নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত,

পি কে বড়ুয়া

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত,

পি কে বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পঞ্চ কবির তিন জন কি ব্রাত্য ?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক বা কিছু আগে , বাংলায় কয়েকজন প্রতিভাধর গীতিকার সুরকার এর জন্ম হয়েছিল, তাদেরকে আমরা খুব বেশি মনে রাখি না। তাঁরা গদ্যও লিখেছেন, কিন্তু সঙ্গীত সৃষ্টির কাছে সে সব অকিঞ্চিতকর । এই তিন জন হলেন রজনী কান্ত সেন, অতুল প্রাসাদ সেন এবং দ্বিজেন্দ্র লাল রায় সংক্ষেপে ডি এল রায় । আমি এঁদের গানের অকৃপণ শ্রোতা । হয়ত রবীন্দ্রনাথ বা নজরুলের পাহাড় সমান সঙ্গীত অবয়বে র কারনে এঁরা খুব দৃশ্যমান নন । এঁদের কে স্বতন্ত্র ভাবে ধরে নিলে, তাঁদের স্ব স্ব সঙ্গীত প্রতিভায় বিস্মিত হতে হয় । উল্লেখ যোগ্য হল, এই তিন কবির মাঝে দুজনেরই জন্ম আমাদের বাংলাদেশে । যথাক্রমে রজনিকান্ত এবং অতুল্প্রাসাদ । রজনী কান্তের 'তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে, মলিন মর্ম মুছায়ে ' মর্মস্পর্শী একটি গান । যার মূল বৈশিষ্ট্য হল , তার নন সেক্টেরিয়ান লিরিক । গীতাঞ্জলী এবং লালন তথা বাউল সঙ্গীত ছাড়া এ রকম নন রিলিজিয়াস স্পিরিচুয়ালিটি আর কারো গানে পাই না । এ ছাড়াও তাঁর 'আমি অকৃত অধম বলেও কি মোরে কম করে কিছু দাও নি ' বা ‘আমায় সকল রকমে কাঙ্গাল করেছ, গর্ব করিতে চূর,তাই যশ ও অর্থ, মান ও স্বাস্থ্য, সকলি করেছে দূর৷' এই গানটি তিনি লিখেছিলেন হাসপাতালে রোগ শয্যায় । রবীন্দ্রনাথ তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি চলে গেলে পর এই গানটি লিখেন, ক্যান্সার ব্যাধিতে আক্রান্ত রজনী কান্ত । স্বদেশী আন্দোলন (১৯০৫-১৯১১) চলাকালে ‘মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নেরে ভাই’ গানটি রচনা করে অভূতপূর্ব গণআলোড়নের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। পাবনা জেলার সিরাজ গঞ্জে বেল কুচি তে তাঁর জন্ম ।
অতুল্প্রাসাদের জন্ম তাঁর মামার বাড়ী ঢাকায়, আদি বাড়ী ফরিদপুর ।অতুলপ্রসাদ বাংলা গানে ঠুংরি ধারার প্রবর্তক। তিনিই প্রথম বাংলায় গজল রচনা করেন। তাঁর রচিত বাংলা গজলের সংখ্যা ৬-৭টি। অতুলপ্রসাদ সেনের কয়েকটি বিখ্যাত গান হল মিছে তুই ভাবিস মন, সবারে বাস রে ভালো,বঁধুয়া নিঁদ নাহি আঁখিপাতে, একা মোর গানের তরী, কে আবার বাজায় বাঁশি, ক্রন্দসী পথচারিণী ইত্যাদি কথা আর সুরের প্রান রসে ভরপুর গান গুলি। তাঁর মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা! গানটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অণুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গানের বিশেষ গুণগ্রাহী ছিলেন।
"ধনধান্যে পুষ্পে ভরা", "বঙ্গ আমার! জননী আমার! ধাত্রী আমার, আমার দেশ" "মহাসিন্দুর ওপার হতে কি সঙ্গীত ভেসে আসে ঐ" এসব জনপ্রিয় গানগুলোর রচয়িতা এবং সুরকার ডি এল রায় । তাঁর ছেলে দিলিপ কুমার রায় পরবর্তীতে বাবার লেখা অনেক গানে সুরারোপ করেন । ডি এল রায়ের জন্ম পশিম বঙ্গে নদীয়া জেলার কৃষ্ণ নগরে। অসাধারন লেখনী আর সুর সৃষ্টিতে বাংলা গানে তিনি অমর হয়ে আছেন । একি মধুর ছন্দ মধুর গন্ধ , বেলা বয়ে যায় , এস প্রাণসখা এস প্রাণে,একবার গাল ভরা মা ডাকে - ইত্যাদি গান হৃদয় ছুয়ে যায় । রবীন্দ্রনাথের সাথে এঁদের সবার সম্পর্ক ছিল মধুর, কিন্তু শেষে এক সময় ডি এল রায়ের সাথে তাঁর সম্পর্ক তিক্ত তায় রূপ নেয়। এই ধারার একজন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী হলেন কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়। এঁদের গানকে তাঁর অসম্ভব সুন্দর কন্ঠে তুলে নিয়েছিলেন আর একজন খুবই স্মরণীয়, প্রয়াত নীলুফার ইয়াসমিন । আরও অনেক প্রবীন নবীন বিখ্যাত শিল্পী দের কন্ঠে এঁদের গান এখন আরও উৎকর্ষ তায় জীবন্ত ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: গাঁয়ের পথে এদের দেখেছেন কখনো?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

পি কে বড়ুয়া বলেছেন: ভালো লাগলো আপনাকে এই সুন্দর উপহারের জন্যে। ভালবাসা রইল ।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা দেখলেও দেখতে পারেন।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: স্বীকৃতি আসলে সবার দরকার। কিন্তু অনেকে তা’ পায়না। তবে অনেকে কম হলেও তা’পায়। হয়তো পরিস্থিতি এর জন্য দায়ী। যেমন বড় গাছের ছায়ায় পড়ে ছোট গাছ অবশেষে মরে যায়।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, তাই আপনার জন্য এটি।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

পি কে বড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ, এতগুলো উপহারের জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.