![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাচটাকা দিলি ক্যান?এ্ইটাতো একটার দাম
কৃত্রিম অথচ উন্নত বক্ষদ্বয়ের প্রতি আমার এহেন অবিভাজন নীতি যে নিরপেক্ষতা হারিয়ে পক্ষপাতিত্বে রূপ নিচ্ছে তা উপলদ্ধি মাত্র আরো পাচটাকা খসাতে হলো। প্রতিটির জন্য পাচ টাকা। এরকম অযাচিত বিনোদনে যখন পাটুরিয়ার দীর্ঘ জ্যাম ভুলছিলাম তখন আবারও অযাচিত আক্রমনের শিকার, আবারো বিনোদন, তবে এবার অন্য গ্রুপ। ততক্ষনে গাড়ি ফেরিতে উঠে গেছে। চাহিবামাত্র বাহককে অর্থ প্রদান না করায় আমাদের ড্রাইভারের সাথে বচসার ফলস্বরূপ নিমাঙ্গের বস্ত্র উতপাটন পুরোটা উন্মোচিত হওয়ার আগেই আশে পাশের জনা বিশেক দর্শকের নির্মল বিনোদনে পানি ঢেলে পরিবেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করলাম।
পাটুরিয়া ঘাটেতো একদলরে দিলাম। আবার কেন?
- হেরাতো তোগো ভাতার লাগে তাই দিছস, আমগো দে? সবকি খুইল্লা কমু....
- উরিব্বাস, দশটাকার সাথে আরো দশটাকা যোগ আপাত সমস্যার সমাধান করা গেল। নিচের দিকে রেট বেশি.....এবঙ সেটাই স্বাভাবিক
হাতিবাজ
খুলনার ফুলতলা অতিক্রমের সময় অতিকায় হাতির বামন সংস্করণটি দেখে লোভ সামলাতে পারলামনা। যেইনা ক্যামেরায় ক্লিক করতে যাব অমনি বনেটের উপর পেল্লাই এক বাড়ি। যার মর্মার্থ হল, তিনি চাদাবাজির মতো মহান কাজে ব্যস্ত, ক্যামেরার কারসাজি করতে গিয়ে অযথাই তার দেরি করিয়ে দিচ্ছি, দিলাম আরো দশ।
শ্রমিকবাজ
যশোরের অভয়নগরের কাছে দেখলাম ট্রাকের বিশাল লাইন। কেউ একজন প্রতি ট্রাক হতে গোলাপী রংয়ের একটা স্লিপের বিনিময়ে অর্থ সংগ্রহ করছেন। ঢাকা টু খুলনার পথে প্রান্তরে এতবেশি টোল আর চাদাবাজির শিকার হতে হয়েছিল যে আমার ড্রাইভার আগেই বিশটাকা হাতে নিয়ে জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে ছিল।
:ফাইজলামী করেন?
তব্দা লেগে গেল। চাদাবাজরা চাদা নিচ্ছেনা। এ কোন মগের মুল্লুকে এসে পড়লাম। ড্রাইভার অবশ্য দ্রুত ধরায় ফিরে আসায় হুশ করে বের হয়ে গেল। এখনে শ্রমিকনেতারা শুধু ট্রাক থেকেই তোলা তুলছিলেন। আমাদের মতো মাইক্রো, প্রাইভেট কার অনারা গোনায় ধরেননা। তাই আমাদের টাকা প্রদান করাটা অনাদের আহতই করেছিল। যাকা বাবা, চাদাবাজি করে বলে নীতিটাতো এখন বিসজর্ন দেয়নি।
পথে প্রান্তরে এভাবে নিজেরা এবং অন্যদের চাদাবজির শিকার হতে দেখেছি। কিন্তু একমাত্র শ্রমিক লীগ ছাড়া অন্য কাউকে রশিদ দিতে দেখেনি। শ্রমিকলীগের এই যে নিয়ম মানার চেষ্টা, গ্রাহককে তার প্রাপ্য রশিদ বুঝিয়ে দেয়া, এটা বেশ আশান্বিত করেছে। আহা কি স্বচ্ছতা, সবাই যদি এমনটি করতো তাহলে দেশ কোথায় এগিয়ে যেত? গ্রাহকের সেবার জন্য অর্থ নিব কিন্তু প্রাপ্তি স্বীকারপত্র অথবা রশিদ দিবনা এরকম অরাজকতা দেশে হরহামেশাই দেখা যায়।ব্যাতিক্রম শুধু শ্রমিক লীগের ট্রান্সপারেন্ট ভাইয়েরা। হয়তো পুর্বসূরী শ্রমিকদলের ভাইদের কাছ থেকে এমন মধুর স্বভাব পেয়েছে।হারামজাদা হাতি আর মান্যবর হিজড়ারা কবে গ্রাহককে তার প্রদেয় অর্থের বিপরীতে রশিদ দেয়া শিখবে?
দেৌলতদিয়া ঘাটে আবারো তাদের খপ্পরে পড়লাম। এবার কোন ক্যাচাল না করে সরাসরি দশ টাকা দিয়ে দিলাম। তবে মিনমিনে কন্ঠে রশিদ চাইতেই ......রশিদতো নাই, রশিদের বদলে ্গা দেহাই.........
ধরণী দ্বিধা হয়। এত বেশি স্বচ্ছতা না আবার গ্রাহকদের বিব্রত করে।
অ.ট.- হিজড়ারা দুমুঠো ভাতের জন্য নিন্দনীয় হলেও চাদা তোলার মতো খারাপ কাজ করছে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ বা শ্রমিক নেতাদের তো সে সমস্যা নাই। তাহলে কেন তারা এরকম নিন্দনীয় পেশায়। এর উত্তর হতে পারে তারা হয়তো শারীরিকভাবে হিজড়া নয়, তবে মানসিকভাবে তারা হিজড়ায় পরিণত হয়েছে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
প্যাপিলন বলেছেন: খ্রাপ বলেননাই, অন্তত ওদরে পিছুটান কম থাকায় শুধু বেতনেই চলে যেত,ট্রাক থামিয়ে বাড়তি পয়সার প্রয়োজন হতেনা
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
লজিক মানুষ বলেছেন: একবার কষে একটা চড় বসাই দিতেন, সব ঠান্ডা হয়ে যেতো। বেশ কয়েক বছর আগে যখন কুয়েটে ছিলাম, ফেরার পথে এমন এক হিজরা ধরছিলো, সারা রাত জ্যামে থাকার পর সকাল বেলা এরকম অশান্তি সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই। ২/১ কথায় মাথায় খুন চড়ে গেল। বসাই দিলাম একটা। সব ঠান্ডা। সালার ভন্ড হিজড়া আস্তে করে বাস থেকে নেমে গেল।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
প্যাপিলন বলেছেন: মাঝে মাঝে এরা বাড়াবাড়ি করে ঠিকই কিন্তু একটু ভাবুনএরা সৃষ্টিকর্তা বা প্রকৃতির কি নির্মম বঞ্চনার শিকার। আপনি যখন ছিনতাইকারীর সামনে পড়েন তার চেয়ে তো এরা বেশি ঝামেলা করেনা।এদেরকে কাজ দিলেতো এত খারাপ পথে আসতোনা
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঞ্চলাইনটা জটিল হৈছে। আর লেখা বরাবরের মতই উপভোগ্য।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
প্যাপিলন বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই, ভালো থাকবেন
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আপনার পোষ্ট পড়ে এই এক মজা! হাসায়া ছাড়েন তারপর দাঁত বরাবর দেন মুষ্ঠিবদ্ধ ঘুষি!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
প্যাপিলন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি, ভালো থাকুন সবসময়
৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৯
ব্লগার রানা বলেছেন: একবার কষে একটা চড় বসাই দিতেন, সব ঠান্ডা হয়ে যেতো। বেশ কয়েক বছর আগে যখন কুয়েটে ছিলাম, ফেরার পথে এমন এক হিজরা ধরছিলো, সারা রাত জ্যামে থাকার পর সকাল বেলা এরকম অশান্তি সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই। ২/১ কথায় মাথায় খুন চড়ে গেল। বসাই দিলাম একটা। সব ঠান্ডা। সালার ভন্ড হিজড়া আস্তে করে বাস থেকে নেমে গেল।]
লজিক ভাই-এর ভাগ্য ভাল ধইরা মারে নাই
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
প্যাপিলন বলেছেন: এরা মারেনা, তবে কাপড় খুলে ফেলে বিব্রত করে।এদের মতো অসহায়দের প্রতি রুড় হয়ে আসলে লাভ নেই, এদেরকে সামাজিক ভাবে গ্রহণ করতে পারলে, টাকা তোলার মতো খারাপ কাজ করতোনা
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
লজিক মানুষ বলেছেন: "লেখক বলেছেন: মাঝে মাঝে এরা বাড়াবাড়ি করে ঠিকই কিন্তু একটু ভাবুনএরা সৃষ্টিকর্তা বা প্রকৃতির কি নির্মম বঞ্চনার শিকার। আপনি যখন ছিনতাইকারীর সামনে পড়েন তার চেয়ে তো এরা বেশি ঝামেলা করেনা।এদেরকে কাজ দিলেতো এত খারাপ পথে আসতোনা "
###################################################
আমার বাসার কাছেই একজন কে প্রায়ই দেখি সকাল বেলা কোট-টাই পরে অফিসে যাচ্ছে। কথাবার্তা-চাল-চলন সবই হিজড়াদের মতো। কিন্তু যখন দেখি সেও আর সবার মতোই একজন সাধারন মানুষের মতো চলছে, ভালোই লাগে। তবে যানি না সে অফিসে কি করে বা কি মর্যাদা পায়।
#################################################
একটা জিনিষ কি, যখন কেউ পরিশ্রম করে বেচেঁ থাকার জন্যে, কেউই তাকে সাহায্য করতে দ্বিধা বোধ করে না। কিন্তু এদের বেশিরভাগই লিন্ঙের দোহায় দিয়ে ইনকাম করতে চায়। এটাই সবথেকে বিরক্তিকর। সেদিনের ঘটনার মুল কারনও ছিল এটা। এই যন্যেই গায়ে হাত তুলতে একটুকুও বুক কাপে নি।
তাদের তো গায়ে শক্তি আছে। কাজ করে খেলেই তো হয়। কে বাধা দিবে????
হয়তো বলবে সবাই টিজ করে। এই জন্যেই প্রথমেই একটা পরিচিত ঘটনার উদাহরন দিলাম। যদি এমন হোত যে তারা শারিরিক ভাবে অচল তবে তাদের দাবি মেনে নিতাম।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭
প্যাপিলন বলেছেন: একটি বিষয়ে দ্বিমত ছাড়া আপনার বক্তব্যকে গ্রহণ করছি। এদেরকে সহজে কেউ কাজে নেয়না, আর নিলেও এত বেশি বিরক্ত করে যে, নাচগান বা চাদা তোলাটাতেই তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তবে তাদের মধ্যেও পরিবর্তন আসছে। হিজড়াদের একটা সংস্থা আছে যারা ডিসেন্ট কাজের জন্য বা তাদের অধিকারের জন্য কাজ করছে। তাদের সাথে কথা বলে দেখেছি যে তারা চাদা তোলাটাকে খুব খারাপ হিসেবে দেখছে এবং উত্তরা, বা দক্ষিণ খানের দিকে হিজড়াদের অপ্রতিরোধ্য চাদাবাজি বন্ধেও তারা উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে তারা যেটা জানিয়েছে যে সাধারণ মানুষ তাদেরকে স্বাভাবিক মানুষের মতো মর্যাদা দিতে চায়না, তাদের জীবন যাপন বা যৌন জীবন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ এত বেশি আগ্রহ দেখায় যে তারা বিব্রত বোধ করে বা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
আহসান২০২০ বলেছেন: হিজড়াদেরকেই ট্রাফিক পুলিশ বানানো হউক। তাহলেই এক চাদাবাজিতেই খেল খতম।