নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার শেষ চিঠি কবে এসেছিল এই নগরে- ঠিক কয়টায়, নাগরিক জানালায় জাহাজের সাইরেন ঠিকই বেজে উঠে ভোর পাঁচটায়।

পথে-ঘাটে

শেষ কবে মেঘফুল দেখে হেসেছিল, নগরের পথ-শিশুটি নাগরিক রাস্তায়, নির্ঘুম রাত্রি শেষে ভোরের রোদ্দুরে রোজ ঠিকই ঢং ঢং বেজে উঠে স্কুলের ঘণ্টায়। ঝিঁঝি পোকার ডাক আর শিশুর কান্না যে দেশে মিশে একাকার; যেন জীবন্ত জাদুঘর সে দেশে আমিও হতে চেয়েছিলাম হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা; মনোমুগ্ধকর এক জাদুকর।

পথে-ঘাটে › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা, মৃত্যু আমায় ডাকছে হাতছানি দিয়ে

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

তুর্কি কবি ইউসুফ হায়াল'লু (Yusuf Hayaloğlu)-এর Anne Ben Ölüyorum কবিতা থেকে অনূদিত।

মা, মৃত্যু আমায় ডাকছে হাতছানি দিয়ে
দু'চোখ জুড়ে বইছে অবারিত রক্ত-নদী,
তুর্কি ফিল্মগুলোর কিম্ভুতকিমাকার দৃশ্যতেও
অদ্ভুত প্রশান্তি খুঁজে পাই আজকাল
লোকে ভাবে স্কিৎসোফ্রেনিয়া হয়েছে অকালে আমার।

মৃত্যু উপত্যকায় দাড়িয়ে একাকী নীরবে
দু'চোখ আমার অশ্রুসিক্ত বয়ে চলেছে রক্ত-নদী
আর আমি দ্রুত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি, মা।
যদিও অন্তর আমার, আমারই সাথে
কিন্তু ভীষণ আহত আমি হায়েনার হাতে
এবং এখন আমি ঘোড়ায় চড়ে পারিনা যেতে, দূরে কোথাও হারিয়ে
আমাদের মাঝে এখন পাহাড় গুলো আড়াল হয়ে দাড়িয়ে
তোমার সুবাস দূর হতে বহুদূরে, আমার অনুভবে
তোমার হাত থেকে স্বর্গীয় সুবাস ভেসে আসছে
তোমার কোল থেকে স্বর্গীয় সুবাস ভেসে আসছে
জড়িয়ে ধরো, গন্ধে মেখে দাও, চুম্বনে ভরে দাও যেন ছোট্ট সোনা
মা, মৃত্যু আমায় ডাকছে হাতছানি দিয়ে, তুমি কেঁদো না।

মা, আর হৃদয় হরণকারী মেয়েটিকে বলো
দুজনের না বলা গান গুলো যেন ভুলে যায়
"সবখানেতে তুমি সবকিছুতে তুমি
জানি না কিভাবে বলব তোমায়"
বলে শেষ হওয়া আমাদের ভালবাসার গানগুলো যেন সু-পাত্রে বিলায়।


মা, নিঃশ্বাস নেওয়া কি বেঁচে থাকার নাম?
মা, খুব কষ্ট হচ্ছে নিঃশ্বাস নিতে
মৃত্যুকি বেদনাহীন, নাকি আরও সুন্দর মৃত্যু?
ভাবি, হায়! ওইখানে আবারো ফিরে যেতে শুধু মন চাই
যেখানে কেটেছে আমার শৈশবের মধুমাখা সময়ের সবটাই
ভূমধ্যের পাড়ে জোছনার ভেলা পোড় খাওয়া রোদে ডুবোডুবি খেলা
অল্পতে সীমাহীন সুখ আর জুম্মা ঘরে মাহফিল, বাহিরে মেলা,
যদি বলছি আহারে যদি যেতে পরতাম।

আগুনে পোড়া ছাই
দূরে কোথাও
একটি শহর ছিল
শীতলতা আর শুষ্কতায় মিশ্রিত একটি শহর।
কোলাহলও বেশ ছিল, ঘুম পাড়িয়ে দিল বোমারু বিমান
এবং বেয়নেটের খুঁচায় ঘুম ভাঙ্গা অবুঝ শিশুটিও
ধূলিকণায় মাতামাতি হয়ে একটি হাত
পড়ে গিয়েছিলে পায়ের কাছে সলাজ।

মা, এখন আমি অনলে পোড় খাওয়া আধমরা
যে তোমার হাত না ধরেই মৃত্যুর সাথে আলিঙ্গন করতে যাচ্ছে।
অনলের দহনে পোড়ে মরছি
তোমার কোলে মাথা না রেখেই মারা যাচ্ছি
আর এই দুখে অনলের দহনে পোড়ে মরছি।
মা, মৃত্যু আমায় ডাকছে হাতছানি দিয়ে
দু'চোখ আমার অশ্রুসিক্ত বয়ে চলেছে রক্ত-নদী
মা, মৃত্যু আমায় ডাকছে হাতছানি দিয়ে
তোমার সুবাস দূর থেকে বহুদূরে, আমার অনুভবে
তোমার হাত থেকে স্বর্গীয় সুবাস ভেসে আসছে
তোমার কোল থেকে স্বর্গীয় সুবাস ভেসে আসছে
জড়িয়ে ধরো, গন্ধে মেখে, চুম্বনে ভরে দাও যেন ছোট্ট সোনা
মা, মৃত্যু আমায় ডাকছে হাতছানি দিয়ে, তুমি কেঁদো না।


কবি ইউসুফ হায়াল'লু(Yusuf Hayaloğlu) যৌবনে চিত্রশিল্পী হিসেবে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ধারণা করা হয় সেখানকার কোন সহকর্মীর মৃত্যুর স্মৃতি নিয়ে Anne Ben Ölüyorum(মা আমি মারা যাচ্ছি) কবিতাটি লেখা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

পথে-ঘাটে বলেছেন: ধন্যবাদ।




ভাল থাকুন হাসান মাহবুব ভাই।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

ভীতুর ডিম্ব বলেছেন: অসাধারণ লাগলো। আরো চাই।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

পথে-ঘাটে বলেছেন: ধন্যবাদ ভীতুর ডিম্ব। আপনার কথায় উৎসাহিত হলাম।




ভাল থাকুন নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.