![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত চার বছর আগে সকল মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন। তারা হয়তো ভুলে গেছেন কিন্তু আমরাতো ভুলিনি। তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তারা কারো প্রতি রাগ কিংবা বিরাগের বশবর্তী হবেন না বলেছেন। তারা এখানে (শাহবাগ আন্দোলন) একটা পক্ষ নিয়েছেন। তারা তাদের (শাহবাগ) দাবি দাওয়ার সঙ্গে একমত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় বেসরকারি একটি টেলিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ‘দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান একথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি শাহবাগের আন্দোলনে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন। আন্দোলন এখন প্রশ্নবিদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন পীর হাবিব। তাছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন ও বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপি কথপোকথন নিয়েও নেতিবাচক আলোচনা করেন। ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম পাঠকদের জন্য বিস্তারিতভাবে তার বক্তব্যটি তুলে ধরছে।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে তিনি উপস্থাপকের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, আপনিই বলেন প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা কিভাবে রাস্তায় দাড়িয়ে ডা: ইমরান সরকার যেটি বলছেন.... এ সময় উপস্থাপক তাকে থামিয়ে দেন। তখন তিনি বলেন, আমি শেষ করে দিচ্ছি।
পীর হাবিবুর রহমান বলেন, আরেকটা বিষয় সংসদে দাড়িয়ে সরকারের সকল মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাদের (শাহবাগ) সমস্ত দাবির সঙ্গে আমি একমত। আমিও তাদেরকে অভিবাদন জানিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম শাহবাগের এ তারুণ্যের মাধ্যমে ভারতের আন্না হাজারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেভাবে জাগিয়ে দিয়েছিলেন আমার এখানে চলমান দুর্নীতি এবং অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে এই তারুণ্যই কথা বলবে। হয়তো এজন্যই তারা জেগে উঠেছে। কিন্তু তারা এখনও এ বিষয়ে কোন কথা বলেননি। তখনই তাদের উপর আমরা আস্থা হারালাম।
তিনি বলেন, যদি আজকে গণতন্ত্রের দাবিতে বা আজকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্য শাপলা চত্বরে সমাবেশ আমি সেটাকে সমর্থন করবো। স্যালুট করবো। অভিবাদন জানাবো। আমি যদি তিনদিন পর দেখি সেখানে এমাজউদ্দিন দাড়িয়েছেন আর শওকত মাহমুদরা দাড়িয়েছেন। আমার বুঝা হয়ে যাবে এটা কার এবং কাদের।
পীর হাবিব আরও বলেন, যাইহোক শাহবাগের আন্দোলনে তরুণরা এসেছে। কিন্তু এ তারুণ্যের পরবর্তীতে মঞ্চে যারা এসেছেন তাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, সাঈদীর মামলায় জাফর ইকবাল সাক্ষী ছিলেন। কিন্তু তিনি এ মামলায় সাক্ষী দেননি। এখানে (শাহবাগ) এসেছেন ফাঁসি চাইতে। তার বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক মতো চলছে কিনা সেটার খবর নাই। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নির্বাচন নাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিষেদগার করে তিনি বলেন, তিনি নিজেই নির্বাচিত না। তিনি এসেছেন এ মঞ্চে। এসে বক্তৃতা করেছেন। তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নাই। আজকে যদি ডাকসুও (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ) থাকতো তাহলেও ডাকসুর কাছাকাছি এ আন্দোলন অন্তত নির্বাচিত বডির হাতে থাকতো। ডাকসুকে বলা হতো দ্বিতীয় পার্লামেন্ট।
আস্থা হারানোর কারণ সম্পর্কে সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা দেখলাম যে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ইমরানের কানে কানে ডিকটেক্ট করতেছেন। টেলিভিশনের লাইন প্রোগ্রামে আমরা এটা দেখলাম। তারপর ১৪ দলের সব ছাত্রনেতারা মঞ্চে উঠে কথা বলছেন। সব জায়গায়ই তাদের নিয়ন্ত্রণ। এখানে আমরা দেখলাম পাবনার আরেকজন কমিউনিস্ট পার্টির নেতার ছেলে টেলিভিশনে টকশো করেন। তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত। তিনি এখানে (শাহবাগ)।
তারপর আমরা দেখলাম স্বল্প প্রচারিত একটা পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত, টেলিভিশন উপস্থাপক তিনিও এটার মঞ্চে চলে এসেছেন। আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগেরই সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরকে আমরা দেখেছি তারা এখানে।
এরপর তিনি ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, জনগণের রায় নিয়ে সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছেন। জনগণ এ ট্রাইব্যুনালকে সমর্থনও করেছে। বিরোধী দল পর্যন্ত বলেছে যে তারা ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে নয়। তবে বিচার স্বচ্ছ এবং আন্তর্জাতিক মানের করার দাবি করেছিল তারা। তবে বিএনপি আন্তর্জাতিক মানের সংজ্ঞাটা খোলাসা করেনি।
তবে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল-১ এর প্রথম চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক এর স্কাইপি সংলাপের কিছু কথায় ট্রাইব্যুনাল প্রথম সন্দেহের চোখে পড়ে। একপর্যায়ে তিনি নৈতিক কারণে পদত্যাগ করে চলে যান। তারপরেও মানুষ ট্রাইব্যুনালের উপর আস্থা হারায়নি।
সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল সরকার গঠন করেছেন। এ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর সরকার নিয়োগ করেছেন। তদন্ত দল সরকার দিয়েছেন। তাদেরকে অভিবাদন জানাই তারা এত অল্প সময়ে এত পুরনো একটি মামলা যেভাবে তারা এনে হাজির করেছেন।
তবে ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় রায় কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যখন রায় হয়েছে ব্লগাররা মনে করলো সরকার জামায়াতের সঙ্গে আতাঁত করেছে। এমন খবরও রটেছে। পার্লামেন্টে ১৪ দলের অন্যতম নেতা রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সাপের মাথায় চুমু খাবেন না। সাপের মাথায় চুমু খেলে সাপ ছোবল মারবেই। বাদল ভাই বলেছিলেন, আমি আমার মায়ের সতিত্ব নিয়ে কম্প্রোমাইজ করতে পারি না। কি আবেগ ঘন বক্তব্য! এবং এ জাতির আবেগেই মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা সব হয়েছে। ৩০ লাখ শহীদ আড়াই লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন যেখানে সেখানে আবেগ থাকবেই। আমরা আবেগঘন মানুষ।
তিনি বলেন, একাত্তরে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সত্তরের ম্যান্ডেট নেয়া জাতির একক অবিসংবাদিত নেতা। সেটি ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্ত। কিন্তু আজকে দেশে সাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আছে। সংসদ আছে। বিরোধী দল আছে। সেইখানে আলোচনা হয় একপেশে। সেখানে সবাই মিলে কোন আলোচনা নাই। সেখানে একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আছে তিনিও একদিন মাঝখানে ওয়াক আউট করে চলে গেছেন সংসদ থেকে।
এইখানে (শাহবাগ) থেকে ইমরান বলে পতাকা উড়বে। পতাকা কখন উড়বে না উড়বে সেটি সরকার নির্ধারিত। সেটা সরকার বলবে। স্কুলগুলোতে এমনিই জাতীয় সংগীত এবং পতাকা উড়ে। তাহলে শিক্ষামন্ত্রীর থাকার দরকার কি ? তাহলে সরকার থাকার দরকার কি ? এই প্রশ্নগুলো আমরাও করেছি।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
স্বপ্ন অপূর্ণ বলেছেন: কঠিন বাস্তব
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
আহলান বলেছেন: প্রথমেই বোঝা দরকার ছিলো ... আনুমানিক ভাবে
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
যাইম জাকেরীন বলেছেন: bibekban ligue somorthok taile asen dekha jaay
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
অৈথ বলেছেন: আমরা সব কিচু পরে বুযি
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
শোয়েব হাসান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন পীর হাবিবুর রহমান
৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭
সৈয়দ মবনু বলেছেন: দেখেছি। বাঘের বাচ্চা। দ্বিতীয় মাহমুদুর রহমান।
৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
আখতার ০১৭৪৫ বলেছেন: তাই নয় কি?
৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
অচেনা আগন্তুক বলেছেন: আমিও তাদেরকে অভিবাদন জানিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম শাহবাগের এ তারুণ্যের মাধ্যমে ভারতের আন্না হাজারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেভাবে জাগিয়ে দিয়েছিলেন আমার এখানে চলমান দুর্নীতি এবং অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে এই তারুণ্যই কথা বলবে। হয়তো এজন্যই তারা জেগে উঠেছে। কিন্তু তারা এখনও এ বিষয়ে কোন কথা বলেননি। তখনই তাদের উপর আমরা আস্থা হারালাম।
এ কথা গণ মানুষের। শুধু সরকারের দালাল আর অন্ধ ছাড়া কেউ দ্বিমত করবে না।
কিন্তু ঐ যে হিপটোনাইজড গ্রুপ--- তোতার বুলি শেখা গ্রুপ হিত-অহিত জ্ঞান হারা গ্রুপ..
তাদের বোঝাবে কে?
১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: নির্মম সত্য কথা।
১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
ফারজানা শিরিন বলেছেন:
১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
ব্লগার ইমরান বলেছেন: হুমম, ভালোই বলেছেন !
১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
এম.ডি জামান বলেছেন: পীর হাবিবুর রহমান বঙ্গবন্ধুর অন্ধ সমর্থক হলেও আওয়ামিলীগের অনেক সমালোচনা করে।
পীর হাবিবুর রহমানরা যেটা আজকে বুঝেছেন আমরা সেটা শাহবাগ আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনই বুঝতে পেরেছি।
১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
মিনহাজ শুভ বলেছেন: আপনারাই দেখুন বগুরায় সেনাবাহিনী নেমেছে কি না!
১৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
ভ্রমন কারী বলেছেন: নির্মম সত্য কথা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
জহির উদদীন বলেছেন: তবু দেরীতে হলেও বুঝতে পেরেছে.....