![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেষ কবে মেঘফুল দেখে হেসেছিল, নগরের পথ-শিশুটি নাগরিক রাস্তায়, নির্ঘুম রাত্রি শেষে ভোরের রোদ্দুরে রোজ ঠিকই ঢং ঢং বেজে উঠে স্কুলের ঘণ্টায়। ঝিঁঝি পোকার ডাক আর শিশুর কান্না যে দেশে মিশে একাকার; যেন জীবন্ত জাদুঘর সে দেশে আমিও হতে চেয়েছিলাম হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা; মনোমুগ্ধকর এক জাদুকর।
কিছুটা অবাক হয়েছিলাম বটে যখন শুনলাম স্কলারশিপ পেয়েছি। বন্ধুরাও হয়ত অবাক না হয়ে পারে নি। কেননা তারা খুব ভাল করেই জানে আমি কত নম্বর ছাত্র। তাদের কাছে আমার স্কলারশিপ পাওয়াটা সপ্তাশ্চর্যের অষ্টাশ্চার্য হতে পারে বৈকি। আর যারা একটু দূরের তারা হয়ত ভাবছেন, দেখেছ! কি ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট! বিদেশে স্কলারশিপ খামখেয়ালি কথা! আরেকটু যারা এডভন্স তারা হয়ত তাদের সন্তানদের বলছে, "ওমুকের পুলা বাইরে ইসকলারসিপ পাইছে, তুই কি করছ হে....."। কথা গুলো আমার বন্ধু মজা করে বলছিল (ডায়লগটা নিজের কানে শুনা)।
দূর্ভাগ্য হলেও সত্য যে বাংলাদেশ সরকার দেশের শিক্ষিত যুবকদের কে কর্মসংস্থান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যার দরুন পেটের দায়ে, পরিবারের জন্য দূর দেশে পাড়ি জমায়। আপনি কি জানেন তারা ঐখানে কি করে? লেখাপড়া না জানা ছেলেটি যে কাজ করে শিক্ষিত ছেলেটি ঠিক একই কাজ করে। এখন আমার প্রশ্ন, লেখাপড়া তাদের জীবনে কি উপকারে এসেছে? না নিজের, না পরিবারের, না নিজের দেশের উপকারে এসেছে। এত লেখাপড়া না করেে কাজে নেমে পড়লে এত দিনে হয়ত অনেক সচ্ছল হয়ে যেত। (এই কথাটা বড় মামা আমাকে প্রায়ই বলত, আামারও তাই মত)। সমাজেও আমরা এই চিত্র অহরহই দেখতে পাচ্ছি।
পুনশ্চ, কেউ আমাকে ভুল বুঝবেন না আশা করি। শিক্ষার চেয়ে টাকার মূল্য বেশি বা টাকা ছাড়া শিক্ষিত অশিক্ষিত সমান একথা বলা আমার উদ্দেশ্য নয়। টাকা যে পৃথিবীতে নেহায়েত অদরকারি একটা জিনিস তাও কিন্তু নয়। টাকা না থাকলে ভলবাসা নাকি জানালা দিয়ে পালায়। (জানালা বন্ধ রাখলেই হয়)।
সর্বশেষ একটা গল্প দিয়ে শেষ করতে চাই। গল্পটা মায়ের কাছে শুনা। গল্প তো গল্পই সত্য না হলেও বাস্তবতা আছে। প্রতিবেশী দুই মহিলা যাদের একজন অলঙ্কার দিয়ে সাজুগুজু অবস্থা। সে অপর মহিলাটি বলেছিল, "বাচ্ছা গুলারে এত লেহাপড়া শিহায়া (ব্রাক্ষণবাড়ীয়া বাড়ি তো এই জন্য হ উচ্চারণ) কি করবেন। টাকা-পয়সা কাজে লাগান আমার মত অলঙ্কার বানান, কাজে লাগবে"। নিজের গহনা গুলো দেখিয়ে গর্বিত ভঙ্গিতে কথা গুলো বলছিল মেয়েটি। অপর মহিলাটি জবাব দিতে গিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলেছিল, "আমার সন্তানরাই আমার কাছে সোনার টুকরোর মত। লেখাপড়া শিখে একেক জন হিরের টুকরো হবে"।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৯
পথে-ঘাটে বলেছেন: আমার পোস্ট কারো কাছে ভাল লেগেছে ভাবতেই ভাল লাগছে
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৩৩
জনম দাসী বলেছেন: (জানালা বন্ধ রাখলেই হয়)।
সহমত...++++++++
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩২
পথে-ঘাটে বলেছেন: জনম দাসী দিদি, আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগল।
ধন্যবাদ, দীর্ঘজীবী হোন।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আরেকটু গুছিয়ে লিখলে আরো ভালো লাগতো।
১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫
পথে-ঘাটে বলেছেন: আমার লেখালেখি বলতে ব্লগই প্রথম। তাও আবার কয়েক মাস হল ব্লগে এসেছি। একটা আমার খুব ভাল লাগে। সেটা হল আপনাদের মত অভিজ্ঞ লেখকদের পরামর্শ। সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
পুনশ্চ: আমার পোস্ট দেওয়া সর্বশেষ গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
এহসান সাবির বলেছেন: "আমার সন্তানরাই আমার কাছে সোনার টুকরোর মত। লেখাপড়া শিখে একেক জন হিরের টুকরো হবে"।
ভালো লিখেছেন।