নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে বলার আসলে কিছু নেই। বিপণি বিতানের কোন সিদ্ধহস্ত বিক্রায়কও আমি নই। হঠাৎ হঠাৎ কিছু শব্দ মনের মাঝে টুপটাপ করে ঝরে পড়ে। তাই লিখি এখানে।

আসাদুজ্জামান পাভেল

নিজের সম্পর্কে বলার মতো আসলে তেমন কিছু নেই।

আসাদুজ্জামান পাভেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগের চিঠি

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৫

শাহবাগের চিঠি

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৩

******************

সাউথ ক্যারোলাইনা, যুক্তরাষ্ট্র।

*************************





ভেবেছিলাম, এবার তোমাকে অন্যরকম একটা চিঠি দিবো। শীতের শেষে পাতাহীন ডাল গুলোকে আমাদের দেশের ক্ষুধার্ত শিশুদের মতোই লাগে। আবার এরই মাঝে অবাক হয়ে দেখি, চিড়ল পাতার উঁকিঝুঁকি। ফুলেরাও বুঝি আড়মোড়া ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। ভাবলাম, এই জাগরণের কথাও থাকবে সে চিঠিতে। ফুলে ফুলে পল্লবিত অনুভূতির সুতোয় গেঁথে একটা আচ্ছা চিঠি লিখবো তোমাকে। সে চিঠি পড়তে পড়তে তুমি ফিরে পাবে, প্রকৃতি, ফুল এবং আমাকেও। কিন্তু তা আর হলো কই, যখন দেখি আরেক ফাগুন এসেছে তোমারই উঠোনে। মোমের আলোতে ভরে গেছে রাজপথ, যেন মশালের সিম্বোলিক এক প্রকাশ। সে আলোর ছটা এতদূরে আমাকেও ছুঁয়ে যায়। নিজের ব্যক্তিগত কথা কি আর বলা যায় এখন...



ভেবেছিলাম বুঝি এইতো সময় মুখোমুখি বসবার। আর সব আলো যখন মৃদু হয়ে আসবে, আমাদের মনের রঙ ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসবে। যেন খুব ভোরে উঠে খালি পায়ে প্রভাত ফেরিতে বেরিয়ে পড়ার মতোই, মনের কোণে জমে থাকবে কোনো উত্তেজনা। চুপি চুপি আনন্দের এই গল্পটা লেখা হবে মনের পাতায় পাতায়। তারই তুলি-রঙ নিয়ে কতো কাল ধরে যেন বসে আছি। সে কি আমি শুধু একা! তুমিও কি নেই? কিন্তু বলা হবে কিভাবে? যখন দেখি, আমাদেরই মতো অগুনতি মানুষের স্বর ধীরে ধীরে আত্মকেন্দ্রিকতাকে ছাড়িয়ে নেমে পড়েছে পথে, যেন এক নিয়ন্ত্রিত মিছিল, পরিপাটি প্যারেড- আমি গুটিয়ে যাই ব্যক্তিগত ভাবালুতার অনুভূতি নিয়ে। নিজেকে কেমন বেকুব আর স্বার্থপর মনে হয়।



ভেবেছিলাম, এবারের ভেলেন্টাইন ডে'তে (হয়তো প্রথম বারের মতো) একটি প্রেমের চিঠি লিখবো। যেখানে মিশে থাকবে স্বপ্ন, বৃষ্টি কিম্বা কবিতার ছোঁওয়া। লিখতে লিখতে শিথিল হাত গুলো থেমে যাবে। মনে মনে ভাববো হয়তো, এ চিঠি তো আমি বহু আগেই লিখেছিলাম। কিম্বা বহুবার আমি লিখেছি সেই ইস্তেহার। দেয়ালে দেয়ালে ঝুলিয়ে দিয়েছিলাম অনুরোধের বিলাপ। পড়ে নিবে একদিন, এইটুকু বিশ্বাস নিয়ে আমি বসেছিলাম চুপচাপ। কিন্তু কই একটি লাইনও তো বেরলো না কলম থেকে! যখন দেখি শাহবাগে নেমেছে অন্য ভালবাসার ঢল। প্রতিটি অচেনা মুখ ক্রমেই হয়ে উঠেছে চির চেনা। হাতে হাত এতটাই শক্ত ভাবে চেপে আছে, ভালবাসাহীন মনে হয় না আর। প্রবল এই স্রোতে বিলীন হতে হতে দূরে দেখি, তুমিও এসেছো পথে। হাতে নিয়ে এসেছো জন্মান্তরের চিঠি, এতো দূর থেকেও যেন আমি দেখি সেই চিরকুট। যেন তুমি লিখেছো, অত ভেঙ্গে পড়ো না। আমিও এসেছি এই অজানার দিকে। চলতে চলতে হয়তো তুমি লিখে ফেলবে সেই চিঠি একদিন। যার জন্যই আমার এতো দিনের অপেক্ষা। তুমি ভেবো না অত। চল, সামনের দিকে চলতে থাকি। চেয়ে দেখো, কতো ব্যাথার নদী এসে মিশেছে একই স্রোতে। আমাদের দুঃখ গুলোতো আসলে এরই জন্য তোলা ছিল। যা দিয়ে একদিন বানাবো একেকটি তীব্র বুলেট।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৯

পুংটা বলেছেন: শিরোনামে চিঠি বানান ঠিক করেন।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৪

আসাদুজ্জামান পাভেল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: সকল রাজাকারের ফাসি চাই তবে এ দায়িত্বটা বিচারপতিদের উপর ছেড়ে দেই আর মুক্তিযোদ্ধা , শহীদ পরিবার তথা সাক্ষীদের উৎসাহিত করি তারা যেন আদালতে গিয়ে সাক্ষী দেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.