নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার ইচ্ছা ফেসবুকে আমি https://goo.gl/MsyCIb

রুদ্র রিটার্ন

রুদ্র রিটার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাকিব চরিত

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

ছোট ছেলেটা বহু পিচ্চি থাকতে ফুটবল টাই খেলতো কারন তার বাবা যে ছিল খুব নামকরা ফুটবলার যাকে বলে ডাকসাইটে ফুটবলার। কিন্তু ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কেনিয়াকে হারিয়ে আইসিসি ট্রফি জয় করে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ লাভ করলে দেশ জুড়ে যে ক্রিকেট জ্বর শুরু হয় তাতে ছেলেটার ক্রিকেটের প্রতি তার আগ্রহ এবং ভালবাসা দুটোই বাড়তে থাকে ।প্রত্যেক বাবাই চান তাঁর অতৃপ্ত, অপূর্ণ স্বপ্ন নিজের সন্তান পূরণ করবে। ফলে তাঁর ছেলে বড় হয়ে একদিন বড় ফুটবলার হোক—এই তো চাওয়া ছিল ছেলেটার বাবার কিন্তু ছেলেটা? তার চাওয়া যে একেবারেই অন্য রকম। সে-ও জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখে ঠিকই। গায়ে লাল-সবুজ জার্সিটা পরার স্বপ্নও দেখে। তবে ফুটবল দিয়ে নয়, ক্রিকেটে। ক্রিকেটই তার ভালোবাসা। ধ্যানজ্ঞান। ফুটবল বনাম ক্রিকেট। বাবা বনাম ছেলের স্বপ্ন। এই লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছেন দেখে খেপে গিয়ে বাবা একদিন করলেন কী, দা-বঁটি দিয়ে কেটে টুকরা টুকরা করে ফেললেন ছেলের ব্যাট-বল! না, তাতেও ক্রিকেট খেলা থামেনি ছেলেটার। কোনো একটা কাজের প্রতি এত্ত এত্ত ভালোবাসা থাকলে কী হয়, সেটাই দেখিয়ে দিল সেই ছেলে। একদিন সত্যি সত্যিই জাতীয় দলে খেলে ফেলল সে। এবং শুধু জাতীয় দলের বড় তারকা নয়, সেই ছেলে একদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই হয়ে উঠল মস্ত বড় এক ক্রিকেটার। বিশ্বের বাঘা বাঘা সব ক্রিকেটারকে ছাপিয়ে হয়ে গেল আইসিসি র্যা ঙ্কিংয়ের এক নম্বর অলরাউন্ডার। সেই ছেলেই বাংলাদেশ নামের এক বদ্বীপের গর্ব সাকিব আল হাসান।
২০০৬ সালের ৬ই আগস্ট এক রৌদ্র উজ্জ্বল দিনে লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেক হলো সাকিব আল হাসানের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ম ম্যাচে । বল হাতে ১০ ওভারে ৩৯ রানের বিনিময়ে এলটন চিগাম্বুরার উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৪৯ বলে অপরাজিত ৩০ রানের একটি ইনিংস । ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারী সাকিব প্রথমবারের মত আইসিসি'র ওডিআই অলরাউন্ডার তালিকার ১ নম্বরে উঠে আসেন। তিনি আইসিসি ক্রিকেটার অফ দ্যা ইয়ার এবং আইসিসি টেষ্ট প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার এর জন্য মনোনয়ন পান। কিন্তু পুরষ্কার পাননি। তবে ঐ একই বছর শচীন টেন্ডুলকার, জ্যাক ক্যালিস, গৌতম গম্ভীরের মত খেলোয়াড়কে পিছনে ফেলে জিতে নেন উইজডেন টেষ্ট প্লেয়ার বর্ষসেরার পুরষ্কার ।এরপর ফিরে তাকাতে হয়নি সাকিব আল হাসান কে । ২০১৫ পর্যন্ত তিনবার সাকিব আল হাসান ওয়ানডে টেস্ট টি২০ ফরমেটে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার নির্বাচিত হন । ২০১২ সালের ১২ই ডিসেম্বর তারিখে সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশিরের সাথে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন। শিশির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এ স্নাতক, তিনি পড়াশোনা করেন মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এত এত খ্যাতির পরেও সাকিবকে মাঝেমাঝে অপ্রীতিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছে তার কিছু বিতর্কিত আচরনের জন্য। জরিমানা গুনতে হয়েছে এমনকি নিষিদ্ধ হয়েছেন জাতীয় দল থেকেও। তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে দেশ-বিদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে । তবে কোন কিছুই মাঠে সাকিবের পারফর্মেন্সের উপর প্রভাব ফেলতে পারে নি। সাকিবের প্রত্যাবর্তন প্রতিবারই ছিল সাকিবের মতই। সাকিব আল হাসান মানে সাকিব আল হাসান শুধু যার অন্য কোন মানে নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের খারাপ সময়টায় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলো এই সাকিব আল হাসান । ধারাবাহিক পারফর্মেন্স করে গিয়েছে সবসময় ব্যাটে বলে বাংলাদেশের জান বাংলাদেশের প্রান সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এখন যে সুসময় চলছে যাদের জন্য তাদের মধ্য সাকিব আল হাসানের নাম টা আমি আগিয়ে রাখব কারন বিশ্বের কাছে আমাদের ক্রিকেট তুলে ধরেছেন যে নিজেকে দিয়ে । আমি শুধু চাই সাকিব আল হাসান আগামি ২০১৯ বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে দেশে ফিরবেন ।
#শুভ অভিষেক দিবস সাকিব আল হাসান
#sah75
#Rise Of The Tigers

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

জুনায়েদ জুবেরী বলেছেন: ++

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

রুদ্র রিটার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.