![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব ।
১০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম পুতিন এলেন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে। থাকলেন সাত ঘণ্টা। সিরিয়ায় পশ্চিমারা কী ভুল করেছে, সেটা লেকচার দিয়ে দুনিয়ার সামনে দেখালেন। চিনিয়ে দিলেন, আইএস আসলে মার্কিনি ঘাতক-পুতুল। হুমকিও দিলেন, টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ‘আসল’ স্যাটেলাইট ভিডিও দেখিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জারিজুরি ফাঁস করে দেবেন। সাধের ‘আইএস’ ধ্বংসের দর্শক হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকল না পেন্টাগনের জেনারেলদের। ইসরায়েল আর কী করবে? আরও কিছু ফিলিস্তিনি বাড়ি ভাঙল, কিছু প্রতিবাদী হত্যা করল। জবাবে আরেকটা ইন্তিফাদার ঘোষণা এল গাজা থেকে।
ওবামার সামনে রইল কেবল আলোচনার টেবিল। পুতিন তাঁকে বলিয়ে ছাড়লেন, আইএস দমনে মার্কিনিরা রাশিয়ার সঙ্গে আছে। আর ইউরোপ? নিজেদের তৈরি করা ভূমধ্যসাগরীয় শরণার্থীদের ধাক্কা সামলাতেই তারা ব্যস্ত। যুদ্ধে জড়ানো মানে ইউরোপীয় দুর্গের দেয়ালে আরও শরণার্থীর ঢল। তুরস্কের হঠাৎ সুলতান এরদোয়ানের উসমানিয়া সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার খোয়াবও খতম। ইয়েমেনের ঈদের জামাতে বোমা ফেলার তৃপ্তিতে ঢেকুর তুলতে গিয়ে হেঁচকি উঠল সৌদি বাদশাহরও। তাঁদের ছড়ানো ওয়াহাবি-সালাফি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রাশান অ্যান্টিভাইরাস ইজ ইন অ্যাকশন।
সিরিয়ায় আমেরিকা ও তার মিত্রদের সরকার বিরুধি যুদ্ধ যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে, প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে এবং ২০ লক্ষ মানুষ উদবাস্ত হয়ে জীবন বাচানোর তাগিদে শরণার্থী হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছে ,দেশটির ভবিষ্যৎ যখন অন্ধকার, ঠিক তখনই প্রেসিডেন্ট পুতিন আমেরিকার গত এক বৎসরের আই ওয়াস ধরনের জঙ্গি নিধন খেলা বন্ধ করতে এবং আসাদ সরকারের অনুরোধে প্রকৃত জঙ্গি নিধনে মাঠে নেমেছে। জঙ্গি কখনো ভাল বা খারাপ রুপে বিভক্ত হতে পারেনা জঙ্গির আসল পরিচয় সে জঙ্গি । আমি এই জঙ্গি নিধনে গত ১০ দিনে রুশ বাহিনী যে সফলতা পেয়েছে তা ধরে রেখে সিরিয়ায় প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের সফলতা কামনা করছি। পাশাপাশি মিঃ পুতিনের জঙ্গি নিধনের আন্তরিকতাকে সাধুবাদ জানাই।
টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ‘আসল’ স্যাটেলাইট ভিডিও দেখিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জারিজুরি ফাঁস করে দেবেন। এটা পুরো মানবজাতির একান্তকাম্য আর মুসলমানদেরতো বটেই। খুব জানতে ইচ্ছা করে, এটাকি আসলেই সন্ত্রাসী হামলা ছিল নাকি দুইটা বিল্ডিং ভেঙ্গে দুইটা দেশ দখলের চক্রান্ত ছিল?
আইএস এর পতন যেমন জরুরী তারও আগে জরুরী সিরিয়ার স্বৈরশাসক "বাসার আল আসাদ" এর পতন, কেননা এই সমস্ত স্বৈরশাসকদের কারণেই চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে । এরাই আইএস বা উগ্রপন্থীদের উঠে আসার সুজুগ করে দেয় আর মোড়ল রাষ্ট্রগুলু এদের ব্যবহার করে মাত্র । সাধারণ মানুষ বুজে হোক আর না বুজে হোক এই সকল স্বৈরশাসকদের পতনের জন্য ঐসব দলে যোগ দিয়ে ভুল পথে পা বাড়ায় ।সাত মন ঘি ও যেমন পুড়বে না, আর রাধাও আর নাচবে না " ঠিক তেমনি বিশ্ব মোড়লদের এই ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় রাশিয়া আর কখনোই সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে উঠা সম্ভব হবে কিনা জানা নেই কেননা ঐ সময়কার রাশিয়ার মোড়লিপনা এতো সহজেই ভুলে যাওয়ার নয় ।
রাশিয়া কে বলতে হয় "তাই ইউক্রেনের পর দ্বিতীয়বারের পশ্চিমাদের নাক কাটতেই হলো তাদের।"--------------- ঠিক আছে , পশ্চিমা দের নাক যত পারুন কাটুন। কিন্ত আবার সোভিয়েত আমলের মতো আফগান গ্যাড়াকলে পড়লে তখন কি করবেন সেটাও একবার ভেবে নেয়া দরকার।
আপতত সে সম্ভাবনা নাই। তারপরও সিরিয়া ইরান হিজবুল্লা এবং রাশিয়া সমর্থনই যৌক্তিক।অন্তত আমেরিকা এবং তার দালালদের যুদ্ধের একটা সীমারেখা তো টানা যাবে।যদি সত্যি আসাদ সরকার এবার টিকে যায়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে সৌদি মোসলমানদের একটি শিক্ষা তো হয়েই যাবে।তার ইয়েমেন গিলবার ইচ্ছাটায় লাগাম পড়বে।ইয়েমেনে তার পোড়ামাটি নীতি, অনেকটাই একাত্তরের আমাদের দেশে পাকিস্তানিদের নীতির সাথে সামাঞ্জস্য পূর্ণ।আসলে মধ্যপ্রাচ্যে মোসলমান শাসকরা বরাবরই ইসলামের মৌলিক চেতনার অনেক দূরে, এখন তাদের সকলেরই পতন দরকার।আর আইএস এদের থেকেও আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে বর্বরতায়।সংগত কারণেই রাশান জোটের সাফল্য কাম্য।
কার্যত, সভ্যতার সূতিকাগার সিরিয়া ও ইরাক ধ্বংসের দায় যুক্তরাষ্ট্রের। গণতন্ত্র ও বিপ্লব রপ্তানিযোগ্য নয়, হোক তা লিবিয়ায় বা আফগানিস্তান ও চেকোস্লোভাকিয়ায়। মুক্তি কেউ কাউকে দিতে পারে না, তা স্থানীয় জনগণের নিজস্ব অর্জনের বিষয়।
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: জী ভাই, জায়গা জায়গা থেকে কপি করে দারুন সংকলন পোস্ট সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: জনাব পুরাটাই যদি কপি হয় তাহলে জগাখিচুরি হয়ে যাবে না ধন্যবাদ জনাব আসাকরি পাশে থাকবেন ,বুঝবেন আমায় ।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮
জেকলেট বলেছেন: এখানে একটা কথা মোটামুটি বলে দেয়া যা্য। আরেকটা আফগানিস্থান হতে যাচ্ছে সিরিয়া, তুরষ্ক পাকিস্থান।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: হতে পারে তবে জনাব রাশিয়ার ধ্বংস নিশ্চিত ৩য় মহাযুদ্ধের সুচনা ।
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩
SohanX বলেছেন: খুব সুনদর লিখে৬েন
৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩
ফোজাইল ইমন বলেছেন: হক্ব কারা এখনো অস্পষ্ট। ইমাম মাহদীর অপেক্ষায় ..!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: জনাবএটা মনে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সুচনা, এখনি বের হবে হক পন্থি আর এই রাশিয়া তাদের কাছে পরাজিত হবে মনে হয় আর সেখানে হতে ইমাম মাহদি এর আত্নপ্রকাশ তবে মক্কা থেকে প্রকাশ পাবেন । আল্লাহ ভাল জানেন ।
৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩
ফোজাইল ইমন বলেছেন: হক্ব কারা এখনো অস্পষ্ট। ইমাম মাহদীর অপেক্ষায় ..!
৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: সম্ভবত গতকাল প্রথম আলোতে পড়েছিলাম ফারুক ওয়াসিফ এর লেখা এটি৷
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: হা উপরে শুরুতে কিছু উনার কথা ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন!