![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব ।
ধর্মের নামে ব্যবসা, ধর্ম ব্যবসায়ী -
এসব শব্দগুলোকে আমরা, মানে ইসলামের অনুসারীরা যথাসাধ্য ফিরিয়ে দিই। যারা আমাদের অভিযুক্ত করে আমরা তাদের কথার জবাব দিতে সর্ব শক্তি ব্যয় করি। কিন্তু ধর্মের নামে যে ব্যবসা হয় এটা তো অস্বীকার করার জো নেই! কিন্তু...
কারা সে ব্যবসায়ী, ব্যবসার ধরণটা কী? তা কিন্তু আমরা ধরিয়ে না দেয়ায় বরাবরই ধর্ম ব্যবসায়ীরা আলেমদের দিকে আঙ্গুল তুলে "ধর্ম ব্যবসায়ী " বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।
ধর্মের নাম না দিয়ে ধর্মব্যবসায়ী- এ শ্রেণীটাকে চিহ্নিত করা বড়ই দূরুহ। মূলত ইসলামপন্থিদের সমর্থন প্রাপ্তির আশায় এরা নেফাকের আশ্রয় গ্রহণ করে। এ প্রবণতা ক্ষমতালোভী নেতা-নেত্রীদের মধ্যে বেশি পরিলক্ষিত হয়। দুনিয়ার লোভ এনাদের আঁধার রাতের বাসিন্দা বানিয়েছে। হিদায়ার জন্য দুআ ছাড়া করণীয় কিছু নেই।
ধর্মের নাম দিয়ে ধর্মব্যবসায়ীঃ আল ইয়াজু বিল্লাহ! মারাত্মক এ শ্রেণী! এদের হাত থেকে বাঁচা চাট্রিখানি ব্যাপার না। ধর্ম প্রাণ মানুষ যেমন এদের দলে ভেরে ঠিক ধান্দাবাজরাও এ দলের সদস্য হয়ে তাদের কাঙ্ক্ষীত লালসা পূরণ করে! এ ক্ষেত্রে দুটি মতাদর্শকে অধীক ইউটিলাইজ করা হয়!
রাজনৈতিকঃ ইসলামকে রাস্ট্র ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করার স্লোগান সামনে রেখে গণতান্ত্রিক দল গঠন করা হয়। ক্রমশ এ দলে ধর্মভীরু সংগ্রামিদের টানা হয়। ছাত্র, তরুন, কর্মজীবিসহ সকল শ্রেণীর ঐ সকল নারী- পুরুষকে তারা এ দলে টানতে সমর্থ হয় যারা সাধারণত ইসলাম পছন্দ করে। এই লোকদের সব থেকে দূর্বলতা হলো এরা দ্বীনি শিক্ষা থেকে বে খবর। আর এ দূর্বলতাকে সামনে রেখে দল প্রতিষ্ঠাতাগণ
তাদের মত করে এনাদের দ্বীন শেখায়! এবং তাদের শেখানো ইসলাম থেকে এরা যেন বের না হতে পারে এজন্য গ্রহণযোগ্য আলেম, ইমামদেরকে এরা বিতর্কত করে। তারা সঠিক ইসলাম বুঝে না, এমন প্রচার করে। ফলে তাদের দল ভারি থেকে ভারি হয়।
এরপর এনাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, মেধা, তারুন্য অর্থ সবকিছু কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ব্যাঙ্ক বীমাসহ যাবতীয় জীবিকার উপকরণ। সে সম্পদ রক্ষায় জড়িয়ে যায় আরো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে। হুমকি- ধামকি দিয়ে স্থানীয় প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখে। কোন কোন পর্যায়ে হত্যা করে, রগ কেটে প্রতিপক্ষকে নিঃশেষ করা হয়। কিন্তু যারা এ কাজে ব্যবহৃত হয় তারা কিন্তু একদম ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিশুদ্ধ নিয়তেই হত্যার মত জঘন্য কাজে মেতে ওঠে। আদতে যে 'আমীরসাব' ফেলায়া দেয়ার গ্রিন সিগনাল দিয়েছেন তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসাটা নিষ্কন্টক করাই মূল মাকছাদ! লেকিন ইয়ানাতটা আদায় করে উনি আবার প্রমাণ করতে চান- এসম্পদতো ' দ্বীন' প্রতিষ্ঠার জন্যই!
ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে এভাবে গড়ে ওঠা জনশক্তিকে এসোলোটেড ডিফারেন্স ইউনিটে গড়ে তুলে একের পর এক সকল কর্পোরেট পয়েন্ট দখল করা হয়। আর এগুলো রক্ষার জন্য জোট মহাজোট গড়ে তুলে অর্ধ শতাব্দি পর্যন্ত পারি দেয়। যখন দুনিয়ার আসবাব এদের পাহারা দেবার লক্ষে পরিণত হয় তখন ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়ে যায় -দিল্লি বহুত দূর আস্ত..
আধ্যাত্মবাদঃ এরা উপরে আলোচিত চরিত্রের সম্পূর্ণ উল্টো। সেটা স্বার্থে নয় বরং পদ্ধতিগত। দুনিয়া অর্জনে এরা একাট্রা, লেকীন পথ ও পদ্ধতি ভিন্ন। জান্নাতে নেবার মসৃন পথ, হারাম কামাই কারী.জেনাকারী, মদখোর, সুদী, তাগুতি, খুনি, মুশরিক, স্মাগলার, নারী পাচারকারী, গুন্ডা, বদমাশ, বেনামাযি, ধর্ষক, ইসলাম মিটিয়ে দেয়া রাজনীতিকসহ সকল অপরাধীর অভায়রন্য হলো তথা কথিত ভন্ড পীরদের খানকা নামের গোপন আখড়া। এরা উপরোক্ত সকল অপরাধীকে নিরাপদে জান্নাতে নিয়ে যাবার দাবীদার। গ্যারান্টিদাতা। বিনিময়ে মূর্খ মুরিদদের ঐ সকল অবৈধ উপার্জনের ভাগ। হায়রে ধর্ম ব্যবসা!! ধর্ম ব্যবসা নিপাত যাক। ইসলাম ধর্ম মুক্তি পাক।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৭
কানিজ রিনা বলেছেন: এসব ধরমের নামে ক্ষেপাজোটদের হাত থেকে
হেপাজত করুন আল্লহ্।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৩
ইসলামের ইলম বলেছেন: আল্লাহিএই যুবকদের নিয়্যতকে কবুল করুন এবং এই সুবিধাবাদীদের আসল চেহারা দুনিয়া ও আখিরাতে সবাইকে দেখিয়ে দিন। আমিন।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: এই ধর্ম ব্যাবসায়ীরা তারা তাদের সুবিধামত দ্বীনকে ব্যাবহার করে তাদের মনগড়া ব্যাখ্যায় । আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুণ ।আমিন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
স্পর্শ বলেছেন: এই ধর্ম ব্যাবসায়ীদের জন্য আজ ধর্মপ্রানদের চলায় দায় হয়ে পড়েছে । এদের কারনে আজ সমাজের কিছু ধ্বজাদারী সুশীল বুদ্ধিজীবিরা আজ ইসলাম কে হ্যায় করছে ,আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুণ । চালিয়ে যান ।