নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

......সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম

ঘরপোড়া

আমি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি

ঘরপোড়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়ানমারে (গুধহসধৎ/ ইঁৎসধ) মুসলমান নির্যাতনের ঐতিহাসিক চিত্র-২

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

.....
পরে ইউ নু অন্যান্য সংখ্যালঘু ও মুসলমানদের মতের প্রতি তোয়াক্কা না করে বৌদ্ধ ধর্মকে বার্মার রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে আদেশ জারি করনে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ইউ নু ধনী ও প্রভাবশালী হিন্দিু ব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গবাদি পশু জবাই করা নিষিদ্ধ করেন। যদিও কুরবানী ঈদের জন্য এটি কিছুটা শিথিল ছিল,তবুও পুিলশি প্রহরায় তা করতে হত। পরে জনোরলে নি উইন ঘব ডরহ পরে এ গো-হত্যা নিষিদ্ধের এ আদশেটি বাতিল করেন যা বর্তমানে বহাল আছে। কিছু মুসলমানগন অভিযোগ করনে যে, ইউ নু সরকার মুসলমান হজ র্তীথযাত্রীদের যাত্রার নিয়মকানুনকে কঠিন করে তোলেন যা বৌদ্ধ র্তীথ যাত্রীদেও শ্রীলংকা ও নেপাল যাওয়ার ক্ষেত্রে ছিলনা।

জেনারেল নি উইন ঘব ডরহ এর শাসনকালে মুসলমানদের অবস্থা

ইনি ১৯৬২ সালে ক্ষমতায় আসার পর মুসলমাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়। মুসলমানদেরকে সেনাবাহিনী থেেেক বিতাড়ন করা হয়। অধিক ধার্মিক মুসলমান, যারা বৌদ্ধদের থেকে দূরে থাকত, তাদরে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়; তাদের তুলনায়, যারা বৌদ্ধদরে সাথে মিলেমিশে গিয়েছিল ও ব্যক্তিগত গন্ডিতেই ধর্মকর্ম করত।

অন্যান্য দেশের মত বার্মাতেও ইসলামী চরমপন্থীদের কর্মকান্ড শুরু হতে দেখা যায়। ইন্দোনেশিয়ার ইসলামপন্থীরা র্বামায় মুসলমানদের নির্যাতনের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। তালবোন কর্তৃক আফগানিস্থানের বামিয়ানের বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় বার্মার বৌদ্ধরা মুসলমানদের উপর সহিংস উৎপীড়ন করে। হিউম্যান রাইট ওয়াচের রির্পোটে দেখা যায়, ২০০১ সালের মে মাসে সহংিসতা ছড়িয়ে পড়ার পূর্বে টাংগোর বৌদ্ধ ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে তিন সপ্তাহ ধরে তীব্র উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় । বৌদ্ধ ভিক্ষুরা দাবি করে যে, হানথা মসজিদকে বামিয়ানরে বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংসের প্রতিশোধ হিসেবে ধ্বংস করা হোক। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বে উত্তেজিত উশৃঙ্খল বৌদ্ধরা মুসলমানদের ব্যবসা প্িরতষ্ঠান লুন্ঠন করে,তাদরে সম্পদ বিনষ্ট করে ও অনককে হত্যা করে।এসব কিছু বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংসের প্িরতশোধ হিসেবে করা হয়।

ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়। ইসলাম ধর্মকে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ধর্মীয় কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করা হয়। বিভিন্ন মুসলমান সংস্থা, যেমন অল বার্মা মুসলিম ইউনয়িনকে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে আখ্যা দেওয়া হয়।

আশংকা করা হয় যে, মুসলমানদের প্রতি এই নির্যাতন সমগ্র বার্মায় ইসলামী চরমপন্থাকে উসকে দেবে। অনেক মুসলমানই স্বাধীনতার লক্ষ্যে সশস্ত্র সংগ্রামী দলগুলোতে যোগ দেয় ।

১৯৯৭ সালের মানডালে গধহফধষধু দাঙ্গা

১৯৯৭ সালের মার্চ মাসে বুদ্ধ মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে মুসলমান ও বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুনরায় উত্তজেনা বৃদ্ধি পায় এবং মুসলমানদের সম্পদহানি ঘটে। মহা মায়ামুনি প্যাগোডার গধযধ গুধঃসঁহর ব্রোঞ্জওে তৈরি বুদ্ধ মূর্তি আরাকান থেকে ১৭৮৪ সালে রাজা বোদাওপায়া মানডালেতে নিয়ে আসনে, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। মহামায়া মুনি মূর্তিটি উদ্বোধনের সময় এটিকে ভাঙ্গা পাওয়া যায়, যেটিতে একটি গর্ত ছিল। ধারণা করা হয় ঐ গর্তে একটি কিংবদন্তীতুল্য রতœ (পদ্মমায়া মাইশনি চধফধসুধ গুবঃংযরহ) ছিলি যেটিকে যুদ্ধ জয়ের কারণরূপে বিশ্বাস করা হত, সেটি খোয়া যাওয়াই এ দাঙ্গার কারণ।

১৬ মার্চ, ১৯৯৭ সালে বিকলে ৩টার দিকে ১০০০-১৫০০ জনের মত বৌদ্ধ ভিক্ষু ও অন্যরা মুসলমানবিরোধী চিৎকার করতে করতে এগেিয় চলে। তারা প্রথমে মসজিদ আক্রমণ করে, এবং ক্রমশঃ মসজিদ সংলগ্ন মুসলমানদের দোকানপাট, যানবাহন লুট করে ও পুড়িয়ে দেয়। তারা ধর্র্মগ্রন্থে আগুন দেয় ও ধর্মীয় অবমাননাকর কার্যকলাপে অংশ নেয়।এসকল লুন্ঠন,ও ধ্বংসযজ্ঞ চালান হয় মানডালের কাইনডালে কধরহমফধহ, গধহফধষধু অঞ্চলে।

আসলে এ দাঙ্গাটি শুরু হয়েছিল একদল মুসলমান কর্তৃক একটি মেয়েকে ধষর্ণের চেষ্টার সংবাদকে কেন্দ্র করে। কিন্তু পরে স্থানীয় শাসকগন মূির্তর রতœ চুরির বিষিয়টিকে সুকৌশলে কাজে লাগিয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর তাদের বিদ্যমান রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এ ঘটনায় তিনজন মারা যায় ও ১০০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে গ্রেফতার করা হয়।

২০০১ সালরে টাংগূর ঞধঁহমড়ড় দাঙ্গা

২০০১ সালে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ কর্তৃক মুসলমান বিরোধী বিভন্ন প্রচারপএ বিলি করা হয়। অনেকে মুসলমানই ধারণা করেন ১৫ মে, ২০০১ সালে আফগানস্থিানে বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় প্ররোচিত হয়ে বৌদ্ধরা এসব করছে যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। অবশেষে ১৫ মে, ২০০১ এ টাংগূতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এ দাঙ্গায় প্রায় ২০০ মুসলমান প্রাণ হারায়, ১১টি মসজিদে আগুন দেয়া হয়, এবং ৪০০ও অধিক মুসলমানদের বসতি পুড়িয়ে ফেলা হয়। সেদিন প্রার্থনারত অবস্থায় হান থা ঐধহ ঞযধ মসজিদে ২০জনকে হত্যা করা হয় এবং কয়েকজনকে সামরিক জান্তার সহায়ক বাহিনীরা পিটিয়ে হত্যা করে। ১৭ মে, ২০০১ সালে লেফেনেন্ট জেনারেল উইন মন্টি খঃ. এবহবৎধষ ডরহ গুরহঃ , এসপিডিসিরি ঝচউঈ সেক্রেটারি ও ডেপেুটি সরাষ্ট্র ও ধর্মমন্ত্রী টাংগূতে পৌছাঁন এবং ১২ জুলাই পর্যন্ত কারফিউ জারি রাখা হয়। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা প্রাচীন হানথা মসজিদকে বামিয়ানরে বুদ্ধ মূর্তি ভেঙ্গে ফেলার প্িরতশোধ সরূপ ধ্বংসের দাবি জানায়। ১৭ মে, ২০০১ সালে এসপিডিসি জান্তা সরকার হান থা মসজদি ও টাংগূ রেলেওয়ে মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। টাংগুর মসজদিসমূহকে মে, ২০০২ সাল পর্যন্ত সরকার বন্ধ করে রাখে। মুসলমানদের নিজ বাড়ীতে ধর্ম-কর্ম করতে বাধ্য করা হয়। স্থানীয় মুসলমান নেতাগন অভিযোগ করনে যে, তারা এখনও নির্যাতিত হচ্ছেনে। এ সন্ত্রাসের পর অনকে মুসলমানই টাংগূ থেকে কাছাকাছি অবস্থিত অন্য শহরগুলোতে চলে যায় এবং সেখান থেকে অনেক দূরে অবস্থিত ইয়াঙ্গুনেও চলে যায়। ঘটনার দু’দিন পর মিলিটারী হস্তক্ষেপ করলে সহিংসতার অবসান ঘটে।

২০১২ সালের রাখাইন রাজ্যের দাঙ্গা

এ রাজ্যেে ২০১২ সালে কমপক্ষে ১৬৬ জন মুসলমান ও রাখাইন সা¤প্রদায়িক গোলযোগে প্রাণ হারায়।

২০১৩ সালে র্র্ বামার কেন্দ্রস্থলে মুসলমানবিরোধী দাঙ্গা

মিকটিলায় গবরশঃরষধ র্মাচের ২০ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে উত্তজেনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৪০ জন লোক নিহত ও ৬১ জন আহত হয়। ২৫ মার্চের সা¤প্রদায়িক দাঙ্গায় ওথিকোণ,তাকোণ ও ইয়ামেনথনি ঙঃযবশড়হব, ঞধঃশড়হব ধহফ ণধসবহঃযরহ শহররে মুসলমানদের বাড়িঘর ও মসজিদগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।এপ্রিলে বিবিসিতে প্রকাশিত একটি ভিডিওচিত্রের দেখো যায় মিকটিলায় দাঙ্গাকারীদের সাথে পুিলশ অফিসারগণও ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পোড়ানোয় অংশ নিচ্ছে।এই ভিডিওতে আরও দেখা যায় যে, বৌদ্ধ ভিক্ষু সহ দাঙ্গাকারীরা দু’জনকে অত্যন্ত বর্বরভাবে হত্যা করছে।

৩০এপ্রিল, ২০১৩ এ ওক্কানে ঙশশধহ ৪০০ জন বৌদ্ধদেরে একটি দল ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে মুসলমানদের মসজিদে আক্রমণ চালায় ও ১০০ অধিক ঘর-বাড়ী পুড়িয়ে দেয়। এ সময় অন্তঃত ৯ জন আহত হয়। ঘটনাটির সূত্রপাত হয় এ কারণে যে,একজন মুসলমান মেয়ে বাই-সাইকেল চালানোর সময় একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর সাথে ধাক্কা লাগে।

রোহিঙ্গাদরে মানবাধিকার লংঘন

অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, র্েবামার সামরিক শাসন অধীন¯ — মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ১৯৭৮ সাল থেকে মানবাধিকার লংঘন জনিত সংকটে নিপতিত হচ্ছে । এদের অনকেই দেশে ছেড়ে পার্শ¦বতী রাষ্ট্র বাংলদেশে উদ্বাস্তু জীবনযাপন করছে।

২০০৫ সাল পর্যন্ত উদ্বাস্তু বিষয়ক জাতিসংঘের হাই কমশিন রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন ও পূর্নবাসনের বিষয়টি তদারকি করে আসছিল। কিন্তু উদ্বাস্তু শিবিরে মানবধিকারের অপব্যবহার ও লংঘনের অভিযোগে প্রচেষ্টোটি হুমকরি মুখে পড়েছে।

জাতিসংঘের এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রোহেঙ্গা উদ্বাস্তুরা তাদেরে নিজ দেশে ফিরতে অনিচ্ছুক। কারণ হচ্ছে সেখানকার শাসন পরিস্থিতি। এখন তারা অনেক অসুিবধার সম্মুখীন হচ্ছে, কেননা বাংলাদেশী সরকারের তরফ থেকে তারা কোন ধরনের সহায়তা পাচ্ছে না। ২০০৯ সালের ফেব্রেুয়ারি মাসে মালাক্কা প্রণালীর নিকট থেকে ২১ দিন সমুদ্রে থাকার পর স্থানীয় নাবিকেরা অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদ্ধার করে।

গত কয়কে বছর ধরে রোহিঙ্গারা থাইল্যান্ডের দিকেও পালিয়ে যাচ্ছে। খসড়াভাবে ১১১,০০০ শরণাার্থী থাই-মায়ানমার সীমান্তে ৯টি আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছে। সেখানে অভিযোগ রয়েেছ যে,ে তাদের বিভিন্ন দলকে জাহাজে করে জোরর্পূবক নিয়ে সমুদ্রে ফেলে দেয়ো হয়েছে। ২০০৯ সালের ফেব্রেুয়ারি মাসে ১৯০ জন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু স¤^িলত একটি নৌকাকে থাই আর্মি কতৃর্ক সমুদ্রে পাঠানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০০৯ সালের ফেব্রু“য়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ দ্বারা উদ্ধারকৃত একদল উদ্বাস্তুর দলের রোমহর্ষক বর্ণনায় দখো যায় যে,কীভাবে তারা থাই আর্মি দ্বারা ধৃত ও নিগৃহীত হয়ে খোলা সমুদ্রে নিক্ষেপিত হয়ছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে প্রাপ্ত রিপোর্টে দেখা যায়, এমনি ৫টি নৌকাকে সমুদ্রে জোর পূর্বক ছেড়ে দেওয়া হয় যার মধ্যে ৪টি ঝড়ে ডুবে যায় ও একটি উপকূলের দিকে ভেসে আসে। ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে থাইল্যান্ডর প্রধান মন্ত্রী অভিজিৎ ভিজাজিভা অনযরংরঃ ঠবললধলরাধ এধরনের কিছু ঘটনা ঘটেছে যাদের সমুদ্রে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

তথ্যসূএ: উইকিপিডিয়া (ডরশরঢ়বফরধ)










মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার পোস্টে কেউ নেই কেন?






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.