুযোগ দেয়ার জন্য গালাগালি করেন, তারাই হুদাই চিল্লান। সেই যুগেও হলে কিছু পুলাপান ছিল যারা ৫০/১০০ টাকার কয়েন নিয়া মধ্যরাতে কয়েন টেলিফোনে রসালাপে ব্যস্ত থাকতো।



এবার একটু কয়েন টেলিফোনটা পরখ করতেই হয়। সবে মাত্র ভর্তি হয়েছে। সকাল ৭টার বাস ধরে ক্যাম্পাস যাই। সন্ধ্যার পরে অনিচ্ছা সত্বেও পাব্লিক বাস ধরে বাসায় ফিরি। একদিন টিএসসি থেকে পদব্রজে নীলক্ষেতের দিকে যেতে মুহসীন হল চোখে পড়তেই সেই কয়েন বক্স এর ভুত চাপল। হলে ঢুকে দেখলাম ফোনটা ফাকাই পড়ে আছে। তবে ঐ প্রান্তে যিনি ফোন ধরলেন তা মোটেও কাম্য ছিলনা।



’তুই কোথা থেকে ফোন করছস, বিষয় কি?’

’আব্বা আমি হল থেকে ফোন করসি’

’হল থেকে ফোন করছস মানে, তুমি হলের ক্যাডার হইছ, টেলিফোনও বরাদ্দ পাইছ, হারামজাদা...............’- কর্ণকুহর হইতে রিসিভারের ব্যবধান বৃদ্ধি করিতে করিতে ঠাস করিয়া ক্রাডলে রাখিয়া বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করিলাম। তাহার আর দোষ কি? সে যুগে বাপগণ বাপগিরি ফলানোর সামান্য সুযোগও হেলায় হারাতেন্না/:)/:)

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

ডাব্বা বলেছেন: হা-হা-হা।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

প‌্যাপিলন বলেছেন: আপনে নমে ডাব্বা আমি কামে ডাব্বা

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: হায়রে !! এমনে ধরা খেয়ে গেলেন !! :P

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

প‌্যাপিলন বলেছেন: :P :P :P :P :P :P :P

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কয়েন দিয়া কখনও ফোন করিনাই। তবে আমি যখন ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি তখন একটা কার্ড ফোন দেখসিলাম। ঐটা অবশ্য কখনও ব্যবহার করা হয়নাই। এইসব বস্তুকে সংরক্ষন করে রাখা দরকার স্মৃতিস্মারক হিসেবে। পোস্ট পৈড়া মজা লাগছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০১

প‌্যাপিলন বলেছেন: কার্ডফোন কোন কামের ছিলনা, কেবল সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করা ছাড়া। এই কয়েন বক্স এর জন্য গুগল মামার কাছে অনেক ধর্না দিছি কিন্তু কাম হয়নাই। এরকম হবে জানতে পারলে একটু ফটুক রাইখা দিতাম।

মন্তব্যে ধন্যবাদ হামা ভাই।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

অহন_৮০ বলেছেন: :) :) :) :)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

প‌্যাপিলন বলেছেন: B-) B-) B-) B-)

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা
কি মনে করায়ে দিলেন :#)
না মানে আমার কথা বলার সৃতি র কথা বলি নাই, আমার হল এর কয়েন আপু দের কথা ;) বক্স এর লাইন এর কথা ...।
আমার কাছে একটা ছবি আছে কয়েন বক্স এর কিন্তু , সব ঢাকা রেখে এসছি ।
আপনার লেখায় +++

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

প‌্যাপিলন বলেছেন: কয়েন টেলিফোন নিয়া আপনারযে ভালই স্মৃতি আছে, তা আর বলতে হবেনা, বুইঝা নিলাম ;) । হারিকেন জ্বালাইয়া এই টেলিফোনের ছবি খুজতাছি, হাতে আসলে এখানে আপ্লোড করে দিয়েন।

আপনিতো অনেক সিনিয়র, সেসময়ের কথা ব্লগে শেয়ার করেন। আর স্বাগতম আবারো আমার ব্লগে

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লিখতে গেলে , যে মনের মাধুরী মেশাতে হয় , অত কাবিলিয়ত আমার নাই :( তাই সবার টা পড়ে মজা লই ...। :)
সত্যি বলছি কয়েন স্মৃতি বেশি নাই , কার্ড ফোন র কিছু হাল্কা আছে :)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

প‌্যাপিলন বলেছেন: কাবিলিয়তের অজুহাতে পিছলানো গ্রহণযোগ্য নয় :D আপনার ব্লগ ঘুরে আসলাম, আপনার লেখার হাত অনেক ভাল। জাস্ট চালিয়ে যান

অপেক্ষায় থাকলাম, শুভ সকাল

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
হা হা হা! পড়ে মজা পাইলাম।

কার্ড ফোন দেখছি। কয়েন টেলিফোন তো চোখেই দেখি নাই।জীবনটাই বৃথা বৃথা লাগতাসে!

১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

প‌্যাপিলন বলেছেন: ডায়াল রিং এর মধ্যে আঙুল দিয়ে ঘুরানি -ঘুরানির শব্দ এখনও কানে বাজে...... আহ জটিল ছিল....এখনকার বাটন টিপে ফোন করার মধ্যে মজা পাইনা

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

নানাভাই বলেছেন: [img|http://cms.somewhereinblog.net/ciu/image/151636/small/?token_id=4d4b60f076a466ec621573aadbac73f5
আহমেদ আলাউদ্দিন @অনেকটা এই রকম ছিল।

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

নানাভাই বলেছেন:

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

প‌্যাপিলন বলেছেন: হলের কয়েন ফোন বক্স এর ঠিক অর্ধেক আকৃতির। সবুজ রঙের আরো সিম্পল ছিল

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :D :D :D :D

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

প‌্যাপিলন বলেছেন: :) :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.