নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিথি এখন অস্ট্রেলিয়ায় থাকে

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২১


ইদানিং সিটি কর্পোরেশন রাজধানীর হোর্ডিং বোর্ডগুলো নামিয়ে নিয়েছে। মারিয়া নূরকে তাই এখন আর দেখতে পাই না।
আড়ংয়ের পাশ দিয়ে হাতিরঝিল থেকে গুলশান রোডে নামার সাথে সাথেই দেখতে পেতাম ড. ফজলে রাব্বী পার্কের দখিন কোণে বিশাল এক হোর্ডিং বোর্ডে মারিয়া নূর বসে রয়েছে কেতাদুরস্ত সাজে।

নিকেতনের গেটে ঝাঁ চকচকে রাস্তায় আমি যখন বাইকে বসে চৈত্র বোশেখের রোদে দরদর ঘামতে থাকি, তখনও মারিয়া নূর ওই বিলবোর্ডে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে থাকে মুখে স্মিত হাসি নিয়ে।
প্রখর রোদে পুড়ে, তুমুল বৃষ্টিতে ভিজেও মারিয়া নূর কখনও মলিন হয় না।
এমনকি ওই হোর্ডিং বোর্ডের উপরে কাকেরা যখন কর্পোরেট সভা বসায় আর বিষ্ঠার আবরণে কিঞ্চিত ঢেকে যায় পিভিসি ব্যানার, তখনও মারিয়া থাকে আগের মতই।
দুপুরের গণগণে রোদে পথচলতি যুবকেরা এই স্নিগ্ধ মারিয়াকে দেখে ক্রাশ খায় দলে দলে।

মারিয়া নূর যে বিলবোর্ডের উপরতলায় নির্বিঘ্নে নির্ভাবনায় থেকে যায় শীত গ্রীষ্ম বর্ষায়, সেই বিলবোর্ডেরই নিচতলায় চলে জীবনের নিরন্তর সংগ্রাম। ঠিক যেমন আমাদের সমাজে চলে নীচু আর উঁচুর দরদাম।
পিঠে বস্তা নিয়ে শৈশব চুরি হয়ে যাওয়া শিশুরা ওই বিলবোর্ডেরই নিচে আবর্জনার স্তুপে খুঁজে ফেরে বেঁচে থাকার অবলম্বন। শ্রেণিবৈষম্যের এই পরম্পরা হয়ত আগামী শতবর্ষেও একই থাকবে।
একইভাবে চলতে থাকবে এই দ্বৈরথ। দুই শ্রেণির চিন্তাভাবনাও থাকবে একই।

অফিসে আমার নেক্সট ডোর নেইবার ছিল মারিয়া নূর প্রজাতির এক মেয়ে। তিথি নাম। একদিন হঠাৎ বললো, ওরা অস্ট্রেলিয়ায় সেটল্ড হবে। আমি একটুও অবাক হইনি।
সমাজের যে শ্রেণিকে তিথিরা বিলং করে, সে শ্রেণির লোকেরাই সাধারণত কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেটল্ড হতে চায়।
বাবা এবং স্বামীর তরফে ঢাকা শহরে দুই তিনটি বাড়ির মালিক হওয়ার পরও দেশ ছাড়ার প্রণোদনা এদের অফুরন্ত।

বরং আমি অবাক হয়েছিলাম যখন তিথি আমাদের অফিসে এসে জয়েন করলো।
এ রকম নয়টা পাঁচটার ধরাবাঁধা ম্যাড়মেড়ে জীবনে ওদের মানায় না।
তিথির ভেতরে আলাদা একটা জেল্লাদার ভাব ছিল। ডাকবুকো চলাফেরা আর কথাবার্তায় বোঝা যেত যে সে আমাদের প্রজাতির না, মারিয়া নূর প্রজাতির।
তিথি প্রিভিলেজড অফিসার হিসেবেই এখানে ছিল, যতদিন সে ছিল। তারপর অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেল স্বপরিবারে।
এই পোড়া দেশের জরা-দুঃখ-ক্লান্তিকে অতীত করে আরো সুখের সন্ধানে। দেখে দেখে মনে হয়, এ দেশের জল হাওয়ায় বড় হয়েও অনেকেই এ দেশের হতে পারেনা, ওরা থাকে অস্ট্রেলিয়ায় আর এ দেশের বিলবোর্ডগুলোয়।

তিথি তাই এখন সিডনি অপেরার সামনে দাড়িয়ে ছবির জন্য পোজ দেয়।



**ছবিসূত্র: ইন্টারনেট

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: থ্যাঙ্কু। একজন দায়িত্বশীলের কাজ করেছেন স্যার।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: মশা মারতে যে দেশে কামান দাগানো হয় সে দেশ না ছেড়ে উপায় কি? দেখুন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মশা মারতে কামান দাগানোর রোহমর্শক ভিডিও।https://www.facebook.com/monir.millat/videos/10208594909108961/?t=6

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপ্নের লিংকুতে ক্লিকাইলাম, ব্যাফক আয়োজন, ইম্প্রেস্ড!! মাগার, ব্যাবাক দেখি অহন ফগার মেশিনেই ভর্সা কর্তাছে। :P

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

মিরোরডডল বলেছেন: আপনার অন্যান্য লেখার সঙ্গে এই লেখা মেলে না
এটা সামান্য অযৌক্তিক

In general আপনি একটি গ্রুপ সম্পর্কে কথা বলছেন
but there are exceptions
different people different story you know
hope you don't mind what I said

keep up your good writing!!

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: না, কেন মাইন্ড করবো? বরং আমার একজন নিবিড় পাঠক আছে দেখে ভালো লাগছে।

তবে যেটা আপনি বলেছেন, সেটা শতভাগ ঠিক। এই লেখাটা কিছুটা এক্সপেরিমেন্টাল। যদি এক্সপেরিমেন্টটা সফল হয়, আশা করছি কালকে নাগাদ বলতে পারবো, আপনাকে জানাবো তখন।

আনটিল দেন, ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

করুণাধারা বলেছেন: বাস্তবের ছবি। লেখাটা পড়তে ভালো লাগলো।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার মন্তব্যটাও ভালো লাগলো।

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

করুণাধারা বলেছেন: বাস্তবের ছবি। লেখাটা পড়তে ভালো লাগলো।

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দেশের যে অবস্থা তাতে করে এদেশে থাকতে ভরসা কেউই পাবে না।মানুষের আর আগের মত দেশের প্রতি টান নেই।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: সত্যি কথাই বলেছেন। যে নির্মোঘ টানে একদা এ দেশের মানুষ নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে পেরেছিল, তারাই এখন জীবন বাঁচাতে দেশ ছাড়তে উম্মুখ।

৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: লেখাটা একপ্রকার ভাল লাগলো।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: কি প্রকার ভাইডি?

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ছবির মানুষের সাথে বাস্তব মানুষের তুলনা।

এক জীবনে কত রকমের রং যে মিশে যায়............................

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আসলে এ রকম তুলনা আর প্রতিতুলনার মধ্য দিয়েই তো জীবনটা এগিয়ে যায়। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে যে রং মিশে থাকে, একেকজন সেটা একেকভাবে দেখে। দেখার ভিন্নতার কারণেই তো সাহিত্য সৃষ্টি হয়, না হলে সব কিছুই বিজ্ঞান হয়ে যেত।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

*** হিমুরাইজ *** বলেছেন: এদেশের রাজনৈতিক দল গুলোই দেশটাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে বড় ভুমিকা পালন করছে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

পদ্মপুকুর বলেছেন: রাজনীতির নামেই দেশটা ধ্বংস হলো। সাধে কি আর কামরুল হাসান একেছিলেন- দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার খপ্পরে...
তারপরও কি আর করবেন বলুন, দিনশেষে দেশটাতো আমাদেরই।

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ বিভিন্ন কারণে বিদেশে চলে যায়; এখন সুযোগ পেলে, দেশের অর্ধেকের বেশী মানুষ পালিয়ে যাবে; মানুষ নিজের দেশকে নিজেই ভয় পায়

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন, মানুস নিজের দেশকেই এখন ভয় পায়।

১১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: তিথিকে মেইল করেন- আপনি তাকে ভালোবাসেন। বিয়ে করতে চান।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার :-B একাধিক বিয়ের কোন সাধ নাইরে ভাই!

১২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: যাদের সুযোগ আছে তাদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াই উচিত।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: নন্দলাল তো একদা একটা করিল ভীষণ পণ -
স্বদেশের তরে, যা করেই হোক, রাখিবেই সে জীবন।
সকলে বলিল, 'আ-হা-হা কর কি, কর কি, নন্দলাল?'
নন্দ বলিল, 'বসিয়া বসিয়া রহিব কি চিরকাল?
আমি না করিলে কে করিবে আর উদ্ধার এই দেশ?'
তখন সকলে বলিল- 'বাহবা বাহবা বাহবা বেশ।'

সবাই যদি যায়, তবে এই অভাগা দেশের কি হইবে ভ্রাতা?

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: লিখাটি অনেক ভালো লাগলো। যারা দেশে আছেন তারা ভাবছেন দেশ ছেড়ে চলে যাবেন আর বিদেশে আছেন তারেদ স্বপ্ন কবে দেশে গেয়ে সেটেল হবেন। পরের দেশে কোন মজা নাই। নিজের দেশের সুখ; কলাপাতায় লাল চাউলের ভাতে শুকনো মরিচ ভাটা তাতেও যে অমৃতমতন ভোজন হবে পরদেশে ঘীভাতেও তাতে তুষ্ট হবে না হৃদয়।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

পদ্মপুকুর বলেছেন: এটাই তো একটা গ্রেট প্যারাডক্স

১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রিভিলেজড অফিসার!


তবে তিথি মারিয়া নূর প্রজাতির মেয়ে মনে হচ্ছে না।
মালিক পক্ষের বা উর্ধতন কারো দ্বারা আরোপিত।
যে কোন বড় কর্পোরেট অফিসে দুইএকটা তিথি পাবেনই।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, প্রিভিলেইজড অফিসার পাওয়া যাবে না এমন কোনো অফিস এ দেশে নেই। এরা অনেক সময় আরোপিত, অনেক সময় স্বতস্ফূর্ত।

১৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

সোহানী বলেছেন: ওয়েল প্রসঙ্গ যখন তুলেছেন তখন কিছুটা আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু কথা বলি!!!!!

ধরুন তিথি প্রিভিলেজড অফিসার নয়। আপনার আমার মতো সাধারন অফিসার।এখন সে একটা প্রোজেক্ট প্রপোজাল সাবমিট করলো এবং তার প্রপোজাল বেস্ট ওয়ান। বিশেষ করে দেশের সাধারন মানুষের কথা ভেবে এবং প্রোজেক্ট এর দিক থেকে বেস্ট ওয়ান। অপর দিকে আরেকজন পুরুষ সহকর্মী যে তার চেয়ে নীচের পোস্টে সে সেইম প্রোজেক্টর জন্য প্রপোজাল সাবমিট করলো। কিন্তু সে তার প্রপোজালে তার বসদের জন্য দুইবার বছরে বিদেশ ট্যুর রাখলো, যে প্রকিউরমেন্ট আছে তা আবার কেনার প্রপোজাল দিল ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং দেখা গেল তার বস পুরুষ সহকর্মী প্রোজেক্ট প্রপোজাল এ্যাক্সেপ্ট করলো তারটা নয়।

ওয়েল আরো আছে, প্রকিউরমেন্ট কেনা কাটায় রুল অনুযায়ী তাকে মেম্বার করার কথা কিন্তু যেহেতু সে সৎ তাই তার অধীনে থাকা সত্বেও পুরুষ সহকর্মীটিকে মেম্বার করা হলো। এবং ওষুধের পরবির্তে পানি সাপ্লাই দিল.... দেশের রোগী সব মরে ভুত হয়ে গেল!!!

সেটাই শেষ না। যদি ধরেন প্রকিউরমেন্ট কেনা কাটায় রুল অনুযায়ী তাকে মেম্বার করা হলো। এবং দেখা গেল সৎভাবে যে সর্বনিম্ন প্রপোজাল সাবমিট কোম্পানীকে এ্যাওয়ার্ড দিল। এবং যথারীতি পার্টিসিপেটেড পলিটিকেল মাস্তান অফিসে এসে বসকে ও তাকে ঝাড়ি। এবং বস সব দোষ তার ঘাড়ে চাপিয়ে পলিটিকেল মাস্তানদের থেকে এক'শ হাত দূরে....। এবং যথারীতি সে স্বসশ্র পলিটিকেল মাস্তানরা বাসা পর্যন্ত হাজির.........

এবার বলুন তিথি কি দেশে থাকবে নাকি সুযোগ পেলে চলে যাবে। জীবন বড় নাকি আদর্শ বড়!!!!!!!!!!!

ভালো থাকুন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: দুঃখিত, শিশু অ্যাকাডেমিতে একটা প্রোগ্রামে আটকে থাকায় প্রতিমন্তব্যে দেরি হয়ে গেল।

প্রথমত: আসলে আপনি বোধহয় তিথি নামটাতে একটু বেশি রিঅ্যাক্ট করছেন। আসলে তিথির যায়গায় অমলেশ, সাদমান, গিলবার্ট বা যে কোনো কিছুই হতে পারতো, ইনফ্যাক্ট আমার সেই কলিগের নাম তিথিতো নয়ই।

দ্বিতীয়ত: তিথি অস্ট্রেলিয়ায় গেল, নাকি হনলুলুতে গেল, সেটা আমার বিবেচ্য ছিল না, শুধুমাত্র সমাজের দুই শ্রেণীর কথা বলতে চেয়েছি।

তৃতীয়ত: সুযোগ পেলে চলে যাওয়া আর যাওয়ার জন্য হত্যে দিয়ে পড়া দু'রকম বিষয়।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

১৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব সুন্দর পর্যবেক্ষণ! লেখাটা খুবই ভাল লাগল। এদেশের বর্তমান চিত্রটা এমনই। যে যার মত এই দুঃসহ দম বন্ধ হয়ে আসা পরিবেশ ছেড়ে মুক্তি পেতে চাইছে। যাদের সামর্থ্য আছে তাদের জন্য এটা আনন্দের। যত কষ্ট শুধু সামর্থ্যহীনদের। এর দায়ভার কেউ নেবে না।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: সামর্থ্যহীনরা কষ্ট লাঘবে তখন শুধু সামহ্যোয়ারে লিখবে
=p~

১৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

মানুষের স্বাভাবিক নেচার হচ্ছে উন্নত বেতন বা সুবিধা পেলে জব চেইঞ্জ করে, করবে।
উন্নত দেশে ডুয়েল সিটিজেন সুযোগ পেলে যাবেই।
বাংলাদেশ কাটাতারে ঘেরা পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ। এখান থেকে আরো বেশী যাবে।
সব ক্ষেত্রে 'পলিটিকেল মাস্তান' টেনে আনা পলিটিক্যাল ফাজলামো।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: কিন্তু হাসান ভাই, আমাদের উচ্চবিত্ত সমাজ কি সব সময়? এ দেশের প্রতিষ্ঠিত মানুষেরা বিদেশ গিয়ে অডজব করছে, এমন ঘটনা কিন্তু বিরল নয়। এই নিউজটা দেখুন [link|http://www.banglanews24.com/tourism/news/bd/499098.details|

১৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

মাষ্টার দা’ বলেছেন: শ্রেণী বৈষ্যমের দারুন না বলা কথা তুলে ধরেছৈন। হ্যাটস অফ ব্রো

এদের মতো হতে গিয়েই মধ্যবিত্তের হাজারো তিথিরা কখনো হতে পারে কখনো মাঝপথেই হারিয়ে যায়!
এই শ্রেণী বৈষ্যম উস্কে দেয় পথচ্যুতির চেতনা!
প্রিভিলেজড সংখ্যালঘুরাই শোষন করে সমাজের আন প্রিভিলেজড বৃহদাংশকে!

কপি পেষ্ট করা যায়না- অনেক লাইনই কোট করতে মন চাইছিল। আবার বারবার দেখে লেখা কষ্ট বলে ক্ষমা করবেন।
পোষ্টে মুগ্দতা+++++

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার এত মুগ্ধতা দেখে আমি নিজেই টাস্কি খাইতাছি। তবে আপনি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন যে, এদের মত হতে গিয়েই মধ্যবিত্তের হাজারো তিথিরা কখনো হতে পারে কখনো মাঝপথেই হারিয়ে যায়!

১৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট্ট একটা লেখা, কিন্তু কত গভীর! সে গভীরতার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত ভিন্ন মাত্রার স্রোতের প্রতিফলন কিছু কিছু ভেসে উঠেছে মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্যগুলোতে। এসব স্রোতের সমাবেশ কি কোন সুনামি'র পূর্বাভাস?
যে নির্মোঘ টানে একদা এ দেশের মানুষ নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে পেরেছিল, তারাই এখন জীবন বাঁচাতে দেশ ছাড়তে উম্মুখ (৬ নং প্রতিমন্তব্য) - যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জনকারী একটি জাতির স্বপ্নের কি হৃদয়বিদারক পরিণতি!
দেখার ভিন্নতার কারণেই তো সাহিত্য সৃষ্টি হয়, না হলে সব কিছুই বিজ্ঞান হয়ে যেত (৮ নং প্রতিমন্তব্য) - চমৎকার বলেছেন কথাটা।
কামরুল হাসান তখন একজন বিশ্ববেহায়ার কথা বলেছিলেন, এঁকেছিলেন। তিনি বেচে থাকলে এখন বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন বেহায়াদের জন্য খোঁয়ারের সন্ধান করে বেড়াতেন।
মানুষ নিজের দেশকে নিজেই ভয় পায় - চাঁদগাজী'র অমূল্য দর্শন!
যে কোন বড় কর্পোরেট অফিসে দুইএকটা তিথি পাবেনই - (১৪ নং মন্তব্য) - :) সত্য বটে!

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: একটা সুনামি তো অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে স্যার।
ইকবাল বলেছেন, ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হার কারবালা কি বাদ।
ফ্যাটম্যান আর লিটল বয় এর ধাক্কায় চুরমার হওয়ার পর জাপান বিপুল বিক্রমে ঘুরে দাড়িয়েছে।
সউল অলিম্পিকের দামামার পর দক্ষিণ কোরিয়া উন্নত ও সভ্য দেশের কাতারে চলে এসেছে

এবার আমাদের পালা।

২০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

রাফা বলেছেন: আসলে আমরা চাই আমাদের কাজটা অন্য কেউ করে দেবে।তারপর যখন দেশে দুধ ও মধুর নহর বইবে তখন আমরা আয়েশ করে তা উপভোগ করবো।
মারিয়া নুর আর তিথিরা এক প্রজাতির নয় বলেই আমার বিশ্বাস।মারিয়া নুরকে যতটুকু দেখা সে বিদেশে ৩্য় শ্রেণির নাগরিক হয়ে থাকার চাইতে দেশে সংগ্রাম করে মাথা উচু করেই থাকতে চাইবে।
একজন জাফর ইকবাল স্যারের কথাই চিন্তা করে দেখুন।পৃথিবির যে কোন দেশেই অনেক বেশি উপার্জন করে অনেক উন্নত জিবন যাপন করার সুযোগ ছিলো এবং আছে ।অথচ দেশেই ফিরে এসেছেন দেশটাকেই বদলে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে।
আমার পর্যবেক্ষন বলে দেশ থেকে যারা বেশি পায় দেশকে তারাই কম ভালোবাসে।আর অনেকে না পেলেও দেওয়ার আনন্দেই উজার করে দেয়।তিথিরাই দেখবেন আবার ফিরে আসবে যখন দেশটা বদলে যাবে।আমার দৃর বিশ্বাস বাংলাদেশ পৃথিবির বুকে উদাহারণ হয়ে থাকবে ।

লাখাটা ভালো লিখেছেন,তাই ভালো লেগেছে,ধন্যবাদ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমরা চাই আমাদের কাজটা অন্য কেউ করে দেবে। আলবত চাই। সাথে এটাও চাই যেন আমাদেরকে বেশি কিছু কষ্ট করে জানতে না হয়। না হলে কি আর পার্সপোর্ট অফিস, ভূমি অফিস, ভিসা অফিস, হসপিটালের সামনে বা আরো আরো অনেক যায়গায় দালালদের উপদ্রব থাকতো? আমরা আসলেই গলাবাজীতে ওস্তাদ।

আরেকটা ব্যাপার, মারিয়া নুর এখানে শুধু একটা পরিচিত নাম। আক্ষরিক নয়। তা ছাড়া আমার যদ্দুর মনে পড়ে ওই বিলবোর্ডে সোহানা নুর নামে কেউ একজন ছিল, যে অটবি'র পরিচালক। আমি এখানে মারিয়া নুর ও তিথি নয়, বরং বিলবোর্ডের উপর আর নীচ'র মত সমাজের দুই শ্রেণীকে দেখাতে চেয়েছি।

সবচে বড় কথা, আপনি আমার এই চৌদ্দশ শব্দের লেখাকে মাত্র নয় শব্দেই বলে দিয়েছেন, দেশ থেকে যারা বেশি পায় দেশকে তারাই কম ভালোবাসে। এটাই প্রতিপাদ্য।

লেখা ভালো লাগায় ধন্যবাদ। আপনি আমি সমসাময়িক ব্লগার। তারপরও আমার মনে পড়ে না যে আপনি কোনসময় আমার এই নিক এবং পুরোনো নিকে দেওয়া কোনো পোস্টে মন্তব্য করেছেন। আরেকবার ধন্যবাদ।

২১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

মিরোরডডল বলেছেন: আমি কিছু বলতে চাই
প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ দেশের অন্য কোনও অংশ থেকে ঢাকা আসছে
why?
উচ্চ শিক্ষার জন্য এবং প্রত্যাশিত কর্মজীবনের জন্য
They visit their family weekly, monthly or during festive.
We take it normally. Its very common story.
Similarly people going abroad for higher studies or better career.
That's same. No difference. They visit their country once or twice in a year.
Within country or outside of country that's just a geographical barrier which is created by human.
By born we are free to choose where to go or what to do as long as someone can qualify and afford.
The more we’ll explore the more we’ll learn and grow.
এটা মানে এই না যে দেশের জন্য ভালবাসা নেই
বাংলাদেশেও অনেক মানুষ আছে যারা দেশের জন্য, মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেন না অথবা চান না
On the other hand, lots of people doing a lot for our country from overseas.
Absolutely depends who you are and what's your intention.
So we should encourage and appreciate all group of people as long as we love our country and supportive to each other no matter from where.

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: কিসের সাথে কি মিলালেন ভাই?

ভুরুঙ্গুমারীর জয়নালের দুবাই গিয়ে সপ্তাহে ৭দিন শ্রম দিয়ে তাঁর মা নছিরন বিবি আর ছোট ভাই আজমল ও ছোট বোন রমিছার জন্য টাকা পাঠানো আর গুলশানের প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ির মালিক শাহাদাত ভূইয়ার ছেলে রাহুলের সেন্ট্রাল লন্ডনে গিয়ে মাস্তি করা কি এক হলো?

আরেকটা বিষয়, ইংলিশ বাংলা মিশাচ্ছেন কেন, আপনি তো বাংলা টাইপ পারেনই।

২২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

মিরোরডডল বলেছেন: দুঃখিত
মাত্র কয়েকদিন হল আমি বাংলা লিখতে শুরু করেছি. এটা লিখতে আমার অনেক সময় লাগে.
তাই যখন আমি খুব ব্যস্ত থাকি ইংরেজিতে লিখি. Consider me for time being please. এটা ঠিক হয়ে যাবে.

আমার দ্বিতীয় মন্তব্য যেটা - এটি আসলে অন্যদের মন্তব্য সম্পর্কে comment no 6, 10, 13, 16
আমার এটা উল্লেখ করা উচিত ছিল. Sorry to make you confused.

গতকাল আপনি এক্সপেরিমেন্ট সম্পর্কে বলেছিলেন এই জন্য আজ এখানে দেখতে এসেছিলাম

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: এক্সপেরিমেন্ট শতভাগ সফল। রাতে সাজেক ঘুরতে যাচ্ছি। এসে বাকিটা বলব।

টিল দ্যান, ভালো থাকবেন।
শুভ ব্লগিং।

২৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

মিরোরডডল বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন

২৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইহারা কাকের বাসায় কোকিলের ডিম্ !! চোখ ফুটিলেই উড়িয়া কোকিলের দেশে চলিয়া যায় ! কাকের কা কা ইহাদের ভালো লাগে না !

আমারে ফিল্ড মার্শাল হইতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বানাইবে এই অপেক্ষায় আছি ভাউ !

২৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার ক্ষোভটা হয়তো যুক্তিসঙ্গতই |কিন্তু খুব অন্যরকম হবার কারণ কি আছে এখন দেশে?

২৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
দেশ থেকে বিদেশে আসা বা বিদেশ থেকে দেশে ফেরটা অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এসিআই কোম্পানির মালিকের ছেলে (বর্তমান চেয়ারম্যান) আমেরিকা থেকে পিএইচডি করে দেশে ফিরে গিয়ে ব্যবসা দেখতেছে। কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স করে এখানেই একটা ভালো কোম্পানিতে ২ বছর চাকুরী করার পর বাংলাদেশে ফেরত গিয়ে এখন একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরী করতেছে। আমি নিজেও দেশে ভাল একটা কোম্পানিতে ভালো পজিশনে চাকুরী করতাম। কিন্তু সেই চাকুরী ছেড়ে বিদেশে এসেছি আবহাওয়া পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পড়া-লেখা করার জন্য যাতে করে বাংলাদেশের আবহাওয়া পূর্বাভাষ ব্যবস্হার উন্নয়নে কাজ করতে পারি। আমি যেই কোম্পানিতে চাকুরি করতাম সেই কোম্পানির মালিক ৩ ভাই-বোনের সবাই আমেরিকা থেকে গ্রাজুয়েশন করে দেশের ফিরে ব্যবসা করতেছে। শত-শত উদাহরণ আছে যারা চাইলে বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকুরী করতে পারতো কিন্তু তা না করে দেশে ফেরত গেছে।

আবার আপনি যে গল্পটা লিখলেন সেটাও আমাদের সমাজেই প্রচলিত। হিউম্যান সাইকোলজি আসলেই অনেক জটিল।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০০

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাপ্রে! আপনিতো ভাই তথ্য উপাত্ত নিয়ে একেবারে আটঘাট বেঁধে নেমেছেন মনে হচ্ছে :P

ব্যক্তিগতভাবে নেবেননা প্লিজ। আমিতো পাঠ্য লিখতে পারি না, একটু ফিকশন টাইপ ফিচার লিখতে চেষ্টা করি। তার মধ্যে কিছু সামাজিক বার্তা থাকলেও থাকতে পারে। যেমনটা আপনিও লিখেছেন একেবারে শেষ লাইনে।

ধন্যবাদ লম্বা মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

২৭| ২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: যার সুযোগ আছে তার এই বঙ্গ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.