নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু নাই। যে দিন বলার মত পরিস্থিতি হবে আশাকরি সেদিন আর বলতে হবে না।

পাজী-পোলা

চেষ্টাই আছি........

পাজী-পোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চল চিত্র

১০ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

এমন একটা সময় ছিল, যখন বাংলা চলচ্চিত্রে ধর্ষণ অতি স্বাভাবিক একটা দৃশ্য ছিল। কমার্শিয়াল মুভি বলতে যা বুঝি, সেখানে ধর্ষণের একটা দৃশ্য প্রায়ই থাকতো। ভিলেন বলতেই সে হাত বাড়াবে কোন এক সুন্দরী নারীর দিকে। অতি হাস্যকর ব্যাবহারে চলচ্চিত্র এই দৃশ্যটাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছে যেখানে এখন ধর্ষণের মত এমন ঘৃণিত কাজের দৃশ্য নিয়ে মজা করা হয়। আমি আসলে বুঝি না, আমাদের হিউমার এত বেশী বেড়ে গেছে যে আমরা এখন সবকিছুর মধ্যে ফান খুঁজি। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যাক্তি থেকে শুরু করে সবাইকে নিয়ে, সবকিছু নিয়ে ট্রল করি। এই হিউমার কোথায় বেড়ে যায় আর কোথায় লোপ পায়, আমার বুঝে আসে না। ট্রলের নামে কিছু অসহায় পাগলদের মাতামাতি নিয়ে মজা করতে গিয়ে তাদের লাইম লাইটে নিয়ে আসছি। সূরা আল হাসিনা কবি অস্ট্রিক ঋষির লেখা একটা কবিতা আছে । লেখাটা আমি পাঠ করেছি। সেখানে একজন কমেন্ট করেছে পবিত্র কোরান শরীফের সুরা নিয়ে নাকি ফাযলামি করা হয়েছে। আমার পাঠের সেই ভিডিও ব্লগে শেয়ার করেছিলাম, ব্লগ কর্তৃপক্ষ আমার সেই পোষ্ট ডিলিট করে দেয়। এই প্রথম আমার কোন পোষ্ট ব্লগ ডিলিট করে দিছে, শুরু থেকেই আমি সেফ ব্লগার হিসাবেই আছি, কখনো জেনারেল হয়নি।

যেখানে সব সময় ঠাকুর দেবতার নাম নেওয়ার কথা বলে, সেখানে ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে লাভ নেই বলে প্রবাদ বাক্য কেন প্রচলন আছে, আমি জানি না। সে যাই হোক, বাংলা সিনেমার সেই চির চিত্রায়িত ধর্ষণ দৃশ্য আমি একটু নতুন করে লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র, বাকীটা থাক আপনাদের হিউমারের উপর।



: হা হা হা সুন্দরী, এই হাতের মুঠোয় তুমি বন্দী
কেন করছো মিছে কাকুতিমিনতি!
এসো করি সন্ধি।
: নাহ………………
: এই যে রাক্ষুসে চোখ
লকলকে জিহ্বা, মাংসাশী দাঁত, হিংস্র নখ
থাবা বসিয়ে দেব নধর ধরে
নরম বুকের মাংসে।
: ছেঁড়ে দে শয়তান।
: ছেঁড়ে দেব? ছাড়ার জন্য কি ধরেছি!
এই যে উথিত লিঙ্গ
বলিষ্ট লাঙ্গলের মত চিরে দেব
ফসলের উর্বর জমি।
ফেল দেব বেজন্মা বীর্য, জারজ জরায়ুতে।
: বাঁচাও………… বাঁচাও……।
: কেন করছো মিছে চিৎকার!
কে রুখবে এই বলৎকার?
কে বাঁচাবে তোমায়, রাম?
এই বস্ত্র হরণ কৃষ্ণ রোধ করবে?
: তুই আমার দেহ পাবি কিন্তু মন পাবি না………।
: মন? কে চাইছে!
দেহের খাঁজে অমৃত, টসটসে যৌবন
চাকে চাকে মধুর মঞ্জরী।

: দেহই কি সব?
এই তিন হাত মাংসের জন্য
তুই রাক্ষুসে খাদক হলি!
আদিম পাপের উদ্দমতায়
নর পিশাচ হলি!
তবে এই নে-
খুলে দিলাম যৌনাঙ্গ
যেখানে তোর জন্ম।
এই যে জরায়ু
যেখানে বিন্দু থেকে ধারণ করেছি।
নে খুবলে খা
তোর মায়ের শরীর।
: নাহ……………
: এই যে বুক, মাংসল স্তন
দুগ্ধপানে বাড়িয়েছি নবজাতক শরীর
দে, দাঁত বসিয়ে দে……।
: নাহ………।
:এই যে এলোকেশ
খোপায় গুজে দিতি বেনামী ফুল।
এই ঠোঁট, আধো চুম্বনে যেখানে প্রেমের কালিমা আঁকিস।
এই যে চিবুক, যেখানে অভিমানের গল্প জমাস
নে, খুঁচিয়ে খা তোর প্রেয়সীর শরীর।
: নাহ........।
: এই যে দেখ কোমরের বাঁক
বাঁকানো নদীর ঢেউ,
এই যে দেখ ক্লীভেজ
গিরিখাদের গোপন পথের সুড়ঙ্গ।
দেখ দেখ লাস্যময়ী রূপ, রসালো যৌবণ।
নে চেটে খা তোর জননীর দেহ।
: নাহ…………।
:কেন? ধর্ষণ করবি না! নাপুংশক শালা।

“এতই যদি পুরুষালী শক্তি থাকে পারলে হৃদয়ে ঢোকেন, শরীরে না।”

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:২২

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: মনের হিসাব কেউ করে না
মন যদি দেখা যেত
তাহলে এই ধর্ষণ শব্দটা জন্মিত না
মন শুধু উপলব্ধির বিষয় বিশ্বাসের বিষয়
তাই জোর করে মন ছুয়া যায় না
দেহ ছুঁয়া যায়-------------------

২| ১১ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব চালচ্চিত্রই চলচিত্র হয়ে ওঠে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.