![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি লেখক শহরের কোলাহল ছেড়ে যতটুকু পারা যায় গ্রাম আর প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে চান। বিকেলে মাঠে ঘুড়ি উড়িয়ে শৈশবে ফিরে যাওয়া, সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁপোকার দল বুকে নিয়ে এক টুকরো নীরবতা খুঁজে পাওয়া — এ যেন তার নতুন জীবনের ছোট ছোট জয়। আজকের দুনিয়ার অস্থিরতা আর যুদ্ধের গন্ধের ভেতরেও তিনি স্বপ্ন দেখেন গ্রামের শান্ত আকাশ আর মাটির ঘ্রাণে ভিজে থাকার। শহরের ব্যস্ত দালান থেকে পালিয়ে মাটির কাছে ফেরার এ চেষ্টাই তার সবচেয়ে বড় আরাধ্য।
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ কেবল রাজনৈতিক লড়াই নয়—এটি আজ মুসলিম জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষার এক কঠিন লড়াই। যখন ইরান একা দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের মতো আগ্রাসী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে, তখন বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্র নিঃশব্দ দর্শক। কেন?
মুসলিম মানে কি শুধুই নাম?
আজ মুসলিম পরিচয় একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কি সত্যিই মুসলিম, নাকি শুধু পরিচয়ের খাতায় নামমাত্র? আমরা যদি মুসলিম হই, তাহলে কেন ইরানের পাশে দাঁড়াতে পারি না—শুধু এ জন্য যে তারা শিয়া?
শিয়া-সুন্নি বিভক্তি: সাম্রাজ্যবাদের কৌশল
ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে, মুসলিম জাহানের বিভক্তির মূল চক্রান্তকারীরা সব সময় পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা। তারা জানে, যদি মুসলিমরা এক হয়—শিয়া-সুন্নি বিভেদ ভুলে যায়, তাহলে দুনিয়ার কোনো সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তিই মুসলিমদের থামাতে পারবে না। ব্রিটিশরা “Divide and Rule” নীতি অনুসরণ করে ভারত বিভাজন করেছে, ফ্রান্স-আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যকে টুকরো টুকরো করেছে, আর আজ ইসরায়েল ও পশ্চিমারা শিয়া-সুন্নির মধ্যে ঘৃণা ছড়িয়ে মুসলিম উম্মাহকে দুর্বল করছে।
ইরান: একটি সাহসী মডেল
ইরান আজ শুধু একটি রাষ্ট্র নয়, একটি আদর্শ। রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু মুসলিম হিসেবে তারা যে আত্মমর্যাদা নিয়ে লড়ছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। শত্রুর মুখে দাঁড়িয়েও আয়াতুল্লাহ খামেনি যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন—তা আজ অনেক তথাকথিত ‘সহি মুসলিম’ রাষ্ট্র প্রধানদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, কীভাবে আদর্শে অটুট থেকে একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা যায়।
কে শিয়া, কে সুন্নি—তা বড় কথা নয়
আল্লাহ একটি কুরআন দিয়েছেন, একটি রাসুল পাঠিয়েছেন, এবং বলেছেন—“তোমরা সবাই এক উম্মাহ, আমারই বান্দা।”
তাহলে আমরা কেন নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হবো? যে যুদ্ধ আজ চলছে, তা মুসলিমদের বিরুদ্ধে—শিয়া বা সুন্নিদের বিরুদ্ধে নয়।
যদি আজ আমরা এক না হই, তাহলে একে একে সবাই মরুভূমিতে হারিয়ে যাবো—সৌদি আরব হোক বা বাংলাদেশ, পাকিস্তান হোক বা মিশর। সৌদি তো আগেই তার ইসলামী মর্যাদা হারিয়েছে—পর্যটন আর প্রমোদ নগরী বানিয়ে এখন তারা ইসলামের উৎসস্থলকে বদলে দিচ্ছে।
সমাধান কী?
১-শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব ভুলে একটাই পরিচয়ে ফিরে যাও—"আমরা মুসলিম"
২-রাজনৈতিক স্বার্থের আগে উম্মাহর স্বার্থ
৩-সম্মিলিত মিলিশিয়া গঠন, তথ্য-যুদ্ধ এবং কূটনৈতিক ঐক্য
৪-ইসলামী শিক্ষার মূলতত্ত্বে ফিরে যাওয়া—সত্য, ন্যায় ও নৈতিকতা
শেষ কথা:
এই যুদ্ধ একদিন শেষ হবে, কিন্তু মুসলিম উম্মাহর এই বিভক্তি যদি চলতেই থাকে, তাহলে আমরা হারাবো শুধু ভূখণ্ড নয়—আমরা হারাবো আত্মপরিচয়, আত্মসম্মান, এবং হারাবো সেই ঐক্য যা একদা উসমানীয় সাম্রাজ্যকে অপরাজেয় করেছিল।
আজ সময় এসেছে নিজেদের প্রশ্ন করার—আমি কি শুধু নামমাত্র মুসলিম, নাকি সত্যিকার অর্থে ঐ উম্মাহর একজন, যাদের আল্লাহ এক করেছে, কুরআন এক করেছে, রাসুল (সা.) এক করেছেন?
আপনার মতামত আমাদের দরকার—শিয়া-সুন্নি বিভাজন ভুলে এক উম্মাহ গঠনের পথ কি সম্ভব? আপনি কীভাবে দেখছেন এই যুদ্ধ এবং মুসলিম জাহানের ভবিষ্যৎ? মন্তব্যে জানিয়ে দিন।
২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২
সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এখানে বেশিরভাগ মানুষই ইসলামবিরোধী মানসিকতা পোষণ করে, তাই ইসলামের পজিটিভ কোনো কথা তাদের সহ্য হয় না—তারা ঘৃণা করে। এরা শুধু বিতর্ক ও বিষ ছড়াতে চায়। তাই এদের উপেক্ষা করাই ভালো।
আল্লাহ যেন তাদের হিদায়েত দেন।
২| ২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
ব্লগে গার্বেজ ছড়াতে থাকা বাজে কমেন্ট ব্লক করার পরামর্শ দিচ্ছি।
৩| ২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
@ফারমার২,
আপনি ব্যক্তি আক্রমনকে ডালভাত মনে করছেন। এই পোস্টেও আপনি ব্লগার সাফায়েতুল ইসলামকে আপত্তিকরভাবে ব্যক্তি আক্রমন করেছেন। আপনি যা করছেন তাকে কোনোভাবেই ব্লগিং বলা যায় না, আপনি ভয়ঙ্কর টাইপের অভদ্র আচরণ করছেন।
৪| ২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
@ফারমার২,
আপনাকে কোথাও গালি দেওয়া হয়নি। আপনি যা, সেটা বলার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। কিন্তু আপনি অধিকাংশ স্থানে সীমা লঙ্ঘন করেছেন। এখানেও আপনি আমাকে ১ পয়সার ব্লগিং করা ইসলামিক স্কলার বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন - যা স্পষ্টতই ব্যক্তি আক্রমনের পর্যায়ে পড়ে।
৫| ২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কৃষক কেন রেগে আগুন হলেন?
৬| ২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
@দেশ প্রেমিক বাঙালী,
উপরের কমেন্টগুলো পড়ে দেখেন, উহা ব্লগার সাফায়েতুল ইসলামকে আপত্তিকরভাবে ব্যক্তি আক্রমন করেছেন। এই বিষয়ে কথা বলার কারণে আমার উপরে হামলে পড়েছেন। আমাকেও ১ পয়সার ব্লগার বলে অপমান করার চেষ্টা করেছেন।
৭| ২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফারমার২@"প্রশ্নের মাধ্যমে ব্যক্তির এ রূপ লেখার অভিপ্রায় জানার চেষ্টা করেন দেখেন। এভাবে রাগারাগি করলে তো সবাই আপনাকে ভয় পাবে।"
৮| ২৫ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ফারমার২ বলেছেন: মানুষ গার্বেজ পড়ে শিষ্টাচার হয় না। নবীর মৃত্যুর পর মুসলমানেরা বিভক্ত হয়েছে; তেমনি মোসেস ও জিসাসের মৃত্যর পর ইহুদীরা ও খৃষ্টানরা বিভক্ত হয়েছে। কারণ, ধর্মে জ্ঞান নেই।
@ফারমার২,
আপনি যা জানেন না, যা বুঝেন না - তা নিয়ে কেন অনর্থক অপতথ্য ছড়াচ্ছেন? "ধর্মে জ্ঞান নেই" এইসব ফাউল জ্ঞান আপনাকে কে দিয়েছে? ধর্মের নামে এসব আবোল তাবোল মিথ্যাচার করার কারণে আপনাকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। আপনার লাজ-লজ্জা, হায়া-শরম বলতে কিছু থেকে থাকলে সামুতে লুকিয়ে লুকিয়ে এতবার আইডি খুলে অপতথ্য ছড়াতেন বলে মনে করি না।
আপনি যেভাবে ব্লগারদের গায়ে পড়ে ঝগড়া করছেন, ব্লগারদের অপমান অপদস্ত করছেন, যাকে তাকে প্রশ্নফাঁস জেনারেশন বলছেন, গার্বেজ, লিলিপুটিয়ান ইত্যাদি বাজে বিশেষনে ব্লগারদের বিশেষায়িত করছেন; এগুলো কেবল অকাট, আগাছা, বেজন্মা, বেহায়াদের পক্ষেই করা সম্ভব। কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে এগুলো করা শোভনীয় নয়।
পুনশ্চঃ এখানে আপনাকে কোনো গালি গালাজ করা হয়নি। এই কমেন্ট দেখে আবার মিছেমিছি হাউকাউ করে গালির অভিযোগ না তুলতে অনুরোধ করছি।
৯| ২৫ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
@ফারমার২,
ধর্মের সঠিক জ্ঞান ও প্রয়োগ উন্নয়নে বাধা নয় - এই সাধারণ বিষয়টা বুঝার মত জ্ঞান আপনার নেই বলেই ধর্মের পেছনে সবসময় হাউকাউ করেন।
আর, ইসলামী দেশগুলোর পিছিয়ে পড়ার কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, শিক্ষার অভাব ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা। অপরদিকে, ধর্মনিরপেক্ষ দেশগুলোর সাফল্য সুশাসন ও শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল। সঠিকভাবে কোনো কিছু বুঝতে না পারার কারণে ডাল চালে খিচুড়ি বানানো আপনার পুরনো রোগ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ব্যক্তিগত আক্রমনের মত ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।