নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পিনাকড্রিম

পাগলামী

পিনাকড্রিম

পিনাকড্রিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

Doctor Solution । ডাক্তারের পরামর্শ

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১০





পরিণত বয়সের নারী-পুরুষ অনেকের কাছে যে সমস্যা অনেক সময় প্রকট হয়ে উঠে তা হলো যৌন দূর্বলতা, যার কারণে অনেক সময়ই দম্পতি মানসিক অশান্তিতে ভোগেন। অনেক অবিবাহিত এমনকি যৌন ক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করেনি এমন অনেকেও কিন্ত এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন।



আসলে আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষেরই এ বিষয়ে সংকোচ বেশি থাকার কারণে প্রকৃত তথ্য থেকে অনেকে বঞ্চিত হন, তেমনি অনেক অপসংস্কার বা কুসংস্কার এই দূর্বলতার... কারণে সমাজে বাসা বেধে আছে। যৌন দূর্বলতায় নারী বা পুরুষ উভয়েই আক্রান্ত হতে পারে তবে যৌন কার্যে নারীর ভূমিকা অনেক খানি পরোক্ষ বিধায় পুরুষকেই এই সমস্যা নিয়ে বেশী উদবিগ্ন হতে দেখা দেয়।



নারী পুরুষ মিলিয়ে এ ধরণের রোগির সংখ্যা শতকরা ১০ থেকে ২০ শতাংশ। একটু ভেবে দেখলে বোঝা যাবে এটা মোটেই ফেলে দেবার মতো কোনো সংখ্যা নয়।



বিজ্ঞাপনবিজ্ঞাপন হরনি গোট উইড - দাম্পত্য সুখের জন্যপ্রথমে পুরুষের ব্যধি নিয়ে আলাপ করা যাক। এজন্য প্রথমেই জেনে নিতে হবে একজন পুরুষের যৌন বিষয়ক শারীরবৃত্তীয় কাজ গুলো কি কি।



১- যৌন ইচ্ছা (Libido-লিবিডো) বা সেক্সুয়াল ডিজায়ার থাকা।



২- লিঙ্গত্থান বা ইরেকশন (Irection) হওয়া, যা পুরুষাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবার কারনে হয়।



৩-পুরুষাঙ্গ দিয়ে ধাতু (semen-সিমেন) নির্গমন (Ejaculation)।



এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরেকটি term ও জেনে নেয়া যেতে পারে আর তা হলো Detumescence বা পুরুষাঙ্গের শিথিলতা। এসব কিছুর মধ্যে পুরুষের লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা বা ইরেকটাইল ডিজফাংশন টিই প্রকট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত।এই সমস্যাটি নানাবিধ কারনে হতে পারে।এর বড় একটা কারন হলো মনস্তাত্বিক, এছাড়া কিছু হরমোনের অভাব অথবা মস্তিস্কের রোগের কারনেও এমনটি হতে পারে।



পুরুষাঙ্গের ধমনি (রক্তনালী)সরু হয়ে যাওয়া কিংবা শিরার যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত ধারণ করতে না পারাটাও এমন সমস্যার জন্ম দেয়। কারন গুলোকে ঠিকভাবে চিহ্নিত করলে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যেতে পারে



১. বার্ধক্যঃ আসলে বয়স বাড়াটা লিঙ্গোত্থানের ব্যর্থতার কোনো সমস্যা নয়, বরং বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরবৃত্তীয় এবং মানসিক যেসব পরিবর্তন হয় তা অনেক সময় এতে প্রভাব ফেলে।



২. কিছু কিছু রোগের কারনে পুরুষের এমন সমস্যা হতে পারে যেমন- ডায়াবেটিস হওয়া, স্থুলতা, অন্য এন্ডোক্রাইন বা হরমোনের সমস্যা দেখা দেয়া, প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হওয়া ইত্যাদি।



৩. ধুমপানঃ ধুমপান একদম প্রত্যক্ষ ভাবে লিঙ্গত্থান ব্যর্থ হবার একটি বড় কারন।



৪. অসুধঃ কিছু কিছু অসুধ আছে যা পুরুষের অমন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, এর মধ্যে আছে মানসিক রোগের অসুধ, কিছু স্টেরয়েড, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের অসুধ, নেশা উদ্রেককারী অসুধ যেমন কোকেন, গাজা, অধিকমাত্রায় এলকোহল সেবন ইত্যাদি।



৫. মেরুদন্ডের অভ্যন্তরে যে মজ্জা থাকে (spinal cord) তাতে আঘাত পেলে কিংবা তা রোগাক্রান্ত হলেও এমন সমস্যা দেখা দেয়।



৬. পুরুষাঙ্গের নিকটবর্তী স্থানে রেডিওথেরাপী দিলেও এমন সমস্যা হতে পারে।



৭. এছাড়া ডিপ্রেসন, এঙ্গার কিংবা বিভিন্ন মানসিক চাপ বা উত্তেজনার কারনেও লিঙ্গোত্থানে সমস্যা দেখা দেয়।



চিকিৎসাঃ যৌন দূর্বলতার চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের কারণের উপড়। পুরুষাঙ্গের উত্থানের সমস্যা যদি কোনো নির্দিষ্ট রোগের কারনে হয় তা হলে অবশ্যই ঐ রোগের চিকিৎসা করাতে হবে। তবে সচরাচর এই রোগের জন্য কিছু অসুধ ব্যবহৃত হয় তার একটি হলো সিলডেনাফিল (sildenafil) যা অনেকের কাছেই ভায়াগ্রা নামে পরিচিত। এছাড়া এনড্রোজেন জাতীয় হরমোন এবং পুরুষাঙ্গের অভ্যন্তরীস্থ মূত্রনালীতে প্রয়োগ করা হয় এমন কিছু অসুধ ও রয়েছে। অপারেশনের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রসথেসিস (prosthesis) স্থাপন করেও এই সমস্যা থেকে স্থায়ী পরিত্রান পাওয়া যায়। ইউরোলজিষ্ট সার্জন গন এই প্রসথেসিস লাগিয়ে থাকেন। পুরুষাঙ্গের উত্থানের সমস্যা বলতে অনেকে আবার দ্রুত বীর্য স্খলন কেও বুঝে থাকেন। একে বলা হয় প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন (premature ejaculation)। এটি ভিন্ন একটি সমস্যা আর এর চিকিৎসাও ভিন্ন রকম।

(মেডিক্যাল জার্নাল ও প্ত্রপ ত্রিকা থেকে সংগৃহিত)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৫২

রাজীব দে সরকার বলেছেন: অসম্পূর্ণ লেখা এবং অল্প জেনে লেখা বিভ্রান্তি ছড়ায়

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩১

পিনাকড্রিম বলেছেন: অনুগ্রহ করে মাফ করবেন।বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করে সাজিয়ে যতটুকু সম্ভব হয়েছে এখানে তাই।জানার বা বোঝারতো শেষ নেই।দয়া করে আপনার কাছে কোন তথ্য থাকলে জানাবেন।এ আমার / আমাদের অধিকার।বাড়বাড়ি হলে ক্ষমাপ্রার্থী।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯

রাজীব দে সরকার বলেছেন: দুঃখিত লেখক

আমার বলার উদ্দেশ্য হলো
এ ধরনের লেখা প্রোফেশনাল দেরই লেখা উচিত
অন্য কেউ লিখলে অবশ্যই তাতে ভুল হবে

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৮

পিনাকড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব দে সরকার,আপনার জন্য।আপনি ঠিক বলেছেন।আসলে লোভ সামলাতে পারিনি বা পারি না অতি প্রয়োজনীয় বিষয়াদি কাউকে না জানাতে।পেপার-পত্রিকা পড়ি,নিজের পড়ুয়া একাডেমিক অতীত এবং ক্লিনিক্যাল বায়োক্যামিস্ট্রি,নিউট্রিশন,ইমিউনোলোজী ও অন্যান্য রেফারেন্স থেকে ধারনা নিয়ে এখানে লিখছি নিজেকে জানাবার জন্য ও অন্যান্যকে এবং যারা পড়ছেন,তারা পড়ে আরো জানার থাকলে নিশ্চয়ই নিজেকে ঋদ্ধ করার মানসেই তার বা আমার বা আপনার আরও অন্যান্য ভাবে ওই সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে ঘাটাঘাটি করবে বা করবেন।শ্রেফ এ টুকুই,আর কিছু না।ক্ষমাপ্রার্থী অনেক বলে ফেললাম।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫১

রাজীব দে সরকার বলেছেন: হুমম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.