নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবল কুমার

প্রবল কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

THYROID থাইরয়েড

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

থাইরয়েড গ্রন্থি একটি এনড্রোক্রাইন গ্ল্যান্ড। এটা মানুষের গলার সামনে অবস্থিত। এখান থেকে থাইরয়েড হরোমন তৈরি হয়। এই হরমোন
---শরীরের সব রেচন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
-বাচ্চাদের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
- থাইরক্সিন(T-4) এবং ট্রাইআয়োডিথাইরোনিন (T-3) উৎপাদন করে।
- ক্যালসিয়াম ম্যাটাবলিজম (বিপাক) এ সাহায্য করে
- দেহ কোষে অক্সিজেন গ্রহন ও শক্তি উৎপাদন
-প্রোটিন সংশ্লেষন দ্রুত করে
- শর্করা ও স্নেহ জাতীয় পদার্থের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে।





থাইরয়েড-এর সমস্যা দুই ধরণের হয়। যখন থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে হরমোন নিঃসরণ কম হয় তখন তাকে হাইপো থাইরয়েডিজম বলে। হাইপো থাইরয়েডিজম হলে- ক্লান্ত লাগা, বিষণ্ণতা, ভুলে যাওয়া এবং ওজন বৃদ্ধি পাওয়া এই সমস্যা গুলো হয়ে থাকে।
যখন হরমোন নিঃসরণ অনেক বেশি হয় তখন তাকে হাইপার থাইরয়েডিজম বলে। এটা হলে- বিরক্ত লাগা, নার্ভাসনেস, মাংসপেশির দুর্বলতা, চোখের সমস্যা, ঘুমের সমস্যা ও অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া এই সমস্যাগুলো দেখা যায়।
বিভিন্ন কারণে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড এর সমস্যা হতে পারে। যেমন-
– আয়োডিন ও সেলেনিয়াম এর ঘাতটি
– খাদ্য এর অ্যালার্জি
– রেডিয়েশন ও ভারী ধাতুর বিষক্রিয়া
– হরমোনের অসামঞ্জস্যতা ইত্যাদি


সুস্থ থাইরয়েডের প্রধান উপাদান হচ্ছে আয়োডিন। থাইরয়েড হরমোন মেটাবলিজমের জন্যে আয়োডিন অতি প্রয়োজনীয় উপাদান।
যদি থাইরয়েড হরমোন যথেষ্ট না হয় তবে মানসিক বিকৃতি ঘটে, জন্মের সময় শিশুর ওজন কম থাকে, IQ লেভেল কমে যায়।

কিছু খাবার আছে যেগুলো থাইরয়েড কে আয়োডিন ব্যবহারে বাঁধা প্রদান করে যার ফলে থাইরয়েড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
যেমন : বাঁধাকপি, Spinach, canola oil. Broccoli, বাদাম, স্ট্রবেরি,
এসব খাবারে গয়ট্রোজেন ( goitre genie) নামের রাসায়নিক উপাদান থাকে যা থাইরয়েডের কাজে বাঁধা প্রদান করে। এগুলো কে এন্টি থাইরয়েড ফুডও বলা হয়ে থাকে।


কিন্তু ভয়ের কিছু নেই, যদি খাবার ঠিকমত তাপ দিয়ে রান্না করা হয় তবে গয়ট্রোজেনিক উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়াও যদি নিয়মিত আয়োডিন যুক্ত খাবার থাকে তবে নির্ভয়ে বাঁধাকপি, ব্রকলি,স্ট্রবেরি, বাদাম খাওয়া যায়।
থাইরয়েডের সমস্যা দূর করতে কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করা যায় -
-রান্নার জন্য এক্সট্রা ভার্জিন অর্গানিক নারিকেল তেল ব্যবহার করুন।
- আপেল সাইডার ভিনেগার
- ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন

-অনেক পানি পান করুন
-হাই ক্যালরি যুক্ত খাবার বর্জন করুন। ভাঁজা পোড়া খাবার কম খান
-বেশি করে খনিজ লবণ সমৃদ্ধ খাবার খান
-ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন
-কার্বোহাইড্রেট কম গ্রহণ করুন


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.