নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন

কিংকর্তব্যবিমূঢ়

আমার এই আবেগ একদিন তোমাকে ছুঁয়ে যাবেই রংধনু টা ফিকে হয়ে যাবে হয়তো সেদিন অথবা গোলাপের গাঢ় লাল রং...

কিংকর্তব্যবিমূঢ় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আত্বসম্মানবোধ!!!

২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৮

একজন সেনা ছাত্রের কলার ধরার কারণে ফুঁসে উঠল পুরো দেশ ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আত্তসম্মানে লেগেছে!!তারা হলো স্ফুলিংগ। তাদের গায়ে হাত দেয়া যাবে না ,খবরদার!!!



গত চার বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আছি (এফ,এইচ,হল)। দেখেছি তাদের আত্তসম্মানবোধ।



পলিটিক্যাল জুনিয়র ছেলেরা গায়ে হাত তোলে,ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকি।ক্যান্টিনে প্রতিবেলা ৩০ জন ফাও খায়,যার দাম দিতে হয় আমাদের, বেশী দামে অখাদ্য খেয়ে।টিভি রুমে বাংলাদেশের খেলার সময় তিন বছরের জুনিয়র এক ছেলে রিমোট হাতে নিয়ে এম টি ভি তে হিন্দী ভিডিও সং দেখে, কিছুই বলতে পারি না। দেখলে ওরা যা দেখে তাই দেখো,নয়তো নয়।দু একজন প্রতিবাদ করে জুনিয়রদের হাতে অপমান হয়েছে, তাই এখন সবাই চুপ।

হায়রে আত্তসম্মানবোধ!!!



পেপার রুমে আর গেমস রুমে তারা আসলেই সিট ছেড়ে দিতে হবে, হোক না জুনিয়র।আমরা হলাম দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক। এগুলো আসলে তাদের জন্য।আমার সামনে এক নেতা হলের হাউস টিউটরকে বাইনচোত গালি দেয়।আমি স্যারের দিকে তাকাই,চোখাচোখি হলে দুজনেই চোখ নামিয়ে নেই, ব্যর্থতায়,অপমানে।ক্যান্টিনে আমাদের জন্য রাত ৯টার পর ভালো কিছু থাকে না,তাদের জন্য ১১টা পর্যন্ত রুমে খাবার যায়।



প্রথম বর্ষে মিছিলে না গিয়ে ল্যাবে যাওয়ায় থাপ্পড় খেয়েছি নিজের বর্ষের ছেলের হাতে।ঐ ভুল আর করি নি।পলিটিক্স করবো না বলে ৪ জনের রুমে পুরো একবছর ২৪ জন থেকেছি,শুধু রাতে এক পাশ হয়ে ঘুমিয়েছি।আর তারা বহিরাগত ফ্রেন্ড নিয়ে ৪ জনের রুমে দু্ইজন থেকেছে।এগুলো আমাদের আত্তসম্মানে লাগে নি।তাই কখনো প্রতিবাদ করতে পারি নি।মেনে নিয়েছি।



আর এখন তাদের অসময়ে,তাদের ইন্ধনে আমাদের আত্তসম্মানবোধ উপচে পড়েছে।তারা আমাদের একটু মূল্য দিচ্ছে,এতো আমাদের পরম পাওয়া!!!



প্রথম দু দিন মিছিলে গিয়েছি কিছু না বুঝে,আমার ভাইয়ের অপমানের শোধ নিতে।পরে তাদের আনাগোনা দেখে নিজের হাত নিজে কামড়েছি।এ কি করছি আমরা? কাদের পথ সুগোম করছি?যা আশংকা তাই হলো।



এ আন্দোলন কখনই সফল হতো না যদি না দু দলের দু:সময় যেতো।তা না হলে যে দল ক্ষমতায় থাকতো তাদের ছাত্র সংগঠনই পিটিয়ে ঠান্ডা করে দিতো (যেমন,হ্যাপীর মৃত্যুর আন্দোলন) অথবা নিজেদের দেনা পাওনার হিসেব মেটাতো আমাদের ব্যবহার করে (যেমন,আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর পদত্যাগ)।



আমি বিশ্বাস করি এই দলগুলো সাধারণ ছাত্রদের মাজা এভাবে ভেংগে দিয়েছে যেন তাদের ছাড়া সাধারণ ছাত্ররা আর কখনই দাড়াতে না পারে।হলে থাকার প্রতিটি (এখনও আছি) মূহুর্তে নিজেকে মনে হয় পরাধীন,নপুংশক।আস্তে আস্তে তাই মেনে নিয়েছি।শুধু আমি না,বেশীরভাগ ছাত্রই।



এ অবস্হার পরিবর্তনের জন্যই দরকার এ সরকারকে।যাতে আমরা নিজেরাই নিজেদের দ্বায়িত্ব নিতে পারি।নিজেদের মেরুদন্ড সোজা করে হাটতে পারি, চোখ তুলে তাকাতে পারি।কারও ইন্ধন ছাড়াই যাতে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারি।



আর কিছু কথা সংযুক্ত করি : ২৬-০৮-০৭ ১২:৪৪



কেউ কেউ আমার কথার প্রতিবাদ করেছেন গত দুদিনে,আমাকে গালমন্দ করেছেন।আবার কেউ কেউ প্রতিবাদ কারীদেরও ভর্ত্তসনা করেছেন।একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশে এটা খুবই স্বাভাবিক,আমি মেনেও নিয়েছি।

কিন্তু মেনে নিতে পারি না তখন,যখন কেউ কেউ ঐ সব ক্যাডারদের আমার ভাই বানাতে চান(আবার আদরের ছোট ভাই!!!)।

আপনারা এমন কোন ভাতৃত্ববোধ কখনও দেখেছেন,যেখানে গ্রুপিং এর কারণে রাতের অন্ধকারে রড,হকিষ্টিক,চাপাতি দিয়ে হাড় গুড়ো গুড়ো করে কোপানো হয় যতক্ষন না অগ্ঙান হয়?

এমন কোনো ভাই দেখেছেন যে কিনা নিজের স্বার্থের কারণে তার ভাই এর জীবনের দু থেকে তিনটা বছর কেড়ে নেয়?



দেখে থাকলে দয়া করে আমাকে বলবেন,আমার পোষ্ট উইথড্র করবো।



মন্তব্য ১৩০ টি রেটিং +৮৬/-১০

মন্তব্য (১৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৩:৫১

মদন বলেছেন: শুধু ৫ দেয়া ছাড়া আর কিছু বললাম না।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৬

লীন বলেছেন: নো কমেন্ট।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৩:৫৭

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: মি: লীন,মদন,দেবদারু
রেটিং না কমিয়ে প্রতিবাদ করুন,জবাব দেবো।
ঐ সাহস যদি থাকে।

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:০১

চতুরভূজ বলেছেন: শুধুই ৫। আর কি বলব ভেবে পাচ্ছিনা।
ব্লগে ব্লগে কত কি হয়ে গেল এই কয়দিন!! ছাত্র!!

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:০৩

চতুরভূজ বলেছেন: কিংকর্তব্যবিমূঢ় - রেটিং কমানোর কথা আসছে কেন? কে এটাকে ৫ ছাড়া অন্য কিছু দেয় ভেবে পাইনা। তাহলেতো তাকে মূর্খ বলা ছাড়া আর কোন গতি দেখছিনা।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:০৩

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: @ চতুরভূজ
আপনার ৫ পড়েনি, একটু দেখবেন?

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:০৪

লীন বলেছেন: আমি ৫ দিয়েছি। কিন্তু মন্তব্য করতে চাই না। :-/

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:০৫

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: এখানে অনেকেই আছে আমি চিনি, যারা মুখে এখন বড় বড় কথা বলছে কিন্তু এক সময় ঐ সব বাটপারদের চামচামি করেছে।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:০৬

লীন বলেছেন: সহমত @ চতুরভূজ।

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:০৭

চতুরভূজ বলেছেন: কিংকর্তব্যবিমূঢ়- আমিতো ৫ আগেই দিয়েছি, এখনতো আর রেট করতে পারছিনা। বুঝলামনা কেন? আমি লগ অফ করে অন করছি, ওয়েট..

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:০৮

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: ধন্যবাদ
চতুরভূজ,লীন,মদন।

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:১২

চতুরভূজ বলেছেন: নাহ, কিং, কোন সমস্যাতো খুঁজে পেলামনা। আপনি আবার রি-চেক করুন।

১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:১২

মামু বলেছেন: এসব ছাত্ররাই হল দেশের গর্ব। দেশের সূর্যসন্তান। দেশ প্রেমিক।


এসব ছাত্র যা করবে সবই হালাল। এদের বিরুদ্বে কিছু বললে হতে হবে দেশ দ্রোহী। এদের কোন কাজের প্রতিবাদ করা যাবে না।


ইতর শ্রেনী তাদেরকেই বলে যারা নিরিহ মানুষের গাড়ী পোড়ানোকে, দোকান লুট কে ঠিক বলে, ন্যায়্য বলে।

১৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:১২

মাথামোটা বলেছেন: আবালের আবালীয় মন্তব্য গ্রাহ্য নয়।

জুনিয়র পোলারা যদি ... মারে, তো কি সবাই কে ... মারতে দিবেন?

যুক্তিতে আসেন। মারামারি কোথায় হয় না? প্রতিবাদ না করে পালিয়ে যাওয়া কাপুরুষতারই লক্ষন।
শুধু এখানে নয় সবখানেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা শিখুন।

১৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:১৭

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: @ মাথামোটা
আপনি হয়তো কখনো হলে থাকেন নি।তাই যত সহজে কথাটা বললেন ব্যাপারটা তত সহজ নয়।আমি নিজে একবার টিভির চ্যানেল চেইন্জ করতে গিয়ে জুনিয়রদের হাতে লান্চিত হয়েছি।এখনকার আন্দোলনের অনেকেই ছিলো সামনে,কেউ প্রতিবাদ করে নি।শুনুন,ওরা থাকে দলবেধে,হাতে অস্ত্র।তাই ওদের প্রতিবাদ করা এতো সহজ নয়।

১৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:১৮

জায়দান বলেছেন: আহা কি অদ্ভূত যুক্তি। জুনিয়র ছেলেরা কবে কোন সিনিয়রকে চড় দিয়েছিলো, সেজন্য আর্মিরাও চড় মারবে, দোষের কি। জুনিয়র ছেলেরা অকারণে চড় মারলে প্রতিবাদ করুন। আর্মি ক্যাম্পাসে এসে ছাত্রদের পিটালে তারও প্রতিবাদ করুন। দুটো এক জিনিস নয়। মাথামোটার মন্তব্য পড়ুন।

কাপুরুষকে ১ দাগানো হইল।

১৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:১৮

অন্যরকম বলেছেন: কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম.......
ক্ষোভের সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন বাস্তবতাকে। বিষয়বস্তু, সময়, প্রয়োজন, শব্দ বিন্যাস, বাক্যের গাঁথুনি, আবেগ, যুক্তি..... সবকিছুর চমত্কার কমবিনেশন! ৫ এর চেয়ে বেশী আর দিতে পারছি না!

১৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:২৩

চতুরভূজ বলেছেন: অন্যরকমের মন্তব্যের জন্য অন্যরকম এক পাঁচ। সবাইতো ৫ লিখে, আমি লিখলাম পাঁচ।
আসলে পোষ্টা টপরেটে উঠা দরকার।

১৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:২৬

জায়দান বলেছেন: ভোটার লিস্ট করা শুরু হয়েছে? ১০ মাস গেল। শুরুই হলো না।

২০| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:২৮

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: @ জায়দান
পলিটিক্যাল জুনিয়রদের চেয়ে আর্মির প্রতিবাদ করা অনেক সহজ।কারণ এখানে আমাদের পিছনে স্বার্থান্বেষী ইন্ধনকারী ক্যাডার বাহিনী আছে যারা আমাদের আন্দোলনের ফসল নিজেদের করে নিতেই বেশী আগ্রহী।আর ওদের প্রতিবাদ করতে গেলে ?
দল বেধে সব শেয়াল কুকুরের মতো আক্রমন করতো।

২১| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:২৯

মদন বলেছেন: জায়দান,
আমি জানি না আপনি হলে থাকেন কিনা। থাকলে কতদিন
অবৈধ ছাত্র হলে থাকার জন্য প্রতিবাদ করেছেন?
নেতাদের কেন্টিনে ফাও খাওয়ার প্রতিবাদ করেছেন?
জুনিয়রদের সিনিয়রদের প্রতি অসম্মানের প্রতিবাদ করেছেন?
সেনাদের যেভাবে ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়েছেন (তার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ) সেভাবে কয়জন ছাত্র নামধারী কিছু জানোয়ারকে তাড়িয়েছেন?

২২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:২৯

আকাশ সাগর বলেছেন: অসাধারণ েলখা। যারা জীবেন কখেনা েহােস্টেল েথেকেছন, তারা এটা বুঝেত পারেবন। অন্যরা েয পারেবন না, েসটা জয়দান অার মাথােমাটার েলখা েদেখ বুঝলাম।

২৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৩০

চতুরভূজ বলেছেন: @জায়দান
৩৫ বছর ধরে যেই জন্জাল তৈরী করা হয়েছে সেটা এত দ্রুত কারও পক্ষেই ঠেলে সরানো সম্ভব না।
ভোটার লিস্ট নিয়ে আপনাকে যতটা চিন্তিত দেখাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আপনি এতকাল ভোট দিয়ে দিয়ে এ দেশটাকে স্বর্গপুরী বানিয়ে ফেলেছেন। আরে ভাই সময় দেয়াতে আপনাদের এত মাথাব্যাথা কেন বুঝতে পারছিনা।

২৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৩১

মদন বলেছেন: ১/২ জন ছাত্রকে অপদষ্ত করার জন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলন শুরু করে দেয় কিন্তু ১০০ ধর্ষনের সেঞ্চুরী মানিকের জন্য জাবি ছাড়া আর কোথায় প্রতিবাদ হয়েছে?

২৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৪

চতুরভূজ বলেছেন: একমত মদন।
যারা হুমিয়ে থাকে তাদের জাগানো যায় কিন্তু যারা জেগে জেগে ঘুমায় তাদেরকে যাগানো আসলেই কঠিন। জায়দান এবং মাথামোটা, আর কতকাল মাথামোটা হয়ে পড়ে থাকবেন এবার মাথাটাকে চিকন করার ব্যবস্থা করেন সহজ সত্যটাকে ুপলব্ধি করার চেষ্টা করুন।

২৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৫

মাথামোটা বলেছেন: ভাই আমি হলে থাকি নি সত্যি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা ছিল না তাও সত্যি।

আপনি প্রতিবাদ করবেন কি করবেন না এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার, অন্য রা প্রতিবাদ করলে আপনার এত গায়ে লাগে কেন?

১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০ সালেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা এমনই ছিল। তখন ছাত্র রা যদি আপনার মত করত তাহলে আমার বাংলা মায়ের কি হত একবার ভেবে দেখেছেন?

২৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৬

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: আর জাবিতে যারা প্রতিবাদ করেছে সামনে থেকে,পলিটিক্যাল নেতারা পরে তাদের খুজে খুজে হেনস্হা করেছে।

২৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৭

চতুরভূজ বলেছেন: দঃখিত।
হুমিয়ে=ঘুমিয়ে
যাগানো=জাগানো
ুপলব্ধি=ঊপলব্ধি

২৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৪১

সাইফ আল মাহমুদ বলেছেন: royal bangal foxকিংকর্তব্যবিমূঢ় ভাই,
ইহা সত্য, জোর যার মুল্লুক তার।
মন্তবের কিছুই নেই। শুধু ইহাই বলবো আমাদের স্কুলের শিক্ষক ঐ সকল দামালদের রয়েল বেঙ্গল ফক্স বলতেন।

৩০| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৪১

চতুরভূজ বলেছেন: @মাথামোটা
"১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০ সালেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা এমনই ছিল। তখন ছাত্র রা যদি আপনার মত করত তাহলে আমার বাংলা মায়ের কি হত একবার ভেবে দেখেছেন?"
আবারও মাথামোটার মতই কথা বললেন। সে সময়কার পরিস্থিতীর সাথে আপনি এ সময়কে তুলনা করলেন?!!!! আমাদের সেনাবাহিনীরা কি এই বাংলা মায়ের সন্তান নয়? বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তি বিভিন্ন সম্যে কি তাদের কোন অবদান নেই?

৩১| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৪১

মদন বলেছেন: কিংকর্তব্যবিমূঢ়,
আমি আপনার অনুভুতিকে আঘাত করতে চাইনা। অন্যায়ের প্রতিবাদ অবশ্যই কাম্য। কিন্তু তা নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী।

সবাই মিলেই আর্মিকে ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়েছে। কেউ একা কিন্তু নয়। তেমনি ক্যাডারদের বিরুদ্ধে দাড়াতে হলেও সম্মিলিত প্রয়াস দরকার। একা নয়। একা হলে আপনার জীবনটাই যাবে আর ক্যাডাররা আরো আতংক সৃষ্টি করবে।

যখন দুইদল নির্বাচন না করে নিজেরা কামড়া কামড়ি করে দেশটাকে জাহান্নামে ঠেলে দিচ্ছিল তখন কিন্তু ছাত্ররা প্রতিবাদ করেনি বরং দু দলের লেজুড় ধরে একজন আরেকজনরে আক্রমন করেছে।

৩২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৪২

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: @ মাথামোটা
যখন তোফায়েল,মতিয়া চৌধুরী,মেনন ভাইয়েরা স্টুডেন্ট পলিটিক্স করতো,তখন পলিটিক্স অবশ্যই এখনকার মতো ছিলো না।আমি আবার সেই দিনগুলোর স্বপ্ন দেখী।যখন পলিটিক্যাল নেতারা হবে সত্যিকারের নেতা।সুবিধাবাদী নয়।

৩৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৩

চতুরভূজ বলেছেন: তাহলেতো বলতেই হয়,১৯৫২=২০০৭
১৯৫২ এর কোন আলাদা বিশেষত্ব নেই। সেলুকাস!!!!

৩৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৬

শাইরি বলেছেন: আমি নিজেও হলে থাকি।
ধন্যবাদ কিংকর্তব্যবিমূঢ়কে এতো সুন্দর করে সহজ সত্য কথা বলার জন্য।
আর যারা হলে কখনও থাকে নি,তারা পরিস্হিতিটা কখনই বুঝবে না।
ধন্যবাদ।

৩৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৮

মাথামোটা বলেছেন: সেনাবাহিনীরা এই বাংলা মায়ের সন্তান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তিতে এদের যথেষ্ট অবদান আছে। তাই বলে তারা অন্যায় করবে আর আমরা তার প্রতিবাদ করব না?

৩৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৮

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: @ চতুরভূজ
আপনার কথার সাথে একমত নই।
৫২ র আলাদা তাত্পর্য অবশ্যই আছে।কারণ তখন পলিটিক্স করতেন ফেরেশতার মতো মানুষেরা,আর এখন সুবিধাবাদীরা।
আমি আবার সেই সকল দিনের স্বপ্ন দেখী।

৩৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৯

মদন বলেছেন: "তাহলেতো বলতেই হয়,১৯৫২=২০০৭
১৯৫২ এর কোন আলাদা বিশেষত্ব নেই। সেলুকাস!!!"

সেনাবাহিনী=পাক বাহিনী=রাজাকার

৩৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৫১

মাথামোটা বলেছেন: ৥ কিংকর্তব্যবিমূঢ় - গোলাম আজম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি ছিল।

৩৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৫১

চতুরভূজ বলেছেন: কিংকর্তব্যবিমূঢ়- আমি মাথামোটার কথাকে বলতে চেয়েছি। আমি বলিনি যে ১৯৫২ আর ২০০৭ এক, এটা বলেছে মাথামোটা, তার মন্তব্য ভালমত পড়লেই বুঝতে পারবেন।

৪০| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৩

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: ওহ্ দু:খিত
@ চতুরভূজ

৪১| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৪

জায়দান বলেছেন: কিংকর্তব্য আমার প্রশ্ন কৌশলে এড়িয়ে গেলেন। জুনিয়েরদের সামনে সিনিয়রত্ব দেখাতে গেলে চড় খেতে পারেন, আবার আর্মির সামনে বসে খেলা দেখতে গেলেও চড় খেতে পারেন - এরকম কুটতর্ক আমার উদ্দেশ্য না। উদ্দেশ্য পরিস্কার। আপনাকে অকারণে পিটালে তা ও অন্যায়, সেনারা ক্যাম্পাসে এসে ছাত্র পিটালে তা ও অন্যায়। আপনারটা প্রতিবাদ করেন নি বলে সেনাদের পিটানোর প্রতিবাদ করা যাবে না, এটা কোন যুক্তিতে পেলেন?

৪২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৮

জায়দান বলেছেন: ভোটার লিস্টের অজুহাতে সরকার পার করে দিচ্ছে মাসের পর মাস। এখনো তারা কাজটা শুরুই করে নি। কেন এই কালক্ষেপন? সুবিধিবাদী কলমজীবীরা অন্ধত্বের চশমা পরতে পারে, পাবলিক অন্ধ না। পাবলিকের ক্ষোভ প্রকাশিত হবেই।

৪৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:০৭

চতুরভূজ বলেছেন: আপনি কাদেরকে পাবলিক বলছেন জায়দান? কিছু সুবিধাবাদীদের? সেইদিনের কথা কেমনকরে এত সহজে ভুলে গেলেন যেইদিন জামত, আোয়ামিলীগ আর বি এন পির ত্রিমুখী সংঘর্ষে মানুষকে সাপ মারার মত লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেও তৃপ্তি হয়নি, মরা লাশটিকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আঘাত করা হচ্ছিল। সেই ভয়ানক পরিস্থিতী সামাল দিয়ে যারা দেশের ধ্বসে পড়া হাল ধরেছিল তাদের আইনের প্রয়োগ ঘটানোটা আজ হয়ে গেল ১৯৫২ এর পাক সরকারের অনুরুপ কর্ম? অদ্ভুদ আপনাদের চিন্তাধারা।

৪৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:০৮

চতুরভূজ বলেছেন: @জায়দান
৩৫ বছর ধরে যেই জন্জাল তৈরী করা হয়েছে সেটা এত দ্রুত কারও পক্ষেই ঠেলে সরানো সম্ভব না।
ভোটার লিস্ট নিয়ে আপনাকে যতটা চিন্তিত দেখাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আপনি এতকাল ভোট দিয়ে দিয়ে এ দেশটাকে স্বর্গপুরী বানিয়ে ফেলেছেন। আরে ভাই সময় দেয়াতে আপনাদের এত মাথাব্যাথা কেন বুঝতে পারছিনা।

৪৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:১৩

মদন বলেছেন: ভোটার লিস্টের কাজ চলতেছে
আর এই লিস্ট নিয়েই তো রাজনীতি।
আওয়ামীলীগ বলে তাদের করাটা ঠিক আর বিএনপি বলে যে ঠিক করে করতে হবে।
শেখ হাসিনার দাবী আছে ছবি সহ আইড কার্ড, স্বচ্ছ ব্যলট বাক্স।
আমার কথা হইলো এসকল বিষয়ে নিজেদের যদি মতনৈক্য না থাকতো এবং নিজেরা খুনখারাবি না করতো তাইলেতো আর্মি আসা লাগে না আর আর্মীর ডান্ডার বাড়িও খাওন লাগে না। নিজদের ভুলটা কি চোখে পড়ে না???

৪৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:১৮

দেবদারু বলেছেন: কিংকর্তব্যবিমূঢ়, আপনাকে ৫ দিতেই হবে - প্রত্যেকটি সত্য বাক্য উচ্চারণের জন্য। আর রেটিং কমানো বাড়ানোর কিছু নেই... রেটিং -কে আমি কেয়ারও করি না...... রেটিং চাইলে কবিতা তেমন একটা কেউ পড়ে না জেনেও, একগাদা কবিতা না লিখে আমি জাতীয় পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী বিতার্কিক হিসেবে তথ্যসমৃদ্ধ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সমালোচনার পোস্ট দিয়ে আমার ব্লগ ভরিয়ে দিতে পারতাম (ধর্ম সম্বন্ধে আমি কম জানি এটা আগেই স্বীকার করছি)... আমি শুধু অনুভূতিকে প্রাধান্য দেই... আবেগ আমার দুর্বলতা।
আপনি খুবই ভালো লেখেন.. এটা স্বীকার করতে বাধবে না আমার.... তবে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নাম উল্লেখ করে বিতর্ক করার উন্নাসিকতা অধিক আত্মবিশ্বাসেরই নামান্তর। যাহোক, আপনি কিভাবে কাকে আহ্বান জানাবেন সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। এখানে আমার বলার কিছু নেই। শুধু আপনাকে এতটুকুই বলবো.. আমি বিতর্ক করার জন্য এ ব্লগে আসিনি... আমি আমার ব্লগে আমার অনুভুতি লিখি, পাঠক চাইলে পড়বে, না চাইলে পড়বে না। চাইলে মন্তব্য দেবে। আমার রেটিং এর-ও প্রয়োজন নেই। তবে এভাবে সরাসরি কেউ আমাকে কোনো বিষয়ে জোর পূর্বক মন্তব্য করতে বলবে.... আমি এমন কোনো ইমেজ এই ব্লগে তৈরি করিনি বলে আমার বিশ্বাস.... তাছাড়া আপনার মন্তব্য থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে- আপনি ধরেই নিয়েছেন আমি আপনার রেটিং কমাবো। কেন? আমি তো ঈর্ষাকাতর নই! তবে? আপনি আমার পুরো বক্তব্য থেকে শুধুমাত্র এই একটি প্রশ্নের জবাব দিলেই খুশি হবো।
যাহোক, আপনি আমার পোস্টটি পড়েছেন- আপনার মন্তব্য দেখেছি সেখানে। আমি সেখানে আমাদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছি.... নিজেকে মোটেই বীরপুঙ্গব নয়, বরং অক্ষম হিসেবেই তুলে ধরেছি। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন, আমার ঘরে আমরা ভাইরা মারামারি করি, একে অন্যের প্রতি অন্যায়ও করি...... পরিবারের সিস্টেমে থেকে এর বিচার চাই- কখনো পাই, কখনো পাই না, হয়তো বাবার আদরে-আহ্লাদে প্রতিপালিত ছোট ভাইটির (কিংবা বড় ভাইটির বড়ত্বের প্রভাবে) বিচারও করা হয় না........ ক্ষোভ জমতে থাকে মনে.........। কিন্তু আমার ঐ ছোট ভাইটিকে যখন পাশের বাড়ির ছেলেটি মারে..... শত রাগ থাকা স্বত্তেও আমি আমার ভাইটির প্রতিই সহানুভূতিশীল হবো। এটা একট রূপক অর্থে উদাহরণ। কিন্তু আমি যেটা বোঝাতে চাইছি তা হলো- অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক প্রভাব প্রত্যেক ছাত্রকে চাপের মুখে, অপমানের মুখে রেখেছে.... এজন্য আমাদের প্রত্যেক ছাত্রকে সোচ্চার হতে হবে। জানি না আদৌ এর সমাপ্তি কোথায়! আপনি, আমি এমন কি ঐ রাজনীতির লেজুড়বৃত্তির মাধ্যমে হওয়া শিক্ষক (তিনি তো আপনার সামনে নেতার ঝাড়ি খেয়ে মাথা নিচু করে থাকবেন-ই......... যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সিস্টেমের বাইরে তিনি সমাজে একজন মেধাবী অধ্যাপক..... এতটুকু মর্যাদা তাকে দিতেই হবে) - সবাই জানি, আমাদের এই দুবৃত্তায়িত সিস্টেম থেকে বেরোনো কঠিন (তবে এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি-ই যেন এখন...... বাইরে থেকে দেখলে অবশ্য এতটা মনে হবে না)। হয়তো আগে না পারলেও এখন কিছুটা সাম্য রয়েছে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় না থাকায়। কিন্তু অযাচিতভাবে একজন সেনাসদস্য কেন আমাদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়াবে? বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬-৭ মাস ধরে আর্মি ক্যাম্প.. কই আমরা তো কখনো তাদের সামনে গিয়ে বিদ্রুপ-ও করিনি! মানুষ পুলিশকে ঘাটায় হয়তো, কিন্তু আর্মিকে কেউ ঘাটাতে চায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্স ফ্যাকাল্টিতে প্রথম যে আন্দোলন তা তো স্বতঃস্ফুর্ত ভাবেই হয়েছিল... ২য় দিন থেকে যখন সুবিধাবাদী ছাত্রনেতারা আগ্রাসী হতে থাকে সাধারণ ছাত্ররা কি সে আন্দোলন ত্যাগ করেনি? কোন কাজ থেকে সুবিধাবাদীরা ফলাফলের ভাগ নিতে চায় না? কেউ সে তার অপপ্রয়োগ করবে বলে আমরা কিছউ করবো না? ঠিক আছে, স্বীকার করেছি, আমরা ভুল-ই করেছিলাম-- আত্মস্মানের বড়াই করতে গিয়ে ডেকে এনেছি দুর্যোগ। কিন্তু যখন আজিজ মার্কেট থেকে খুঁজে খুঁজে শুধু ঢা.বি. ছাত্রদের বেছে বেছে পেটানো হয়, রাস্তায়, ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রী-সাংবাদিক দের নির্যাতন করা হলো (আই.ডি. দেখার পরও), তখনও কি মনে হয় এই প্রতিহিংসার সামরিক বাহিনী-ই এখনো যৌক্তিক তাদের অবস্থানে? তারা হল ছাড়তে বলেছে.... সকলে হল ছাড়লাম, তারা কারফিউ ডাকলো...... আমরা যে যেখানে আশ্রয় পেলাম অবরুদ্ধ হলাম...... তারা ভিডিও ফুটেজ দেখে আন্দোলনরত ছাত্রদের নাকি খুঁজে বের করবে.... তা-ও ঠিক আছে.... কারফিউ শেষে খোঁজ নিয়ে দেখবেন তো... পত্রিকায় সেনাসদস্যকে ফ্লায়িং কিক মারা উত্তেজিত ব্যক্তিটি অক্ষত আছে কি না? (অবশ্যই তার শাস্তি হতে হবে.....তবে সে শাস্তির মাত্রা কতটুকু হলো আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে!)..... তারা আমাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা দিয়েছে..... সে মামলার বিচারও মাথা পেতে নিতে হবে নিশ্চয়.... তাও ঠিক আছে..... কিন্তু এই যে অমানুষিক বর্বরতা কারফিউ-র অবরুদ্ধতার মাঝেও ঘরের ভেতর ঢুকে ঢুকে..... তার বিচার কি কোনোদিন হবে? ...... ঠিক আছে তাও মেনে নেবো। ভালো থাকবেন।

৪৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:১৯

চতুরভূজ বলেছেন: মদন ভাই
চোখের উপড় ছানি পরলে কিভাবে দেখবে?

৪৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:২২

রাশেদ বলেছেন: ১ দিলাম।

দেব্দারুর কমেন্টে ৫।

৪৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৪

চতুরভূজ বলেছেন: ১।সারা বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে এত শিক্ষক থাকতে মাত্র ঐ গুটি কয়েক শিক্ষকের প্রতি সেনাবাহিনীর এত আগ্রহ কেন? ঐ শিক্ষকদের মধ্যে নাকি ৫ জন কে আটক করা হইছে।কেন মাত্র এ ৫জন আটক হলেন ? অন্য সব শিক্ষক কেন নয়? তারা কি শিক্ষা দান বাদে অন্য কাজে লিপ্ত ছিল? তারা কি ২য় দিনের ধ্বংসলীলায় ইন্ধন যুগিয়েছে? আমরা সবাই জানি আন্দোলন ২য় দিনে না গড়ালে এতটা ধ্বংসলীলা দেখতে হতো না। তাহলে গোয়েন্দাদের হাতে যদি তথ্য থাকে এ শিক্ষকরা ২য় দিনের আন্দোলন তথা জ্বালাও পোড়াও তথা এই দরীদ্র দেশের অমূল্য সম্পদ নষ্টের কাজে জড়িত ছিল এদের কে ধরে কেন সেনাবাহিনী প্যাদানি দিবে না?

২।বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে অনেক ছাত্র মেছ আছে। ওগুলো বাদে শুধু আজিজ মার্কেটে কেন হামলা? আজিজ মার্কেটে নিচের ছবির ক্যডার ভাইদের থাকার সমভাবনা ছিল? যদি ১২ জনকে ধরে নিয়ে প্যাদানি দিয়ে দেশের ১২০ কোটি টাকার ক্ষতি কারা করল এটা জানা যায় তাহলে সেনাবাহিনীর একাজ করতে দোষ কোথায়?
সবশেষে একটি কথা বলতে চাই। ঘটনা হলে আমরা ঘটনাটা নিয়ে মাথা ঘামাই । কিন্তু এর কারণ খুঁজে দেখি না। আমরা আসলে অতি আবেগ প্রবন। আর আমাদের এ আবেগকে কাজে লাগিয়ে নেতারা আমাদের মাথায় কতবেল আম, কাঠাল, কলা সব ফল ভেঙ্গে খায়।

৫০| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৮

জ্বালাময় বলেছেন: বাংলাদেশে এই প্রথম কোন আন্দোলনে কোন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয় নি, এই বাস্তবতাটা আমাকে ভিন্ন কিছু ভাবতে বাধ্য করেছে। প্রথমে পুলিশ-বিডিআর, পরে মিলিটারিরা ঠিকই বন্দুক হাতে নিয়েছে, গুলি ছুড়েছে। কিন্তু আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে যায়নি। এই আন্দোলনের শিক্ষাটাই আসলে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে, কিংকর্তব্যবিমূঢ়-চতুর্ভুজ-মদন-শাইরী-অন্যরকম নিকের আড়ালে যারা আছেন তাদের বলছি, আপনারা যারা ছাত্র নামধারী মাস্তানদের ভয়ে কচ্ছপের মতন মুখ লুকিয়ে ছিলেন আগে, তারা এখনো তাই করছেন, কেন পরিবর্তন নেই আপনাদের ব্যবহারে-প্রতিক্রিয়ায়। নিজেদের জীবন নিয়েই আপনাদের ভাবনা, কোনমতে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা পার করতে পারলেই আপনাদের মুক্তি। কিন্তু অতীতে এভাবে ভাবেনি বলেই বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলন হয়েছে, দাবী আদায় হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের সূতিকাগার হিসাবে পরিচিত হয়েছে।
সেনাশাসন কিভাবে অপারেট করে সেটা আমরা গত ৩৬ বছরে একাধিকবার দেখেছি। তারা কিভাবে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশকে বহুবছর করে পিছিয়ে দেয় সেটা নিজেদের জীবন দিয়েই উপলব্ধি করেছি।
নিজেদের অপমানের প্রতিবাদ করতে পারেন নি বলে নির্ভর করেন সেনাবাহিনীর উপর। কিন্তু সেনাবাহিনীও সেই একই আচরন যখন করে, তখন আপনাদের ব্যক্তিগত ক্ষোভটাই বড় হয়। উপরে কোন এক ব্লগার যথার্থই বলেছেন, আপনাদের মতন যদি ছাত্র সমাজের সবাই হত তাহলে দেশ স্বাধীন হত কি না সেটা আসলেই বিবেচ্য বিষয়।

জাবি'র উল্লেখ করেছেন কোন একজন, জাবি'র আন্দোলন সারাদেশেই ছড়িয়ে পরেছিল। আওয়ামি লিগ ২০০১ সালে তাদের ক্ষমতা হারানোর পেছনে আজো মানিকের কুকীর্তিকে দায়ী করে।
অতীতে ঢাবি'তে অনেক আন্দোলন কেবল সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরাই করেছে। পূর্ণমাত্রায় না হলেও সেসব আন্দোলন অনেকাংশেই সফল হয়েছে, যেমন যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন, বেতন-ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন, আপনারা নিশ্চিত তারো বিরোধীতা করেছিলেন, নাহলে আজকের অবস্থানে থাকতেন না আপনারা। কোন সুস্থ্য মস্তিষ্কের চিন্তাশীল মানুষ আপনাদের মত করে ভাবতে পারে না।

৫১| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১১

চতুরভূজ বলেছেন: @জ্বালাময়
"আপনার কথা অনুযায়ী, নিজেদের জীবন নিয়েই আপনাদের ভাবনা, কোনমতে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা পার করতে পারলেই আপনাদের মুক্তি।"
আমাদের মুক্তি আসলেই আমাদের নিজেদের জীবন নিয়ে, আর নিজেদের জীবনের প্রোয়োজনেই চাই একটা সুস্থ বাংলাদেশ। আর জ্বালাময়, মাথামোটা,জায়দান নিকের আড়ালে যারা আছেন তারাতো নিজেদের জীবন নিয়ে ভাবেনইনা বরঞ্চ অন্যদের জীবন নিয়েও ভাবেননা তাইতো এই রকম জ্বালাময় পরিস্থিতী দেখতে দেখতে চোখে জ্বালা ধরে যায়।
ছাত্র রাজনিতী বাদ দিতে হবে, ছাত্ররা প্রতিবাদ করতে পারবেনা তাতো কখনই বলিনি, কেবল বলেছি যে প্রতিবাদটি যেন গঠনমূলক হয়।
কেননা, আমানুল্লাহ আমানও ছাত্র আর ক্যাডেট কলেজ পাশ করে যে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয় সেও ছাত্র। !!!

৫২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২০

জ্বালাময় বলেছেন: মিলিটারিকে বড় করতে গিয়ে আসলে আপনারা অনেক উল্টোপাল্টা বকছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্র ভর্তি হয় আরো জ্ঞানের জন্য, কিন্তু ক্যাডেট কলেজ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশের মিলিটারিতে যোগ দিয়ে একজন সেনাসদস্য ব্লাডি সিভিলিয়ান গালি দিতেই শিখে, নিয়মের বাইরে গেলেই সেটাকে অনিয়ম ভাবতে শিখে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারন ছাত্রও জানে নিয়মের বাইরে গেলেই সেটা সবসময় অনিয়ম নয়।

৫৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

মাথামোটা বলেছেন: অবশ্যই ১৯৫২ আর ২০০৭ এক নয়। মাদের সেনাবাহিনীরা ও এই বাংলা মায়ের সন্তান। গোলাম আজম ও ১৯৫২ সালে ছাত্র রাজনীতি তে ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্মি ক্যাম্প কেন? বিশ্ববিদ্যালয় কি কোন ক্যান্টনম্যান্ট? নাকি পুলিশ ব্যর্থ?
যদি পুলিশ ব্যর্থ হয়ে থাকে তাহলে তো স্বীকার করতে হয় এই সরকার ও ব্যর্থ।

৥চতুরভূজ - আবালের আবালীয় মন্তব্য গ্রাহ্য নয়।
যুক্তিতে আসেন। বকর বকর করা আর রেটিং বাড়ানো মনে হয় আপনার কাজ। আর রেটিং ১ নিক থেকে ১ বারই দেয়া যায়।

৫৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

রাশেদ বলেছেন: চতুরভূজ...ঠিক বলছেন। গঠন্মুলক আন্দোলন করুক, মাইর খাইয়া ক্লাস করতে যাইত, খুব ভালো একটা গঠন্মুল আন্দোলন হইত, ঠিক না?

৫৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩২

শিউলী মালা বলেছেন: প্রিয় পোষ্টে কিভাবে আ্যড করা যায় কেউ বলবেন কি? নিজের প্রোফাইলে নিজের সম্পর্কে কিছু কিভাবে লিখতে পারি?ডয়াকরে যদি েকটু জানাতেন তবে বাধিত হতাম।

৫৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

রাশেদ বলেছেন: @ শিউলী মালা...রেটিং এর পাশের নীল আইকন টায় ক্লিক করেন। "আপনার ব্লগ দেখুন" এ যান, তারপর এডিট করুন এ ক্লিক করুন।

৫৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

চতুরভূজ বলেছেন: @মাথামোটা
আপনি ঠিকই বলেছেন, আমি আসলেই আবাল নইলে কি আর মাথামোটা কারও সাথে এইভাবে সময়ক্ষেপন করি?!!
আর এক নিক থেকে যে একবারই রেটিং দেয়া যায় তাতো জানতামনা! আমিতো আবার এক নিক থেকে ১০০ বার রেটিং দিতে পারি।
ও হ্যাঁ, ভাল কথা, আপনি আমাকে যুক্তিতে আসতে বলেছেন কিন্তু আমিতো এটাই জানতামযে, যখন কেউ যুক্তিতে হেরে যায় কেবল সেই তখন রেগে গিয়ে নিজের চুল ছিঁড়তে ছিঁড়তে অন্যকে গালি দেয়, যেমন আপনি আমাকে আবাল বলেছেন।

৫৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

শিউলী মালা বলেছেন: ধন্যবাদ রাশেদ।

৫৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

এস্কিমো বলেছেন: ভালই...একজন অক্ষমের ডাইরী হিসাবে ভাল লেখা হয়েছে।

৬০| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মাথামোটা বলেছেন: "চতুরভূজ বলেছেন :
... ছাত্র রাজনিতী বাদ দিতে হবে, ছাত্ররা প্রতিবাদ করতে পারবেনা তাতো কখনই বলিনি, কেবল বলেছি যে প্রতিবাদটি যেন গঠনমূলক হয়।"

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাজনীতি শিখবে তোমাদের কাছে? যারা জাতি রে রাজনীতি শিখাইলো তাদের এই কথা কও তুমি!
কষ্টের মাঝে হাসাইলা রে ভাই।

৬১| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০১

চতুরভূজ বলেছেন: মাথামোটা, আপনার দেখি আসলেই সমস্যা আছে, আমি কি বলেছি যে, আমি রাজনীতি শেখাবার কোচিং খুলেছি তোমরা আস আমার কাছে রাজনীতি শিখতে। আরে বাবা, বিয়ে করিনি বলে কি বরযাত্রীতেও যাইনি নাকি? খারাপকে খারাপ আর ভালকে ভালও কি বলতে বারন? কথ বলার আর প্রতিবাদ করার অধিকার কি কেবল তাদেরই আছে যারা জাতীকে তথাকথিত রাজনীতি শিখিয়েছে?
দুঃখ কেবল একটাই, যদি উনারা রা...জনীতি না শিখিয়ে জননীতি শেখাতেন তবে হয়ত আজ এই পরিস্থিতীর উদ্ভব হতনা।

৬২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বিজলীর খড়ি বলেছেন: কিংকর্তব্যবিমূঢ়,
শতভাগ একমত। যারা কখনো হলে থাকেনি, তাদেরকে এই জটিল পরিস্থিতি বোঝানো কষ্টকর। এরা এক ধরনের utopia এর মধ্যে বাস করে। এস এম হলের গনরুমে নিয়ে এক মাস রাখলে ৫২-৭১ বাষ্প হয়ে বেড়িয়ে যেত।
তোফায়েল ভাইরা যখন ছিলেন তখন এসএম হলের এক জন ছাত্রকে প্রথম দুই বছর সিরাজুদ্দৌলার অন্ধকুপের মত অবস্থায় থাকতে হত না। তখন ছাত্ররা জাতীয় স্বার্থে ঝাপিয়ে পড়েছিল, সারা জাতি ছিল লড়াইয়ে ব্যস্ত, ছাত্ররা ছিল সহযাত্রী মাত্র।
এখন আমরা কার বিরুদ্ধে লড়াই করব। অন্যায়? অত্যাচার?
চতুর্দিকে চলছে ন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই।
এসব কিছু ব্লগারের অবস্থা বালিতে মুখ গুজে থাকা উপপাখির মতো।

৬৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:০৪

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: @ দেবদারু
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, না বুঝে আপনার নামোল্লেখ করায়।আসলে আমি যখন দেখলাম আমার রেটিং কমানো হলো তখন আমি 'সামপ্রতিক ব্লগ দেখেছেন' এ গিয়ে প্রথম যে তিনটি নাম পেয়েছি তাদের নাম সম্বোধনে দিয়েছি।এতে আপনি পড়ে গিয়েছিলেন।
আর আপনার কথার কি উওর দেবো ?
আপনার সকল কথার সাথেই আমি একমত।
আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে থাকেন।আশাকরি আপনি জানেন কি বন্য আচরণ আমাদের সাথে করা হয়েছে।
আমি শুধু এমন একটি পরিবেশের স্বপ্ন দেখেছি,যেখানে কোনো সুবিধাবাদী মহলের ইন্ধন ছাড়াই আমরা সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারি।কিন্তু কৌশলে আমাদের সে মেরুদন্ড টা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
আমি শুধু সে ভাঙ্গা মেরুদন্ডের উন্মেষ চেয়েছি, কারও সাহায্য ছাড়া।আর আপনাকে হিংসা ?
আমার লাভ কি বলুন ?
আপনার পোষ্টে আমি অনেক আগেই ৫ দিয়েছি।
দৌড়ের উপর ছিলাম তাই সংহতি জানাতে পারি নি।

৬৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৩১

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: @ দেবদারু
যারা আমাকে ক্লাস করতে না দিয়ে মিছিলে নিতে বাধ্য করেছে, যাদের জন্য রাতে ঠিকমতো ঘুমুতে পারি নি, যাদের অত্যাচারে পেটে মারাত্তক ইনফেকশান্ নিয়ে ১ মাস পড়ে ছিলাম বাসায়,যাদের প্রশ্রয়ে জুনিয়ররা ইচ্ছেমতো বেয়াদপী করে।তাদের আর যাই হোক ছোটভাই মেনে নিতে আমার আপত্তি আছে।
আপনি চাইলেই যেকোনো উদাহরণ দিতে পারেন না।একাওরের আগে আমরাও তো ছিলাম তথাকথিত রাজাকারদের পাশাপাশি, কই তারা তো পশ্চিমাদের(পাকিস্হানের পশ্চিমাংস) আগ্রাসনে আমাদের হয়ে দাড়ালো না?
তাই পাশাপাশি থাকলেই যদি ভাই সম্পর্ক মেনে নেয়া যেতো তাহলে আজকের বাংলাদেশ হয় না,পাক-ভারত পৃথক হয় না।
তারা যদি আমাদের ভাই-ই হতো তত্তাবধায়ক সরকার যখন দুই দলকেই পেটাচ্ছিলো,আমি আপনি সংহতি দিতাম না।
আর ঘটনার পরবর্তিতে যা হচ্ছে(খুঁজে খুঁজে হয়রানি) আমি তার প্রতিবাদ অবশ্যই জানাই।
কিন্তু এই ঘটনার ফলশ্রুতিতে যদি এ সরকার বোঝে যে,তারা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সেন্টিমেন্ট ব্যবহার করে কি করতে পারে তাহলে তা আমাদের সবার জন্যই মঙ্গল।
আর আমরা অবশ্যই সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো তবে তা কারো ইন্ধনে নয়,স্বতস্ফূর্তভাবে।
এজন্য দরকার একটা সুঠাম মেরুদন্ড,যা আমাদের ছিলো কিন্তু ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
আবার অবশ্যই হবে।

৬৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৩৮

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: @ এস্কিমো
হ্যা আমি অক্ষম।আমি অথর্ব।
কারণ আমি একবার প্রতিবাদ করতে গিয়ে লান্চিত হয়েছি,আর করতে পারি নি।
আমি কিছু করতে না পারার দু:খে সারারাত পুকুর পাড়ে বসে বসে কেঁদেছি।
আমিতো ব্যর্থই।
আমি সবচেয়ে ভালো সাবজেক্টে পড়া সত্তেও সবচেয়ে খারাপ সাবজেক্টে পড়া দুই তিনবার রি-এড নেয়া ছাত্রের কমান্ড শুনতে হয়েছে।
আমিতো অক্ষমই,কারণ তিলে তিলে আমি আমার স্বকীয়তা তাদের মাঝে সঁপে দিয়েছি।

৬৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৪১

নতুন বলেছেন: ছাত্র রাজনিতি চিরতরে বন্ধ করে দওয়া দরকার....

৬৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৪৮

ঘাস-ফড়িং বলেছেন: প্রচলিত রাজনীতি অবশ্যই বন্ধ করা দরকার।
বর্তমান ছাত্রনেতারা কখনই ছাত্রদের নূন্যতম দাবী নিয়ে মাথা ঘামায় না।তারা শুধু তাদের নিজেদের স্বার্থের কথাই চিন্তা করে এবং এজন্য নিরীহ ছাত্রদের বলি বানায়।
এ অবস্হা অবশ্যই পরিবর্তন হওয়া উচিত।

৬৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৫৭

পরোপকারী বলেছেন: কিংকর্তব্যবিমূঢ়, আপনার এই পোষ্টের মূল্যায়ন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। রেটিং -৫।
আমি কখনও ভার্সিটির হলে থাকি নাই কিন্তু ৯০ এর দশকে ভার্সিটির কিছু ছাত্রের সাথে একই মেসে ছিলাম কিছু দিন। তাদের বন্ধু বান্ধবদের ভয়ে আমরা সাধারন লোক যারা মেসে ছিলাম তারা কখনও মুখ খুলতে পারতাম না। আমাদের মেস টি ছিল তেজকুনী পাড়ায়, ভার্সিটি থেকে অনেক দুরে আর আপনি তো ভার্সিটির ভিতরে। আপনার মত হাজারো ছাত্র আছে যারা বাধ্য হয়ে ঐ কুলাঙ্গার দের সঙ্গ দিতে হয়। আপনার জন্য সহমর্মিতা।
ধন্যবাদ।

৬৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:০২

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: সেনাশাসনে বদ্ধ অনুভব করে ছাত্ররা ফুঁসে উঠেছে একশভাগ সমর্থন করি ... তবে তথাকথিত "গণতান্ত্রিক" সরকারের বেলায় আমরা কেমন জানি কোমল হয়ে যাই ...
কারণ,
আমরা আসলে প্যাকেট দেখে কেনাকাটায় অভ্যস্ত ... ভেতরের মাল যাই হোক কিছু যায় আসেনা ...

প্যাকেটে লেখা "গণতান্ত্রিক সরকার" ... গ্রেইট!!! ... তাতেই আমাদের চলবে ... "গণতান্ত্রিক" সরকারের ছাত্রনেতা, যুবনেতা, পাতিমাস্তান, নেতা রাজাধিরাজরা আমাদের যতই বেঁধে রাখুক, আমরা ভাবতে পছন্দ করি যে আমরা মুক্ত ... কারণ, প্যাকেটে যে লেখা আছে "গণতান্ত্রিক সরকার!!"

আমাদের সামন্তপুজারী নপুংশক চরিত্রটা এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে থেকেছে যে একজন সত্যিকারের সক্ষম লোক রাজনীতির ঘোষনা দিয়ে দেশের প্রথমসারির নাগরিকদের কাছ থেকে উপহাস পান ... আমরা আমাদের জমিদার প্রভু পরিবারদের উপহার দেয়া গত ১৫ বছরের "গণতন্ত্র" দিয়েই সুখ অনুভব করি ... ভোটকেন্দ্রে গিয়ে জমিদার সাহেবের নামের পাশে নিজের সিলটা বসিয়ে পুলক অনুভব করি ... সেপুলক এমনই পুলক যে তার জন্য বাকী ৫ বছর কাঁদলেও সমস্যা হয়না

ভাল লিখেছেন ... মুদ্রার অন্যপিঠ তুলে ধরার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই

৭০| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:০৮

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: ঘাস-ফড়িং,পরোপকারী,নতুন,বিজলীর খড়ি,মদন,রাশেদ,শিউলী মালা,মাথামোটা,জ্বালাময়,জায়দান
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
হোক না কেউ কেউ দ্বিমত করেছেন।কিন্তু আমার পোষ্ট পড়ে আমাকে সম্মানিতও তো করেছেন।
আর
চতুর্ভূজ আমার অনুপস্হিতিতেও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না।

৭১| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:১৬

চতুরভূজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কিংকর্তব্যবিমূঢ় ।
আমি কেবল চাইছিলাম যেন এই পোষ্ট টা টপরেটে উঠে। আমি সফল। আর আপনি সফল যে ছাত্ররা দেবতা নয় সেটা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিতে।
আমি ব্লগে নতুন, অনেক কম দেখেছি, অনেক কম জানি। কিন্তু এই জিনিসটি ভালমত জানি যে, কোনটাকে গ্রহন করে নিতে হবে আর কোনটাকে বর্জন।

৭২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:১৯

সাহোরু বলেছেন: সহমত টু কিংকর্তব্যবিমূঢ়
ধন্যবাদ

৭৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:২২

এস্কিমো বলেছেন: @কিংকর্তব্যবিমূঢ়

আমি একসময় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। দেখেছি কিভাবে ছাত্ররা ধীরে ধীরে অসুস্থ ধারার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে।

এটা শুধু একক অক্ষমতা নয়। এটা আমাদের মূল্যবোধের পরিবর্তন। বলছি না অবক্ষয়।

একদিকে একজন সাফারীধারী সামরিক নেতাকে পুজা করবো ---অন্যদিকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলবো। একদিকে সুশাসনের কথা বলবো -- অন্যদিকে বিচার বহির্ভূত হত্যাকে সমর্থন করবো। একদিকে ন্যায় বিচারের কথা বলবো...অন্যদিকে একটা বিশেষ পরিবারের বা মানুষের বিচারকে স্থব্ধ করে দেওয়াকে সমর্থন করবো।

একদিকে মুক্তিযুদ্ধ কে নিয়ে গর্ব করবো ..অন্যদিকে ঘাতক-দালালদের নিয়ে ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করবো..

এই ধরনের হাজারো দ্বৈততা আমাদের সমাজিক ব্যবস্থাকে একটা বিভ্রান্তিকর মূল্যবোধের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

সুতরাং আমরা কি আশা করবো?

৭৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:২৯

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: আপনার কথার কি উওর দেবো বলুন ?
আপনার উপরের মন্তব্যের সাথে তো আমার কোনো দ্বিমত নেই ?

৭৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:৩৫

ঘাস-ফড়িং বলেছেন: মুদ্রার অন্যপিঠ তুলে ধরার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।

৭৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:৪৮

হোসেইন-দ্য এ টিম বলেছেন: সুন্দর প্রকাশ।

৭৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:৫৩

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: ধন্যবাদ
হোসেইন-দ্য এ টিম

৭৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১০:১১

নিরপরাধ বলেছেন: সহজ বাংলায় একটা গালি দেই: এই পোস্টের রেটিং যারা কমাইছে তারা কুত্তার বাচ্চা।

৭৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১০:১২

ফারহান দাউদ বলেছেন: সেইরকম লেখা,৫*৫। আর যারা বড় বড় কথা বলে এইখানে,হলে গিয়া কোন ক্যাডার ছাত্রনেতার কাজকর্মের প্রতিবাদ করার মেরুদণ্ড দেখাতে বলেন আগে,পরে যেন কথা বলে,বলতে সোজাই,যে ক্যাডারের আশপাশে থাকসে সে বুঝে কত ধানে কত চাল,সুখে আসে তো,বুঝবে কেমনে?

৮০| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১০:১২

চতুরভূজ বলেছেন: হা হা হা , নিরপরাধ হয়ে অপরাধ করার জন্য আপনাকে মাফ করা হল।

৮১| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১০:২০

নেই মানুষ বলেছেন: 5

৮২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১০:৪১

ইসমৎ আহাম্মদ বলেছেন: আসল প্রশ্ন মান অপমানের না। একটা যে কোন ইস্যুতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করা। দেশকে অস্থিতিশীল করা। খেয়াল করবেন। প্রথম আলো পত্রিক প্রথম পাতায় সম্পাদকিয় লেখেছিল, "অকার্যকর রাষ্ট্র, ব্যার্থ রাষ্ট্র বাংলাদেশ।" খুবই ভয়াবহ ষড়যন্ত্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটা আইন আছে, তারা কোন রাষ্ট্রকে ব্যার্থ রাষ্ট্র মনে করলে, তাদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে হস্তক্ষেপ করতে পারে। কয়েকটা পত্রিকা (প্রথম আলো, সমকাল, যুগান্তর, Daily Star ) ও টিভি চ্যানেলের (চ্যানেল আই, এটিএন) দিকে সর্তক খেয়াল রাখুন। কয়েকটা এনজিও দিকেও খেয়াল রাখতে ভুলবেন না (সিপিডি)। হুসিয়ার!! আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, সূর্যসেন হলে থাকতাম। কার কতটা মান সম্মান বোধ আছে তা আমি জানি।

৮৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১০:৪৭

নাজিম উদদীন বলেছেন: তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো ভূলতে বসেছিলাম। আবার মনে করিয়ে দিলেন।

৮৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১:০৩

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: অসাধারণ এই পোষ্টটি দেরিতে চোখে পড়ল বলে, নিজেকে বঞ্চিত লাগছে । হাতে আছে ফুল মার্কস মাত্র - ৫,তাই দিলাম ।

জ্বিনের বাদশার সেরা কমেন্টকেও ৫ !

আর একটা জিজ্ঞাসা, নিজের নাম প্রকাশ না করে চুপিচুপি যারা এই পোষ্টের রেটিং কমিয়েছে,তারা কোন জাতের বরাহ সন্তান ?

জি

৮৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ ভোর ৬:১২

নিরপরাধ বলেছেন: কিংকর্তব্যবিমূঢ়, শিরোনামে "আত্বসম্মানবোধ" বানানটা ঠিক করে নিন।

৮৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ ভোর ৬:৫৩

সাজেদিন বলেছেন: ৫ দিয়েছি।

৮৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ সকাল ১০:০৮

সহজ মানুষ বলেছেন: ৫ দিলাম।

৮৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ সকাল ১০:২৩

শেহাব বলেছেন: ৫

৮৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ সকাল ১১:৩৯

মুখোশে মেফিস্টোফিলিস বলেছেন: যা বলেছেন তা অসত্য নয় । কিন্তু এ কথাও তো ঠিক যে আর্মি দের ব্যারাকে থাকার কথা । তারা বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে থাকার যোগ্য নয় ।

৯০| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ সকাল ১১:৪০

যীশূ বলেছেন: মন্তব্যটা পোস্ট আকারে দিয়েছি, কিংকর্তব্যবিমুঢ় আপনার জন্য।

৯১| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১২:০৪

সোনার বাংলা বলেছেন: ভাই আগামী কুরবানীতে এই আবাল ছাবালদের
কুরবানি করা যায় না! এই গুলারে দিয়া কিছুই হবে
না শুধু শুধু দেশের অন্নের বিষ মারতাছে। আর বড়
হইলে দেশের পো মারবো যেমন ইনু পিনুয়ে মারতাছে। এরা আবার গনতন্ত্রের ফেনা তুইলা
হসিনা খলেদারে চায়। কারন বিষ মারতে তো বিষ
দরকার সে বিষ হসিনা খলেদা ছাড়া কারো কাছে নাই।

৯২| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৭

রাফি বলেছেন: অনেক কমেন্ট আসছে আপনার। একটা কথা শুধু বলতে চাই। যা লিখেছেন, তা সত্য এইটুকু জানি। এইরকম ঘটনা আমিও দেখেছি। ভাল লাগল আপনার লেখাটা পড়ে।

৯৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৮

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: কেউ কেউ আমার কথার প্রতিবাদ করেছেন গত দুদিনে,আমাকে গালমন্দ করেছেন।আবার কেউ কেউ প্রতিবাদ কারীদেরও ভর্ত্তসনা করেছেন।একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশে এটা খুবই স্বাভাবিক,আমি মেনেও নিয়েছি।
কিন্তু মেনে নিতে পারি না তখন,যখন কেউ কেউ ঐ সব ক্যাডারদের আমার ভাই বানাতে চান(আবার আদরের ছোট ভাই!!!)(দেবদারু , সমর্থন দিয়েছেন রাশেদ)
আপনারা এমন কোন ভাতৃত্ববোধ কখনও দেখেছেন,যেখানে গ্রুপিং এর কারণে রাতের অন্ধকারে রড,হকিষ্টিক,চাপাতি দিয়ে হাড় গুড়ো গুড়ো করে কোপানো হয় যতক্ষন না অগ্ঙান হয়?
এমন কোনো ভাই দেখেছেন যে কিনা নিজের স্বার্থের কারণে তার ভাই এর জীবনের দু থেকে তিনটা বছর কেড়ে নেয়?

দেখে থাকলে দয়া করে আমাকে বলবেন,আমার পোষ্ট উইথড্র করবো।

৯৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৯

রাফি বলেছেন: কিন্তু এভাবে বেঁচে থাকা ঠিক না।

৯৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১২:৫৯

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: হ্যা
আমি নতুন দিনের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি।
আমরা সময় না দিলে কিভাবে হবে ?

৯৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:২৭

বাকী বিল্লাহ বলেছেন: এইসব তেলতেলে পোস্ট মারার ক্ষেত্রে স্বনামে দেয়াই ভালো। সরকারের সুনজরে পড়ে সুযোগ সুবিধা বাগানো যাবে। রাজনীতি যতোই খারাপ হোক না কেন কারো পক্ষেই রাজনীতির বাইরে থাকা সম্ভব হয় না। রাজনীতি বিমুখ আমাদের মহান! সাধারন ছাত্ররা এ সত্য উপলব্ধি না করে প্রথম আলোর মুখস্থ বুলি আউড়েছে, আমরা রাজনীতি পছন্দ করি না। ফলাফল, হলে জুনিয়রের হাতে থাপ্পড়। মাঠ ছেড়ে দেবে, আর কিক খাবে না তা কি হয়? ২৩ জুলাই, হুমায়ুন আজাদ বা হ্যাপীর মৃত্যূর পর আন্দোলনে ডি-পলিটিকালাইজ সাধারণ ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শিক্ষা অর্জিত হয়েছিল। রুখে দাড়ালেই বেরিয়ে আসে বাচার উপায়। সত্যি সত্যিই বেশ বদলে গিয়েছিল ক্যাম্পাস।

৯৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:৩৩

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ সবাইকে
@ ফারহান দাউদ
যারা বাইরে থাকে আমার এ মর্মপীড়া তারা কখনই বুঝবে না।
@ নিরপরাধ
ঝাড়ি ছাড়া কি কথা বলতে পারেন না নাকি ভাই!!!!অনেক ধন্যবাদ। বানান ঠিক করেছি(ঝাড়ির ভয়ে!!)।

@ ইসমৎ আহাম্মদ,নেই মানুষ,শিপন,রাফি,সাজেদিন,শেহাব,সোনার বাংলা,
নাজিম উদদীন
আপনাদের সবার প্রতি কৃতগ্গতা।(বানান টা লিখতে পারি না)।

৯৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:৪২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি আমার ভাবনা গুলান একটু অন্যভাবে শেয়ার করছি অনেকটা সিম্যুলেশন কথা বার্তা, অনেকের হ্য়তো ভালো নাও লাগতে পারে

৯৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ২:৪৫

শ্যোন বলেছেন: হে হে... আমগোর বুয়েটের বড় ভাইরা তাইলে বহুত আরামে আসে। কাহিনী হইলো এই আপনাগোর মত নির্যাতীত ভাই-বোনেরা আবার যখন রাজনৈতিক নেতাগোর সুদৃষ্টিতে পরেন তখন সবকিছু ভুইলা নিজেরাই বিভীষনে পরিনত হন। আমগোর দরকার ছিল অন্ততপক্ষে একজন ভালা জাতীয় লিডার, যেমুন নেহেরু, যাগোর চুরি গায়েও লাগে না আর যাগোর স্বার্থপর দেশাত্ববোধকতা যুগ যুগ ধইরা ভবিষ্যতের চোরগোর ডরে রাখে। ইন্ডিয়ানগোর সিভিল-আর্মি রিলেশন দেখেন আর দেখেন আমাগোর অবস্থা। আমগোর এমন কোন লিডারশীপ নাই যারে পাবলিকে আমরন সর্মথন দিব, সংসপ্তক হইয়া আর্মি বা বিদেশী শক্তির হাত থেইকা বাঁচাইবো।

যাউগগা...ওইরকম কাউরে পাই নাই, ওইটা আমগোর দুর্ভাগ্য। ঢাকা ভার্সিটি যা করতে পারে যে পোলাগোর মধ্যে ক্যরিয়ার সংক্রান্ত ভীতি ঢুকায় দিতে পারে, এইটা পোলাগোর নূ-পুংসক বানায় ফেললেও বহুত কামে দেয়। ক্যডারগোর বিরুদ্ধে কি করবেন? Systemetic termination দরকার,ওই যে অভিমন্যু শালাকে যেভাবে বধ করসিল কৌরবরা। সাক্ষাতে সায় দেন...আর সময় পাইলে পিঠে ছুরি মারেন। আজিজ সুপারমার্কেটিয় মার্ক্সিস্ট আঁতালামীর দিন শেষ, নজরুলের দিন আইলো বইলা।

১০০| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ২:৪৬

বাকী বিল্লাহ বলেছেন: আগের কমেন্টে ক্ষিপ্ত মনোভাবের একটা প্রকাশ ঘটেছে। সুযোগ সুবিধার ব্যাপরটা এ কারণে বলেছি। তা প্রত্যাহার করলাম।কিন্তু আবারো বলছি, ঐ মনস্তত্ব একেবারে নিরেট গর্দভ মার্কা সাধারণ মনস্তত্ব।
এই দৃষ্টিভঙ্গিটাই ছাত্র রাজনীতি কলুষিত হওয়ার অন্যতম স্রষ্টা। দল-লিগ রে সবচেয়ে বেশি যারা ডিস্টার্ব করেছে, প্রতিবাদ করেছে, আন্দোলন করেছে সেসব ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা মার খেয়েছে বটে কিন্তু ক্যাম্পাসে সম্মান নিয়েই টিকে ছিল, অন্তত হলে জুনিয়রের হাতে লাঞ্ছিত হয় নি। চাচা আপনা জান বাচা, এই মানসিকতা নিয়ে সম্মানের সাথে টেকা যায় না। অপরাজনীতির অবসান চাইলে রাজনীতি দিয়েই মোকবেলা করতে হবে। চাপে পড়া রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা এখন যেকোন পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইতেই পারে। সেটা মোকবেলা করতে হবে রাজনৈতিকভাবেই।
তার বিরোধিতা করতে গিয়ে সামরিকতন্ত্রের বৈধতা দেয়া কোন কাজের কথা হল-

১০১| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৩:১১

শ্যোন বলেছেন: আমার কথা গুলান কি কারো মনডা খারাপ কইরা দিল? তাইলে বুঝতাসি কাম হইতাসে ঃ) আপনেরা সবাই George Orwell

১০২| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৩:২১

শ্যোন বলেছেন: আমার কথা গুলান কি কারো মনডা খারাপ কইরা দিল? তাইলে বুঝতাসি কাম হইতাসে ঃ) আপনেরা সবাই George Orwell এর"Animal Farm" বইটা একটু পইরা দেইখেন... বাংলাদেশের ৩৫ূ৪০ বছর (বা তারো আরো আগের ইতিহাস) এর পাতিহাসের সাথে এক্কেরে মিইল্য যায়।

আর ওই গল্পের সারমেয়...থুক্কু সারমর্মঃ না জাইনা আজাইরা আঁতলামী আর দেশ রক্ষার জন্য শাসক বদল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

ভাল থাইকেন সবাই । বাংলায় ব্লগিং বহুত ক্যচাল, আমি এংরেজিতে ব্লগিং করার কাজীঃ http://atunu.blogspot.com

১০৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৪:৪০

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: @ বাকী বিল্লাহ, শ্যোন
আপনারা আবার বিষয়বস্তু ছেড়ে দূরে চলে যাচ্ছেন নাকি ?
আমি যেমন চাই না সামরিকতন্ত্র তেমনি পারি না ভাবতে ঐ ক্যাডারগুলোকে আদরের ছোটভাই হিসেবে।

১০৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:১২

মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ কিংকর্তব্যবিমূঢ় রূঢ় বাস্তবতাটুকু তুলে ধরার জন্য। যারা কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (বা অন্য কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে) পড়েননি কিংবা খুব কাছে থেকে ছাত্র রাজনীতির ভয়াবহ অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন নাই, তাদের পক্ষে প্রকৃত অবস্থা অনুমান করা ইর অন্ধের হাতি দেখা সমার্থক। বাংলাদেশের মত একটি স্বাধীন দেশে রাজনৈতিক দলগুলির লেজুরবৃত্তি করা ছাড়া, ছাত্র রাজনীতির আর কোন প্রয়োজন আছে কিনা কেউ একজন একটু যুক্তি দিয়ে বলবেন কি? আর এখনো যারা ৪৭, ৫২, ৬৬ ও ৭১ এ ডুবে থাকতে চান এবং ছাত্র রাজনীতির গৌরবময় অতীতকে স্মরণ করে এর পক্ষে গলা চড়ান, তাদেরকে বলবো এখন জাগার সময় হয়েছে, আর কতোকাল ঘুমিয়ে থাকবেন?

ছাত্রদের কাজ ভবিষ্যত বাংলাদেশকে গড়ার জন্য সঠিকভাবে লেখাপড়া করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পড়াশোনার অনুপযুক্ত করা নয়, বা ভবিষ্যত কূকর্ম ও দূর্নীতির হাতেখড়ি নেয়া নয়।

আমাদের দেশটাকে যদি সঠিক পথে আনতে হয় তাহলে প্রথম কাজ হচ্ছে ভবিষ্যত দূর্নীতিবাজ বানানোর কারখানা এই ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে, এবং একই সাথে নিষিদ্ধ করতে হবে শিক্ষক রাজনীতি। যার যার কাজ তাকে করতে দিন। চোখ বন্ধ না রেখে একটু উন্নত বিশ্বের দিকে তাকান। আমাদের এই সম্ভাবনাময় দেশটিকে আর খুবলে খুবলে নষ্ট করতে না দিয়ে আসুন একটিবারের জন্য হলেও দলীয় স্বার্থের উর্ধে উঠে দেশ ও সমাজের কথা ভাবি।

ধন্যবাদ

১০৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:১৫

মিরাজ বলেছেন: প্রকাশিত মন্তব্য পরিমার্জন করার কোন ব্যবস্থা নাই?

১০৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১১:০৮

বাংগালি বাবু বলেছেন: bhai apnara ekhane na bole.. eder biruddhe apnara complain korenna keno? ekhonto shundor ekta system kore diyese shorkar. Kono durnitibaj dekhle tar biruddhe apnara likhte paren. Email korte paren. Erokom kore apnara apnader varsity hall theke edher taraite paren.(tv, newspaper shob kisuteii address gulo deya ache) Edher biruddhe kono complain nai tai shorkar kisui korte parchena.. dhorte giye o dhorte parchena.. apnara jodi complain koren(apnar naam to keo janbena.. keo bujhte parbena ke/ba kara korse. dhurnitibaj jei hok na keno.. tader shasti deyar odhikar apnader ache as a citizen of bangladesh..edher ke doriye diye shei kaaj ta korun. ekhane blog er por blog likhle amar mone hoi na kisu hobe. durniti dhomon commission er email gulo te email korun ar apnader odhikar adhai korun.

thanks

১০৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১:৩৫

পড়ন বলেছেন: Bhai apnar blog ta pore ami nije nijei joltesilam..
mone hochcilo.....ou kutta gulare jodi paitam..tahole pitaia bodrota sikhaitam..

amar question apnar kase...apni oder beadobi sojjo korte gelen keno......................
apni at least akta sikkha dite parten..at least akjonke...
I dont know hwo to express my fellings...but just would like to say..
YOu could make lame at leat one person ......


Amar mone hochche, akhon bangladeshshe gie oigulare akta lesson dia ashi..akta ak 47 ak hate...ar bideshi bullet proof jacket..and shot one by one....KILL THOSE STUDENTS WHO DID THAT NONSENSE BEHAVE WITH YOU..protome bujanir chesta korte parten....na bujle..ba aro beshi beadobi korle..
SOLUTION IS AK 47
I prefer that.
But make sure..you make your visa ready to escape ....after killing them


I know this response was not so meaningful but moner khube likhlam bhai...akta tips dilam apnake.

১০৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৭ ভোর ৬:২৮

দ্বীপবালক বলেছেন: দেরীতে হলেও এরকম একটা লিখা দেখে খুব ভাল লাগল।
জায়দান, মাথামোটা, রাশেদ নিয়ে মাথা ঘামাবেননা। জায়দান আসলেই বাংলাদেশী কিনা আমার সন্দেহ। সে যেখানেই গঠনমূলক, বাংলাদেশের উন্নয়নুমূলক এবং ইসলামী লেখা দেখে সেখানেই ১ দেয়।

যাইহোক, ৫ না দিয়ে কোন উপায় নেই। ব্যবস্থা থাকলে আরো বেশী দেয়া যেত।
অনেক ধন্যবাদ লিখার জন্য।

১০৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৭ সকাল ১০:২৮

পথিক!!!!!!! বলেছেন: হু

১১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৪৯

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে।
যারা সমর্থন দিয়েছেন অথবা দেন নি।


১১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৭ সকাল ৮:০৯

মানবী বলেছেন: পড়ে মন খারাপ হলো। খুব ভালো লিখেছেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
আমার মনে হয় যে ক্যাডাররা এভাবে ক্ষমতার দাপটে সাধারন ছাত্রদের হেনস্থা করছে, তারা সেসব ছাত্রদের চেয়ে অনেক বেশি অসহায় এবং দুর্ভাগা। তাদের যে কিছু নেতা নেত্রী নিজেদের স্বার্থে সাময়িক হাতিয়ারের মতো ব্যবহার করছে, যে কোন সময় ছুঁড়ে ফেলে দিবে, তা তারা বুঝতে অক্ষম।

মদনের মন্তব্যগুলোর সাথে সহমত।

১১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৮:৫২

ঘাস-ফড়িং বলেছেন: @ কিংকর্তব্যবিমূড়
বর্তমান সরকার এখন যা করছে(টিচার,স্টুডেন্টদের হয়রানি) ,এটাকে কি আপনি সমর্থনযোগ্য বলবেন ?
আমরা কিন্তু এটা এক্সপেক্ট করি না।

১১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১০:১৯

অযৌক্তিক বলেছেন: খুবই ভাল লিখা। সুন্দর প্রকাশ। এই ব্যাপারগুলো না বুঝে শুধু শুধু চিৎকার করছে কেউ কেউ। আইনের চোখে সবাই সমান। টিচার নাকি স্টুডেন্ট নাকি মন্ত্রী এটা দেখলে তো হবে না।

১১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ১০:৩৭

বন্ধনহীন বলেছেন: প্রথমে ভালো লেখার জন্য ৫।
সময় নিয়ে সব মন্তব্যগুলো পড়লাম। পড়ে যা মনে হলো - ১১ই জানুয়ারী আমাদের জাতীয় মনস্তত্ত্বে গুনগত তেমন পরিবর্তন আনতে পারেনি। ১১ই জানুয়ারী পর সবার ধারণা ছিল - পরিবারভিত্তিক মেরুকৃত রাজনৈতিক মানসিকতার একটা পরিবর্তন বাংলাদেশে আসবে। এখন এই আশা আস্তে আস্তে ফিকে হতে শুরু হয়েছে ।

১১৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৭ সকাল ৮:১৭

মুনিয়া বলেছেন: আমার এক বন্ধু আমাদের(বুয়েট স্টুডেন্টস) এর উপর ক্ষুব্ধ, কারণ তারা মেরুদণ্ডহীন। তারা স্বার্থপর, দেশের অবস্থা শোচনীয় অথচ তারা খুশি যে প্রজেক্ট এর জন্য সময় পেয়েছে! আমিও ওর সাথে একমত ছিলাম। বলেছিলাম ঢাবির ছেলেমেয়েদের তবু ইয়ুথ আছে, আমরা তো আজন্ম বুড়ো।
তবে আমার মনে হয় কি, আমাদের দেশের প্রত্যেকটা ক্ষেত্র এত বেশি পচে গেছে যে ইঞ্জেকশনে আর লাভ নেই। পয়জনাস অংশগুলো কেটে ফেলে দেওয়া প্রয়োজন। ছাত্র রাজনীতি হয়তো একসময় আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে, কিন্তু এখন এটা পয়জনাস হয়ে গেছে। দেশের স্বার্থেই এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
কিং ভাল লিখেছেন। অনেক দেরিতে পড়লাম যদিও। সত্য কথাগুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

১১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৭ সকাল ১১:০৯

অযৌক্তিক বলেছেন: @বন্ধনহীন : কথা সঠিক। কিন্তু আমার মনে হয় দেশের মানুষ ই কিছু কিছু ভাবে দূর্নীতির সাথে এমনভাবে জড়িত হয়ে আছে যে সাম্প্রতিক ঘটনাতে অনেকেরি অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। নিজেরা পুরোপুরি ভাল না হলে সম্ভবত সংস্কার মিছে আশাই থাকবে সারাজীবন..

১১৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১:২৪

দুরন্ত পিথক বলেছেন: অসম্ভব হৃদয়স্পর্শী। কিছুই কি করার নেই? motherfucker পলিটিশিয়ান গুলোকে ব্যান করা যায় কিভাবে কেউ বলতে পারেন?

১১৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

দেবদারু বলেছেন: @কিংকর্তব্যবিমূঢ়, আমি আপনার লেখার মন্তব্যগুলো নিয়মিত পড়ছি ..... আপনার আহ্বানে আমার মন্তব্যও দিয়েছি। আমি একটা উদাহরণ দিয়েছিলাম- পরিবার দিয়ে.... অনেকটা এরকম... পরিবারে অন্তর্কোন্দল থাকলেও, বাইরের কারো বিরুদ্ধে আমরা আবার প্রায়শই ঐক্যবদ্ধ হই এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে তেমনি ভাবে একটি পরিবার হিসেবে মনে করেছিলাম এবং ভালো-মন্দ সব ছাত্রদেরকেই সে হিসেবে ভাই বলেই উদাহরণ দিয়েছিলাম (আমাদের আপন ভাই-ও বিপথগামী হতে পারে বৈ কি!)। যাহোক, আপনি আপনার মন্তব্যে জানিয়েছেন, আপনি এ উদাহরণ মানতে পারছেন না...... এবং পরবর্তীতে জানিয়েছেন- হলের অত্যাচারী ছাত্রনেতাদের আপনি ভাই ভাবতে পারেন না।
অবশ্যই আপনি যাকে ইচ্ছে আপন কিংবা পর ভাবতে পারেন তাদের আচরণ বিবেচনা করে। এবং এ বিষয়ে বিরোধিতা করে আমি কোন কিছু বলি-ও নি। তারপরএ যখন আপনি বলেন:
"কিন্তু মেনে নিতে পারি না তখন,যখন কেউ কেউ ঐ সব ক্যাডারদের আমার ভাই বানাতে চান(আবার আদরের ছোট ভাই!!!)(দেবদারু , সমর্থন দিয়েছেন রাশেদ)"
তারমানে কি এই নয়, আপনি আবারো আমাকে টেনে আনছেন? বুঝলাম, আপনার অনেক শখ তর্ক করার, ব্লগে তো তর্ক করতে ইচ্ছুক অনেক ব্লগার আছে, এবং আপনার এ লেখায় দ্বিমত পোষণ করেছে এমনও অনেকে আছে- তাদের সাথে তর্ক করুন।
আপনাকে আমার নাম নিয়ে টানা-হেঁচড়া না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার পূর্বের মন্তব্যে আপনি যদি অস্বস্তিতে থাকেন, তবে আপনি তা মুছে ফেলুন.... আমি তো কোনো মন্তব্যই দিতে চাইনি- আপনি নাম ধরে চ্যালেঞ্জ জানানোতেই আমি লিখেছিলাম। আর দয়া করে "ক্যাডারদের আপনার আদরের ছোট ভাই বানাতে চেয়েছি" - এমন আংশিক মন্তব্য তুলে না ধরার অনুরোধ করছি।
আপনার শুভাকাঙ্খী হিসেবে একটা অনুরোধ জানাই - রেটিং এর দিকে মনোযোগ না দিয়ে মন্তব্যগুলোর দিকে আরেকটু মনোযোগী হন। "কে রেটিং কমালেন?", "ভাই, আপনার ৫ পড়ে নাই, আবার চেক করেন" - এই কথাগুলো ভালো লেখকদের মন্তব্যে শোভা পায় না। আপনি বরাবর-ই উন্নাসিক, আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন, আমার ১ম মন্তব্যের পর আপনার লেখায় মার্জিতভাবটি এসেছিল(দ্রষ্টব্য: আমার মন্তব্যের আগে ও পরে আপনার ধন্যবাদজ্ঞাপন ও পরমত-সহনশীলতার বিষয়গুলো) - আমার ভালো লেগেছিল; আশাকরি, সেটা বজায় রাখবেন। কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শত-শত লেখা হয়েছে এবং হবে ..... হয়তো কেউই লেখাগুলোর সারবস্তু মনে রাখবে না.......... তবে লেখকের ইমেজটি তাদের মাথায় থাকবে সবসময়ই। আপনার লেখার চাইতে ভবিষ্যতে তাদের "কিংকর্তব্যবিমূঢ়" নামটির প্রতিই আকর্ষন বেশি থাকবে, কেননা, "কিংকর্তব্যবিমূঢ়" ভালো লেখে- এটাই প্রথম তাদের মাথায় আসবে.... কি লিখেছিল সেটা পরের ব্যাপার।
ভালো থাকবেন, শুভকামনা থাকলো।

১১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:২৪

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: @ দেবদারু
প্রথমত আমি আপনাকে আগেই বলেছি, যে রিসেন্ট তিনজন আমার ঐ পোষ্ট দেখেছিলেন আমি তাদের নাম সম্বোধনে দিয়েছিলাম ।আপনি সেখানে পড়ে গেছেন।কিন্তু বাকী দুজন আমার ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন (না বলে রেটিং কমানোটা যে কাম্য নয়) কিন্তু আপনি বুঝতে না পারার ভান করে আক্রমনাত্বক বাক্য বিনিময়ের সূত্রপাত করলেন।
এটা কি স্বাভাবিক ?
আমি শুধু আপনাদের তিনজনের নাম সম্বোধন করে এটাই বলতে চেয়েছি যে,কেউ এই সিরিয়াস ধরনের পোষ্টে (অন্তত আমার কাছে) না বলে রেটিং কমাবেন না। কারণ এতে আমাদের সিংহভাগ ছাত্রের আবেগের অবমাননা করা হবে। আপনারা বলে রেটিং কমান কারণ তাতে আমি বুঝবো কার এ পোষ্টের সাথে দ্বিমত আছে এবং কি দ্বিমত আছে ?যাদের দ্বিমত আছে আমি তাদের ভুল ভাঙ্গানোর চেষ্টা করবো।আপনি কেন যেন পোষ্টটিকে বা আমাকে আপনার প্রতিপক্ষ হিসেবে নিয়ে নিলেন যদিও তা আপনার ১ম পোষ্টটির সাথে যা মানায় না।
ব্যাপারটা কি একটু রহস্যজনক নয় ?
আমার প্রথম পোষ্টটিকে বাকী দুজন স্বাভাবিক ভাবে নিলেন কিন্তু আপনি পারলেন না , কেনো ? আপনি বলেছেন, আমি নাকি ধরেই নিয়েছি আপনি আমার পোষ্টের রেটিং কমাবেন। কেন তা ধরে নেবো ?বরং আমি আপনাকে আনতে চেয়েছিলাম এজন্য যে আমি মোটামোটি নিশ্চিত ছিলাম আর দুজন আমার পোষ্টের রেটিং কমালেও আপনি কমাবেন না(তবুও আপনার নাম কেনো দিলাম ? কারণ আপনি দুজনের মাঝে ছিলেন)।তাতে আপনি ক্লিয়ার হবেন।কিন্তু আফসোস, বাকী দুজন সরাসরি বলেই দিয়েছে তারা কমায় নি বরং আপনি বির্তক সৃষ্টিকারী একটা লম্বা পোষ্টে তার জবাব দিলেন।আপনি কিন্তু শুধু বলে দিলেই হতো যে আপনি কমাননি , আপনি চাইলে আমি প্রয়োজনে ক্ষমা চেয়ে নিতাম।কিন্তু তাদের সাফাই গেয়ে কোনো পোষ্ট দেবার তো প্রয়োজন ছিলো না।

আরেকটা কথা, আমি কখনই রেটিং নিয়ে মাথা ঘামাই নি কিন্তু এই পোষ্টের ক্ষেত্রে আমি রেটিং এর ব্যাপারে সিরিয়াস ছিলাম দুটি কারণে.
১। আমি চাইছিলাম পোষ্ট টি যেন টপ রেটেড পোষ্টের যে কোনো একটা পজিশান পায়,কারণ এটা ঐ মানুষরুপী কুকুরদের একটা মুখোশ উম্মোচনের মতো, আর এটা আমার আবেগের সাথে সম্পর্কিত ।

২।আমি চাইনি কেউ না বলে পোষ্টটির রেটিং কমিয়ে ঐ তথাকথিত ছাত্রনেতাদের সাফাই দিক। এতে কারও কারও বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ ছিলো।
আপনি দেখুন যারা বলে রেটিং কমিয়েছে আমি তাদের কোনোপ্রকার সমালোচনা করেছি কিনা ?

পরিশেষে একটা কথা বলি, আপনার ঢাবি নিয়ে প্রথম পোষ্ট আর আমার পোষ্টের ভাবার্থ কিন্তু প্রায়ই এক কিন্তু আপনি আমার পোষ্টে এমনভাবে কমেন্ট করলেন তাতে মনে হচ্ছে যেন আপনি নয়তো আমার উপর রেগে গিয়ে রিভার্স কমেন্ট করেছেন অথবা আপনার প্রথম পোষ্ট টি শুধুমাত্র আবেগ সৃষ্টির জন্যই করা হয়েছে ,আপনার বিশ্বাস থেকে নয়। এটা হিপোক্রেসি নয় ?
আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে কিন্তু অনেকেই(যারা আপনার পোষ্টে সমর্থন দিয়েছে) আমার পোষ্টের বিরোধিতা করেছে (যেমন রাশেদ) যদিও আমাদের পোষ্ট ছিলো সিমিলার ক্যাটাগরীর। যাই হোক এতে আমার কোনো মাথাব্যথা নাই কারণ বেশীরভাগই প্রকৃত ঘটনা বুঝতে পেরেছে বলে আমার বিশ্বাস।
আর আপনি যদি আমার উপর রেগে থাকেন তবে আমি দু:খিত আর যদি আপনার আচরণ হিপোক্রেটিক হয় তবে তা বর্জনের অনুরোধ করবো।

১২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:৪০

রাগ ইমন বলেছেন: কিংসুক ,

সব কটা মন্তব্য পড়ার ধৈর্য্য থাকলো না , তাই জানি না আমার কথা গুলো আগেই কেউ বলে ফেলেছে কি না।
গতকাল কোন উচিত কাজটা করতে চেয়ে করতে পারেন নাই, সেইটা নিয়ে চিন্তা করে সময় নষ্ট করার কোন প্রয়োজন দেখি না । শুধু এইটুকু জানি , রাজনৈতিক ক্ষমতার ছত্রছায়ায় কারা নোংরামি করে বেড়ায় , এদের কম বেশি সবাই মুখচেনা।
ছেলেদের হোস্টেলে গার্লফ্রেন্ড ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে এসে পর্ণো বানানোর ঘটনাও এই সব ছাত্রনেতাদের অমূল্য অবদান। ( আমার কলেজে)
এত দিন যাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারেন নাই , এখন করুন। সুযোগ যখন একটা এসেছে , কাজে লাগান। কিছু মানুষ নামধারী পশু কমুক। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলুন। নষ্টামির বিরুদ্ধে চোখের পানি দিয়ে যুদ্ধ করা যায় না, শুভকে রক্ষা করতে একটু কৌশলীও হওয়া লাগে। ভালো থাকুন।

১২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৪

রাগ ইমন বলেছেন: রাজনীতির মাথা গুলো পঁচে গেছে । প্রতিটা দলের ক্ষেত্রে এইটা সত্যি । সুতরাং , কোন আন্দোলনকে নিষ্পাপ রাখা এখন আসলেই অসম্ভব।

১২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৭ রাত ৯:৪৮

অক্ষর বলেছেন: দেরি হইলেও ৫

১২৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১:০৫

অসময় বলেছেন: াধষড় যড়রংব
5 ফরষধস

১২৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:০৮

আশেক ইব্রাহীম বলেছেন: হাজার হাজার ক্যাডার বেকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাউ খাওয়া বন্ধ। ছাত্র নেতাগো পকেটে সিগারেট খাওয়ার টাকা নাই। আন্দোলনের জন্য এটাই কি যথেষ্ট নয়?

আত্মসম্মানবোধ টা আবার কি জিনিস!! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আছে আত্মসম্মানবোধ??আচ্ছা নতুন একটা আইন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এনজিও করা নিসিদ্ধ ঘোষনা করলে কেমন হয়?

১২৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৫১

দেবদারু বলেছেন: @কিংকর্তব্যবিমূঢ়,
প্রথমত: আপনার পোস্টটির মূলভাব এবং আমার পোস্টটির মূলভাব এক নয়, যদিও বিষয়বস্তু এক।
পাঠক লেখা দু'টো পড়লেই বুঝবেন এদের এঙ্গেল ভিন্ন।

দ্বিতীয়ত, আমি আপনাকে আক্রমণ করে কোন রিভার্স কমেন্ট করছি না কিংবা রেগে গিয়েও লিখিনি........ বরং পোস্টটি প্রকাশ করার কিছু পর আপনি যেভাবে আমাকে আক্রমণ করেছেন তার বিরোধিতা করেছি আমি (অপমানিত বোধ করেই, এবং পরবর্তীতে আরেকটি কমেন্ট দিতে বাধ্য হয়েছিলাম, কারণ আপনি আমাকে মিসকোট করেছিলেন বলেই)। আমি কোন কমেন্ট করার আগেই আপনার কমেন্টটি কেমন ছিল দেখুন:
"কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন :
২০০৭-০৮-২৫ ১৫:৫৭:৫৬
মি: লীন,মদন,দেবদারু
রেটিং না কমিয়ে প্রতিবাদ করুন,জবাব দেবো।
ঐ সাহস যদি থাকে।"
ভাই, আপনি যেখানে জানেন-ই না তখন কে রেটিং কমালো..... তখন এ ধরনের বাক্যপ্রয়োগ নিতান্ত অপমানজনক। আপনি আবার বললেন-
"কিন্তু আপনি বুঝতে না পারার ভান করে আক্রমনাত্বক বাক্য বিনিময়ের সূত্রপাত করলেন।"
... আচ্ছা, আমি আপনার পোস্টটি পড়লাম এবং কমেন্টের শুরুর দিকে হতবাক হয়ে নিজের নাম টি দেখলাম.. যাকে আপনি বিনা দোষেই রেটিং কমানোর দায় দিচ্ছেন, আবার বিতর্ক করার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন......... যদিও শেষে জুড়ে দিচ্ছেন "যদি সাহস থাকে"!!??
তারপরও আপনি আমাকে দুষছেন... আমি আক্রমণাত্নক!!!

তৃতীয়ত: আমি আমার কমেন্টে উল্লেখ করেছি, আমি আপনাকে 'পাঁচ' দিয়েছি... এবং সেইসাথে আমাকে এভাবে আক্রমণ করে কথা না বলার অনুরোধ জানিয়েছি এবং তদুপরি আপনার পোস্টটি পড়ে আমার পয়েন্ট অফ ভিউ-টি জানিয়েছি। অথচ আপনি-ই সেটিকে রিভার্স বলে অভিহিত করছেন..... আমাকে হিপোক্রেট-ও বলেছেন! ভাই হিপোক্রেসি তো আপনি করছেন... একদিকে বলছেন-
"একজন সেনা ছাত্রের কলার ধরার কারণে ফুঁসে উঠল পুরো দেশ ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আত্তসম্মানে লেগেছে!!তারা হলো স্ফুলিংগ। তাদের গায়ে হাত দেয়া যাবে না ,খবরদার!!!"
আবার কমেন্টে গিয়ে বলছেন-
"কেউ এই সিরিয়াস ধরনের পোষ্টে (অন্তত আমার কাছে) না বলে রেটিং কমাবেন না। কারণ এতে আমাদের সিংহভাগ ছাত্রের আবেগের অবমাননা করা হবে।"
আচ্ছা, আপনিই বলুন, একজন ছাত্রনেতার হাতে সাধারণ শিক্ষার্থী প্রহৃত হ্‌ওয়া যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি একজন সেনা সদস্য কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থী প্রহৃত হ্‌ওয়াও গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিক্ষেত্রেই আমাদের প্রতিবাদী হতে হবে। যদি কোন কারণে ১ম ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করা না যায়, তেব কি ২য় ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করা যাবে না? কিংবা, ২য় ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করা না গেলে, ১ম ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করা যাবে না.......এটা কি যুক্তিযুক্ত? আমরা যখন যেখানে সুযোগ পাবো সেখানেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো... এটি-ই তো কাম্য। গতকালের প্রতিবাদ করতে পারিনি বলে, আজ প্রতিবাদ করলে- যদি কেউ আমার আত্মসম্মান বোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলে তবে ধিক্কার জানাই তাকে।

চতুর্থত:, আমি মোটেই ছাত্রনেতাদের সাফাই গাই নি..... সাফাই গাওয়ার মানে হলো তাদের সমর্থন দেয়া। আমি তাদের অন্যায় কাজে সমর্থন দেইনি কখনোই... দয়া করে মিস-ইন্টারপ্রেট করবেন না। আমি কি আমার কমেন্টে বলিনি যে-
"কিন্তু আমি যেটা বোঝাতে চাইছি তা হলো- অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক প্রভাব প্রত্যেক ছাত্রকে চাপের মুখে, অপমানের মুখে রেখেছে.... এজন্য আমাদের প্রত্যেক ছাত্রকে সোচ্চার হতে হবে।"
পাশাপাশি আমি এটিও বলেছি, আমাদের মনে রাখতে হবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ছাত্র আমাদের ভাই (এর মানে কাউকে শাস্তি প্রদান করা হবে না- এটা ভাবলে আপনি ভুল করবেন)। অবশ্যই প্রত্যেককে নিজের কৃতকর্মের জন্য শাস্তি পেতে হবে। তবে প্রতিপক্ষ ভেবে নিজেদের স্বজাত্যবোধ বিকিয়ে দেব কেন? একজন অধস্তন সৈনিক এর আত্ম্ভরিতার কারণে সৃষ্ট গোলযোগ হলেও, সমগ্র সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যের (টপ টু বটম) আঁতে ঘা লাগে, তারা ঐক্যবদ্ধ হয়, কার্ফিউয়ের মাঝে নির্বিচারে মেসে মেসে ছাত্রদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে; আমাদের শিক্ষকদের আসামীদের মতো ধরে নিয়ে যায় (কেন তারা কি পালিয়ে যেতো? তাদের বিরুদ্ধে আজো কি অপরাধ প্রমানিত হয়েছে? যদি প্রমাণিত হয়, তবে তাদের সাথে এ আচরণ মেনে নেয়া যেতে পারে, নইলে কখনোই তা গ্রহণযোগ্য নয়।), আর আমরা ছাত্ররা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করি, আন্দোলন করি, তবে সেটা আমাদের আত্মসম্মানবোধের বড়াই হয়।??!! ভাই হাসালেন। আপনি জানেন না, ঢা.বি.-র সাধারণ ছাত্ররা কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পতন চায়নি, চেয়েছিল ক্যাম্পাসে আর্মি ক্যাম্প প্রত্যাহার। কেউ সুযোগ নিতে পারে, সেজন্য আমাদের কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ না করাটা তো সমীচীন হবে না...... অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়।

কিংকর্তব্যবিমূঢ়, অনেক কিছুই লিখলাম...... লিখতে হলো আমার অবস্থানটি পরিস্কার করতে। "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আত্বসম্মানবোধ!!!" এই ক্থাটি যখন বলবেন, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমার আত্মসম্মান বোধ নিয়েও প্রশ্ন করা হয় (যেহেতু আপনি বলেননি "আমার আত্মসম্মান", যেমনটা আমি আমার পোস্টে লিখেছি- "একটি ব্যক্তিগত ক্ষমাপ্রার্থনা"), সুতরাং আমি আমার গ্রাউন্ড-টি ক্লিয়ার করার দায়বদ্ধতা অনুভব করেছি বলেই লিখেছি..... আপনার পোস্টের রিভার্স মন্তব্য দেয়ার জন্য নয়। তারপরও আপনার কাছে আমাকে তথাকথিত "হিপোক্রেট", বা "অস্বাভাবিক"ভাবে "রিভার্স কমেন্ট" বা "না বোঝার ভান করছি" করছি বলে মনে হলে ক্ষমা করবেন। আমি এ বিষয়ে আপনার সাথে আর তর্ক করতে ইচ্ছুক নই। তবে আপনাকে ১টি অনুরোধ জানাবো:
এই ব্লগে আপনিও অনেকদিন লিখবেন লিখবেন, আমিও অনেকদিন লিখবো ইনশাল্লাহ...
দয়া করে অহেতুক ('নিশ্চিত না হয়ে' বুঝিয়েছি) আমার নামোল্লেখ পূর্বক চ্যালেঞ্জ জানাবেন না (বিশেষ করে সাহস আছে কি না- এ ধরনের স্পর্শকাতর কথা না বললে খুশি হবো।)।
শুভকামনা রইলো।

১২৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১:০৩

থার্ডআই বলেছেন: ভালো পোষ্ট। সেই সাথে ৫। অনিয়মিত হবার দায়ে দুঃখ প্রকাশ।

১২৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:০৭

শেহাব বলেছেন: হুমম।

১২৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৯

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: কিছু বলার নাই ভাই। থুথু আসে মুখে। +++

১২৯| ১৮ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:৩৮

সোহেল_সিএসই_ঢাবি বলেছেন: খুবই বাস্তবসম্মত লেখা
+++

১৩০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: নিজেকেই ধিক্কার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.