নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেখানে আমরা রোহিঙ্গাদের কাছে হেরে যাই...

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯


অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সাথে সামাজিক-পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করার কোন সম্পর্ক আছে কি না, সেটা সমাজবিজ্ঞানী বা নৃবিজ্ঞানীদের ভালো জানার কথা। খোলা চোখে আমরা দেখি উন্নত দেশগুলোতেই নিউক্লিয়াস ফ্যামিলি, ওল্ডহোমের মত ধারণা সৃষ্টি হয় এবং বাস্তবে তার ব্যাপক অনুশীলনও হয়। বিপরীতে দরিদ্র দেশগুলোর সামাজিক ব্যবস্থায় যৌথ পরিবার ব্যবস্থা প্রবল। এই পারিবারিক ব্যবস্থা টিকে থাকার পেছনে ধর্মের একটা জোরালো ভুমিকা নিশ্চয় থেকে থাকবে। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না বলে ইসলামে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ধর্মেও নিশ্চয় একই ধরণের বক্তব্য আছে।

পত্রিকায় একটা খবর দেখলাম, তিন ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা, এক মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা, তবুও বৃদ্ধা মাকে ভিক্ষা করে জীবনযাপন করতে হচ্ছে!!! মানুষ হিসেবে এর চেয়ে দুঃখের, কষ্টের, গ্লানীর আর কিছুই হতে পারে না। পত্রিকায় ওই মায়ের ছবি দেখে চোখে পানি ধরে রাখা কষ্টকর। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরণের খবর একদমই বিরল নয় বরং আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনকে দিন।

অন্যদিকে, মায়ানমারে গণহত্যার স্বীকার হওয়া রোহিঙ্গারা যখন প্রাণভয়ে পালিয়ে দলে দলে বাংলাদেশে আসছে, সেই সব ছবিও বিস্তর প্রকাশিত হচ্ছে পত্রপত্রিকায়। বাংলাদেশের ওই মায়ের পাশাপাশি রোহিঙ্গা মায়েদের-বৃদ্ধ বাবাদের ছবিও আমরা দেখছি। এই জীবন মরণ সমস্যার সময়েও কিশোর, যুবক, পৌঢ় রোহিঙ্গা ছেলেরা বৃদ্ধ বাবা-মাকে পিঠে কাঁধে চড়িয়ে, মাথায় তুলে, টুকরিতে বা চেয়ারে বসিয়ে মাইলের পর মাইল হেটে বাংলাদেশে আসছে।

ওদের কিসের এত জোর, আর আমাদের খামতিটা কিসে? ব্লগের ‘লিভিং লেজেন্ড’ চাঁদগাজী এবং আরো অনেকে রোহিঙ্গাসংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্টে বা মন্তব্যে রোহিঙ্গাদেরকে শিক্ষাহীন, দরিদ্র, ধর্মপরায়ন এবং যুগ যুগ ধরে অসভ্য হিসেবে কটাক্ষ করেছেন দেখছি। অনেকে আবার মুক্তিযুদ্ধের সময়ে রোহিঙ্গারা আমাদের সাথে কি কি অন্যায় করেছেন, সেগুলোও খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছেন দেখেছি। কিন্তু উন্নত দেশের ইষদুঞ্চ কামরায় বসে প্রতিনিয়ত ধর্মহীন ও জাগতিক হওয়ার দীক্ষা দেওয়া চাঁদগাজী বা তার মত যারা, তাঁরা কি ভেবে দেখেছেন জাগতিক মোহে অন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিনতি কি? ধরতে পারছেন অশিক্ষিত, দরিদ্র আর ধর্মপরায়ন অসভ্য রোহিঙ্গাদের সাথে শিক্ষিত, ধর্মনিরেপেক্ষ এবং নব্য পুঁজিবাদি আমাদের পার্থক্যগুলো কোথায়?

ঠিক এই যায়গাটাতে আমরা ক্রমেই হেরে যাচ্ছি রোহিঙ্গাদের মত অশিক্ষিতদের কাছে। আমাদের প্রগতি আমাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে অস্বীকার করতে শিখাচ্ছে। আমাদের মূল্যবোধগুলোকে গিলে খাচ্ছে। বুঝতেও পারছি না যে, আজকের শক্তিশালী যুবক আমাকেও একদিন বৃদ্ধ হতে হবে।

আমরা রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করেছি। অসংখ্য বাংলাদেশি নিঃস্বার্থভাবে সাহায্যও করছি। তবুও ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের মত অনেক বাংলাদেশিই এখনও সহযোগিতায় স্বার্থহীন হতে পারিনি। একটা নিউজ দেখলাম, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে স্থানীয় এমপি ইয়াবা বদির নেতৃত্বে একটা সিন্ডিকেট রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে অত্যন্ত কম মূল্যে তাঁদের মূল্যবান অলংকার কিনে নিচ্ছে। একইভাবে মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে প্রচন্ডভাবে ঠকানো হচ্ছে রোহিঙ্গাদের।

আমাদের অতিশিক্ষা এইসবই শেখাচ্ছে আমাদেরকে। নিতান্তই দুর্ভাগ্য আমাদের। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিকে যথাসময়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সত্যিকার মানবিকতা দেখানোর যে সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম, যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রস্তাব দিয়ে প্রথমেই আমরা সেটা হারিয়েছি। এভাবে অমানবিকতার প্রাতিষ্ঠানিকরণ, রাষ্ট্রীয়করণের মাধ্যমে আমরা এখন নোবেল পাওয়ার লোভে উদগ্রীব হয়ে আছি।

যখন আমরা ক্রমেই একটা অমানবিক সমাজের দিকে ধাবিত হচ্ছি, সেই একই সময়ে, এই দুঃসহ সময়েও রোহিঙ্গারা মানবিকতার চুড়ান্ত উদাহরণ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। মৃত্যুবরণ করেও ওরা তাই জিতে যাচ্ছে আর নিরাপদে নির্বিঘ্নে বেঁচেও আমরা হেরে যাচ্ছি।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

ওমেরা বলেছেন: ১০০ % সহমত আপনার লিখার সাথে ।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল মন্দ সব জায়গাতেই আছে।
তবে এটা সত্য আমাদের সামাজিক অবক্ষয় দিন দিন বাড়ছে।
ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: :(






ভালো থাকুন নিরন্তর।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

কুকরা বলেছেন: প্লাস

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অনেক সুন্দরভাবে যুক্তিসহ উপস্থাপন করেছেন বিষয়টি। ভাল লাগলো।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

পিয়াস মাহমুদ জিসান বলেছেন: পশ্চিমা অনুকরণ করতে গিয়ে আমরা লেজকাটা শিয়ালে পরিনত হচ্ছি, আর মানবতা? সে কেবল বক্তৃতা, ভাষণ আর সেমিনারে, দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা মানবতার শিক্ষা দেয় না, সুযোগ থাকে না, ফুঁটা কলসি থেকে জলপান করার আশা করছি রোজ।


ধর্ম এবং পরিবার থেকে যে যত দূরে, তার মূল্যবোধ, বিবেক তত নীচ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: আসলেই তাই, মানবতা এখন শুধু ভাষণ বক্তৃতা আর সেমিনারে। দেখেন না আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যগুলো কত সুন্দর! অথচ বাস্তবে একেকজনের আচরণ খবিশের মত।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

রুহুল আমিন খান বলেছেন:
লগের ‘লিভিং লেজেন্ড’ চাঁদগাজী এবং আরো অনেকে রোহিঙ্গাসংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্টে বা মন্তব্যে রোহিঙ্গাদেরকে শিক্ষাহীন, দরিদ্র, ধর্মপরায়ন এবং যুগ যুগ ধরে অসভ্য হিসেবে কটাক্ষ করেছেন দেখছ........

রোহিঙ্গাদের ইতিহাস যারা জানে না তারাই এই রকম মোটা দাগে আবাল উক্তি করে থাকে।
মায়ানমারের সামরিক ক্যু হবার আগে দেশটার রাজনীতি অর্থনীতি ও বুদ্ধিজীবি সমাজে এই রোহিঙ্গাদের ভালোই কন্ট্রিবিউশন ছিলো।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: কন্ট্রিবিউশনগুলো এখন আমরা দেখছি। পত্রিকার মাধ্যমে প্রমাণণসহ জানছি। মাসখানেক পুরোনো পোস্ট দেখুন, রোহিঙ্গাদেরকে কটাক্ষ্ণ করে কিভাবে আমরা লিখেছি...

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মা'য়ের সন্তানেরা কখনো
মা'য়ের অবহেলা করতে
পারেনা।

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের দেশে।
ভালোমন্দ নিয়েই মানুষ, সেটা জাতি, ধর্ম, বর্ণ কিংবা দেশ।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

পলাতক মুর্গ বলেছেন: পোষ্টের বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা করতে যেয়ে কবি জসিমুদ্দিনের "কবর" কবিতার কথা মনে পড়ল

......জসীমউদ্দিন
এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা।
...............

বস্তুবাদি, কঠোর প্রকৃতির দুনিয়াদার, হার্ডকোর ক্যারিয়ারিষ্ট, নফসের গোলামদের জন্য এই কবিতাটা কোন অর্থ বহন করে না। মানব জাতিকে আল্লাহতায়ালা যেই অরিজিন্যাল ডিজাইনের উপর তৈরী করেছেন, সেখানে যুক্তির চেয়ে আবেগের দখল কিন্তু কম না। দুনিয়ার কুকুররা সবকিছু হার্ডক্যাশ চটকিয়ে হিসাব করতে করতে পশুরচেয়েও নিম্নস্তরের নেমে যায়।

এই পশুরচেয়ে নিম্নস্তরের জন্তুগুলোর জন্য জাহান্নামের কঠোর আগুনই সম্ভবত একমাত্র পরিনতি।

Indeed, the worst of living creatures in the sight of Allah are those who have disbelieved, and they will not [ever] believe - ৮:৫৫

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমরা ক্রমেই বস্তবাদি হয়ে যাচ্ছি। সাথে সাথে হারাচ্ছি নীতি নৈতিকতা, মানবিকতা আর সদগুণাবলী

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: এটাই হচ্ছে বাস্তবে। দরিদ্ররা বেঁচে থাকার জন্য একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়। অন্যদিকে পরিবার গুলো ধনী হলে ভাংগন হয়ে যায়। সে খানে কেউ কারো নেতাগিরি মানেনা। যেমন বউ -শাশুড়ি।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: তাহলে আর ধনী হয়ে মানবতার কি উদ্ধার টা হলো...

১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

সেয়ানা পাগল বলেছেন: লেখক কি বোজাতে চেয়েছেন বুজলাম না? সব সমাজে এরকম ভালো খারাপ আছে।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ কেউ পরান বাঁচাতে পালিয়ে এসেছে নিজের শিশু সন্তান, স্ত্রী ও বাবা- মা কে মিয়ানমার এ ফেলে। এবার কেউ যদি তার ছবি দিয়ে বাংলাদেশে কারও বিপরীত একটা ছবি দিয়ে তুলনা করে - তাহলে বাস্তবিকতা অতি সরলীকরণ হয়ে যায়।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: বোঝাতে চাইলাম, 'প্রাণ বাঁচানো ফরজ' এ রকম মুহূর্তেও অশিক্ষিত অসভ্য রোহিঙ্গারা নিজের পিতা-মাতাকে ফেলে আসার মত সভ্যতাগিরী দেখাইতে পারে নাই, যেইডা আমরা শান্তিময় পরিবেশে অহরহ করে থাকি। এবং এই প্রবণতা দিনকে দিন বাড়ছে।
আমার সন্দেহ যে, যদি আমরা, বাংলাদেশিরা এই সময়ে রোহিঙ্গাদের মত অবস্থায় পড়ি, হয়তো বেশিরভাগ মানুষই বৃদ্ধদের নেয়ার রিস্ক নিতাম না, পিঠে বয়ে নেয়ারতো প্রশ্নই আসে না।

হ্যাঁ, আপনার কথাও ঠিক যে একটা দুইটা উদাহরণ তুলনা করার জন্য যথেষ্ট না। তবে আপনি যদি পরিস্থিতি বিবেচনা করেন, তাহলে একটা ছবিই যথেষ্ঠ।

১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: ব্লগের ‘লিভিং লেজেন্ড’ চাঁদগাজী একজন ভ্রান্ত মানুষ। স্ববিরোধী লেখায় পটু তিনি। ‍এমন ভাব ধরে যে সে সবজান্তা শমসের। ‍এদের কথা বাদ দেন। রোহিঙ্গাদের ‍এ ‍আচরণ থেকেও ‍আমরা শিক্ষা নিতে পারি। ধন্যবাদ...।

১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মানুষ হতে হলে আগেতো মানুষ হয়ে জন্ম নিতে হবে | আমাদের দেশের যে সব পুলিশ বরপুত্রের কথা বলেছেন (আর অন্য যাদের কীর্তি কাহিনী বলেন নি) এরাতো আকার আকৃতিতেই শুধু মানুষ অন্য কোনো ভাবেই নয় | এদের থেকে মানুষের আচরণ আশা করাটাই বোকামি |

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: খুবই সুন্দর এবং সত্যি কথাটা বলেছেন। এরাতো আকার আকৃতিতেই শুধু মানুষ অন্য কোনো ভাবেই নয়।

১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমি খুবই সাধারণ ব্লগার, লিজেন্ড ফিজেন্ড কিছুই নই; আমাকে অনেক ব্লগার ঠেংগানোর উপর রেখেছেন।

আমি রোহিংগাদের সাহায্যের পক্ষের লোক; শিক্ষাহীনতা মানুষকে কি বিপদে ফেলতে পারে, রোহিংগাদেরকে সেটার জীবন্ত উদাহরণ হিসেবে দেখানোর চেস্টা করেছি মাত্র, যা এখনো চলমান জীবন্ত ঘটনা।
রোহিংগাদেরকে স্কুল ও কলেজ থেকে বন্চিত করার পর, মক্তব ও মসজিদ খোলা ছিল; কিন্তু মক্তব ও মসজিদ আজকের রোহিংগাদের সাহায্য করতে সক্ষম হয়নি।

১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি পুলিশদের মায়ের দুরাবস্হার ছবি দিয়েছেন; বাংলাদেশের পুলিশের চাকুরীটা মোটামুটি চাকুরী-প্রাপ্ত ব্যক্তিটির জন্য, ও পুরো জাতির জন্য অভিশাপের কাছাকাছি।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার এই বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত।

আরেকটা কথা। সাধারণত প্্িরন্ট মিডিয়ায় কোন শব্দকে যখন ইনভার্টেড কমার ভেতরে দেওয়া হয়, তখন তার অন্যরকম মানে থাকে। B-)

১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

কানিজ রিনা বলেছেন: অশিক্ষিত মানুরাই বাবা মা কে বেশী শ্রদ্ধা
করে, ধর্মীয় নিয়ম নীতিও ভয় করে চলে।
অথচ আমদের দেশে যত শিক্ষিত হচ্ছে
অমানবিক বেশী হচ্ছে নিয়ম নীতির উর্ধে
চলে যাচ্ছে। আপনার অসাধারন লেখা
অসংখ্য ধন্যবাদ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। এখন শি¶া যদি আমাদেরকে হৃদয়হীন, অমানবিক হতে শেখায়, তবে সেই শি¶াব্যবস্থা সম্পর্কেও পুনর্বিবেচনা করা দরকার।

১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: কোন মানুষই ১০০% খারাপ হয়না। সমাজের চরম খারাপ মানুষটার মধ্যেও ভাল কিছুনা কিছু থাকে। কথাটা পোস্টের প্রসঙ্গে না, চাঁদগাজীর প্রসঙ্গে বললাম।

পোস্টে বিষয়বস্তুর সাথে সহমত।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, শতভাগ খারাপ কোন কিছুই হয় না। তাওইজমের যে ধর্মীয় সিম্বল, সেখানেই দেখানো হয়েছে যে সব খারাপের মধ্যেও একটু ভালো আছে, আবার সব ভালোর মধ্যেও একটু মন্দ আছে।.... কিন্তু আমাদের মৌনতাবাদীরা দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া এবং নির্বান লাভের জন্য মায়ানমারে যা শুর“ করেছে, তার মধ্যে তো সামান্য কোন ভালো আছে বলে মনে হচ্ছে না।

১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭

জুন বলেছেন: আমাদের মনুষত্যববোধ ধীরে ধীরে কমে আসছে পদ্মপুকুর । এসব শিখছি আমাদের বৃহত্তম প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে ভালো কিছু না শিখে। আনন্দবাজার পত্রিকা খুললেই আপনার নজরে পরবে কি করে সম্পত্তির জন্য বাবা মাকে নৃশংস ভাবে ফেলে যাচ্ছে বা খুন করছে ।
রোহিংগারা এখোনো এত অমানবিক হয়ে যায়নি এখোনো ।
লেখায় প্লাস

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: পার্শ্ববর্তী দেশের চেয়েও ক্ষতিকর আমাদের অতি প্রগতিশীল হতে চাওয়া মানুষেরা। যেমনটা আমি আগেই বলেছি যে এই ব¬গেই অনেকে এই সব দুর্গত শরণার্থীদেরকে বিভিন্নভাবে বিপর্যস্ত করা লেখা দিয়েছে। তবে মনে হচ্ছে ওদের কাছ থেকেই আমাদের নতুন করে মানবিকতার পাঠ নিতে হবে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব হতাশ হয়ে পড়ি যখন এরকম দেখি। অথচ আমরা ছোট বেলায় দেখেছি, মানুষ কত সহনশীল, সহয়তাপ্রবণ ছিল। মনে আছে, একবার আমি আমার ইমিডিয়েট বড় বোনটাকে সাথে নিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলাম। বয়স তখন ছয় সাত হবে। খেলতে খেলতে হাটতে হাটতে বাড়ি থেকে অনেক দুরে অচেনা এলাকায় চলে গিয়েছিলাম। এক মহিলা, যিনি বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে গাছের ছাঁয়ায় বসে ছিলেন, আমাদের দেখে উনার সন্দেহ হয়। আমাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন কোথায় বাসা, কোথায় যাচ্ছি ইত্যাদি। এরপর সব শুনে নিজের ছেলে বা ভাই একজনকে ডেকে আমাদের দুজনকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসতে বললেন... আরেকটা ঘটনা আমি আগের পোস্টেই লিখেছি।

অথচ এখন সব কেমন যেন খটোমটো হয়ে যাচ্ছে। মানুষগুলো সব অস্থির, ব্যস্ত আর স্বার্থপর। আমাদের শিক্ষা আমাদের অমানবিক করে দিচ্ছে।

২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের দেশের এতিম অসহায় গরীব পিতা
মাতার ছেলে মেয়েরাই মাদ্রাসায় পড়ে ধর্মীয়
ন্যায় মুল্য বোধ টুকুই শেখে এরা এই শিক্ষা
নিয়ে কোনও উচ্চপদস্ত কোনও চাকরী পায়না।
বড় জোর মসজিদের ইমাম স্কুল কলেজ
ইসলামী শিক্ষক। তথাপি আরসবই থেকে
যায় নুন আনতে পানতা ফুরান আয় রুজি।
রহিঙ্গারা সরকারী সকল সুবিধা থেকে
বঞ্চিত লাঞ্চিত নিপিরীত এক জন গোষ্ঠি।
ওদের পুরুষদের করুন চেহারা দেখলেই
বুঝা যায়।
সত্যি দশ বারো দিন পায়ে হেটে মা বাবাকে
কাঁদে করে আনা কাঁদের ঘা দেখলে বুঝা
যায় কত আদর্শ শিখলে এই আদর্শ থাকে।
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন আপনার
লেখায়। অথচ অসভ্য বর্বর ইতর ভিক্ষুদের
পাশা পাশি বাস করেও রহিঙ্গার ভিক্ষুদের
মত বর্বর হতে পারে নাই। ধন্যবাদ

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে। দরিদ্রতা একটা কারণ বটে, তবে ধর্মীয় মূল্যবোধই মানবিকতাকে উন্নত রাখতে উৎসাহ দেয়।
কেউ আবার আইএস এর সাথে ধর্মকে মিলিয়ে ফেলবেন না দয়া করে।

২১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ চাঁদগাজী কাহু ! প্যালেস্টাইনে টোটাল অ্যাডাল্ট লিটারেসি রেট দেহা যায় ৯৫.৩% . তাহা হইলে তাহাদের এই দুর্গতি কেন ? রোহিঙ্গারা শিক্ষিত হইলে কি এমন হইতো ! আসল কথা কহিতেছেন না কেন ? তাহারা মুসলমান না হইলে পূর্ব তিমুর হইয়া যাইতো ! যতদোষ মুসলমান ঘোষ !

২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আমি লেখকের সাথে সম্পূর্ণ একমত। আর আমি ব্লগে নতুন তাই কারো সাথে বিতর্কে জড়াতে চাই না। তবুও না বলে আর থাকতে পারলাম না। ট্রাক্টরের মালিক যে শিক্ষা নিয়ে এত বড় বড় বুলি কপচান সেই শিক্ষাই যদি কারো ভেতর মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে না পারে তাহলে সেই শিক্ষার দামটা কী? কথায় আছে দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।

২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:০৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: @ টারজান০০০০৭ : টারজানের উউ...উউউ...উউউউ সেই তীক্ষ চিৎকার আর বন্ডের ওয়েলথার পিপিকে-র ঠাস ঠাস শব্দ এক সাথে শুনতে পেলাম যেন আপনার মন্তব্যে | একমত | রোহিঙ্গাদের অনুন্নতির একটা বড় কারণ হলো বার্মার সবসময়ের শাসক গোষ্ঠীই মোটামুটি এদের সাথে চরম হিংসাত্মক আচরণ করেছে | কিছু মানুষ এটা বলা শুরু করেছে যে রোহিঙ্গারা এটা করে নি সেটা করেনি |আসলে তাদের কিছু করার সুযোগ ছিল সবসময়ই কম জিওগ্রাফিক্যাল কারণেই | শাসক গোষ্ঠী হিংসাত্মক হলে কি হয় সেটা বোঝার জন্য আমাদের এই বোদ্ধারা ল্যাটিন আমেরিকার দিকে কেন যে তাকায় না ! এজটেক, ইনকা,মায়াদের মতো বড় আর বিখ্যাত সভ্যতা থাকার পরও প্রায় পুরো মহাদেশ এখন স্প্যানিশে কথা বলে ! স্প্যানিশ কলোনিয়াল রুলাররা সব কিছু ধ্বংস করে ল্যাটিন আমেরিকাকে শাসন করতে তাদের মতো করে বানাতে চেয়েছে | তার ফলাফল হলো এই এক ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলা সারা কন্টিনেন্টের (ব্রাজিল শুধু পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলে ওখানে) | একটা চরম হিংসাত্মক শাসনে কখনো সভ্যতা বিকাশ পেতে পারেনা বিশেষ করে জিওগ্রাফিক্যাল ডিজডভান্টেজ যদি থাকে |

২৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: নৈতিকতার অবক্ষয়ের দরুণ এরুপ ঘটনা ঘটছে।

২৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.