নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত,

পি কে বড়ুয়া

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত,

পি কে বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০১৭

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

আজ গৌতম বুদ্ধের জন্ম জয়ন্তী। কত বছর হল তাঁর বয়স ? দেবতার জন্মের ঠিক সন তারিখ নেই। তাদের সঠিক বয়স নেই । কিন্তু যে মানুষ , ইতিহাস যাকে উইটনেস করছে, তাঁর তো বয়স আছে। সেই তথ্যটা কোন পত্রিকায় নেই। আমাদের প্রিন্ট মিডিয়া কত অন্তসার শুন্য হয়ে উঠেছে । এরা উৎসাহী ধর্ষণের খবর খুটিয়ে খুটিয়ে লিখতে। ছাপাবে প্রথম পাতায়, যাতে সবাই উৎসাহী হয় ধর্ষণে । এমনকি রাষ্ট্রের এবং সরকারের বানীতেও বুদ্ধ অব্দের সে তথ্যটা নেই। কি অবহেলা, আত্ম প্রতারনা, অকৃতজ্ঞ এই ফানুসী বুদ্ধিবৃত্তি । এখন হয়তো বৌদ্ধরা নিশ্চিহ্ন এই মাটিতে । শীর্ণকায় যারা আছে তারা অপেক্ষায় থাকে কখন এই সব বেনিয়া মিডিয়া একটি দিনে মামুলি লেখা, সাক্ষ্যাতকার নেবে । আর দেশের সরকার এদেরকে খুদ কুড়ো, আলূটা মুলোটা সামনে ঝুলাবে, ডাক পড়বে ইত্যাকার ভবনে। অথচ এই ভুখন্ড বা অকর্তিত বঙ্গদেশ হাজার বছর আগে পুরো টাই ছিল বুদ্ধ বা বৌদ্ধ অধ্যুষিত। তারা এই বাংলাকে শাসন করেনি, সমৃদ্ধ করেছে - আর কেউ তা করেনি। যা কিছু সোনালী অতীত এই দেশের পুরোটাই বৌদ্ধ সভ্যতার । আমাদের ঘরেই জন্ম নিয়েছেন অসাধারন দুই জগত বিখ্যাত মনীষা - অতীশ দীপংকর শ্রী জ্ঞান- তিব্বতে যার স্থান বুদ্ধের পরে আর আচার্য শীল ভদ্র হিউ এন সাং যার কাছে অধ্যয়ন করেছিলেন -- যিনি যোগাচার দর্শনের জনক- যারা বুদ্ধ শিষ্য - আজ থেকে প্রায় এক হাজার থেকে দেড় হাজার বছর আগে এই মাটিতেই যাদের জন্ম । এশিয়ার উন্নত দেশ গুলো আর পশিমা পন্ডিত দের কাছে যারা এখন সুপরিচিত, আমাদের যদিও মহা আকাল । জ্ঞানের প্রকোষ্টে ঝুলছে বিষন্ন বাদুড়। বাঙ্গালীর সুদুর অতীত এরা ছাড়া একেবারে দিগম্বর বলা যায় । আমরা শুধু বিজয় সিংহের কথা বলি। কারন আমরা দখল কারীর ভজনা করি । তিনি লঙ্কা বিজয় করেছিলেন। কিন্তু যে দুই মনীষা পৃথিবীর প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ছিলেন । যাদের জন্ম আমাদের ঘরেই, তাদেরকে এই রাষ্ট্র, এই ফাঁপা মিডিয়া কি সম্মান দিয়েছে বা দিচ্ছে। পারলে একদিন সন্ত্রাসী বানিয়ে ছেড়ে দেবে। এতে কারো অনুভুতি বা নুনুভুতি এতটুকু সোজা হয়ে দাঁড়াবে না। হাজার বছর আগে এই গোটা ভুখন্ড ছিল অসাধারন সব বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষায়তনে ভর্তি। তার কিয়দংশ আবিষ্কৃত হয়েছে বা হচ্ছে বিদেশী অর্থানুকূল্যে । সরকার এবং মিডিয়া চাইছে সে সবকে পচিয়ে ফেলতে । যতই ভিতরে এক কলামে নিউজ দিক বা ভবনে ডাকুক । তাতে শুধু প্রথা সিদ্ধ দেখানোপনা, আন্তরিকতার পরিশীলিত মেজাজ কনা মাত্র অনুপস্থিত । যে সব বিশ্ববিদ্যালয়, আবাসিক শিক্ষায়তন আবিষ্কৃত হয়েছে তার তালিকা বিপুল । সেখানে শিল্প, দর্শন, চিকিৎসা শাস্ত্র, ইতিহাস ,সাহিত্য তথা মানবিক সকল বিষয় এর উপর পড়া শোনা হতো । বিক্রমশীলা বিশ্ব বিদ্যালয় - নালন্দার পরেই যার জায়গা - এই বাংলায়। পন্ডিত বিহার,ওদন্তপুর বিশ্ব বিদ্যালয়, সোমপুর বিশ্ববিদ্যালয়, জগদ্দল মহা বিহার, বর্ধমান এ আবিষ্কৃত বিশাল বিশ্ব বিদ্যালয় কমপ্লেক্স, পুন্ড্র বর্ধনের কাছে 'ভাসু বিহার' বা মহাবিদ্যালয়(কানিং হাম কর্তৃক আবিষ্কৃত) , রক্তমৃত্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়(হিউ এন সাং যাকে লো টো ম শি বলেছেন), মালদহে জগজ্জীবনপুর বিশ্ববিদ্যালয় যার আদল ছিল নালন্দার মতোই । তারপর ময়নামতির শালবন বিহার যেখানে দেশ বিদেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী র সমাগম ছিল । সম্প্রতি আবিষ্কৃত নাটেশ্বর এর নান্দনিক জনপদ, পাহাড়পুরের হলুদ বিহার, পরিক্রমন বিহার, যশোবর্ম পুর মহা বিহার - এগুলো সব আবাসিক বিদ্যায়তন। । গোটা বাংলা ভর্তি ছিল বিশবিদ্যালয় আর শিক্ষা নিকেতনে। আরও কত আছে মাটির নীচে তা বিদেশীরা টাকা দিলে গা লাগানো যেতে পারে। সরকারের চলছে অন্য এক ভয়ংকর ভিশন । হাজার বছর আগে, সেই সব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি এই বাংলা, যার মুলে ছিলেন সেই একটি মাত্র মানুষ। ২৬৪০ বছর আগে যার জন্ম । ভারতের সব চেয়ে বড় পর্যটন আয় বুড্ডিস্ট পুরাকীর্তি সাইট থেকে। তারা সেসবকে সংরক্ষনও করে সেভাবে। অন্তত আয় রোজগার তো হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকার গুলো পর্যটকের জন্যে কাঙ্গাল। কিন্তু চড়ে বসে আছে উল্টো রথে। দেশের কাঁধে অসুর দের অধিষ্টান, এনিম্যাল ফার্মের রূপ রেখা ক্রমে স্পষ্ট হতে চলেছে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.