নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত,
প্রবাদপ্রতিম পুরুষোত্তম শফিক রেহমান এর প্রতি ইমরান সরকারের সহানুভুতি কে অসম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয় এর স্ট্যাটাস এর উপর অনেক গুনি জ্ঞানী, এমন কি তাঁর পরোক্ষ হিতৈষী রাও জয়ের সমালোচনা করছেন। তিনি কেন এভাবে প্রতিক্রিয়া জানালেন ,কেন এতে জড়িয়ে পড়ে একটা অস্বস্তির জন্ম দিলেন, তিনি এসব না বললেই পারতেন , ব্লা ব্লা ব্লা । কেউ কেউ এটাকে এমনকি বিনোদন হিসেবে আখ্যা দিলেন। কেউ আরও এগিয়ে গিয়ে তাঁর মা, আমাদের প্রধানমন্ত্রী কেও দুষলেন একই কারনে। এতে হতবাক হবার কিচ্ছু নেই। কারন সোজা,মানুষ যখন তার বলার স্বাধীনতা ভোগ করেন তখন অন্যের বলার উপর করাত চালাতে চান। অতএব যার যা মনে জাগবে তাইই বলবেন এবং আরও বেশি বেশি বলার স্বাধীনতার জন্যে আমাদেরকে মুখর থাকতে হবে, যা দৃশ্যমান অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করি । বর্তমানে, শুধু বলার কারনে যদি কাউকে জেলে যেতে হত,তাহলে জেলের আকার আরও দ্বিগুন করলেও কয়েদির ঠাই হতো না । জয় এর প্রতিক্রিয়ায় ফিরে আসি । ওপেন নেস বা মন খুলে মতামত প্রকাশ করা আধুনিক শিক্ষিত মানুষের সৌন্দর্য । তিনি যেই ই হন না কেন । মত প্রকাশ করতে গিয়ে যদি কেউ অপদস্ত হন, এমনকি মৃত্যু ভয়ও থাকে তারপরও আপন মতকে তুলে ধরা থেকে পিছিয়ে থাকেন না একজন মানুষ, যার একমাত্র সহায় তাঁর অন্তরের শক্তি । প্রধানমন্ত্রীর অনেক কথার প্রতিবাদ আমরা হর হামেশাই করে থাকি। তার কারন তিনি সদা সর্বদা মন খুলে তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন, যার জন্যে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ আসে। আর তা যদি না হতো এবং চুপ থেকে তিনি তাঁর আরদ্ধ ইচ্ছা প্রয়োগ করতেন , তাহলে কেমন হতো ? তিনি নির্বিকার নীরব থেকে ২১ শে আগষ্টের মতো ভয়াবহ এপিসোড মানুষকে উপহার দিতে পারেন ,কারন সে ক্ষমতা তাঁর রয়েছে - যেমন ছিল তাঁর প্রতিপক্ষের। কই খালেদা জিয়ার উপর আজ পর্যন্ত একটা মাছিও তো উড়তে পারল না ? জয় বলেছেন যে তিনি ইমরানের উপর 'শ্রদ্ধা হারিয়ে' ফেলেছেন যার মানে দাঁড়ায় - সেই শ্রদ্ধা এদ্দিন তাঁর(জয়ের) মাঝে অটুঠ ছিল । আর ইমরান বললেন কি ? তিনি যা বললেন তার নিরগলিতারথ হল - একজনের বাক স্বাধীনতার পক্ষে বলতে গিয়ে তাঁর(ইমরানের) নিজের বাক স্বাধীনতার উপর আঘাত করছেন জয় । যে মানুষটি র মাঝে ওপেন নেস বা স্পষ্টবাদিতা আছে তিনি হবেন সর্বজনগ্রাহ্য এবং নিরাপদ । আর যিনি চুপ করে আছেন তিনি হতে পারেন মহামানব অথবা সবচেয়ে ভয়ংকর এবং বিচ্ছিন্ন একজন হমিসাইডাল - আমাদের শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা তাই ই নির্দেশ করে । শেষ পর্যন্ত আমরা শুধু মানুষকে চাই, মহামানবকে নয় । অথচ আমরা মানুষের ওপেন নেস কে পছন্দ করি না, আমরা নীরব সুশীল গিরিকে ভালবাসী । তার কারন আমরা কালে কালে প্রতিক্রিয়াশীলতার কাছে জেনে না জেনে নিজেদের সঁপে দিয়ে পরিত্রান পেতে শিখেছি । আমরা যারা ইমরান সরকারের হিতৈষী তারা জয়ের এই ওপেন নেস এর কারনে নিশ্চিত হতে পারি (চাই) যে তাঁর নিরাপত্তায় কোন ব্যতয় হবে না। এমন কি তিনি অন্য গোলার্ধে বসবাস শুরু করলেও । এদ্দিন যেভাবে সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে, শ্রদ্ধা অঠুট না থাকলেও সেই নিরাপত্তা যেন অঠুট থাকে। কারন ইমরান ই প্রিয় শাহবাগ কে এ যাবত কাল সদর্থক পন্থায় জাগ্রত রেখেছেন ।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার(বিচার না, ফাঁসী) এর দাবী তে গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থান যখন তুঙ্গে, তখন সামাজিক মাধ্যমে " সত্য প্রকাশের নির্ভীক সৈনিক" মাহমুদুর রহমানের টেলিফোন আলাপের একটি অডিও ক্লিপ শুনেছিলাম,। সেখানে সদা ক্রোধ সম্পন্ন মি রহমান গণজাগরণ মঞ্চ সংশ্লিষ্ট দের 'শুয়রের বাচ্চা' বলে গালাগালি করছিলেন । জানি না, আর কে কে এই বচনামৃত গলাধকরন করেছিলেন সে সময় । নেটে খুঁজে তা আবার শুনে নিতে পারেন ।
©somewhere in net ltd.