![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাঠকরে অনুরোধে মাওলনা কামরুজ্জামান রচতি "জন্নাতরে বয়ান" বইটরি কিছু অংশ (নারী বিষয়ক) উল্লখে করলাম:
আনুষঙ্গিক কিছু প্রশ্নেরর উত্তর :
জান্নাতরে যাবতীয় আলোচনার পর একটি কথা থেকে যায় যে,আল্লাহ পাক জান্নাতী পুরুষদরে জন্য সুন্দরী স্ত্রী ও হুর দেওয়ার ঘোষণা করছেন। কিন্তু জান্নাতী নারীদরে জন্য এ জাতীয় কোন বণনা নইে কেন?এ প্রশ্নরে উত্তরে সৌদি আরবরে বিশিষ্টি আলমে দিন আল্লামা মুহাম্মদ সালহে আল-উসাইমীন (রহঃ) বলেন, আল্লাহ পাক জান্নাতী পুরুষরে স্ত্রীর কথা সুস্পষ্ট ভাষায় উল্লখে করছনে। কারণ, পুরুষরে মধ্যে নারী আসক্তি ও নারীসঙ্গ কামনার পরিমাণ বেশী এবং এ ব্যাপারে সাধারণতঃ পুরুষরইে অগ্রণী ভূমিকা থাক। তাই তাদরে স্ত্রীদরের্ বণনা স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছ। অপরদিকে জান্নাতী নারীদরে স্বামীগণরে বিবরণ স্পষ্টভাবে আসন। কারণ, নারী চরিত্রের প্রধান বশিষ্টৈ হল, লজ্জাশীলতা; আর এতে তারা লজ্জতি হতে পারে কিন্তু তারর্ অথ এ নয় যে,তারা স্বামী সুখ থেকে বঞ্চতি থাকবে । বরং মানব জাতরি মধ্য থকইে তাদরে জন্য স্বামী র্নিবাচন করা হব। এ থেকে বোঝা গেল, জান্নাতে কোন নারী বা পুরুষই একা থাকবে না। সখোনে সকল নারীগণই স্বামী পাবে এবং সকল পুরুষদরওে স্ত্রী থাকব। অনেকে প্রশ্ন করে, দুনিয়াতে যইে নারীর একাধকি স্বামী ছিল, জান্নাতে তার কি অবস্থা হব? আসলে এটা এমন কোন বিষয় নয়; যা জানতে না পারলে ঈমান-আমলে বঘœি ঘটতে পার। তবে মানুষরে মনে অনকে সময় কৌতুহল জাগ। এজন্য নম্নে কিছু কৌতুহলী প্রশ্নরে উত্তর দওয়ো হল।
(১) বিয়েরর্ পূবইে যদি কোন নারীর মৃত্যু ঘটে থাক, তাহলে সে জান্নাতে সে পুরুষকে স্বামী হিসবে পাব,যে অববাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে অথবা আল্লাহ পাক জান্নাতী কোন সুযোগ্য পুরুষরে সাথে তার বিয়ের ব্যবস্থা করবন; যদ্বারা তার চক্ষু শীতল হয়ে যােব।
(২) যে নারী তালাকপ্রাপ্তা হয়ে দ্বিতীবার বিয়ের করারর্ পূবইে মৃত্যুবরণ করেছে তার জন্যওে জান্নাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুযোগ্য স্বামীর ব্যবস্থা করা হব।
(৩) কোন ববািহতাি নারী জান্নাতরে অধকািরী হল, কন্তুি তার স্বামী (কাফরি বা মুরতাদ হওয়ার কারণ)ে জাহান্নামী হল; এমন নারীদরে স্বামী সে সমস্ত পুরুষ হবে যারা জান্নাতী; কন্তুি তাদরে স্ত্রী (কাফরি বা মুরতাদ হওয়ার কারণ)ে জাহান্নামী হয়ছ।
(৪) যে নারী বিয়ের পর তার স্বামীরর্ পূবে মৃত্যুবরণ করছ; জান্নাতে সে তাকইে স্বামী হিসাবে পাব, যে স্বামীর জীবদ্দশায় সে দুনিয়া ছেড়ে এসছিল।
(৫) যে নারী একবার বা একাধকবিার বিধবা হওয়ার কারণে একাধকি স্বামী গ্রহণ কর, আর যদি তার সকল স্বামী জান্নাতী হয় তাহলে সে তারর্ সবশষে স্বামীর স্ত্রী হিসাবে জান্নাতে থাকবে অথবা তাকে স্বাধীনতা দওয়ো হব।অথাৎ সে যাকে ইচ্ছা তাকইে স্বামী হিসাবে গ্রহণ করতে পারব।
(৬) যে নারীর স্বামী মারা যায় এবং সে বিধবা নারী পরে যদি অন্য কাউকে বিয়ে না কর, তাহলে সে তার জান্নাতী সংসারে সে স্বামীর সাথইে থাকব। (মাসকি মঈনুল ইসলাম, ডসম্বিরে-২০১০ সংখ্যা, পৃষ্টা-২৫, মরণরে পরে কি হব)
সইে উদ্যানসমূহরে মধ্যে থাকবে এমন আনতনয়না, যাদরেকে জান্নাতবাসীদরে আগে না কোন মানুষ র্স্পশ করছে, না কোন জীন।
ব্যাখ্যা ঃ জান্নাতী হুরদরে সর্ম্পকে আল্লাহ তায়ালা তনি স্থানে তাদরে নত দৃষ্টরি র্বণনা দয়িছেনে। এক. এ আয়াত। দুই. সূরা সাফফাত, যেমন وَعِندَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ عِينٌ - তাদরে কাছে থাকবে ডাগর চোখরে নারী (হুর), যাদরে দৃষ্টি (আপন-আপন স্বামীত) থাকবে নিবদ্ধ। তনি. সূরা সোয়াদ,ে যমেন ঃ وَعِندَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ أَتْرَابٌ - আর তাদরে কাছে থাকবে এমন সমবয়স্কা নারী, যাদরে দৃষ্টি (আপন আপন স্বামীতে নিবদ্ধ থাকব।
সকল মুফাস্সরি এ ব্যাপারে একমত, এর দ্বারা উদ্দশ্যে হল, সে সকল স্ত্রী (হুর ও দুনয়িার নারী); যারা একমাত্র স্বীয় স্বামীর দকিইে আপন দৃষ্টিকে নিবদ্ধ রাখব। অন্য কারো দিকে দৃষ্টি নক্ষিপে করবে না। এমনভিাবে তাদরে স্বামীদরে দৃষ্টওি একমাত্র তাদরে দকিইে নবিদ্ধ থাকব। কেননা, তাদরে সৌর্ন্দয ও রূপ-লাবণ্য অন্যদরে প্রতি দৃষ্টি নক্ষিপে হতে বরিত রাখব।
হযরত মুজাহদি (রহঃ) قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ - এর ব্যাখ্যায় বলছেনে, সে সকল স্ত্রী স্বীয় স্বামীর প্রতি আপন দৃষ্টিকে কন্দ্রেীভূত করে রাখব। আপন স্বামী ব্যতীত অন্য কাউকে পছন্দ করবে না এবং অন্য কারো প্রতি তার আগ্রহ থাকবে না।
হযরত হাসান বসরী (রহঃ) قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ - এর ব্যাখ্যায় উল্লখে করছেনে, সে সকল স্ত্রী, আপন স্বামীর প্রতইি স্বীয় দৃষ্টিকে নিবদ্ধ রাখব। আল্লাহর শপথ, তারা অন্য কারো সামনে স্বীয় সাজ-সজ্জার বহঃিপ্যকাশ ঘটাবে না। আর কারো প্রতি উঁকি মরেওে দখেবে না।
হযরত কাতাদা (রহঃ) قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ - এর ব্যাখ্যা করছেনে যে, সে সকল স্ত্রী, স্বীয় স্বামীর প্রতি আপন দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখবে। অন্য কারো প্রতি ফিরেও তাকাবে না।
(জান্নাতরে স্বপ্নীল ভুবন)
“ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ -যাদরেকে জান্নাতবাসীদরে আগে না কোন মানুষ র্স্পশ করছে, না কোন জীন” এ আয়াতের দ্বিবিধি র্অথ হতে পার।(এক) যে সব রমণী মানুষরে জন্য নির্ধারতি তাদরেকে ইতপর্িূবে কোন মানুষ এবং যসেব রমণী জনিদরে জন্যে নর্ধিারতি তাদরেকে ইতপর্িূবে কোন জীন র্স্পশ করনেি (র্অথাৎ মেলামেশো কেরনি। (দুই) দুনয়িাতে যমেন মাঝে মাঝে মানব নারীদরে উপর জীন ভর করে বসে, জান্নাতে এরূপ কোন আশংকা নইে। (মাআরফেুল কোরআন)
(১০০)كَأَنَّهُنَّ الْيَاقُوتُ وَالْمَرْجَانُ [সূরা আর-রহমান, আয়াত- ৫৮]
তারা যনে পদ্মরাগ (লাল র্বণরে রতœ) ও প্রবাল (মূল্যবান মণবিশিষে)।
ব্যাখ্যা ঃ জান্নাতী হুরগণরে রূপলাবন্য এত পরস্কিার ও স্বচ্ছ হব,ে যনে তারা প্রবাল ও পদ্মরাগ। হযরত হাসান বসরী (রহঃ) সহ সকল মুফাস্সীরগণ বলনে, পদ্মরাগমণরি স্বচ্ছতা ও প্রবালরে শুভ্রতা উদ্দশ্যে নওেয়া হয়ছে।ে তাদরে র্বণরে উজ্জ্বলতার দকি থকেে পদ্মরাগমণরি সাথে এবং শুভ্রতার দকি থকেে প্রবালরে সাথে তুলনা করা হয়ছে।ে (জান্নাতরে স্বপ্নীল ভুবন)
। হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) বলেন ঃ এক দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহে আগমন করলেন। তখন এক বৃদ্ধা আমার কাছে বসা ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন এ কে? আমি আরজ করলাম ঃ সে আমার খালা সম্পর্ক হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রসাচ্ছলে বললেন ঃ لاتدْخُلُ الجَنَّة عَجُوزٌ -অর্থাৎ জান্নাতে কোন বৃদ্ধা প্রবেশ করবে না। একথা শুনে বৃদ্ধা বিষণœ হয়ে গেল। কোন কোন রেওয়ায়েতে আছে কাঁদতে লাগল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সান্ত্বনা দিলেন এবং স্বীয় উক্তির অর্থ এই বর্ণনা করলেন যে, বৃদ্ধারা যখন জান্নাতে যাবে, তখন বৃদ্ধা থাকবে না; বরং যুবতী হয়ে প্রবেশ করবে। অতঃপর তিনি উপরোক্ত আয়াত পাঠ করে শোনালেন। অর্থাৎ দুনিয়ায় তাদের রূপ-লাবণ্য যেমনই থাকুক না কেন, আখেরাতে তাদেরকে তাদের স্বামীদের জন্য অপরূপ সুন্দরী বানিয়ে দেওয়া হবে। এমনিভাবে দুনিয়ায় যেসব নারীর বিবাহ হয়নি, তাদেরকেও নতুন জীবন দিয়ে কোন না কোন জান্নাতবাসীর সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হবে। (মাআরেফুল কোরআন, তাওযীহুল কোরআন)
(১৩৭)فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا [সূরা ওয়াকিআ, আয়াত- ৩৬]
অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।
ব্যাখ্যা ঃ أَبْكَارًا এটা بِكْرٌ - এর বহুবচন। অর্থ- কুমারী বালিকা। উদ্দেশ্য এই যে, জান্নাতের নারীদের এমনভাবে সৃষ্টি করা হবে যে, প্রত্যেক সঙ্গম-সহবাসের পর তারা আবার কুমারী হয়ে যাবে। সহবাস হবে খুবই আনন্দদায়ক; চরম আরামদায়ক ও পরম তৃপ্তিদায়ক। একটি বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে বীর্যপাতের অবস্থা ঘটবে; তবে মনি, তরল পদার্থ বা কোন বীর্য নির্গত হবে না। সহবাসের পর রমণীরা পুনরায় তাদের কুমারীত্ব ফিরে পাবে। কিন্তু কুমারীত্ব দূর হওয়ার সময় তাদের কোন প্রকার কষ্ট অনুভূত হবে না বা রক্তও প্রবাহিত হবে না। হাদীস দ্বারা জানা যায় তাদের কুমারীত্ব কখনও ক্ষুণœ হবে না। (মাআরেফুল কোরআন, তাওযীহুল কোরআন, কিয়ামত কবে)
(১৩৮)عُرُبًا أَتْرَابًا [সূরা ওয়াকিআ, আয়াত- ৩৭]
(স্বামীদের পক্ষে) প্রেমময়ী ও সমবয়স্কা।
ব্যাখ্যা ঃ عُرُبًا - এটাعَرُوبٌ এর বহুবচন; অর্থ- স্বামী-সোহাগিনী ও প্রেমিকা নারী, কামিনী। অর্থাৎ তাদের উঠাবসা, চলার ধরন এবং রূপ-লাবণ্য সবকিছুই কামোদ্দীপক হবে। (মাআরেফুল কোরআন)
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
আল্লামা ইকবাল বলেছেন: ধণ্যবাদ ।