![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০১০ সালের এপ্রিল-মে মাসে “কালের কন্ঠে”র ‘রাজকূটে” প্রকাশিত ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ঃশিক যেখানে শিার্থীদের প্রতিপ’ শিরোনামে প্রকাশিতএকটি প্রতিবেদন করেছিলেন প্রতিবেদক গৌরাঙ্গ নন্দী।তার সূত্র ধরে একজন প্রাক্তন ভুক্তভোগী ছাত্র হিসেবে দেশের অন্যতম র্শীষ স্থানীয়একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খুটিঁনাটি বিষগুলো নিয়ে ভাবছি; আসলেএর কী কোন সমাধানের পথ খোলা নেই?সম্মানিত প্রতিবেদক সেদিনকার ঘটনাগুলোকে (যা আসলে প্রশাসনের একটি প্রথাগত স্বাভাবিক নিপীড়নমূলক আচরণ)‘নৃশংসতার অনন্য নজির’ ও বি শ্ববিদ্যালয়টিকে ‘দেয়ালে ঘেরাএকটি জেলখানা’ উপমা প্রদান করেছিলেন।বি শ্ববিদ্যালয়ের ছএ-ছা ত্রীদের অবস্থা র্ম্পর্কে ম ন্তব্য করেছিলেন ক্রমাগত ভয়ে-আতঙ্কে সিটিয়ে থাকা’ অসহায় প্রাণীরূপে।যাহোক কেন ছাত্র-ছাত্রীদেরক্রমাগতএ দূরঅবস্থা ও অসহনীয় এ পরিস্থিতিরএখনও কেন কোন উে ল্লখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি,তা একটু খতিয়ে দেখা দরকার।
১.বাংলাদেশের আর্থ-সামজিক বাস্তবতা,সনাতন ধারার শিা কারিকুলামের সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি বিষয়কে গভীরভঅবে বিবেচনা না করে কিছু অত্যাধুনিক ও অভিজাত বিষয়ের সম ন্বয়ে ইউরোপীয় ধাঁচের কারিকুলামের মাধ্যমে শিা ব্যব স্থা প্রণয়নের ফলশ্রূতিতে সীমাহীন চাপ,পরিশ্রম ও অর্থকষ্টে সাধারন মধ্যবিত্ত ও নি ম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের অধিকাংশ শিার্থীদের দিনানিপাত করতে হচ্ছে,যে বিষয়টি সর্ম্পকে শিকবৃ ন্দ ও প্রশাসন প্রায় সম্পূর্ণরূপে ই উদাসীন।
২.সদ্য স্নাতক পাশ দূর্নীতি ও রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত কতিপয় র্দূজন শিকদের হাস্যকর ও ৈ স্বরাচারী শ্রেণী শিণ ব্যব স্থা শিার্থীদের মননে একটি বড় আঘাত।
৩.বিশেষত ছত্রীদের েেত্র তীব্র আবাসন সংকট,হলের দূরাব স্থা,দূর্বল পরিবহন ব্যবস্থা,প্রাত্যহিক নানা মৌলিক চাহিদার অপ্রতুলতা ও রাতের বেলায় নিরাপত্তাহীনতার মানসিক চাপ ব্যাপকভাবে পরিলত হয়।
৪.সূ স্থ বিনোদনের অভাব।হলের চার দেয়ালে বন্দী অব স্তঅয় কম্পিউটার,মোবাইল ও অড্ডা ছাড়া কোন সু স্থ বিনোদন পর্য ন্ত নেই।অধিকন্তু প্রভাবশালী ছা এ ও শিকদের বপন করা নোংরা র্যাগিং ব্যব স্থা কোমলমতি সদ্য বয়ঃসন্ধি পার হওয়া শিার্থীদের নৈতিকতা ও আ তœস ম্মানবোধকে প্রথমেই ধ্বংস করে দেয়।তাছাড়া স্থানীয় বখাটেদের উপদ্রব শিার্থীদের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য বাধা।
৫.সর্বশেষ ও সর্বপ্রধান যে বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করতে চাই,তা হলো রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস যা একান্তই ছাএদের জন্য সংরতি।কিছু ছাত্রএর সুবিধাভোগ করলেওএর ন্তরালে অধিকাংশ সাধারণপরিবারের ছেলেমেয়েরা সুবিধা বঞ্চিতই থেকে যা চ্ছে।শিক নিয়োগ, স্বৈরাচারী আচরণ উত্যাদি নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণকারী দাপুটে শিকদের কোন তুলনাই নেই।প্রত্যেকের সম্পদের হিসাব নিলে বিষয়টি আরো পরি ষ্কার হবে।অথচ গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে হানাদারদের নৃশংশতার বিরুদ্ধে কালের আী হয়ে দাড়িঁয়ে থাকা গল্লামারী বধ্যভূমি সংলগ্নএ শ্বিবিদ্যালয়ের রাজনীতি করার সাংবিধানিক অধিকারকে কেন সুকৌশলে কোন গেষ্ঠীর স্বার্থে অবদমিত করে রাখা হয়েছেÑতা নিয়ে ভেবে দেখার এখন ই শ্রে ষ।ঠ সময়।
পরিশেষে আবেগের মা ত্রা যোগ করে বলতে চাই “খুবি তুমি নিকষ আধঅঁরে আর আলেয়া হয়ে থেকো না।”
©somewhere in net ltd.