নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব । স্বাধিন ভাবে বলতে চাই ,জানাতে চাই ,শিখতে চাই ,চাই বাক স্বধিনতা ।

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর)

আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব ।

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) › বিস্তারিত পোস্টঃ

১০ই মহররমের মাতম-মর্সিয়া বন্দেগী না নাফরমানী? মুহররম মাসে নিজের উপর জুলুম করা জায়েজ নয় !! (২য় পর্ব)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১১



(সতর্কীকরণঃ- পোস্টে রক্তের ছবি আছে। যাদের সমস্যা হয় পোস্টে আসবেন না।)


এই পর্ব পড়ার আগে পুর্বের পর্বটা দেখে নেওয়া যাক ।

নিজে নিজেকে আঘাত করে আত্মহত্যা করা ইহুদীদের ধর্ম

অপরাধ করলে, ভুল করলে, কুফরী করলে, নিজেকে আঘাত করে ধ্বংস করে দেয়া মুসলমানদের দ্বীন নয়। এটি ইহুদীদের শরীয়ত। মুসলমানদের নয়।

হযরত মুসা আঃ যখন নিজের ভাই হারুন আঃ কে রেখে তূর পাহাড়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন। তখন লোকেরা বাছুরের পূজা করতে শুরু করে দিয়েছিল। মূসা আঃ ফিরে এসে তাদের ভর্ৎসনা করলেন। নিজেদের গোনাহের কারণে, কুফরীর কারণে তওবা করতে বললেন, সেই তওবার পদ্ধতি ছিল নিজে নিজেকে হত্যা করা। নিজে নিজেকে আঘাতে আঘাতে বিক্ষত করা। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-

وَإِذْ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ إِنَّكُمْ ظَلَمْتُمْ أَنفُسَكُم بِاتِّخَاذِكُمُ الْعِجْلَ فَتُوبُوا إِلَىٰ بَارِئِكُمْ فَاقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ عِندَ بَارِئِكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ ۚ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ [٢:٥٤]

আর যখন মূসা তার সম্প্রদায়কে বলল, হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা তোমাদেরই ক্ষতিসাধন করেছ এই গোবৎস নির্মাণ করে। কাজেই এখন তওবা কর স্বীয় স্রষ্টার প্রতি এবং নিজ নিজ প্রাণ বিসর্জন দাও। {সূরা বাকারা-৫৪}

তাহলে নিজেকে আঘাত করা, বিক্ষত করা, তওবার জন্য, অনুশোচনা করে নিজে নিজেকে আঘাত করে বিক্ষত করা মুসলমানদের ধর্ম না ইহুদীদের ধর্ম?

মুসলমানদেরতো আল্লাহ পাক নির্দেশ দিয়েছেন- “সুতরাং এর মধ্যে [পবিত্র চার মাসে, যার মাঝে মুহাররম শামিল] তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। {সূরা তওবা-৩৬}

তাহলে মুহররমের দশ তারিখ নিজেকে আঘাতে আঘাতে বিক্ষত করা মুসলমানদের দ্বীন মানা হয়? না ইহুদীদের?

যে ব্যক্তি ইসলামের বিধান রেখে ইহুদীদের দ্বীন মানে উক্ত ব্যক্তির নাম মুসলমান হয় কি করে?






মর্সিয়া-মাতম বন্দেগী না ভন্ডামী?

যারা মাতম করে শরীরকে রক্তাক্ত করে, তাদের যদি বলা হয়, আপনারা এমন করেন কেন? নিজেকে বিক্ষত করেন কেন? জবাবে তারা বলে যে, এটি তাদের ইবাদত। এটি তাদের বন্দেগী।

যদি বলা হয়, ইবাদততো পালন করা হয় ইবাদতখানায়। কিংবা স্বীয় গৃহে। আপনারা ইবাদত পালন করতে রাস্তা ব্লক করে মানুষকে কষ্ট দিয়ে জ্যাম সৃষ্টি করে এসব করেন কেন?

বলবে, এটাই তাদের পদ্ধতি।

কিন্তু পৃথিবীর কোন ধর্মাবলম্বীর এমন কোন ইবাদত আছে কি? যা মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে, মানুষকে জ্যামে আটকে ইবাদত পালন করা হয়? মুসলমানরা তাদের ইবাদত পালন করে সুনির্দিষ্ট স্থান ইবাদতগাহ মসজিদে ও ঈদগাহে। ইহুদীরা তাদের ইবাদতখানায়। খৃষ্টানরা তাদের নির্ধারিত গির্জায়। বৌদ্ধরা তাদের প্যাগোডায়। হিন্দুরা তাদের গীর্জায়। কিন্তু এ আবার কোন ধর্ম যারা তাদের ইবাদত পালন করতে রাস্তা ব্লক করতে হয়? রাস্তা আটকে দিতে হয়। এর নাম ধর্মপালন না ভন্ডামী?

যদি মাতমকারীদের বলেন যে, আপনারা কেন নিজেকে রক্তাক্ত করেন, তখন তারা বলে যে, তারা হুসাইনী। সিমার হুসাইন রাঃ কে রক্তাক্ত করেছে, তাই সেই শোকে তারা নিজেদের রক্তাক্ত করে।

কিন্তু মজার ব্যাপার হল, হুসাইন রাঃ কে রক্তাক্ত করেছে সিমার। তাহলে রক্তাক্ত হলেন হযরত হুসাইন রাঃ। আর রক্তাক্ত করেছে সিমার। আর শিয়ারা নিজেরাই সিমার সেজে নিজেকে আঘাত করে। নিজেকে রক্তাক্ত করে। তাহলে তাদের এ মাতম, তাদের এ রক্তবন্যা প্রবাহিতকরণ কি সিমারী কাজ হয়, না হুসাইনী কাজ হয়? সুনিশ্চিতভাবেই সিমারী কাজ হয়। নিজের হাতে রক্ত প্রবাহ করার নাম হুসাইনী কাজ কিছুতেই হতে পারে না। বরং রক্ত প্রবাহিত করাতো সিমারী কাজ। সিমারী কাজ করে নিজেদের হুসাইনী হওয়ার মিথ্যা দাবি করার নাম ভন্ডামী নাতো কি?




রাসূল সাঃ এর নির্দেশ অমান্যের নাম বন্দেগী নয়






আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লাহ স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন-

وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥٩:٧

রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা হাশর-৭}

মাতম করা, শোকতাপে নিজেকে আঘাত করতে রাসূল সাঃ নিষেধ করেছেন। রাসূল সাঃ এর সেসব নিষেধ অমান্য করার নাম নাফরমানী, বন্দেগীও ইবাদত নয়। রাসূল সাঃ একাধিক হাদীসে মাতম করতে, মর্সিয়া করতে, শোকে নিজেকে আঘাত করতে নিষেধ করেছেন। যেমন-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ ضَرَبَ الْخُدُودَ وَشَقَّ الْجُيُوبَ وَدَعَا بِدَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, সে ব্যক্তি আমাদের দলের লোক নয়, যে [মৃতের শোকে] নিজ মুখমন্ডলে হাত দ্বারা আঘাত করে, জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং অন্ধকার যুগের লোকদের মত হা-হুতাশ করে। {মুসন্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১১৩৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৬৫৮, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১২৯৭, ১২৩৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৫, ১০৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৫৮৪}

أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَنَا بَرِيءٌ مِمَّنْ حَلَقَ وَسَلَقَ وَخَرَقَ»

হযরত আবু বুরদা ইবনে মুসা রাঃ হতে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, আমার সাথে ঐ ব্যক্তির সম্পর্ক নেই, যে মাথা কেশ ছিন্ন করে, উচ্চস্বরে বিলাপ করে এবং জামা ছিঁড়ে ফেলে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১০৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৫৮৬, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-১৮৬৩, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৬১৭}

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: «لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّائِحَةَ وَالْمُسْتَمِعَةَ»

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূল সাঃ বিলাপকারিণীকে এবং তা শ্রবণকারীকে অভিসম্পাত করেছেন। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১১৬২২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩১২৮, সুনানে সগীর লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১১৪২}

عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «أَخَذَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ البَيْعَةِ أَنْ لاَ نَنُوحَ»،

হযরত উম্মে আতীয়া রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ আমাদের বাইয়াত গ্রহণকালে এ অঙ্গিকার নিয়েছেন যে, আমরা যেন মৃত ব্যক্তির জন্য উচ্চসরে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রন্দন না করি। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৩০৬, ১২৪৪}

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” اثْنَتَانِ فِي النَّاسِ هُمَا بِهِمْ كُفْرٌ: الطَّعْنُ فِي النَّسَبِ، وَالنِّيَاحَةُ عَلَى الْمَيِّتِ “

হযরত আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূল সাঃ বলেছেনঃ “দুটি বিষয় এমন যা মানুষের মধ্যে কুফরী বলে গণ্য হয় ঃ বংশধারা কে কলংকিত করা ও মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশার্থে উচ্চ শব্দে কান্নাকাটি করা। {মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং-১০৪৩৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১২১, ৬৭}

এরকম আরো অসংখ্য হাদীস রয়েছে যা স্পষ্ট ভাষায় প্রমাণ করছে যে, উচ্চস্বরে বিলাপ করা, শোকে কাতর হয়ে নিজের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলা ইত্যাদি নিষেধ। এসব করতে রাসূল সাঃ স্পষ্ট ভাষায় নিষেধ করেছেন।

আর ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলাও বিপদে ধৈর্যধারণের আদেশ দিয়েছেন। সেখানে ধৈর্য না ধরে রাসূল সাঃ এর এতগুলো বিশুদ্ধ বর্ণনাকে পায়ে দলে মাতম করা, চিল্লাফাল্লা করা, নিজেকে বিক্ষত করা কিছুতেই ইবাদত হতে পারে না নাফরমানী ছাড়া।







শেষ কথা

মৃত ব্যক্তির উপর শোকতাপ করে বুক চাপড়ানো, মর্সিয়া মাতম হারাম। সেই সাথে এসব দেখতে যাওয়াও জায়েজ নয়। যা উপরের কুরআন ও হাদীসের দ্বারা স্পষ্ট হয়েছে। সুতরাং মহররমের দশ তারিখ হিন্দুদের প্রতিমা বিসর্জনের মত যারা তাজিয়া মিছিল বের করে তারা মুসলমানদের কোন ধর্মীয় কাজ সম্পাদন করে না। হিন্দুদের প্রতিমা বিসর্জনের নকল একটি প্রতিকী শোক প্রকাশ করে থাকে মাত্র। যা কিছুতেই ধর্মীয় কাজ নয়। ইবাদত হওয়াতো দূরে থাক। এটা কোন নৈতিক কাজও নয়। রাস্তা বন্ধ করে, জ্যাম লাগিয়ে ধর্মের নামে করা অধার্মীক কাজ বন্ধ রাখার জন্য আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের কুরআন ও হাদীস বিরোধী এ জঘন্য প্রথা থেকে হিফাযত করুন। হযরত হুসাইন রাঃ এর মত সত্য দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য হাসিমুখে বাতিলের হাতে শহীদ হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।




মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৮

মুহামমদল হািবব বলেছেন: ধন্যবাদ । গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪০

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: জি জনাব পুর্বের পর্ব টা পড়েছেন ??? ধন্যবাদ ।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:১৪

অডি বলেছেন: লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমার দুটি প্রশ্ন আছে (সাথে আমার উত্তরও), আপনার লেখার আলোকে আপনার উত্তর আর আমার সংশোধনী আশা করছি।
১। হযরত ওয়াইশকুরনী যে নিজের দাঁত ফেলে দিল সেটাও কি তাহলে নাফরমানী ছিল?
না, আমি মনে করিনা উনি কোন নাফরমানী আচরণ করেছেন। উনি উনার মত করে ভালবেসেছেন। স্রষ্টা এবং নবীর প্রতি তার এই ভালাবাসাকে আমি সম্মান জানাই।
২। আমি অনেক জায়গায়'ই রাস্তা আটকিয়ে নামাজ পড়তে দেখেছি। তাতে কি তারা অমুসুলমান হয়ে গেল?
না, আমি তা মনে করিনা। স্রষ্টা'র আদেশ পালন করতে তাদের ইচ্ছাশক্তিকে আমি সম্মান জানাই।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:০৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কিন্তু মজার ব্যাপার হল, হুসাইন রাঃ কে রক্তাক্ত করেছে সিমার। তাহলে রক্তাক্ত হলেন হযরত হুসাইন রাঃ। আর রক্তাক্ত করেছে সিমার। আর শিয়ারা নিজেরাই সিমার সেজে নিজেকে আঘাত করে। নিজেকে রক্তাক্ত করে। তাহলে তাদের এ মাতম, তাদের এ রক্তবন্যা প্রবাহিতকরণ কি সিমারী কাজ হয়, না হুসাইনী কাজ হয়?
মোক্ষম যুক্তি,বুঝে ক'জনা?

একটা পেজের লিন্ক দিলাম
view this link
এখানে সূরা বাকারা-৫৪ এর অনুবাদ করা হয়েছে এভাবে,
''আর যখন মুসা স্বগোত্রকে বললেন হে আমার জাতি গো বৎসকে উপাস্যরুপে গ্রহন করে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছ ,সুতরাং তোমরা তোমাদের প্রভুর পানে ফিরে যাও এবং তোমরা নিজেদেরকে সংযত কর,প্রভুর নিকট তোমাদের ইহাই শ্রেয় তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরবশ হবেন,তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।''

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.