![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব ।
'নবীজি'
হুমায়ুন আহমেদের শেষ লেখা
====================
গত কাল তার জন্মদিন ছিল। আমার কৈশোরের দিনগুলোতে হুমায়ূন ছিলেন স্বপ্নের নায়ক। তার জীবনের সবচেয়ে সেরা কাজ, শ্রেষ্ট সাহিত্যকর্ম লিখেছিলেন জীবনের শেষ দিনগুলোতে। কলমের যাদুকর নন্দিত কথাসাহিত্যিক উপন্যাসিক হুমায়ুন আহমদ যেমন সাদামাটা সহজ লিখা লিখতেন তরুন প্রজন্মের জন্য । সেই সাদা মাটা নামকরন দিয়ে শুরু করেছিলেন জীবনের মোড় ঘুরানো অদ্বিতীয় এই লেখা
"নবীজি" ।
.
শব্দটার ভিতর কি দরদ মহব্বত প্রেম
ভাবতেই চোখে পানি চলে আসে। নবীজি'র
প্রতিটি অক্ষর যেন প্রেম আর ভক্তির একেকটি মুক্তোর দানা । হুমায়ুনের প্রকাশনা খ্যাত মাজহারুল ইসলামের 'অন্যপ্রকাশ' । এখানে একদিন মিলাদ দিলেন মাজহারুল ইসলাম । এলেন হুমায়ুন আহমেদও । মিলাদ শেষে
এক মাওলানা কাব্যিক ভাষায় প্রাঞ্জলভাবে এক হৃদয়গ্রাহী মোনাজাত করলেন। এই মুনাজাতই বদলে দিয়েছিল হুমায়ুনের জীবন , চেতনা , আর বিশ্বাসকে।
.
বাংলাদেশের স্যাকুলার তারুণ্যের গুরু, নন্দিত লেখক হুমায়ুন মোনাজাত শেষে মাওলানার কাছে গিয়ে মোছাফাহ করে হাটু ঘরে বসে বললেন , "হুজুর আপনার প্রার্থনায় আমি মুগ্ধ। আপনি আমার কাছে আপনার প্রিয় কিছু চান, আমি আপনাকে দিতে চাই '।
হুজুর বললেন , আপনি আসবেন বলে আমিও অধির আগ্রহ নিয়ে এখানে এসেছি। আপনার কাছে চাই নিয়মিত নামাজ আর আমার নবীজীকে নিয়ে লেখা। আপনার লেখা কত মানুষ পড়ে। আপনার লেখা লাখো তারুণ্য পড়ে
আগ্রহ নিয়ে ।আমার নবীজীকে নিয়ে লিখলে তাদের উপকার হত '।
.
শিশুর মতো সরল মানুষ সেইক্ষন থেকেই বদলে গিয়েছিলেন।সাদামাটা ক'টি কথাই
তার ভিতর প্রচন্ড রকমের ধাক্কা দিয়েছিল । বুকের ভিতর লুকানো ঈমান জেগে উঠেছিল। মাওলানা যেন তার ঈমানের নিভু নিভু অনলে কেবল একটু ফুঁ দিয়েছিলেন। উপন্যাসিক হুমায়ুন আহমদ তার কথা রেখেছেন ।নামাজ কাযা
করেন নি আর । লিখা শুরু করেছিলেন । জীবনের শেষ লেখা "নবীজি"।
.
আর মহান রবের কী রহস্য সেই মুহুতেই ধরা পরে তার শরীরে মরনব্যধি ক্যন্সার । শেষ মুহুর্তে যতোদিন অসুস্হতা নিয়ে লিখতে পেরেছিলেন ততোদিন লিখেছেন "নবীজি" । তিনি মনে প্রাণে প্রার্থনা করতেন, এই গ্রন্থ লেখার ভিতরে তিনি যেন নবিজীকে স্বপ্ন দেখে ধন্য হন। নবীজি যেন দেখাদেন প্রিয় হুমায়ুন কে একবার। জানিনা মৃত্যুর আগে তার এই প্রার্থনা ও ইচ্ছে পূরন হয়েছিল কি না । তিনি আরো কিছুদিন বেঁচে থাকলে বাংলা সাহিত্য ও পৃথিবী পেত অন্য এক সিরাত সাহিত্য হুমায়ুন আহমদের কাছ থেকে। তার পর যতটুকো লিখেছেন এর বরকতে নবীজী সাঃ তার এই প্রিয় বান্দকে কাউসারের অমৃত সুধা পান করান যেন নিজ হাতে এই প্রার্থনা প্রিয় হুমায়ুন আহমদের জন্য ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৫
সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: জি প্রকাশিত হয়েছে অসম্পুর্ন !!
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৯
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এটা কি প্রকাশ হয়েছিল?