![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেষ কবে মেঘফুল দেখে হেসেছিল, নগরের পথ-শিশুটি নাগরিক রাস্তায়, নির্ঘুম রাত্রি শেষে ভোরের রোদ্দুরে রোজ ঠিকই ঢং ঢং বেজে উঠে স্কুলের ঘণ্টায়। ঝিঁঝি পোকার ডাক আর শিশুর কান্না যে দেশে মিশে একাকার; যেন জীবন্ত জাদুঘর সে দেশে আমিও হতে চেয়েছিলাম হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা; মনোমুগ্ধকর এক জাদুকর।
আমাদের শৈশব রং খইয়ে মাতামতি আকাশে নীল ঘুড়ি স্বপ্নিল চারপাশ।
ঘাস ফড়িঙয়ের পিছু ছুটাছুটি ফুল-পাখিদের মেলায় মুখরিত বালিকার দল,
বাতাসের হিল্লোলে দোলে উঠা কাশফুল জলে ভাসা পদ্ম সাথি ছিল বারমাস।
মিছেমিছি বর-কনের পুতুল খেলার আসরে খেলাঘর চড়ুইভাতি হই হুল্লুড়ে
কেটে গেছে কতটা দুপুর গড়িয়ে বিকেল আর দিন শেষে মায়ের মিষ্টি বকুনি,
রূপকথার গল্পে স্বপ্নের জগতে মুহূর্তে নিঃশেষ জোনাক-আলোয় জাগা রাত্রি।
রূপকথা নয় সত্যি বলছি,
তোমরা দেখনি আকাশের উপরে আকাশ বাতাসে ভেসে বেড়ানো বর্ষার জল,
আহা শৈশব হারানো শিশুদের দল, তোমাদের শৈশব দেয়ালে চাপা দূর্বা-জঙ্গল।
আহা শৈশব হারানো শিশুদের দল,
চার দেয়ালে বন্দী জগত শুভ্রতাহীন ব্যস্ত নগরের নিস্তরঙ্গতায় তোমাদের বসবাস,
বর্ষার কদম ফুলের মিষ্টি গন্ধে বৃষ্টির ছুঁয়ায় আনন্দে নেচে উঠেনি কোনদিন চারপাশ।
-------------------------------------
মধ্যরাতের কবিতা
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭
AGD ডরমিটরি, আন্তালিয়া, তুরস্ক।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৪
পথে-ঘাটে বলেছেন: আমি আপনার "আত্মক্ষরণ কিংবা ফুলেদের ইতিহাস" কবিতাটি পড়ছিলাম ঠিক সেই মুহূর্তে আপনার সুন্দর মন্তব্য এসে আমার কবিতায় উপস্থিত।
শুভ বিকেল বিজন রয় ভাল থাকুন সবসময়।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আহা..........শৈশবে মজে গেছি।
দারুণ হয়েছে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
পথে-ঘাটে বলেছেন: "শেষ কবে মেঘফুল দেখে হেসেছিল, নগরের পথ-শিশুটি নাগরিক রাস্তায়,
নির্ঘুম রাত্রি শেষে ভোরের রোদ্দুরে রোজ ঠিকই ঢং ঢং বেজে উঠে স্কুলের ঘণ্টায়"।
সত্যের ছায়ায় ভাল থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
বিজন রয় বলেছেন: আপনার কবিতা পড়ে শৈশবে ফিরে গেলাম।
গতকাল বিলিয়ার রহমানও একটি শৈশবের পোস্ট দিয়েছেন।
সুন্দর।
+++++