নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব । স্বাধিন ভাবে বলতে চাই ,জানাতে চাই ,শিখতে চাই ,চাই বাক স্বধিনতা ।

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর)

আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব ।

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ ঃ বিদেশি হত্যা : ‘হু ইজ বিহাইন্ড দ্য বাংলাদেশ কিলিংস?’বা বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড গুলোর নেপথ্যে কে ??

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩



বিদেশি হত্যার পেছনে দায়ী কে তা নিয়ে বিবিসির সাংবাদিক আকবর হোসেন একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। ‘হু ইজ বিহাইন্ড দ্য বাংলাদেশ কিলিংস?’ বা বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড গুলোর নেপথ্যে কে- শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে তার বিশ্লেষণ করেছেন।
ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিরা কি হামলা চালিয়ে থাকতে পারে?

এ প্রশ্নের জবাবে তিনি লিখেছেন- ইতালির এনজিও কর্মী সিজার তাভেলা ও জাপানের খামারি কুনিও হোশির ওপর হামলা একই ধরনের। বলা হচ্ছে, দুটি ঘটনায়ই আইএস হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে দ্রুততার সঙ্গে দেশে আইএস থাকার কথা অস্বীকার করেছে সরকার। নিরাপত্তা বিষয়ক সূত্রগুলো বিশ্বাস করছে এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশে আইএস কার্যক্রম চালাচ্ছে এমন দাবির বিষয়ে তারা সন্দিহান।
হামলার নেপথ্যে যারা তাদের বিষয়টি অস্পষ্ট। তবে এটা পরিষ্কার, জঙ্গি গ্রুপগুলো ক্রমাগত সক্রিয় হচ্ছে বাংলাদেশে। দেশে এখন কতগুলো জঙ্গি গ্রুপ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তা কেউ জানে না। তবে নিরাপত্তাবিষয়ক একটি সূত্র বলেছেন, এমন গ্রুপের সংখ্যা ১০ থেকে ১৫। গত বছরে পুলিশ বিভিন্ন ইসলামিক গ্রুপের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে শতাধিক ব্যক্তিকে। এছাড়া তারা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এক বৃটিশ নাগরিকসহ প্রায় ২০ জনকে আটক করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, তারা আইএসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিল। তারেক শামসুর রেহমান মনে করেন, জঙ্গি গ্রুপে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অবস্থা একটি ফ্যাক্টর। তিনি বলেন, অনেক মানুষ দারিদ্র্যে বসবাস করছেন। তাই ধর্মের নাম করে মানুষকে জঙ্গি তৎপরতায় টানা খুব সহজ। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক যে অসন্তোষ তার সুযোগ নিচ্ছে ইসলামপন্থি জঙ্গিরা। এ সুযোগে তারা পুনর্গঠিত হচ্ছে। জঙ্গি কর্মকাণ্ডকে দমন করার চেয়ে সরকারবিরোধী কর্মীদের দমনে বেশি সময় ব্যয় করছে। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রধান বিরোধী দলীয় জোট বর্জন করায় শেখ হাসিনা সরকারের বিষয়ে কিছু পশ্চিমা দেশের খুঁতখুঁতানি আছে। বছরের প্রথম তিন মাসে দেশের বেশির ভাগ অংশে ছিল অবরোধ। এ অবরোধ দিয়ে বিরোধীরা নতুন নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। এ অস্থিরতায় নিহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জঙ্গি হুমকি অবজ্ঞা করা উচিত নয় বাংলাদেশের। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে প্রয়োজন দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।

উপরের অংশ টুকু একটি দৈনিক সংবাদপত্র থেকে নেওয়া


আসি আমার কথায় ..................।

আমাদের সমাজে শয়তানের ছায়া অনুসরনকারী কিছু চতুর বুদ্ধির দাবীদার প্রানী আছে যারা অপেক্ষাকৃত ভোতা বুদ্ধির প্রানীদের ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, ও আধ্যাত্বিক প্রলোভনে তাদের কাঙ্খিত অন্যায় ও অবৈধ লক্ষ্য হাসিলে প্রয়োজনে রাষ্ট্র ও জাতিকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে ও মিথ্যার মাধ্যমে অর্জিত ইমেজকে কাজে লাগিয়ে মন্ত্রীত্বের মত গুরুত্বপুর্ন পদ প্রদানেও কুন্ঠিত হয় না। বিদেশি হত্যার ঘটনা তারই একটি ছায়ারূপ বলা যেতে পারে। এসবের উপস্থিতিই প্রমান করে প্রিয় মাতৃভুমির রাজনীতি ও তার পরিচালকরা কি পরিমান বিষে বিষাক্ত। রাজনীতিতে ভালোর অনুশীলন ও চর্চা হতে হবে তো! তা নাহলে ভালোটা আসবে কোথা থেকে?

বাংলাদেশের সরকার , যাদের দায়িত্ব হলো দেশের শান্তি শৃংখলা রক্ষা করা, যদি কেহ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে সুসংঘঠিত এই বিদেশি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকে-তাহলে তাদের গ্রেফতার করুণ আর আইনের কাঠগড়ায় তুলুন,আর যদি আপনারাই তদন্ত ছাড়াই একে অপরকে দুষারোপ করুণ তাহলে তো আসল খুনিরাই হাসবে আর তাদের সাহস আরো বেড়ে যাবে আর যদি তাই না করুন তাহলে কাকে বিশ্বাস করবো? শর্শেতে যদি ভূত থাকে- তাহলে তো সত্যিই বিপদ। নৃশংস এই বিদেশি হত্যাকান্ডের সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, সুষ্ঠু বিচার সাপেক্ষে তাদের বিচার দাবী করছি। ক্ষমতাসীনদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। ক্ষমতায় থেকে আঙ্গুল চুষবেন আর বলবেন যে আমি কিছু জানি না- তা হয় না। যে কোন সরকারের দায়িত্বই হলো দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিধান করা, সন্ত্রাসকে দমন করা। কিন্তু দেখা গেছে স্বাধীনতার পর থেকে নিয়ে কোন সরকারই এই দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। বরং তারা সবসময় নিজেদের নিরাপত্তা বিধান করেছে। বিরোধীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। যদি নিজ দলের কেউ নিহত হয় তখন সারাদেশ তোলপাড় করা হয়। আর বিরোধী দলের কেউ নিহত হলে তা দায়সারা ভাবে তদন্ত করে ঘটনার মোড় অন্যদিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। অতীতের মতো অনেক হত্যাকান্ডের তদন্তও সেই ধারাবাহিকতা থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি।

আমরা জনগণ হচ্ছি জন্মান্ধ। আমাদের অবস্থা হয়েছে অন্ধকে হাতি দেখানোর মত। একবার জজমিয়ার কাহিনী জানলাম পরে আবার জানতে পারলাম সেটা সাজানো। এবার ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর আরো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারছি। আবার ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলে আমরা হয়তো নতুন কোন কাহিনী জানতে পারবো। মূল সমস্যা হলো আমাদের দেশের সব সরকারই পুলিশতো বটেই গোয়েন্দা বাহিনীকেও নিজেদের খেয়াল খুশীমত পরিচালনা করে। তবে এই জঘণ্য হত্যাকান্ডের বিচার যেন হয় আর প্রকৃত দোষিরা যেন শাস্তি পায় সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমরা এখন পর্যন্ত যে গনতান্ত্রিক (?) সরকারগুলো পেয়েছি তাদের সবারই ধ্যান-জ্ঞান এক - বিরোধীদের ফাসানো, দমন করা, ঘায়েল করা, নির্মুল করা। এটাই চলে আসছে বাংলাদেশে এবং এটাই চলবে। এটাই আমাদের বাস্তবতা।

সাড়ে ১৬ বা ১৭ কোটি মানুষের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চত করবে সরকার- ভাবতেতো বড়ই অাশংখা হয় । অামার মনে হয় সরকার কোথাও বড় ধরণের ভুল করছে । গণতন্ত্রমণা বিরােধীদল গুলােকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করতে দেয়া উচিত , এতে সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়বে ।

পরিশেষে বলতে চাই .........

আমার মনে হয় বাংলাদেশে জংগিরা কখনো সফল হবেনা কারন এ দেশের ৯৯% মানুষ জানে যে জংগিতত্বে ইসলাম শিক্ষা পছন্দ করেন না। এদেশে স্বাভাবিক ভাবেই সাধারন মানুষ ধর্ম'ভীরূ এবং ইসলাম খুব সুন্দর সহজ ভাবেই পালন করে থাকেন।আর সব চেয়ে বড় বিষয় অন্যান্য মুসলিম দেশে সেখানকার আইণ শৃংখলা বাহিনী থেকে লোকজন বিদৃোহ করে জংগি দলে যোগ দেয় কিন্তু সব চেয়ে আশার কথা এদেশের আইণ শৃংখলা বাহিনী সব সময়ই জংগিদের বিপক্ষে কারন আইন শৃংখলা বাহিনীর মধ্যেও ধম'ভীরু ও ইসলামী মানসিকতার অনেক সদস্য থাকলেও তারা কিন্তু জংগিত্ব পছন্দ করেন না। তাই জংগিদের পক্ষে এ দেশে সহজে সংগঠিত হয়ে টিকে থাকা বা হামলা করে টিকে থাকা কখনো সম্ভব হবেনা। কারন বাংলাদেশের শান্তিকামী জনগন ধৈর্য্যহারা হলে দেয়ালের পিঠ ঠেকে গেলে গনপিটুনি দেয়া শুরু করে। সাথে আইণ শৃংখলা বাহিনী সরকার বা বিশ্বের জংগি বিরোধী সমর্থনও থাকবেই। আসলে এই জংগি পথকে ইসলাম কখনো সমর্থন করেনা। ইসলাম কাউকে হত্যা করা বা কাউকে জোরপূবক আচরন সংশোধন করা বা কাউকে' ধর্ম পালনে বাধ্য করেনা বা করেনি ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: আমরা সাধারন মানুষ সব সময় একটা আশায় থাকতাম "নতুন কোন দল আসবে" আম-আদমী পাটির মত। এ দু দল থেকে দেশ, সমাজ, মানুষকে রক্ষা করতে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্যি এ দুই দলের রেষারেষির মধ্যে তৃতীয় যে অদৃশ্য দলটির মাথা উকি দেওয়ার চেষ্টার করছে সেটা জঙ্গীদল!

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৩

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: জনাব মোহাম্মদ জামিল @ জঙ্গিদলের অস্তিত্ব্য আছে বলে মনে হয় আপনার ??? সরকার দলের কেহ গুলা-গুলি হামলা দাওয়া পালটা দাওয়া হলে বলা হয় এটা সহিংসতা আর অন্য কেউ করলে বলা হয় এটা সন্ত্রাস সাধারন জনগণকে ভীতিপ্রদর্শন মানুষ মারার রাজনিতি ইতাহেতা আরো কত্ত কি ??আর যদি এই মিছিল মিটিং কোন দাড়ি-টুপি ওয়ালা করে তাইলে হয়ে যায় জঙ্গি ।

আর একটা মনে রাখা ভালযে ""আমরা আফগানি কিংবা পাকিস্তানি নই আমরা বাঙ্গালী ,আমাদের রক্তে জঙ্গিত্বের অস্তিত্ব্য নেই"" ।
আর এই দেশে কোন জঙ্গিগোষ্টি বা দল অতিতেও মাথা চারা দিয়ে টিকতে পারেনি আর ভবিষ্যতে পারবেনা ইনশা আল্লাহ ।ইসলাম জঙ্গিত্ব্যকে সাপোর্ট করেনা ।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমাদের সমাজে শয়তানের ছায়া অনুসরনকারী কিছু চতুর বুদ্ধির দাবীদার প্রানী আছে...........এসবের উপস্থিতিই প্রমান করে প্রিয় মাতৃভুমির রাজনীতি ও তার পরিচালকরা কি পরিমান বিষে বিষাক্ত।

মোক্ষম বলেছেন,
এই চিন্হিত শয়তানদের বুদ্ধিবৃত্তিক শয়তানীর কারনে গোটা জাতি আজ দ্বিধাবিভক্ত।আর দুঃখজনক হলেও চরম সত্য হলো তাদের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে মিডিয়া।
সুসময়ের প্রতীক্ষায়............

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: জি জনাব !! ধন্যবাদ !

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এই সময়টা সুধু জঙ্গি বা জেএম্বি-হরকত বললে কাজ হবে না ওরা জানতো।
তাই অষ্ট্রেলিয়া টিম পাঠাতে দ্বিধাগ্রস্ত হলে সেই মোক্ষম সময়ে লোকাল ভাড়াটে খুনি দিয়ে দুই নিরিহ বিদেশী ফেলে দিয়ে পশ্চিমাদের মহাতঙ্ক, মোক্ষম হাতিয়ার আইএস এর নাম ব্যবহার করা হয়।
‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’ পেশাদার। অন পেমেন্টে ক্লায়েন্টের হয়ে কাজ করে, (তাদের প্রফাইলেই লেখা) দেশী কুচক্রিরা উচ্চ পেমেন্ট দেয়ার পর এই ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’ একটি বালছাল বানোয়াট সাই্ট/টুইট দেখিয়ে রয়টার্সের কাছে শ্রিনশট পাঠায়।
এই সংবাদে মাঋকিন এম্বাসেডর সহ অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করলে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের মালিক নিজেই ভিডিও বিবৃতি দিয়ে বলে - "ইহা আইএসের কাজ" - কোন সন্দেহ প্রকাশ চলিবে না!
টাকা খেয়ে কাজ করলে এইসব আন্তর্জাতিক দালালদের কাছে ২টি মৃত্যুই বড় খবর হয়ে যায়।
পাকিস্তানের ৫০ বা তুরষ্কের ১০০ মানুষ বোমা দিয়ে উড়িয়ে দিলেও সেগুলো হয়ে যায় মামুলি খবর।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: মুক্ষম বলেছেন জনাব আমি একমত !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.