নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত,
কেউ কেউ বলে ধর্ম যার যার...... । এটা বলে মানুষকে সুকৌশলে বসিয়ে দেয়া হয়েছে চূড়ান্ত নিরাপদ আশ্রয়ে । অতএব, সবাই এক একটি ধর্মকে নিজেদের মালিকানা সত্ব হিসাবে বেছে নিয়ে বসে থাকো । মানুষের আর নতুন করে নেবার কিছু নেই, অন্বেষণের কিছু নেই, ভালমন্দ বিবেচনার কিছু নেই । কিছু নতুন করে খোঁজা বারন,আমার যা আছে তার চে ভাল কিছু নেই , কিছু মনে ধরলেও তা আপন করে নেয়া বারন, এটা ধরতে বারন, ওটা করতে বারন, বারনের পর বারনের মাঝে বন্দি, বন্দিত্বের মাঝে প্রতিবন্ধি মানুষ । আছে বিমুখতা, নিজের টর্চ্লাইট টা তার ভিতরের দিকে ফেরানো। তাই ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রতি মুহূর্তেই। আমরা চাই বা না চাই , ধর্ম আমাদের জীবন যাপনের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে গেছে । মানুষ যতই নিজেকে আধুনিক, পার্থিব বলে বড়াই করুক না কেন,পরিশেষে আশ্রয় নেয় অজানা অন্ধকারের মাঝে । বঞ্চনা প্রাপ্তি লাভ অলাভ দুর্গতি সদ্গতি সব কিছুর সাথে ধর্ম কে সফল ভাবে ট্যাগ করা হয়ে গেছে । তা মানুষের সমাজে এখনও এমন অপরিহার্য উপকরন হয়ে বসে আছে , অনুরাগী বিরাগী উভয়েরই এই নেমেসিস'র হাত থেকে পরিত্রান নেই । সেই কারনেই তাকে জানা দরকার , তার আদি ইতিহাস , তার সুচনার ইতিবৃত্ত জানা অপরিহার্য । একবিংশ শতকে এসে পূর্ব পুরুষের আওড়ানো কাহিনী কে ধাতস্থ করে নিরুত্তাপ ,প্রশ্নহীন অনুশীলনের মাঝে আর যা কিছু থাক, গৌরব নেই । মানুষ প্রশ্ন করতে গিয়েই ধর্ম দর্শনের সুচনা করে, নিজেদের পছন্দের ছাঁচে ঢালাই করেছে ধর্মকে । আর এখন ধর্ম দর্শন প্রতি নিয়ত জন্ম দিচ্ছে প্রশ্নের, জিজ্ঞাসার । আমরা শৈশবে যে ইতিহাস পড়ে এসেছি, পরিনত সময়ে এসে অবিস্কার করলাম সে সব ইতিহাস অসত্য । ঐতিহাসিকদের আপন দুরভিসন্ধি র প্রতি পক্ষপাত দুষ্টতা প্রতি পদে পদে যখন স্পষ্ট হয়ে উঠে, তখন আবশ্যক হয়ে উঠে ব্যাপক ভাবে জানার- বিজেতা আর পরাজিত, উভয়ের কলমে । যেহেতু প্রত্যেক টা ধর্মই সুচিত হয়েছিল যুদ্ধের মাধ্যমে । সেই যুদ্ধ কোন সময় কায়িক, সশস্ত্র, কোন সময় বাচনিক - কারন সেখানে প্রতিপক্ষ ছিল । একেক টি ধর্ম অভিযান,মানবেতিহাসের অনেক আদি নিদর্শন ধ্বংস করে যে অপুরনীয় ক্ষতি করেছে, তা ইতিহাসে সুবিদিত । এশিয়া, আফ্রিকা আর ল্যাটিন আমেরিকার মানব সভ্যতার প্রাচীনতম ইতিহাসের অমুল্য উপকরন গুলি ধর্ম দস্যুদের হাতে যে ধংসের শিকার হতে শুরু করেছিল তার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান । তা কোন কোন সময় হাত বদল হয়ে সাম্রাজ্যবাদিদের লুন্ঠনের কবলে পড়েছে । কিন্তু উভয়ের অভীপ্সা র ধরন একই মাত্রার । একজন লেখাপড়া জানা মানুষ এই সব অন্ধকার ইতিহাসের দিকে আলো না ফেলে চোখ কান বন্ধ করে, শুধুই প্রশংসা মুখর হয়ে কীভাবে থাকতে পারে ?
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০০
পি কে বড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ । আমি বাস্তবতাকে নিয়ে স্যাট্যায়ার করেছি সেটা বলে । আমি বলতে চেয়েছি।এটা ব্যক্তি সম্পত্তি হিসেবে ধরে নিয়ে আমরা তার উপর হস্তক্ষেপ করতে দিতে অনিচ্ছুক আব তাকে নিয়ে কোন ডিসেকশন করতে দিতে রাজি নই । আমি চাই তার ভালো মন্দ দিক গুলো ক্লান্তিহীন আলোচিত হোক, নির্ভয়ে। ভালো থাকবেন আপনি ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৫
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনি শেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে যেটি লিখেছেন তার সাথে একমত। কিন্তু শুরু করেছেন এই বলে, " কেউ কেউ বলে ধর্ম যার যার...... । এটা বলে মানুষকে সুকৌশলে বসিয়ে দেয়া হয়েছে চূড়ান্ত নিরাপদ আশ্রয়ে । অতএব, সবাই এক একটি ধর্মকে নিজেদের মালিকানা সত্ব হিসাবে বেছে নিয়ে বসে থাকো । মানুষের আর নতুন করে নেবার কিছু নেই, অন্বেষণের কিছু নেই, ভালমন্দ বিবেচনার কিছু নেই ।" - এখানে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে মনে হয়। ধর্মকে 'প্রাইভেট' (যার যার বা যাদের যাদের) পরিমণ্ডলে রাখার কথা বলা হয় 'পাবলিক' বা রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলের বিপরীতে; না হলে ধর্ম নিয়ে গণভোট এবং বলপ্রয়োগ লাঠিবাজি-বন্দুকবাজি শুরু হয়ে যায়। 'ধর্ম যার যার' বলতে এটি বোঝানো হয় না যে কারো ধর্ম নিয়ে কেউ কথা বলতে পারবে না। এমনকি নিজের ধর্ম নিয়ে নিজেও প্রশ্ন করতে পারবে না। যাইহোক, ইসুটি অবতারণার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।