নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহুরে দেয়াললিখনী

০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬


অফিসে আসার পথে হাতিরঝিলের যে মোড়টায় এসে আমি প্রত্যেকদিন জ্যামে পড়ি, সেখানকার দেয়ালে এই লেখাটা রয়েছে। অবস্থান বিবেচনায় একদম উপযুক্ত যায়গায় হয়েছে লেখাটা। মহীনের ঘোড়াগুলি’র একটা গান আছে ‘আমি ডানদিকে রইনা, আমি বামদিকে রইনা, আমি দুইদিকেতেই রই, পরান জলাঞ্জলি দিয়া...’। কিন্তু এই দেয়াল লেখক ডানে বামে না গিয়ে মাঝখানেই থাকতে চাচ্ছেন। ভালো, খুবই ভালো। ইসলামে মধ্যমপন্থাকে উত্তম বিবেচনা করা হয়।

প্রায় প্রতিদিনই অলস চোখে দেয়ালের এই লেখাটি দেখি আর ঠিক কি চিন্তা করে লেখক এটি লিখেছেন সেটা ভাবতে ভাবতে জ্যামটুকু পার করি। দেয়াললিখনের পেছনের এই চিন্তা নিয়ে লিখব বলে একদিন ছবিও তুলে রাখলাম। কিন্তু কি যে গেরো লাগলো এরপর, গত দু’ সপ্তাহ ধরে মাথার ভেতরে কেবল একটা লাইনই ঘুরছে। ‘আমি ডানদিকে রইনা, আমি বামদিকে রইনা...’ । লাইনটা বাড়ছেও না কমছেও না। মহা যন্ত্রণা!!

আমার দৈনন্দিন কাজের রুটিনে অফিস করার পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ে ক্রিয়েটিভ ডিজাইন করা এবং এই ব্লগে লেখার কাজটাও রয়েছে। অফিস তো বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই, কিন্তু খেয়াল করে দেখলাম, বাকি দুটি কাজের মধ্যে একটিতে যখন বেশি মনোযোগ দিই, তখন অন্যটা আর পারি না। যখন একটু আধটু লিখতে পারি, তখন ডিজাইনটা মাথায় আসে না আর ডিজাইনে চাপা পড়লে লেখাটা আসতেই চায় না.... হায় প্রভূ! এত কম মেধা দিয়ে কেন পাঠালে এই ভুভারতে!

একদা আমরা যখন বড় হচ্ছি, তখনকার সময়ে যে সব দেয়াললিখনী থাকতো, সেগুলো হতো খুবই স্পষ্ট ভাষার, পরিষ্কার অর্থবোধক। অধিকাংশই রাজনৈতিক। সারা দেশেই এ ধরণের দেয়াললিখনী থাকতো। এক ধরণের শোভাও ছিলো ওগুলো। বিশেষ করে ছাত্র ইউনিয়ন আর শিবিরদের দেয়াললিখনীগুলো দৃষ্টিনন্দন হতো বেশি।

সময়ের সাথে সাথে রাজনৈতিক বক্তব্যের মত দেয়াললিখনীও বদলায়। আমরা ক্যাম্পাসে থাকতে দেখেছি বাম সংগঠনগুলো সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুর দাবিতে হরহামেশাই মিছিল করতো। লেখচার থিয়েটারের পূর্বদিকের দেয়ালটা এখন অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাওয়াতে এই দাবিতে লেখা একটা দেয়াললিখনী এখনও রয়ে গেছে ওখানে। কিন্তু এখন ওরা বলে, ‘সান্ধ্যকালীন কোর্সের নামে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ চলবে না’। একই দাবির দেয়াললিখনীও নিশ্চয় আছে।

রাজনৈতিক দেয়াললিখন এখন খুব একটা দেখা যায় না। তার বদলে এসেছে বাণিজ্যিক আর দার্শনিক দেয়াললিখনীগুলো। একদা ঢাকা শহরে খুবই পরিচিত ‘অপেক্ষায় থাকা নাজির’ আর ‘কষ্ট পাওয়া আইজুদ্দিন’ জুটি অবসরে গেলেও তার যায়গায় এখন রয়েছে অসংখ্য দার্শনিক দেয়াল লেখকবৃন্দ। তাই এখনকার শহুরে দেয়াললিখনগুলো মর্মোদ্ধার করা বেশ কঠিন।

সুবোধ’র গ্রাফিতি যেমনটা আলোচিত, আলোড়িত, সে রকমটা না হলেও বিভিন্ন দেয়াললিখন দেখলে বেশ দুর্বোধ্য মনে হয়, ঠিক কি অর্থে বলা হয়েছে, ধরতে পারি না। দ্রুত বদলে যাওয়া সময়ের সাথে সাথে জ্ঞানও বদলে যাচ্ছে, যেটা আমি হয়তো ধরতে পারছি না। ঠিক যেমনটা সেই ছোট্টবেলাতে যশোর জেলা স্কুলের লম্বা সীমানা প্রাচীরে লেখা ‘মুজিব হত্যার পরিণাম-বাংলা হবে ভিয়েতনাম’ দেখেও বুঝতে পারতাম না যে বাংলা কিভাবে ভিয়েতনাম হবে।

এই দেয়াললিখনটার পাশেই আরেকটা লেখায় যেমন বলা হচ্ছে ‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ’... দাশ বাবুর কবিতাটা নিঃসন্দেহে অর্থবোধক, কিন্তু এখানে এই দেয়াল লেখক ঠিক কোন অর্থে লিখেছেন বোঝা মুশকিল আছে। একই রকমভাবে চট্টগ্রামে চলতি পথে এক দেয়ালে দেখলাম লেখা- ‘দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দেব...’ অদ্ভুত কথা। কাওকে গুলি করতে হলে কেন দুধ চা খেতে হবে, বুঝতে পারি না। বহুদ্দিন পর ক্যাম্পাসে গিয়ে ডাকসুর সামনে বৃষ্টিতে আটকে দাঁড়িয়ে গেলাম, দেখি ডাকসুর দেয়ালে লেখা দ্য ওয়ার্ল্ড নিডস মোর লাভ, মোর ট্রুথ, মোর ...। এখনকার শহুরে দেয়াললিখনগুলো এমনই।


এক সময় নিজে দেয়াল লিখেছি। নব্বুই দশকের শেষদিকে আমার নিজের লেখা এরকম একটা দেয়াললিখনের অপসৃয়মান অংশ আজাদ প্রোডাক্টের পাশের ভবনে এখনও দেখতে পাই ওদিকে গেলে। এ জন্য দেয়াললিখনীগুলো আমার কাছে সবসময়ই অন্যরকম কিছু। চলার পথে যখনই কোন দেয়াললিখনী দেখি, তখনই ইমপ্যাথাইজড হয়ে যাই। বুঝতে চেষ্টা করি- লেখক ঠিক কি ভাবছিলেন এটা লেখার সময়ে।

কদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, তেজগাঁও কলেজের মাঠের এক কোণায় লোহার সিন্ধুকে কিছু চলতি জিনিসপত্র ভরে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে, যেটা ৫০ বছর পর উত্তোলন করা হবে। যেন সে সময়ের মানুষেরা ৫০ বছর আগের সমাজ-সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে। একটা সময়কে আরেকটা সময়ে নিয়ে যাওয়ার এই আইডিয়াটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।

দেয়াললিখনীগুলোও এরকমই সমাজের একটা প্রতিচ্ছবি; যেটি কোন এক নিঝুম যায়গায় ঘাপটি মেরে বেঁচে থাকে বছরের পর বছর আর একটা সময়কে নিয়ে চলে অন্য একটা সময়ে।

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অবশ্যই দেয়াললিখনীগুলো সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। মাধেমধ্যে দেয়াললিখনীগুলোতে শক্তিশালী বক্তব্য থাকে। আপনার লেখাটা ভালো লাগল।

০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

পদ্মপুকুর বলেছেন: এ রকম কাটখোট্টা লেখাও কারো ভালো লেগেছে দেখে প্রীত হলাম। আপনি আসলেই বেস্ট!!! :`>

২| ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দেওয়াল লিখন পড়তে আমার ভালই লাগে।আগে যখন কোথাও বেড়াতে বের হতাম আমি রাস্তার আশে পাশে দেওয়ালে পোষ্টারে কি লেখা আছে তা পড়তে পড়তে যেতাম।দেওয়াল লিখনে লেখক এক কথায় অনেক কিছু বোঝাতে চান।যার যতটুকু জ্ঞান সে ততটুকু তা থেকে নিতে পারেন।

আপনার এই লেখাটি কিন্তু মোটেও কাটখোট্টা নয়।অনেক দিন পরে তবে লিখলেন।আপনার লেখার অপেক্ষায় ছিলাম।
ভাল থাকুন ভাইয়া।
ঈদ কি ঢাকাতেই করেন?

০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমারও দেয়াললিখন পড়তে ভালো লাগে। অনেক কিছু জানা যায়।
আর মেধা কম তো, চাইলেই লিখতে পারি না।

ভালো থাকবেন।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সময় এখন পক্ষে না

০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: এটা একটা সুবিধাবাদি স্টেটমেন্ট। আমরা পরাজিত হতে হতে এখন প্রতিবাদ ভুলে গেছি, আর সেই লজ্জাটা চাপিয়ে দিচ্ছি সময়ের উপরে। বলছি, সময় এখন পক্ষে না।

ভালো থাকবেন।

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনিতো সব লেখাই পড়েন, সবার লেখাই পড়েন। খুবই ভালো।

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সমানে সমানে লড়াই না হলে, পরাজয় সুনিশ্চিত। প্রহসন বলেও একটা কথা আছে। আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাপ্রে! বিপ্লবী কথাবার্তা। প্রান্তর বড় হচ্ছে বুঝতে পারছি...

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

ক্লে ডল বলেছেন: দারুণ বিষয়!!! দেওয়াল লিখনের মর্মোদ্ধারে আমিও মাঝে মাঝে লেগে পড়ি। তারপর চোখের আড়াল থেকে মনেরো আড়াল হয়ে যায়।

সুন্দর পোষ্ট!!

০৩ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আগে যখন পুরোদমে রাজনৈতিক স্লোগান লেখা থাকতো, তখন বেশ ভালোই লাগতো। এখনও যশোর এলাকায় সুন্দর সুন্দর লেখা দেখি বাড়িতে গেলে। ভালো লাগে দেখতে। কিন্তু দার্শনিক ওয়াল রাইটিংগুলো আসলেই বুঝতে পারি না।

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

শিখা রহমান বলেছেন: লেখাটা অন্যরকম। ভালো লেগেছে। দেয়াল লিখন সময়ের প্রতিচ্ছবি ধারণ করে।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: এই যে বললেন 'লেখাটা অন্যরকম'। এই বলাটাই হয়তো আমার মত ক্ষুদ্র লেখকের সার্থকতা।

ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য। শুভ ব্লগিং।

৮| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দেয়াল লিখন মানুষের মনে গভীর দাগ টানে। কষ্টে আছি
আইজ উদ্দিন ছোট্ট দেয়াল লিখন কিন্তু এর ইমপ‍্যাকট অনেক। দেয়াল লিখন সময়ের সঙ্গে চেঞ্জ হবে এটাই স্বাভাবিক।

০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ৮:০১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আপনি। আইজউদ্দিনের সাথে সাথে ল্যাম্পপোস্টে হেলান দিয়ে বাঁশি হাতে বসে থাকা নাজির ও সে সময় সারা ঢাকার মানুষের মুখে মুখে ছিল। এমন কি গণমাধ্যমেও যায়গা দখল করেছিল। এখন যেমন সুবোধ এর গ্রাফিতি।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

৯| ০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সুন্দর টপিক!;)

প্রতিবাদ করতে করতে আমি ক্লান্ত!
এখন আমি সুবোধের দলে!!:(

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: মণ্ডল ভাই, সবাই যদি সুবোধের দলে হয়, তাহলে কবি হেলাল হাফিজ এর কি হবে? উনি যে বলেছিলেন- এখন যৌবন যার....

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং

১০| ০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৮

আখেনাটেন বলেছেন: আগে অনেক জায়গাতেই এই দেয়াললিখনিগুলো দেখা যেত প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে।

কিছুদিন আগে সুবোধকে নিয়ে তো একটা ঝড়ই বয়ে গেল।

ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালগুলো এই রকম নানা দেয়াললেখনিতে ভর্তি। একটি ছবি দিলাম।

চমৎকার পোস্ট।



০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান। জেএনইউ এর এই ওয়ালরাইটিংটা ভালো লাগলো। আমার দৌড় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত। দিল্লির মত ওখানেও প্রচুর ক্রিয়েটিভ এবং প্রতিবাদি ওয়ালরাইটিং দেখেছি। অথচ আমাদের দেশে এই ধারাটা কমে গেছে।

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১:০৫

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: ব্যানার পোস্টার এর চেয়ে দেওয়াললিখন কষ্ট করে হলেও পড়তে আমার ভালো লাগে। চমৎকার পোস্ট। ধন্যবাদ

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: একটা আর্ট আছে দেয়াললিখনীর মধ্যে। সুন্দর হলে দেখতেও ভালো লাগে। পোস্ট ভালো লাগায় ধন্যবাদ আপনাকেও।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!
আমাদের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও আশে পাশে আইজুদ্দিন নাজির এর পাশাপাশি মুক্তিচাই।ছাত্র ইউনিয়নের "বেজে উঠলো কই সময়ের ঘোরী! এসো তবে আজ বিদ্রোহ করি" এমন সব চমৎকার স্লোগান থাকত।
আমার শহরের একটা দেয়াল লিখন মনে আছে "ইমডেমনেটি অধ্যাদেশ বাতিল কর" কিছু বুঝতাম না কিন্তু মনে রয়ে গেছে।
তাছাড়া ব্যানার পোষ্টার দেয়াল চিকা র অভিজ্ঞতা গুলো ও ঝালাই করলাম আপনার লেখার সাথে।

শুভ কামনা।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: বেজে উঠলো কি সময়ের ঘড়ি, এসো তবে আজ বিদ্রোহ করি....
আসলেই বামদলগুলো, বিশেষ করে ছাত্র ইউনিয়ন আর শিবিরের ওয়াল রাইটিংয়ের আলাদা একটা প্যাটার্ন ছিলো। এইটা বলে তো আবার ফেঁসে গেলাম, নিচে কলাবাগান সাহেব খোাঁচাতে ছাড়লেন না। যাগ্গে, 'ইনডেমনিটি অধ্যাদ্যেশ বাতিল কর' এইটাও দেখতাম যশোরে থাকাকালীন। যশোর এলাকায় মৈত্রী, ইউনিয়ন, জাসদ-বাসদ এর প্রভাব বেশি ছিল আগে, এ জন্য ওদের ওয়ালরাইটিংগুলো চোখে পড়তো বেশি।

ভালো থাকবেন

১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ৩:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: সব কিছুই সুন্দর করে লিখছেন...খুবই সুন্দর পোস্ট কিন্তু

"মুজিব হত্যার পরিণাম-বাংলা হবে ভিয়েতনাম" এর অর্থ বুঝেন নাই কিন্তু শিবিরের দেওয়াল লিখন দৃস্টিনন্দন সেটা তো বুঝতেন

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: নিশ্চিতভাবেই আপনার রাজনৈতিক দর্শনের সাথে আমার দর্শন মিলবে না, তার মানে এই না যেটা আমি বুঝব না সেটাকে বুজেছি বলে কবুল করতে হবে আর যেটা আমার কাছে দৃষ্টিনন্দন মনে হবে, সেটাকে প্রকাশ করতে পারবো না। তাছাড়া আপনি সময়ের ব্যবধানটা মিস করেছেন মনে হচ্ছে।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল লিখনগুলো সব সময়ই অর্থবহ। তবে বিরক্তিকর দেয়াল লিখনও আছে ।সেটা হচ্ছে ভোটের সময়ে বাড়িওলার পারমিশন বিনাই তার দেয়ালে লেখা। অমুকের চরিত্র , ফুলের মত পবিত্র......

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দেয়াললিখনগুলোইতো সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং বুদ্ধিবৃত্তিক হওয়ারই কথা। উপরে আখেনআটেন যেমন জেএনইউ এর একটা দেয়াললিখন দিয়েছেন।

১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: দেয়াল লিখনীর গোপন মেসেজগুলো উদ্ধার করা কঠিন। আপনার দেয়াল লিখনীগুলো সম্পর্কে আগ্রহ দেখে ভালো লাগলো। আর যেহেতু আপনি নিজেও একসময় লিখতেন ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: হু, বেসিক্যালি আমার বড় ভাইয়ের হাত ধরেই দেয়াল লিখন শেখা। আমাদের টিমে এমন একজন ছিলো, যে এতটাই ছোট ছিলো যার কারণে বড় কারোর কাঁধে চড়ে দেয়ালে লিখতো। ওই ছেলেটা এখন খুবই বড়মাপের একজন আর্কিটেক্ট, আমার মাঝে মাঝে ওই দৃশ্যটা মনে পড়ে, জিহাদ ভায়ের ঘাড়ে চড়ে সে লিখে যাচ্ছে মৎস্য ভবনের পাশের দেয়ালে...

ভালো থাকবেন।

১৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মাঝে মাঝে দেয়াল লিখনগুলো মুগ্ধ করে।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: সেই মুগ্ধতা থেকেই লেখা

১৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: দেয়াল লিখনি গুলো পড়তে ভালই লাগে।
পোস্ট ভালো লেগেছে।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। ম্যাশ এর ছবি লাগিয়ে রেখেছেন, ভালো লাগলো। আই'ম অ্যা হিউজ ফ্যান অব ম্যাশ। আমার একটা লেখা আছে , পড়তে পারেন।মাশরাফিকে নিয়ে

১৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: দেয়াল লিখনি অনেক অনেক বছর যদি থাকতো তাহলে ভালো হইতো। কিছুকিছু মানুষ পুরানো দিনগুলো নিয়ে ভাবতো, আর কিছুকিছু মানুষ পুরানো দিনকাল সম্পর্কে জানতো।

লেখাটি ভালো লেগেছে।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভালো বলেছেন। রেল স্টেশনের আশে পাশে অনেক পুরোনো দেয়াললিখন দেখতে পাবেন। আমার কাছে এগুলো একধরণের নস্টালজিয়া। লেখা ভালো লাগায় শুভেচ্ছা।

১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

জ্ঞান পাগল বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন :)

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: :-B :P

২০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২২

আবু ছােলহ বলেছেন:



দেয়াল লিখনটা একটা সময় আকর্ষন করতো। এখনো করে, তবে অতটা নয়। ঢাকা শহরের বেশিরভাগ দেয়াল যখন 'বিশ্ব সূফি', 'আশেকে রাসূল' ইত্যাকার নানান দৃষ্টিনন্দন, শ্রুতিমধুর নামের মহাফেরেববাজদের দখলে চলে গেল, তখন থেকে দেয়ালের দিকে চোখ দেয়া কমিয়ে দিয়েছি। এই ধরিবাজদের সাথে অশ্লীল সিনেমার পোস্টার তো আরেক বিপত্তি।

সুন্দর লিখেছেন।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: ওই যে বললাম, এখনকার দেয়াললিখনী বাণিজ্যিক হয়ে গেছে। এই আশেকে রাসুল-আরামবাগের ওই ভন্ড এই সবই তো টাউট, রমরমা বাণিজ্য চালাচ্ছে। দুঃখজনকভাবে তার অন্যতম মাধ্যম হয়ে গেছে এক সময়ের শিল্প- ওয়ালরাইটিং।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: ও হো, আপনার নামটা বোধহয় আবু ছালেহ হবে। কি কি যেন সিস্টেম আছে নাম ঠিক করার। সম্ভবত কাল্পনিক ভালোবাসা নামের একজন এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানেন, যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।

২১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

আবু ছােলহ বলেছেন:



আরবি শব্দ 'ছুলহ্' বা 'ছোলহ্' এরও কিন্তু ভাল একটি অর্থ রয়েছে। এর অর্থ, নিষ্পত্তি, মিমাংসা, সন্ধি, সম্মন্ধ ইত্যাদি। সেই অর্থে 'আবু ছোলহ' নামটি নাম হিসেবে খারাপ নয়।

আপনি 'পদ্ম পুকুর'। তাই যে কোনো কিছুতে ডুব দেয়া মনে হয়, আপনার স্বভাব। অনেক ভাল লাগলো। কৃতজ্ঞতা।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: ও হো ভাই, দুঃখিত। খুবই দুঃখিত। আসলেই জানতাম না, ওই যে প্রবচন আছে না- অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী, কথায় কথায় ডিকশনারি.... আমার ওই দশা হয়েছে। এই ব্লগে অনেকেরই নিকনেম এ রকম পরিবর্তিত রয়ে গেছে প্রথম দিকের জটিলতার কারণে। আমিও ওরকম মনে করেছিলাম।

যাই হোক, দুইদিন আগেই সাবেক একজন রাষ্ট্রপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নাম বিকৃতি না করার বিষয়ে উপদেশ দিয়েছেন। আমিও উনাকে সমর্থন করি।

২২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

মিথী_মারজান বলেছেন: ছোটবেলায় আব্বুর সাথে স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তার আশেপাশে দেয়ালগুলোতে রঙ বেরঙের লেখাগুলো জোরে জোরে বানান করে করে আব্বু পড়াতো। এভাবে কতগুলো যে না বুঝেই মুখস্হ হয়ে গিয়েছিলো!
বা স দ, জা স দ টাইপ দলগুলোর নাম আর হাতুড়ি, কাস্তে টাইপ দেয়ালে আ্ঁকা ছবিগুলোও এই দেয়াল থেকে দেখেই আমার চেনা।
আবার বাড়িঘরের দেয়ালগুলোতে পর্যন্ত আগে রাজনৈতিক স্লোগান আর বিজ্ঞাপন আঁকা থাকতো।
আপনার লেখাটা পড়ে কেন যেন সেইসব সময়ের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেলো!
তখন থেকেই কিনা জানিনা এখন পর্যন্ত পথে ঘাটে চারপাশের লেখাগুলো পড়ার একটা অভ্যাস রয়ে গেছে।
বিশেষ করে ভার্সিটি এড়িয়ায় প্রায়ই বদলে যাওয়া দেয়াল লিখন আর পেইন্টিংস গুলো এখনো আমাকে খুব টানে।

খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটা।:)

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখার সময়ে আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম যে এই লেখায় খুব বেশি হলে শ খানেক ভিউ আর পাঁচটা মন্তব্য পাবে.... কিন্তু আজব ব্যাপার, দেখা যাচ্ছে অনেকেরই এই বিষয়টা মনে দাগ কেটেছে। আপনাদের মন্তব্য পেয়ে আমি নিজেই আভিভূত। :P

ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।

২৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার

২৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

ক্লে ডল বলেছেন: যশোর কালেক্টরেট স্কুলের একটা দেওয়াল চিত্রের কথা মনে পড়ছে, " নে বাজান খা, পহেলা বৈশাখে বড়লোকরাও পান্তা ভাত খায়" এজাতীয়।এটা এখনও আছে। আর এম এম কলেজের আশপাশের দেয়ালে শিবিরের কমন লেখা ছিল " এসো নবীন দলে দলে, শিবিরের ছায়াতলে"।

তবে আমার কিন্তু দার্শনিক লিখনই বেশি ভাল লাগে। "আমি মাঝখানে রই" এবং " দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দেব" কথা দুটি এখনো ভাবাচ্ছে। :)

ভাল থাকবেন।

০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার উল্লেখিত লেখাটি বেশ ইন্টারেস্টিং। পহেলা বৈশাখে যেহেতু বড়লোকেরাও পান্তা ভাত খায়, সেহতেু আমাদের খেতে সমস্যা কোথায়... :`>

২৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনিতো সব লেখাই পড়েন, সবার লেখাই পড়েন। খুবই ভালো।

তা ঠিক বলেছেন।
সবার লেখা পড়ি। সবার মন মানসিকতা বুঝতে চেষ্টা করি।

০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভালো। এখনও পড়ার সময় পাচ্ছেন। আমিতো চাইলেও সব লেখা পড়তে পারি না।

২৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৬

সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। দেয়ালের কিছু লেখা মাঝে মাঝে বেশ চিন্তায় ফেলে দেয় !!

২৭| ০৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৩

এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: এই গ্রাফিটিগুলো আপনাদের কাছে এত ভাল লাগে? এগুলো হল অলমোস্ট পরিবেশ দূষণের মত। বাইরে থেকে কোন ফরেইনার যখন বাংলাদেশে আসবে, তখন তারা অবাক হবে!

বিদেশে কন্সট্রাকশন সাইটে লেখা থাকে, "Please excuse our appearance"!

২৮| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: দেয়াল লেখা থেকে বর্ণমালা যদি আলোর মিছিল হয়ে যায় ----
চমৎকার পোস্ট

২৯| ২৭ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

স্প্যানকড বলেছেন: ভালো লাগলো। সুস্থ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.