![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাদামাটা একজন মানুষ। অন্যের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছি, বিনিময়ে অন্নের সংস্থান হয়। নিঃসঙ্গ কেটে যায় দিনগুলো। নিজের সম্পর্কে এর চেয়ে বেশী বলার কিছু নেই। © আমার লেখা সম্পূর্ণ বা আংশিক বিনা অনুমতিতে কোথাও ব্যবহার না করার জন্যে সকলের প্রতি অনুরোধ রইলো। যোগাযোগঃ [email protected]
একটা পোস্ট পড়লাম। পড়ে সেখানে মন্তব্য করার চেয়ে ভিন্ন পোস্টে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে ইচ্ছে হলো। তাই এই পোস্ট।
সংশ্লিষ্ট পোস্টঃ সিগারেট! কেন আর লিঙ্গ বৈষম্য? -কালোজাম
আমার আলোচনাঃ ধূমপান এমন একটা নেশা যার কোন উপকারিতা নেই। ধূমপানের স্বপক্ষে বলার কিছু নেই। তবু পৃথিবীব্যপী মানুষ যুগ যুগ ধরে আরো অনেক নেশার মতো ধুমপানও করে আসছে। বলাই বাহুল্য নিকোটিন এমন একটি নেশাদ্রব্য যার ক্ষতির মাত্রা লিঙ্গের বাছ বিচার করে না; করার কথাও না। নারী-পুরুষ উভয়েই এটাতে আসক্ত হতে পারে এবং হয়ও।
আমাদের রক্ষনশীল সামাজিক বাস্তবতার কারনে নারীর তুলনায় পুরুষের ধূমপায়ী হওয়ার সুযোগ বেশী; ফলে পুরুষের মধ্যে ধূমপায়ী হওয়ার প্রবণতাও তৈরী হয় বেশী। এদেশে পুরুষ ধূমপায়ীর সংখ্যা বেশী হবে এটাই স্বাভাবিক। যদিও পাহাড়ী/ আদিবাসী অধ্যূষিত এলাকাগুলোতে প্রকাশ্যেই নারীরা ধূমপান করে থাকে। এজন্যে তাদেরকে কোন প্রকার সামাজিক/ পারিবারিক বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় না। এই জায়গাটিতে তারা পাশ্চাত্যের সভ্য সমাজগুলোর মতোই।
নারীর কি অধিকার নেই ধূমপানের? অবশ্যই আছে। তার যেহেতু ইন্দ্রীয় রয়েছে তাই তার ধূমপানের অধিকারও রয়েছে। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও বৈষম্যপীড়িত সমাজ ব্যবস্থায় অন্য অনেক অধিকারের সাথে নারী বঞ্চিত হচ্ছে ধূমপানের অধিকার থেকেও। আমি ধূমপানের পক্ষে বলছি না। আমি বলছি মানুষের অধিকারের কথা।
একজন পুরুষ দিব্যি রাস্তা দিয়ে সিগারেট ফুকতে ফুকতে চলতে পারলে, একজন নারী কেন পারবে না? কেন তাকে পুরুষের (এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু নারীর) বক্র চাহনীর শিকার হতে হয়? বিয়ের বেলায় একজন পুরুষের ধূমপানে আসক্তি যদি অযোগ্যতা না হয় তাহলে নারীর বেলায় কেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করতে হবে?
নারী ধূমপায়ীকে বিয়ে করা যাবে না? বিয়ের আগে খোজ খবর নিতে হবে মেয়েটির ধূমপানের অভ্যাস আছে কি না?
খুবই বিস্মিত ও হতাশ হই একুশ শতকের শিক্ষিত বাঙ্গালী পুরুষের মানষিকতা দেখে।
বি.দ্রঃ ধূমপান মৃত্যু ডেকে আনে। এটা তীব্রভাবে পরিত্যাজ্য। (তবে পুরূষ ও নারী সকলের জন্যেই কথাটি প্রযোজ্য)
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৩
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: গুড। আপনার মতো তো আর সবাই নয়। অধিকাংশ পুরুষ নিজে ধূমপান করবে অথচ একজন নারীকে তার সামনে ধূমপান করতে দেখলে এমন ভাব করে যেন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে।
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪৯
আগামি বলেছেন: কে কেমন মাইয়া পছন্দ করব এইটা তার ব্যাফার । যদিও ব্যাফারটাতে পুরুষতান্ত্রিক গন্ধ আছে !
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৪
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: আমি কিন্তু ব্যক্তির কথা বলিনি। সমাজের কথা বলেছি।
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০০
কালোজাম বলেছেন: বিয়ের বেলায় একজন পুরুষের ধূমপানে আসক্তি যদি অযোগ্যতা না হয় তাহলে নারীর বেলায় কেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করতে হবে?
ঠিক কাছাকাছি ভাবনা আমার আছে।
তারপরও এটা ফ্যমিলী সংক্রান্ত ব্যপার । আপনি ব্যচেলার ছিলেন ধুমপান করার জন্য কেউ কিছু বলার নাই। তারপর বিয়ের পর ব্যপারটা আর ইন্ডিভিজুয়াল থাকলনা।
সামাজিক সম্পৃতির ক্ষেত্রে তাই মেয়েদের ধুমপান অনেক অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্ম দেয়।
আর হেল্থ স্টাডির রিপোর্টটার লিঙক তো পোস্ট করেছি। এরপরও আপনি আপনার মতে অটল থাকবেন?
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১১
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
আমার বক্তব্যটা হেলথ স্টাডির রিপোর্ট কেন্দ্রিক নয়। মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছি। হেল্থ স্টাডিতে তো পুরুষের জন্যেও ধূমপান স্বাস্থ্যপ্রদ বলা হয় না, এটা সমানভাবে পুরুষের জন্যেও ক্ষতিকর। আর যদি এটা মেনেও নেয় যে নারীদেহে ধূমপান বেশী ক্ষতি করে, তাহলেও তো কিছু যায় আসে না।
একজন পুরুষ যা করে তা কেন একজন নারী করলে সমালোচনা হবে-এটাই আমার মূল বক্তব্য। যে সমাজ এমন বৈষম্য ও পীড়নমূলক সংস্কৃতি লালন পালন করে আমি সেই সমাজকে ঘৃনা করি।
আমি বলতে চাই, আগে সমাজ ব্যবস্থার সর্বস্তরে সম-অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, এটা সমাজের মানুষগুলোর মানষিকতা বদলের মাধ্যমে করতে হবে। তারপর ধূমপায়ীকে বুঝাতে হবে যে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
যে সমাজে পুরুষেরা এমনকি পাবলিক প্লেসেও ধূমপান করে, সেখানে শুধু নারীর ধূমপানের প্রশ্নে স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা বলা রীতিমতো ভন্ডামি।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০৮
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: এর প্যাচাইয়া লাভ নাই। "আমি তোমাকে ভালবাসি" এই কথাডারে পেচাইয়া পুচাইয়া একটা কবিতা বানানি যায়। প্যাচানির দরকার থাকলে কবিতা লেখাই ভাল। সোজা বাংলা হইতাছে, যার মনে চায় সে ধূমপান করব, যার মনে চায় সে করব না। নারী বা পুরুষ কোন এইখানে কোন কারণ না। কারণ কেউ কারো বাপের টাকায় ধূমপান করে না। অতএব অন্যের এতে কিছু বলার নাই। যেই ব্যাডার মনে চায় সে ধূমপান করুক। ধূমপায়ী বেডার যদি মনে চায় অধূমপায়ী বেডি বিয়া করব তাইলে সে কথা বইলা দেখুক কোন অধূমপায়ী বেডীর লগে যে, আমি ধূমপান করি কিন্তু আমার বউ হইব আধূমপায়ী। এখন তুমি অধূমপায়ী। আমারে বিয়া করবা কি করবা না? যদি ঐ বেডির মনে চায় সেই ধূমপায়ী বেডারে বিয়া করবার তাইলে করব না করলে নাই। কারণ ঐ বেডা আমার টেকায় বিয়া করব না, তার টেকায় বিয়া করতাছে। বেডি রাজী থাকলে আমার কিছু বলার অধিকার নাই। আর কোন ধূমপায়ী বেডির যদি ইচ্ছা হয় অধূমপায়ী বেডা বিয়া করব তাইলে সেও যদি এমন কোন অধূমপায়ী বেডা খুইজা পায় যে তারে বিয়া করনের লাইগা রাজী তাইলে করুক। এইডা দুইজনের পারস্পরিক ইচ্ছা। যার যার বুঝ সে বুইঝা নিব। কারন দুইজনেই প্রাপ্তবয়ষ্ক। বিয়া করার বয়স হইছে দুইজনেরই, অতএব তারা যে না-বুঝ এইডা না এইডা নিশ্চিত। যদি তারা আসলেই না-বুঝ হয়, তাইলে তাগোর বিয়া না কইরা আরো কিছুদিন অপেক্ষা করা উচিত বুঝ ঠিকমত হওনের লাইগা। এইহানে আমার কিছু বলার নাই। কারন সিদ্ধান্তটা তাদের। কাউরে কারো পছন্দ না হইলে বিয়া করব না। এহন আমি তো আর চিল্লাইয়া কইতে পারি না, আমি অধূমপায়ী, তুমাকেও অধূমপায়ী হইতে হইব কারণ আমি তুমারে বিয়া করলেও করতে পারি। অথবা আমি ধূমপায়ী, কিন্তু তুমিও ধূমপায়ী, তাই আমারে বিয়া করার জন্য তুমি আমারে তোমার যোগ্য হিসাবে মাইনা নিতে বাধ্য। এই ধরণের চিল্লাফাল্লা করা দেখলে মেজাজ খারাপ হয়।
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৫
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: মন্তব্যের সাথে সহমত।
তবে আমার বক্তব্যের বিষয়বস্তু কিন্তু শুধু বিয়েতে সীমাবদ্ধ না, বরং সমাজের অধিকাংশ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি সংশ্লিষ্ট।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১১
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: তয় দেড় ঘন্টার লেকচার কেলাসের মধ্যে পাচ মিনিটের যে বিরতি দেয় সেই সময়ে ধূমপান করা ভাল। এতে প্রথম পয়তাল্লিশ মিনিটে আসা ঘুমটা অনেকটা কেটে যায়, নতুন করে ঘুম অত্যাচার সহ্যের জন্য প্রস্তুত হওয়া যায়।
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৬
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: আমি তো রোজ এক প্যাকেট। কিন্তু এটার পক্ষে বলার কোন যুক্তি তো আমার হাতে নেই। আবার নারীর ধূমপানের বিপক্ষে বলারও তো আমার অধিকার নেই।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৮
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ধূমপান সবার জন্য পরিত্যাজ্য। এর সাথে নারী-পুরুষ ব্যাপারটা জড়ানো অনর্থক।
আমি কখনই সিগারেট খাই নাই। তাই বলে কি আমার কোন ক্ষতি হয়েছে ?
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২০
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: সহমত। ধন্যবাদ।
না, ক্ষতি হবে কেন? বরং সব দিক থেকেই অনেক ভালো হয়েছে।
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২২
মুভি পাগল বলেছেন: আমরা যত যাই বলি না কেন, ধূমপান আমাদের সবার জন্যই ক্ষতিকর। এর সাথে আসলে লিঙ্গের বিষয়টা জড়িয়ে কোন লাভ নেই। সমুদ্রের পানির যেমন কোন শেষ নেই, তেমনি এ বিষয়ে বিতর্কেরও কোন অবসান হবেনা।
কিন্তু সার সত্য এই যে, ধূমপান পরিত্যাগে আমরা সুস্থ থাকতে পারব। এটা মেয়ে এবং ছেলে উভয়ের বেলাতেই প্রযোজ্য।
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৪
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: সহমত।
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৫
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আসল সমস্যা হইতাছে আমাগোর। এই আমাদের আপাত শিক্ষিত, ভদ্র, আপাত ফ্লাটবাসী লোকগুলানরই সমস্যা। লেবার বা কামলা দেয় যারা, তারাও মনে হয় আমরার থিকা বেশী উদার। কারণ হেগোরে আমি নারী পুরুষ নির্বিশেষে ধূমপান করবার দেখছি, সোজা কথায় আকিজ বিড়ি, রতন বিড়ি, আবুল বিড়ি টানবার দেখছি। হেরা ভাগাভাগি কইরাও বিড়ি টানে। হেরা বকলম হইয়াও হেগোর কুন সমস্যা নাই, আর এই শিক্ষিত শ্রেণীর মধ্যে এত সমস্যা কেন? কারণ এই শেণীটা একটা বদ্ধ শ্রেণী। ইউরুপে যেমন দেহা যায়, কেডা কার লগে কয়দিনের লাইগা ঘর করল তার কোন ঠিক ঠিকানা নাই, কেডা কবে পতিতালয়ে গেল তারও কোন ঠিক ঠিকানা নাই। কারোর কোন খোজ কারো কাছে নাই। তাই ইউরুপে নারী পুরুষ নির্বিচারে ধুয়াপায়ী, কারো কুন সমস্যা নাই। তেমনি আমাদের এই আপাত বকলম শ্রেণীর দিকে ভাল কইরা তাকাইলেও দেখবেন তাগোর লগে এই ইউরুপিয়ানগোর একটা প্রচ্ছন্ন মিল আছে। দুইটা সমাজই মুক্ত সমাজ। দোররা মারা হয় সেইসব মহিলাদের যারা নিজস্ব বসতভিটায় বাস করে, কিন্তু যারা বাস্তুহারা হইয়া, আইজকা নোয়াখালী, কাইলকা গাজীপুর, পরেরদিন উত্তরায় আইসা কামলা দেয় তাগোরে কেউ দোররা মারার চান্সই পায় না।
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩৩
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: এটা তো স্বীকৃত একটা বিষয় যে অতি উচ্চ ও অতি নিম্ন শ্রেনীর মানুষ সমাজকে পরোয়া করে না। তারা তাদের ইচ্ছা ও প্রয়োজনানুসারে চলে, কাজ করে। আর মধ্যবর্তী মানুষগুলো আকড়ে ধরে পরম্পরার অপরিবর্তনীয় শেকড় ও সংস্কার। এরা সকল মন্দকে লালন-পালন ও পৃষ্টপোষকতা দিয়ে থাকে। আবার ভালো কাজও এরাই করে।
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৪
স্নেহের ছায়ায় বলেছেন: অনুগ্রহ করে নিচের পোস্টটি পড়ুন। আমার বেশ ভালো লেগেছে এটি।
Click This Link
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৫
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: বক্তব্যের সাথে তো একমত অবশ্যই নই, যথেষ্ট খারাপ লেগেছে পোস্টটি। শেষ বাক্যটি আপত্তিকরও। যুক্তি কি জিনিস সেটা আগে বোঝা প্রয়োজন। কুযুক্তি ও যুক্তির পাথর্ক্য বুঝাটাও জরুরী।
১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২২
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আসলে আমাদের দেশের মানুষ ভাত পায় না খাইতে, কিন্তু বিড়ি তার চাই-ই চাই।
গ্রামে অনেক মেয়েরা, বা শহুরে মহিলারাও অনেকেই পান খায়। পানে জরদা দেয়া হয়। এইটা কী খুব ভাল?
মেয়েরা সিগারেট কম খায় বটে, কিন্তু আসলে যে নেশা থেকে দূরে ব্যাপারটা তা কিন্তু না !!
ধূমপায়ীরা যেমন অধুমপায়ী মেয়ে চায়, মেয়েরাও পান খাওয়া ছেলে চায় না। এইখানে পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যের কথা আনাটা বোকার কাজ হইছে।
আর ফ্যামিলির একটা ব্যাপার আছে। একটা পুলা আমাদের পরিবেশের প্রেক্ষাপটে বাইরে বাইরে ঘুরে। বাজার লাগলে তারেই পাঠায়, তাই বাইরের দেখাদেখি বা আড্ডা দিতে বাইরে যেয়ে সে বিড়ি হাতে নেয়। কিন্তু মেয়েটাও যখন সেইম কাজ করে, তখন পুলাডি মনে করে, সেই মেয়ে সারাদিন বাইরে বাইরেই ঘুরছে। বাপ মার কাছ থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক কাজ করছে, তার মধ্যে অন্যতম সিগারেট খাওয়া। ছেলেটাকে রাতে টান উঠলে বাইরে যেয়ে সিগারেট টানছে, সে ভাবে মেয়েটাও এমন। কিন্তু মেয়েরা ত ঘরে বেশি থাকে, তাইলে সে ভাবে যে, মেয়েটা বাপ মাকে বেশি ফাঁকি দেয়। তাই ওই মেয়ের উপর ভরসা পায় না। আবার, এই মেয়েই পান খাইলে হয়ত এতটা বিচলিত হয় না।
এইখানে পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যের কথা আনাটা বোকার কাজ হইছে।
-----------------------
নিজের একটা কথা বলি। কলেজে আমাদের ১৩ জনের একটা সার্কেল ছিল। সব ক্লোজ দোস্ত। সবডি চেইন স্মোকার, আমি বাদে। সবডি একসাথে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাইরে আসছি,ওরা সিগারেট খাইছে, আমি সিঙ্গারা খাইছি !! প্রথম প্রথম কেউ কেউ জোর করত, পরে আমি কোনভাবেই না ধরার পর, বাইরে গেলে অরাই আমাকে বাকিদের থেকে সেইফ করত। মাঝে মাঝে সমস্যা হত, সব বন্ধুদের সাথে কোথাও গেলে, অন্য পোলাপান/কিছু সিনিয়ার চায়ের দোকানে বসতে দিত না। বলত, সিগারেট না ধরলে বসতে দিবে না,হাবিজাবি।পরে বন্ধুরাই পক্ষে থাকত আমার।যাই হোক, এখন ভার্সিটি উঠেও ধরা হল না, এলাকার পোলাপান হাসে।আমিও হাসি, কিন্তু মনে মনে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৮
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: 'পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যের' কথা কোথাও বলা হয়নি। এখানে আধিপত্যের প্রশ্ন নেই। আছে সমাজ ব্যবস্থায় লালিত বৈষম্যমূলক মানষিকতার কথা। দূঃখজনকভাবে আপনিও আমার কথাটা ধরতে পারেননি। মেয়েদের সিগারেট বা পান খাওয়া এখানে মূখ্য বিষয় নয়। আসল কথা হলো কোন বাঙ্গালী মেয়ে যদি প্রকাশ্যে ধূমপান করে, তাহলে সে তার পরিচিত পুরুষদের দ্বারা সমালোচিত হয়। হয়তো ঐ পুরুষদের অনেকেই আবার ধূমপায়ী!
পান খাওয়ার সাথে ধূমপানের সম্পর্ক নেই। আমাদের সমাজে দেখুন (সাধারণত) একজন ছাত্র তার শিক্ষকের সমানে, অধীনস্থ তার উপরস্থ অধিকর্তার সামনে, কনিষ্ঠরা তাদের জেষ্ঠদের সামনে ধূমপানে বিরত থাকে। কারণ কি? নিশ্চয় সমাজ ব্যবস্থা ধূমপানকে নেতিবাচক হিসেবে দেখে বলেই এটা ঘটে।
তারপরও পুরুষরা ঠিকই প্রকাশ্যে ধূমপান করে। কিন্তু কোন নারী যদি ইচ্ছে পোষন করে তাহলে সে যদি একই সময়ে প্রকাশ্যে হাজার হাজার ধূমপানরত পুরুষের মতো সিগারেট ফুকতে শুরু করে, তাহলে সবাই (অন্তত তার পিরিচিতরা) তার এই বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবেই দেখবে।
এর কারণ হলো পুরুষরা নিজেদের মতো করে ঠিক করেছে যে নারী কোনটা করবে আর করবে না, নারীর জন্যে শালীনতার সীমা নির্ধারিত হয়েছে পুরুষের হাতে স্কেলে। আর এখানেই আমার আপত্তি।
১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৮
আকাশ_পাগলা বলেছেন: ছোটরা বড়দের সামনে ধূমপান করে না। শিক্ষকদের সামনে ছাত্ররা করেনা।
এরপ্র বললেন, পুরুষরা প্রকাশ্যে ধূমপান করছে।
দুটো কথাই সঠিক হলে, মূল ব্যাপারটা কী দাড়ালো? ধূমপান যে নেতিবাচক ব্যাপার, পুরুষরা না সচেতনরাই ঠিক করেছে। এটা নেতিবাচক, পুরুষ আর মহিলা সবার বেলাতেই। পুরুষরা প্রকাশ্যে করে, কিন্তু সেটাকে কী কেউ ভাল বলে? মেয়েরা করলেও কেউ ভাল বলবে না, কিন্তু আনকমন বলেই অবাক হবে। যেমন ভাবে, মেয়েরা পান খেলে আমরা অবাক হইনা, যদিও সেখানে জর্দ্দা থাকে।
বোইশন্য বলতে কী বুঝাচ্ছেন? নারী আর পুরুষেরই ত বোইষ্ম্য।সেটাকেই আমি পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্য বলছি। যাক, পুরুষরা আসলেই আধিপত্যবাদী, এটা অস্বীকার করার উপায় নাই। কিন্তু এই ব্যাপারটাতে বোধহয় এই কথা খাটে না।
যাক, একটা হইলেই হইল। এগুলি খাওয়া ভালা না।
(ধূমপায়ী অনেকেই কেন অধূমপায়ী মেয়ে চায়, সেটা ব্যাখ্যা করতে যেয়েই আগের কমেন্ট বড় হয়ে গিয়েছিল, ওখানেই বুঝাতে চাচ্ছিলাম যে বৈষম্যের ব্যাপারটা সত্যি হলেও এখানে হয়তবা এই ব্যাপারটা খাটে না।সবাই ভাল খুঁজে।)
০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৪
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: আফসোস আপনি আমার মন্তব্যের আংশিক উদ্ধৃত করে ব্যাখ্যা করলেন। বাক্যগুলো পুরোটা পড়লেনও না।
১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১২
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: শালার ধূমপান এমনিতেই একটা খারাপ কাজ। এখন ছেলেরা যদি জোর কইরা মেয়েদের ধূমপান থিকা বিরত রাখে তাইলে তো দেখা যাইতাছে উলটা তাগোর উপকারই হইতাছে নাকি। কথায় আছে উপকারের ঘাড়ে লাত্থি। কি বলেন আপনারা?
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩৯
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: এভাবে তো পুরুষেরও অনেক উপকারই করা যায়!
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৫৮
স্নেহের ছায়ায় বলেছেন: সুযুক্তি আর কুযুক্তির পার্থক্য অবশ্যই আছে। তবে কুযুক্তিকে সুযুক্তি দিয়ে মোকাবেলা করার সাহসও থাকা চাই। আপনার তা নেই। নিজেকে প্রগতিবাদী ভাবেন আপনি। বাস্তবতা মানবার আগ্রহ নেই আপনার।
০৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৪
পারভেজ মাসুদ বলেছেন: হাজারটা মানুষও যদি একটি ভ্রান্ত্র বিষয়কে নির্ভূল মনে করে থাকে তাতে ভ্রান্ত বিষয়টি শুদ্ধ হয়ে যায় না। ব্যক্তিগত আক্রমন অপ্রত্যাশিত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বড়ই চিন্তার বিষয়! তয় আমি নিজে ধূমপান বা লালপানি পান করিনা! তাই আমার এইটা নিয়া নো টেনশন!