নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে বলার মতো আসলে তেমন কিছু নেই।
খেলাঘর
১৬.০২.২০১১
আঙিনায় স্থির মাচাটিকে দেখতে দেখতে
কেমন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে ব্যাপারটি।
যেন, ওটি কোন দৃশ্যের বিল্ট-ইন প্রোগ্রাম
নিরিবিলি দুপুর গুলোতে প্রসারিত পায়ে তাই
আরামের চোখে নিদ্রাতুর আবেশ ডুব-সাঁতার দেয়---
চকিতে সম্বিত ফেরে, ' মাচাটি বুঝি হেলেছে কিছুটা!'
কাছে গিয়ে দাঁড়ালে ওটির দুরাবস্থা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ঝাঁকি দিয়ে দেখি, কতোটুকু ভেঙ্গে পড়লো এই আয়োজন।
-- সেই আয়োজন, যাতে ছিল অমসৃণ বাঁশের ফালি,
আবেগের জোর, স্বেদ-স্নিগ্ধ ভ্রুকুটি, কিছুটা স্বপ্ন এবং
অবশ্যই মৃত্তিকার জড়ানো- আঠালো সহনশীলতা।
কেমন করে একদিন ঠেসে দিয়েছি নরম মাটির গহিনে!
আর্তনাদ করে মাটি বলে ছিল, 'যদিও ব্যথা পাই,
তবু জেনো, এতে কাজ হবে খুব। মাচাটি টিকে থাকবে বহুকাল।
আর এখানে সব্জিও হবে যবর।'
তারপর,- আর খেয়াল করিনি তেমন---
রোজ বেড়ে ওঠা লাউ-পুঁইশাক-টমেটো- শসার
গুল্ম গজিয়ে উঠেছে চারপাশ থেকে।
আমার আরামপ্রিয় হৃষীক মন
নধর লাউ, টসটসে টমেটো সজল শসার চিকচিকে চিবুকে
আঙুল টসকে কেমন এক মদিরতা টের পেতো যেন।
হেলে পড়া মাচা দেখে তাই অতটাই অবাক হই।
কাছে গেলে বিস্ময়ে দেখি,
দীর্ঘ ব্যবধানে জমির অতীত সজলতায়
বাঁশের গোঁড়ায় ধরেছিল পচন একদিন।
তারপর, প্রলম্বিত বিরতিতে শুকিয়েছে মাটি।
পচনের পরের শুষ্কতায় ভেঙ্গে গেছে বাঁশের গোঁড়া।
সামান্য ঝাঁকিতেই বেশ খানিকটা হেলে পড়েছে।
না হেলেই বা উপায় কী,
পৃথিবীর সাথে সে বিচ্ছেদ টেনে দিয়েছে যে!
তবুও,- গুল্মরাজির শেকড়ের আধিপত্যে
কেমন অলৌকিক ভাবে মাচাটি ঝুলে থাকে!---
©somewhere in net ltd.