নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত,
মানব জীবনের কর্মপরিধি শুধু শ্বাস প্রশ্বাস , আহার এবং ঘুমানো নয়। এসব হচ্ছে শরীর কে মেইন্টেনান্স করা । জীবনে প্রকৃত কর্ম হচ্ছে,' আমি কে' এটা আবিস্কার করা । we are the sleeping god ready to awaken । এই মহাবিশ্ব আমাদের জীবনের ই প্রতিরূপ। একটা সম্প্রসারিত ক্যানভাস । আমাদের ব্যক্তি জীবনের দায় যেমন 'আমি কে' তা জানা, আর ফিজিসিশট রা একই দায় নিয়েছে মহা বিশ্বকে জানা। দুটোই একই ক্রিয়া ।সময় হচ্ছে একটা একক এবং যা শুরু হয়েছে মহাবিশ্বের প্রারম্ভে, যা শেষ হবে সেই দিন ,যে দিন সেই স্থান আর কালের মহা চুম্বকীয় এককের ভিতর তা বিলিন হবে । সময় হচ্ছে একটা কারাগার যা থেকে কারো পরিত্রানের সুযোগ নেই । আমাদের শরীর হচ্ছে জৈব রাসায়নিক মেশিন, যা এই সময়ের মাঝেই বিলিন হবে,মহাবিশ্ব টা ও তেমন। কারন তা আমাদের এই মেশিনেরই প্রতিরূপ। এই দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে যারা মেলে ধরেছেন আইনষ্টাইন, বোর, হেইসেনবারগ এবং কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর অন্যান্য দিকপালরা। যারা প্রমান করতে চেয়েছেন আমাদের দৃশ্যমান জগতটা একটা প্রপঞ্চ । দর্শক এর বাইরে এর কোন অস্তিত্ব নেই । দু জন মানুষ একটা দৃশ্য এক রকম দেখে না । আমাদের নিজস্ব দৃষ্টি দিয়েই আমরা তা দেখি ।রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ' আমার চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল লাল হয়ে' - আইনস্টাইনের সাথে সখ্যতার ফলাফল হয়তবা । আমাদের পাশাপাশি আরও ভিন্ন আয়তনের যে জগত রয়েছে। তা যে একেবারে অগম্য তা নয় । বহু বছর আগে হয়তো ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় , একজন বৈমানিক প্লেন উড়িয়ে হঠাত এমন একটা এলাকায় চলে গেল, যা তাঁর পরিচিত পৃথিবীর মতো মনে হো্ল না, সেখানে আদিম বাইসন মাঠে চরছে,সব কিছু প্রাচীন যুগের দৃশ্যাবলী স্বপ্নের মত যেন প্রাগইতিহাসিক একটা যুগে পরিভ্রমন । এই ঘটনাটা অনেক আগে পড়েছিলাম । এখন মনে পড়ল । আইনস্টাইন আমাদের বলে গেছেন যে, আমাদের শরীর বৃত্ত একটা ইলুশন(প্রপঞ্চ)- যা অন্য সব বস্তুর মতই । জীবন সুচারু ভাবে তার ছায়াকে আকড়ে ধরার চেষ্টা করে আর এর মাঝে বস্তু কে হারিয়ে ফেলে। অদৃশ্য জগতটাই হছে সত্যিকারের জগত । যখন ই আমরা আমাদের শরীর বৃত্তের অদৃশ্য লেভেল্ টার বাটন চেপে তাকে জানতে চাই, তখন আমাদের অপরিসীম সৃজন শীলতার উপর টোকা পড়ে। (অসমাপ্ত)
©somewhere in net ltd.