![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দু বছর আগের ঘটনা।
আমার এক আত্তিয়া সম্পর্কে বোন হন,তার কথাই আজ লিখছি।
তার জীবনের একটা দুঃসময় নিয়ে লিখছি।
এবং
তার অনুমতি নিয়েই লিখছি।
ধরা যাক আমার বোনটির নাম ফারিয়া, আর তার প্রেমিক এহসান।
ফারিয়া আর এহসান দুজনের প্রেমের শুরু তাদের ১৬ বছর বয়স থেকে।
আর সেই প্রেমের খারাপ অথবা ভালো পরিনতি যেটাই ঘটেছে,তা হয় তাদের ২৯ বছর বয়সে।
মোট ১৩ বছরের সম্পর্ক।
এই সময়ে কার বোকামি অথবা কার চালাকি সবই বুঝতে পারবেন কিন্তু আমার লেখার উদ্দেশ্য তা নয়, উদ্দেশ্য হোল আমার বোনের সংগ্রাম কে সম্মান জানানো।সে আনেক ভালো একটা মানুষ,লিখতে বসে চোখ ভিজে যাছে আমার আজও !
ফারিয়া আর এহসানের সামাজিক অবস্থা ছিল এরকম,ফারিয়া শিক্ষিত পরিবারের আর এহসান অধঃ শিক্ষিত পরিবারের।
সাভাবিক ভাবে আর্থিক দিক থেকেও এহসানরা ছিল দুর্বল।
কিন্তু দুর্বল কিভাবে সবল দের হার মানায় আজ পড়বেন!!
যথারীতি পড়ালেখার পার্ট চুকিয়ে তারা নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্রে জায়গা করে নেয়।
অনেক আপত্তির পরও ফারিয়ার খুশির কতজা ভেবে তার পরিবার এহসানের সাথে তার সম্পরকের একটা পরিনতি দিতে রাজি হন।এক্টাই কারন এহসান ভালো ছেলে।
ঘটনা একঃ
এহসানেম মা বাবাকে নিয়ে বিয়ের কথা বারতা পাকাপাকি করতে তারা আসে ফারিয়ার বাশায়। আয়জনের অভাব রাখেনা তারা।
শেষমুহুর্তে এহসানের মা আসেনা।ছেলে ও বাবার মিথহা অজুহাত মহিলা অসুস্থ।
হঠাত এহসানের বাবার ফোন এ একটা টেলিফোন আসে এহসানের মায়ের (পরে বোঝা যায়)তারা না খেয়ে একরকম ছুটে বাসায় যায় কারন ওপাশের কর্কশ গলায় এরকম কিছু কথা ছিল "এতো দেরি করতেস কেন?রাতে ওখানে খাবানা কিন্তু খবরদার"!! (আমরা ভাই বোনেরা আশেপাশেই ছিলাম ফোনটা ছিল নকিয়া ১২৮০ সম্ভবত,তাই কথা এতো স্পষ্ট)
ঘটনা দুইঃ
এক বছর পর এহসান মা বাবাকে দ্বিতীয়বারের মতো ফারিয়ার বাসায় আনে,এবং তারা খালি হাতেই ফারিয়া কে মেয়ে
বানিয়ে রেখে যায় তার মার মুখ থেকে দেয়া কথা ছিল এরকম "আমারা দু মাস পর আবার এসে তারিখ টিক করে রেখে যাব"।
ঘটনা ৩ঃ
৩ মাশ পেরিয়ে যাবার পর ফারিয়ার পরিবার তাদের ফোন দেয় তাদের দেয়া কথা নিয়ে তারা তারিখ জানবে কিনা।
এহসানের বাবার উত্তেজিত উত্তর "এতো অস্থির হওার কি আছে? আসবত!!আর দু মাশ সময় আমারা চ্চাইনি,আপ্নি ভুল বলছেন"
সে বছর তারা আর আসেনি!।কেও ফোন করেনি আর ফারিয়ার বাসা থেকেও।
ঘটনা ০৪ঃ
এহসান মোটা বেতনের আরেকটা চাকরি পায়।
সে তার পুরো পরিবারের খরচ চালানর দায়িত্ত নেয়, কেননা তার মা বলেছিল "আগে ঘর চালা এর পর বিয়া!! আর তুই বিয়ে করলে আমাদের দায়িত্ব কে নিবে??তবুও সে বাসায় জানায় এবার যেন আর দেরি না করা হয়।এরপর ও তারা কখনই আসেনি।।
এহসান ফারিয়া কে বলেছিল রেজিস্ট্রি করে নিতে,ফারিয়া চায়নি কারন ও সামাজিকভাবে রিকগনাইজড হয়ে বিয়েটা করতে চেয়েছিল।
এহসানের মা বাবার 'যার আর পর নাই' টাইপ অনিহা দেখে ফারিয়ার মা বাবাও (আমার খালাখালু ) তাদের পা ধরে কিংবা যৌতুক অফার করে মেয় বিয়ে দিতে চায়নি।
এখন ফারিয়া আনেক ভালো আছে।বাংলাদেশের বাইরে আছে। বিয়ে করেছে।বড় কথা যার সাথে আছে ভদ্রলোক শিক্ষিত মা বাবার ছেলে!!
এহসানের মা বাবা অসম্ভব ধূর্ত প্রকৃতির মানুষ যেটা আমার বোন বুঝতে পারেনি।এহসান ও বেতিক্রম নয়। এহসানের মা বাবার এক্তাই কথা ছেলের ৩৫/৩৬ বছর হবার আগে কিশের বিয়ে??
ছেলে যখন তাদের বশের বাইরে গিয়ে প্রতিবাদ করেছিলো তখন বলা হয়েছিল তার বাবা কোন ধরনের আর্থিক সহায়তা করবেনা বিয়ের ব্যাপারে বেশি বারাবারি করলে বিয়েতেই যাবেনা তারা।নতুন চাকরি, ফারিয়াদের স্ট্যাটাসের সাথে মিল রেখে বিয়ের অনুষ্ঠানে ১০/২০ লাখ টাকা খরছ করা বেচারি এহসানের অসম্ভব ছিল, তা আমিও মানছি। আর হবু স্ত্রীর জন্য মা বাবাকে ছেড়ে দেয়ার মতো ছেলে এহসান ছিলনা।
এখানে শুধু কিছু নির্বাচিত ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
অভদ্রতার সিমা লঙ্ঘন তারা কতটুকু করছে তা নাহয় নাই লিখলাম।
এহসানের বাবা বিসিএসআইআর এ কাজ করতেন তবে কোন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নন ,এখন তিনি হোমিওপেথির ডাক্তার এটা তার সার্বজনীন পরিচয়,মানে মানুষ কে সে এটাই বলে বেড়ায় এখনো।
সে একজন হাজি মানুষ!!আমাদের সমাজে পরহেজগার মানুষের মুখের কথাকে মানুষ অন্ধ ভাবে বিলিভ করে!! কিন্তু যারা এহসানের বাবার মতো তাদের কি বলবেন??
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একজন মানুষের পরিচয় তার মুখের কথায়, তার আচরণে !!
লেখাটাকে আমি পাঠক প্রিয়তার জন্য অতিরঞ্জিত কিংবা রম্য রচনা আকারে প্রকাশ করতে পারতাম কিন্তু আমি তা চাইনি।
গতকাল ঈদ গেল,আমার বোনটা সন্ধ্যায় এসেছিলো আমার বাসায়।কিছুদিনের মাঝে আবার চলেও যাবে।বছরে এক বারই দেখা হয় তাদের সাথে।
আমার সৃতিতে ওর সে দিনগুলোই ভাসে যখন প্রতিবার এহসানের মা বাবার আসার কথা শুনে অনেক এক্সাই্টমেন্ট আর ইন্টারেস্ট নিয়ে রান্না করতো।
আমরা জানতাম বিয়েটা হয়তোবা হবেনা ওর খুশি মুখটা দেখে আর বলা হতোনা।
কোন পাঠক যদি এখন এহসান কে কুত্তার বাচ্চা- গালি দেয়!!
ভুল হবে??
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: খারাপ লাগলো ভাই । কিন্তু আপনার বোনটি ভালো আছে জেনে ভালো লাগলো । এহসান মুড়ি খাক ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৫২
নিমকহারাম বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:১৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর দুঃখনিহিত গল্প ।