নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার শেষ চিঠি কবে এসেছিল এই নগরে- ঠিক কয়টায়, নাগরিক জানালায় জাহাজের সাইরেন ঠিকই বেজে উঠে ভোর পাঁচটায়।

পথে-ঘাটে

শেষ কবে মেঘফুল দেখে হেসেছিল, নগরের পথ-শিশুটি নাগরিক রাস্তায়, নির্ঘুম রাত্রি শেষে ভোরের রোদ্দুরে রোজ ঠিকই ঢং ঢং বেজে উঠে স্কুলের ঘণ্টায়। ঝিঁঝি পোকার ডাক আর শিশুর কান্না যে দেশে মিশে একাকার; যেন জীবন্ত জাদুঘর সে দেশে আমিও হতে চেয়েছিলাম হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা; মনোমুগ্ধকর এক জাদুকর।

পথে-ঘাটে › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পটির নাম নেই

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

এক মাসের জন্য একটি সিনেমা ক্যাম্পে আছি। গতকাল স্কৃপ্ট রাইটিং ক্লাসে সেরাপ উজগুর মেম আমাদের কে কয়েকটি শব্দ দিয়ে বলল, এই শব্দ গুলো ব্যাবহার করে একটি গল্প লিখ। শব্দ গুলো হচ্ছে, দিয়াশলায়ের বাক্স, চিঠি, মৌমাছি এবং কার কোরেছি(একটি খেলনার নাম)। চরিত্র দিয়েছে তিনটি। মা, যুবতী মেয়ে এবং ছেলে।
-
গল্প লিখতে বললে সাথে সাথেই গল্প লেখা যেতে পারে হয়ত। কিন্তু উপর্যুক্ত শব্দ এবং চরিত্র গুলো ব্যাবহার করে আধা ঘণ্টার ভেতরে গল্প লেখা একটু কঠিনই বটে।
আমি গল্প লেখা শুরু করলাম।
-
"আমি একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলাম। প্রেমে পড়ে যে কি বিপদেই না পড়েছিলাম। এখন বলছি সেই কাহিনী। প্রতিদিনই মেয়েটির বাড়ির সামনে দাড়িয়ে মেয়েটির দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু কোন ক্রমেই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছিলাম না। একদিন দেখলাম মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। সেই হাসি যে আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে কে জানত। আমি ভেবে নিলাম মেয়েটিও আমার প্রেমে পড়েছে। যেই ভাবা সেই কাজ, তৎক্ষণাৎ একটি প্রেম পত্র লিখে ফেললাম। আসলে আগেই লেখা ছিল। শুধুমাত্র সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। এখন সুযোগ এসে গেছে। ইশারা পেয়ে গেছি। বাড়ির সামনে একটি বাগান ছিল। আমি তো আর জানতাম না সেই বাগানে বসে একটি ছোট্ট ছেলে কার কোরেছি দিয়ে খেলছে। আর তাই দেখে মেয়েটি হাসছে। আমি ভেবেছি মেয়েটি আমাকে দেখেই মিষ্টি করে হাসি দিয়েছে।
-
প্রেমপত্রটি দিয়াশলায়ের বক্সে ভরে মেয়েটির জানালা বরাবর ছুড়ে মারলাম। আমি খুবই এক্সাইটেড ছিলাম। অপেক্ষায় ছিলাম চিঠির জবাবের। আমার জানা ছিল না যে, চিঠি গিয়ে পড়েছে মেয়ের মায়ের হাতে। মেয়ের মা রেগে আগুন। তিনি প্ল্যান করছেন আমাকে এখান থেকে কীভাবে ভাগানো যায়। আর আমি অপেক্ষা করছিলাম চিঠির জবাবের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেখলাম, দিয়াশলায়ের বাক্সটি আবার ফিরে আসল। চিঠির জবাব পেয়েছি ভেবে উত্তেজনায় কাঁপছিলাম। ভাবতেই ভাল লাগছিল মেয়েটি আমার চিঠির জবাব দিয়েছে। অথচ আমার জানা ছিল না এটা ছিল আমার বিরুদ্ধে মায়ের ষড়যন্ত্র।
অবশেষে দিয়াশলায়ের বাক্স খুলে ফেললাম। দিশলায়ায়ের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসল এক ঝাঁক মৌমাছি। মৌমাছি আমাকে আক্রমণ করলে মা গো বাবা গো বলে দিলাম দৌড়। আর তাই দেখে মা-মেয়ে হাসতে হাসতে ফেটে পড়ল।"

এটা শুধুই গল্প। ক্লাসে এই গল্পটা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছে। মেম বলল, তুমি তো খুবই চমৎকার গল্প লিখ তাও আবার তুর্কি ভাষায়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

আনু মোল্লাহ বলেছেন: ম্যাম ঠিক বলেছেন। আপনি আসলেই চমৎকার গল্প লিখেন।
অভিনন্দন জানাই।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১০

প্রামানিক বলেছেন: দারুণ

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.