![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখানে আসার পর, শত ভিন্নতার ভীরেও একটা জিনিসই আমার সম্পূর্ণ বাংলাদেশের মত মনে হয়েছে। আর সেটা হচ্ছে মসজিদ কমিউনিটি আর তাদের আন্তরিকতা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখানকার মসজিদ ভিত্তিক আয়োজন বাংলাদেশকেও হার মানায়। চলছে পবিত্র রমজান মাস। বিদেশের মাটিতে প্রথম। রাত ২:২০’এর মধ্যে সেহরী শেষ করতে হয়। প্রায় সারে ষোল ঘণ্টা রোজা। কিন্তু একদমই কষ্ট হয় না, এখনো পরিবেশ বেশ ঠাণ্ডা। শুনেছি, রমজান মাসে নাকি মসজিদের আয়োজন আরও ভিন্ন মাত্রা পেত। প্রত্যেকদিন ইফতার থেকে শুরু করে, তারাবি, রাতের খাবার, সেহরি সবই হত সকলের অংশ গ্রহণে আর বিভিন্ন দেশ আর কমিউনিটির উদ্যোগে। কিন্তু, করোনার কারণে শুধু ফরজ নামাজ ছাড়া সব আয়োজনই বাতিল করতে হয়েছে এবার।
তখন চিন্তা করেছিলাম... একা একা ইফতার কিভাবে করব!! ইফতার আয়োজনই’বা আমার দ্বারা বাসায় কিভাবে সম্ভব?! কিন্তু, প্রয়োজনীয়তাই যে কর্মশিক্ষার জনক। মামীকে কল দিলাম। শিখিয়ে দিলেন আমার প্রিয় উনার ইফতার রেসিপিগুলো। ব্যাস... পেয়াজু, বেগুনী থেকে শুরু করে চিকেন ফ্রাইও এখন তৈরি করে ফেলতে পারি। কয়েকদিন ইফতারও করেছি কয়েকজন ভাই মিলে। প্রায়ই আসাদ ভাইয়ের ডাকে সেহরীও করে আসি চারতলায় নেমে। মাঝে মাঝে আবার বাংলাদেশী ভাই’রা গাড়িতে ইফতার নিয়ে বাসার নিচে এসে কল দিয়ে বলে “পিয়াস, একটু নিচে আসো”। আলহামদুলিল্লাহ্, সব কিছুর জন্য।সেলুনের বিজ্ঞাপন এত সুন্দর হতে পারে... !!
অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পিছিয়ে দিয়েছে এক মাস। তবে আমার এক্সপেরিমেন্ট গুলো সময় নির্ভরশীল হওয়ায় ল্যাবে যাওয়া বা কাজ করায় কোন বাঁধা নেই। আমার অন্য ল্যাবের কাজ গুলো শুধু থমকে আছে। জাপানের করোনা পরিস্থিতি অবশ্য আগে থেকে বেশ ভাল। বর্তমানে প্রতিদিন আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা ১০০’এর নিচে।
আশা করছি পরিস্থিতি অচিরেই আরও ভাল হবে। জাপানের বসন্তকালটা ঘরে বসে কাটাতে হবে না। আমি অবশ্য মাঝে মাঝে একাই ঘুরতে বের হয়েছি। কেনইবা বের হব না বলেন?? বাইরে যে অসম্ভব সুন্দর সাকুরা বা চেরি ফুটেছিল। এখানে আসার আগে এই চেরি ব্লসমের অনেক প্রশংসা শুনেছি। এবার নিজের চোখে দেখলাম। মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সারি সারি চেরি ফুল, সাদা আর গোলাপি রঙ্গের। পুরো গাছে কোন পাতা নেই, শুধুই ফুল। বিরক্তিকর শীতকাল শেষে, গাছেদের যেন অম্লান বিজয়ের হাসি... যা ছিল অবধারিত।
করোনা পরবর্তী পৃথিবীও হাসবে একদিন.... সেটাও অবধারিত।
মদের দোকানের বিজ্ঞাপন... উপুত হয়ে গিলবেন... শিশুর মত...
প্রকৃতি যেখানে গ্রাস করে সভ্যতাকে...
সাদা চেরি
কেউ দৌড়াচ্ছে, কেউ ছেলেকে নিয়ে লেকের পাড়ে হাঁটছে, কেউ ছবি তুলছে... আর কেউবা প্রকৃতির মাঝে বইয়ে মশগুল...
প্রাচীন কালের জাপানি খামার
১৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০
পিরানহা বলেছেন: সাপপোরো। আমি ছাত্র।
২| ১৫ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: জাপানেই থাকুন। ভালো থাকুন।
৩| ১৫ ই মে, ২০২০ রাত ৯:০১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর ছবি
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কোন শহরে থাকেন, আপনি কি ছাত্র, নাকি কোন ট্রেনিং প্রোগ্রামে?