নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত,
জৈন ধর্মই পৃথিবীর প্রথম অহিংস ধর্ম। 'অহিংসা পরম ধর্ম' - মূলত জৈন ধর্মের ই ভাবাদর্শ । সবাই এটাকে বৌদ্ধ ধর্মের শ্লোগান হিসেবে মনে করে থাকেন । যদিও অহিংসা দুজনেই ধারন করেন, কিন্তু এর কপি রাইট জৈন ধর্মের । জৈন ধর্মের গোড়াপত্তন বৌদ্ধ ধর্মের অনেক আগে। জৈন ধর্মের প্রতিষ্টাতা সর্বশেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর বর্ধমান এর জন্ম খ্রি পূর্ব ৫৯৯ । গৌতম বুদ্ধের জন্ম খ্রি পূর্ব ৫২৭ । মহাবীর এর মৃত্যু হয় গৌতম বুদ্ধের জন্মের বছরে । গোড়াতেই মিল অনেক । দুজনই রাজপুত্র ছিলেন, এবং গৃহ ত্যাগ করেন।একজন বারো বছর, অপর জন ছয় বছর কঠিন ধ্যান সাধনা করেন। দুজনই ভারতের একই জায়গায়, একই পথে পরিভ্রমন করেন। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্ম জৈন। জৈন মতে, মহাবীর এর আগে থেকেই জৈন ধর্ম ছিল। মহাবীর জৈন ধর্মের ২৪ তম মেসিয়াহ । বুদ্ধ প্রথম দিকে কিছু সময় একজন জৈন সন্যাসী ছিলেন। জৈন মতাদর্শের সাথে বুদ্ধের মতাদর্শের অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন আসে, জৈন ধর্মের মতো এরকম সুন্দর অহিংস একটি ধর্ম কি করে প্রসার পায় নি এবং অনেকটা অদৃশ্য ? অপরদিকে ঠিক একই জায়গায় একই সময়ে জন্ম নেয়া বৌদ্ধ ধর্ম কি করে সারা বিশ্বে এতো প্রসার লাভ ঘটেছে ? এর কারন খুঁজে পাওয়া খুব দুরহ নয় । জৈন'র কড়া নিষেধাজ্ঞা আর বুদ্ধ'র শিথিল নিষেধাজ্ঞা । জৈন'র চরম কৃচ্ছ সাধনা আর বুদ্ধ'র মধ্যম পন্থা । জৈন নীরব , বুদ্ধ সরব । জৈন'র পার্থিব অনাসক্তি চরমে। নিজের শরীর ছাড়া তাঁর আর কিছুই সাথে থাকতে পারে না। জৈন সাধক বস্ত্রহীন, ভিক্ষাপাত্রহীন, হাতের মাঝে খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে খাওয়া , যাতে বেশী যেন খাওয়া না যায়। দিন থাকতেই খাওয়া শেষ । আমিষ খাওয়া নিষিদ্ধ । একজন জৈন'র কঠিন পন্থা ছাড়া অন্যথা নয় । গৌতম বুদ্ধ হয়তো এই অভিজ্ঞতা কে নিয়েছেন। তিনি এর সবটাকেই বাতিল করে দেন। তিনি কোন বিধি নিষেধ কড়াকড়ি রাখলেন না। সব কিছুকে বুদ্ধি বিবেচনা কল্যান অকল্যান সুন্দর অসুন্দর এবং বাস্তবতার উপর ছেড়ে দেন। মতাদর্শের দিক থেকেও সকল কড়াকড়ি বা ফানাটিসিজম থেকে বুদ্ধ বেরিয়ে গেলেন। অপর দিকে জৈন মনে করেন মহাবীর ত্রিকালদর্শী, সর্বজ্ঞ এবং তিনি যা বলেছেন তাই ই চূড়ান্ত , তিনি মেসিয়াহ । বুদ্ধ 'সর্বজ্ঞ' টার্ম টাকে খারিজ করে দেন, নিজের জ্ঞান, ধর্ম , সত্য কোন কিছুই চিরন্তন বা এবসল্যুট নয় বলে ঘোষণা দেন । ইতিহাসে দেখা যায় গৌতম বুদ্ধ'র প্রবল হিউমার বা রসবোধ ছিল । জীবদ্দশায় শিষ্য দের সাথে তাঁর অনেক রসিকতার কাহিনী আছে। সর্বজ্ঞ মহাবীর কে নিয়েও তিনি রসিকতা করেছেন এই বলে যে - প্রায়ান্ধকারে পথ চলতে গিয়ে মহাবীর কুকুরের লেজ এ পা ফেলেন। কুকুর চিৎকার করে উঠার পর ই তিনি বুঝলেন যে কুকুরে লেজে পা দিয়েছেন। তাহলে তিনি সর্বজ্ঞ হলেন কি করে ? জৈন যদি থিসিস হয় এবং বুদ্ধ এন্টি থিসিস । সে হিসেবে জৈন ধর্মের কাছে বৌদ্ধ ধর্মের ঋণ অনস্বীকার্য । শুধু জৈন আর বুদ্ধ নয় । কাছাকাছি ভুখন্ডের ধর্ম মতাদর্শ গুলি আসলেই সামনের টার কাছে পেছনের টা ঋণী । তাই তুলনামুলক খুঁজলে, একই ভুখন্ডের পারস্পরিক ধর্মে একের সাথে অপরের অনেক উপাদানের মিল খুঁজে পাওয়া যায় ।
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫
পি কে বড়ুয়া বলেছেন: কোন ধর্মে নেই, সব ধর্মে আছি কম বেশী ।
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩০
আহা রুবন বলেছেন: জৈন ধর্ম সম্পর্কে জানা ছিল না, কেবল জানতাম এই নামে একটি ধর্ম আছে। খানিক ধারণা হল। এই ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা কেমন?
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
পি কে বড়ুয়া বলেছেন: পরিসঙ্খ্যান বলে প্রায় আট মিলিয়ন।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
মানবী বলেছেন: শিরোনাম পড়ে খুব উৎসাহ নিয়ে পড়তে এসেছিলাম, জৈন ধর্মের পরিচয় জানবো বলে।
দুঃখজনক ভাবে পোস্টটি জৈন ধর্মের পরিচয়ের চেয়ে বৌদ্ধধর্মকে খাটো করে দেখাবার প্রয়াস বেশি মনে হলো।
অহিংসা প্রায় সকল ধর্মের মূলমন্ত্র! আজ বিশ্বজুড়ে যে ইসলাম ধর্মকে সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরার প্রচেষ্টা চলছে সেখানেও হিংসা, দ্বেষ, হানাহানি নিষেধ করা আছে। সুতরাং বৌদ্ধরা জৈনদের কাছে থেকে শ্লোগানটি নিয়েছে এমনটা বোধ সঠিক নয়। সবাই যারযার ধর্ম প্রচার করছে, মূলমন্ত্রে মিল থাকতেই পারে।
ধন্যবাদ পি কে বড়ুয়া।
ভালো থাকুন :-)
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭
পি কে বড়ুয়া বলেছেন: দুঃখিত আপনি লেখাটার সারাৎসার উপলব্দি করতে পারেন নি ।আমি সত্যটা কে তুলতে চেয়েছি। এবং বলেছি স্পষ্ট ভাবে বৌদ্ধ ধর্ম দীর্ঘ জীবী হল কোন কোন ভালো দিক গুলোর কারনে। সেটা কি বৌদ্ধ ধর্ম কে খাটো করা ????( সংকীর্ণ অর্থে বলছি) আমি কি জৈন যে বৌদ্ধ ধর্ম কে খাটো করে জৈন কে তুলবো ? সে আশঙ্কা টা কি অমুলক নয় ??? কোথায় খাটো করেছি একটি ধরিয়ে দিতেন, কৃতজ্ঞ হতাম।
ধন্যবাদ।
৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইহাদেরই কি দুই টি বিভাগ দিগম্বর ও পীতাম্বর ?
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬
পি কে বড়ুয়া বলেছেন: ঠিক। দুই সম্প্রদায় । দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর । পীতাম্বর নয় ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
এতকিছু বুঝার পর, এখন আপনি কোন ধর্মে আছেন?